Skip to main content

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের (চতুর্থ সেমিস্টার) ছোট প্রশ্ন।

 ১) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য লেখো।


উত্তর - আন্তর্জাতিক সম্পর্ক মূলত আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক উভয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। আন্তর্জাতিক রাজনীতির তুলনায় আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পরিধি ব্যাপকতর।


২) আন্তর্জাতিক রাজনীতি কাকে বলে?


উত্তর - আন্তর্জাতিক রাজনীতি হলো রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে ক্ষমতার লাভের সংগ্রাম। আর এই ক্ষমতা লাভের সংগ্রাম হলো আন্তর্জাতিক সমাজের রাজনীতি।


৩) জাতীয়তাবাদ কাকে বলে?


উত্তর - আধুনিক বিশ্বে জাতীয়তাবাদ একটি অন্যতম প্রধান প্রভাবশালী শক্তি। সাধারণভাবে কোন জাতির মধ্যে যে ঐক্যবোধ বা চেতনা বর্তমান তাকে জাতীয়তাবাদ বলা হয় ।আসলে জাতীয়তাবাদ হল একটি মানসিক অনুভূতি।


৪) আনুষ্ঠানিকভাবে কবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের আলোচনা সূচনা হয়?


উত্তর - আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সূচনা ঘটে বিংশ শতকের শুরু থেকে,তবে সুনির্দিষ্টভাবে বললে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর 1919 সাল থেকে।


৫) আন্তর্জাতিক সম্পর্কের আলোচনায় বাস্তববাদী তত্ত্বের প্রবক্তাদের নাম লেখো।


উত্তর - বিশ শতকের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের আলোচনায় বাস্তববাদী তত্ত্বের প্রবক্তা হলেন ই এইচ কার, হান্স জে মর্গেন থাউ,জর্জ কেনান প্রমুখ ।


৬) বহুত্ববাদী তত্ত্বের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো


উত্তর -ক। বহুত্ববাদীরা মনে করেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পর অরাষ্ট্রীয় কারকসমূহ ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন বহুজাতিক কর্পোরেশন সমূহকে বাস্তবিক পক্ষে অনেক দেশের সরকারের তুলনায় অনেক শক্তিশালী বলে বিবেচনা করা হয়।

       খ। বহুত্ববাদীরা মনে করেন রাষ্ট্র ঐকিক কারণ নয়। বস্তুতপক্ষে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত বিভিন্ন আমলা, দলীয় স্বার্থ ইত্যাদি দ্বারা বহুলাংশে প্রভাবিত হয়।


৭) নির্ভরশীলতা তত্ত্বের মূল উপাদান গুলি কি কি?


উত্তর - বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রকৃতি  এবং গতিশীলতা। উন্নত ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলির সাথে অনুন্নত রাষ্ট্রগুলির পারস্পরিক সম্পর্ক। নির্ভরশীল রাষ্ট্রগুলির অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্য।


৮) নির্ভরশীলতা বলতে কী বোঝায়?


উত্তর - নির্ভরশীলতা বলতে বুঝায় এমন এক পরিস্থিতি যেখানে কয়েকটি দেশের অর্থনীতি অন্য দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিস্তৃতির দ্বারা প্রভাবিত হয় ।আর এই পরিস্থিতির তখনই উদ্ভব হয় যখন কোন রাষ্ট্র ওপর রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে।


৯) নিরপেক্ষবাদ বলতে কি বোঝায়?


উত্তর - নিরপেক্ষবাদ বলতে বোঝায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে কোন পরিস্থিতির বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ করে স্বাধীন অবস্থান নেওয়া।

১০) বিশ্বায়ন বলতে কি বুঝায়


উত্তর - বিশ্বায়ন বলতে বোঝায় অর্থনৈতিক সংস্কৃতিক সামাজিক রাজনৈতিক ও সামরিক প্রক্রিয়া এক স্বতন্ত্র অথচ পরস্পর সংযুক্ত জটিল সমন্বয় যার মাধ্যমে একটি সর্বজনীন বিশ্ব কাঠামোর দৃষ্টিভঙ্গিকে সামাজিক সম্পর্কে বোঝার চেষ্টা করা হয়।


১১) বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলতে কি বোঝায়?


উত্তর - বিশ্ব সম্রাজ্য ব্যবস্থার পর ষোড়শ শতক থেকে যে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা উদ্ভব ঘটেছে তাকে ওয়ালারস্টাইন বিশ্ব অর্থনীতি ব্যবস্থা বলে অভিহিত করেছেন।


১২) বিশ্বব্যবস্থাপনা তত্ত্ব বলতে কি বুঝায় ?এই তত্ত্বের প্রধান প্রবক্তা কে?


উত্তর - বিশ্ব অর্থনৈতিক সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার ক্রিয়া-কলাপ সংক্রান্ত তথ্য কি বিশ্ব ব্যবস্থাপনা তথ্য বলে। আর এই তত্ত্বের প্রধান প্রবক্তা হলেন বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ইমানুয়েল ওয়ালারস্টাইন।


১৩) আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উদারনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বলতে কী বোঝায়?


উত্তর - আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে উদারনৈতিক দর্শনের নীতিসমূহের অনুসরণই হলো উদারনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ।আন্তর্জাতিক উদারনীতিবাদ যেকোনো প্রকার কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে এবং আন্তর্জাতিক সামাজিক রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মুক্ত ভাবনার দর্শন।


১৪) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষণে মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গির মূল বক্তব্য কি?


উত্তর - সব ধরনের সামাজিক সম্পর্ককে এক সামগ্রিক কাঠামোর মধ্যে বিশ্লেষণ করার শিক্ষা, রাজনৈতিক কার্যকলাপের, অর্থনৈতিক ভিত্তির ধারণা, উৎপাদন ব্যবস্থার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও শ্রেণী সংগ্রামের তত্ত্ব আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গির মূল ভিত্তি।


Comments

Popular posts from this blog

জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course)

 জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course) ভুমিকাঃ আমরা জানি জ্ঞানের উৎপত্তি বা উৎস নিয়ে পাশ্চাত্য দর্শনে দুটি উল্লেখযোগ্য পরস্পর বিরোধী মতবাদ দেখা যায়। আর এই দুটি পরস্পর বিরোধী মতবাদের মধ্যে একটি অন্যতম মতবাদ হলো বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ। আর সেই বুদ্ধিবাদ অনুসারে-        আমরা জানি পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাসে বুদ্ধিবাদের প্রধান প্রবক্তা হলেন দার্শনিক ডেকার্ট। আর এই দার্শনিক ডেকার্টকে আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়। তবে তার পরবর্তী বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হিসেবে স্পিনোজা, লাইবনিজ এবং কান্ট বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। সেখানে জ্ঞান উৎপত্তিতে-- ডেকার্ট এর অভিমতঃ            দার্শনিক ডেকার্ট এর মতে দর্শনচিন্তার প্রথম সূত্র হলো সংশয় বা সন্দেহ। আর এই সংশয় নিয়েই দর্শন আলোচনা শুরু হয় এবং সুশৃংখল সংশয়-পদ্ধতির মাধ্যমে সংসায়াতীত, স্বতঃপ্রমাণিত ও সার্বিক মূল সত্যে পৌঁছানো যাবে। এই মূল সত্য থেকে গাণিতিক অবরোহ পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে এবং তা অবশ্যই নির্মূল ও নির্ভরযোগ্য হবে। আর গণিতের অভ্রান্ততা এবং নিশ্চয়তাকে

ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা

 ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা করো। ব্যাপ্তি:- ন্যায় দর্শনমতে ব্যাপ্তি জ্ঞান হলো অনুমিতির অপরিহার্য শর্ত। ব্যাপ্তিজ্ঞান ব্যতীত অনুমিতির জ্ঞান লাভ সম্ভব নয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি, যেখানেই ধূম সেখানেই বহ্নি। এই সাহচর্য নিয়ম হলো ব্যাপ্তি।                 এখানে সাহচর্য কথাটির অর্থ হলো সমনাধিকরণ। অর্থাৎ যেখানে যেখানে ধূম থাকবে সেখানে সেখানে বহ্নি থাকবে। আর নিয়ম কথাটির অর্থ হলো নিয়ত বা ব্যতিক্রমহীনতা। সুতরাং সাহচর্য নিয়ম কথাটির মানে হল ব্যতিক্রমহীন সাহচর্য। আর সেখানে ধুম ও বহ্নির অর্থাৎ হেতু ও সাধ্যের সাহচর্য নিয়মই হল ব্যাপ্তি।    ব্যাপ্তি দুই প্রকার।         ১) সমব্যাপ্তি           ২) বিষমব্যাপ্তি। ১। সমব্যাপ্তিঃ               সমব্যাপক দুটি পদের ব্যাপ্তিকে সমব্যাপ্তি বলা হয়। এখানে ব্যাপক ও ব্যাপ্য-র বিস্তৃতি সমান হয়। যেমন, যার উৎপত্তি আছে, তার বিনাশ আছে। উৎপত্তি হওয়া বস্তু ও বিনাশ হওয়া বস্তুর বিস্তৃতি সমান। উৎপত্তিশীল ও বিনাশশীল সমব্যাপ্তি বিশিষ্ট। ২। বিষমব্যাপ্তি/অসমব্যাপ্তি :-             অসমব্যাপক দুটির প

তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস ছোট প্রশ্নোত্তর।

 ১) কুতুবউদ্দিন আইবক কে ছিলেন? উত্তর-কুতুবউদ্দিন আইবক গজনীর সুলতান মহম্মদ ঘুরির দাস ও সেনাপতি ছিলেন। তিনি দিল্লীর প্রথম তুর্কি সুলতান ছিলেন। তাঁর শাসনের শুরুর সাথে ভারতের এক নতুন যুগের সূচনা হয়। ২) নব্য মুসলমান কারা ছিলেন? কে তাদের দমন করেছিলেন? উত্তর - জালাল উদ্দিন ফিরোজ খিলজির আমলে হলান্ড বা আব্দুল্লা খানের নেতৃত্বে মোঘল আক্রমণ সংঘটিত হয় । তার আক্রমণ জালাল উদ্দিন কর্তৃক প্রতিহত হয় । সেই সময় কিছু বন্দি মঙ্গল জালাল উদ্দিনের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে । ধর্মান্তরিত হতে হবে এই শর্তে জালাল উদ্দিন তাদের আবেদনের সাড়া দেন। তারা এতে সম্মত হয় ।এই ধর্মান্তরিত মোঙ্গলেরা নব্য মুসলমান নামে পরিচিত। নব্য মুসলমানরা আলাউদ্দিনকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করলে সেই আলাউদ্দিন এর আদেশে একদিনে ৩০ হাজার নব্য মুসলমানকে হত্যা করে অর্থাৎ আলাউদ্দিন নব্য মুসলমানদের দমন করে। ৩) মালিক কাফুর দ্বারা বিজিত দাক্ষিণাত্যের দুটি রাজ্যের নাম করো। উত্তর - মালিক কাফুর ছিলেন সুলতান আলাউদ্দিনের একজন দক্ষ সেনাপতি । তাঁর দ্বারা দক্ষিণ ভারতের বিজিত রাজ্য দুটি হল দেবগিরি এবং বরঙ্গল। ৪) পাইবস ও সিজদা কি? উত্তর - পাইবস হল সম্রাটের প