Skip to main content

Posts

Showing posts from October, 2024

তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পে কিভাবে তেলেনাপোতা আবিষ্কার হলো- তা আলোচনা করো।

তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পে কিভাবে তেলেনাপোতা আবিষ্কার হলো- তা আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, একাদশ শ্রেণী, দ্বিতীয় সেমিস্টার, বাংলা)।                √আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, তেলেনাপোতা গল্পটি বিখ্যাত ছোট গল্পকার প্রেমেন্দ্র মিত্রের একটি অন্যতম ভিন্নধর্মী ছোটগল্প। আর এই ছোটগল্পটির পটভূমি শহর থেকে ত্রিশ মাইল দূরের একটি গ্রামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে । আর সেখানে আমরা দেখতে পাই, গল্পের মূল কথক এবং তার দুই বন্ধু ভিড় ঠাসা বাসে তাদের মনের কথা মন খুলে আলোচনা করতে আলোচনা করতে থাকে।সেখানে-                •গল্পের শুরুতেই আমরা তিন যুবকের কথা জানতে পারি । আর সেই তিন যুবক হল- মৎস্যশিকারি,পানরসিক এবং নিদ্রাবিলাসী। তবে এখানে আমরা বলে রাখি মৎস্যশিকারি বন্ধুর সাথে অপর দুই বন্ধু তেলেনাপোতায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এই তেলেনাপোতা গ্রামটি একটা সময়ে নামকরা সমৃদ্ধময় গ্রাম ছিল। গ্রামটি সমৃদ্ধময় হলেও এই গ্রামের উপর আছড়ে পড়ে মহামারী ম্যালেরিয়া রোগ। আর সেই ম্যালেরিয়া গ্রামের অসংখ্য মানুষ ...

পদিপিসির বর্মীবাক্স শেষ পর্যন্ত কে কীভাবে আবিষ্কার করতে পেরেছিল, আলোচ্য গল্প অবলম্বনে তা আলোচনা করো।

পদিপিসির বর্মীবাক্স শেষ পর্যন্ত কে কীভাবে আবিষ্কার করতে পেরেছিল, আলোচ্য গল্প অবলম্বনে তা আলোচনা করো।(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার,NEP) ভূমিকাঃ আলোচনা শুরুতেই আমরা বলতে পারি যে, বাংলা কথাসাহিত্যে লীলা মজুমদার এক অনন্য প্রতিবাধর লেখিকা। আর সেই প্রতিবাধর লেখিকার অন্যতম অসামান্য একটি গল্প হল 'পদিপিসির বর্মীবাক্স'। তবে গল্পটি শিশুদের উপযোগী হলেও কিশোর, বৃদ্ধ বনিতা সকলের মন কেড়ে নিয়েছেন লীলা মজুমদার এই গল্পের মধ্যে দিয়ে। বলা যায় এই গল্পে লীলা মজুমদার সকল স্তরের মানুষের মধ্যে এক অনাবিল আনন্দের রসের ধারা বইয়ে দিয়েছেন।আর-                গল্পটির শুরুতেই আমরা দেখি,পদিপিসি নিমাই খুড়োর কাছ থেকে একটি গয়নার বাক্স পান এবং বাড়িতে এসে তিনি সেই বাক্সটি আর খুঁজে পান না। প্রবল তেজস্বী মহিলা পদিপিসি কিভাবে একশো বছর পর সেই মহামূল্যবান বাক্সটি ফিরে পেলেন সেটাই আমাদের আলোচ্য বিষয়। আর সেখানে আমরা দেখি-           পদিপিসির বর্মীবাক্স র গল্পের কথক মামার বাড়িতে যাচ্ছেন। আসলে এই কথক হলেন চৌধুরী পরিবারের মেজ মেয়ের পু...

বাংলা গদ্যের বিকাশে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের শিক্ষক রামরাম বসুর অবদান লেখো।

বাংলা গদ্যের বিকাশে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের শিক্ষক রামরাম বসুর অবদান লেখো। • রামরাম বসুঃ           রামরাম বসু ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অন্যতম পন্ডিত, যিনি বাংলা গদ্যের উদ্ভবপর্বের বিশিষ্ট রচয়িতা হিসেবে আজও স্মরণীয় হয়ে আছেন। আসলে তিনি উইলিয়াম কেরির অন্তরঙ্গ সহচর ছিলেন। আর এই অন্তরঙ্গতার কারণে তিনি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে মে মাসে শ্রীরামপুর মিশনে যোগদান করেন। অবশেষে ১৮০১ সালে তিনি মাত্র ৪০ টাকার বেতনে শিক্ষকতার কাজে নিযুক্ত হন। বলা যায়, তিনি আমৃত্যু অর্থাৎ ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ওই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাঁর অন্যতম গ্রন্থগুলি হলো-হরকরা, জ্ঞানোদয়, রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র, লিপিমালা প্রভৃতি।                   •রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র•         রাজা প্রতাপাদিত চরিত্র (১৮০১) রামরাম বসুর প্রথম মুদ্রিত গদ্যগ্রন্থ। আর এই গ্রন্থটি বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম মৌলিক গ্রন্থ এবং মৌলিক রচনা ও ঐতিহাসিক জীবনীর নিদর্শন। তাই এর মূল কাহিনী ইতিহাস আশ্রিত।অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে-          "ব...

কবি বিদ্যাপতির ভাবসম্মিলন কবিতার মধ্যে রাধা মনের যে আনন্দোল্লাস প্রকাশিত হয়েছে তা নিজের ভাষায় লেখো।

কবি বিদ্যাপতির ভাবসম্মিলন কবিতার মধ্যে রাধা মনের যে আনন্দোল্লাস প্রকাশিত হয়েছে তা নিজের ভাষায় লেখো। (পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, একাদশ শ্রেণি, দ্বিতীয় সেমিস্টার)।                 আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, কবি বিদ্যাপতি চৈতন্য পূর্ব যুগের একজন অন্যতম বৈষ্ণব কবি। যিনি মৈথিলী এবং সংস্কৃত ভাষায় বেশ কিছু গ্রন্থ ও গীতিকবিতা লিখেছেন। তবে তাঁর অধিকাংশ বৈষ্ণব পদগুলি ব্রজবুলি ভাষায় রচিত। ঠিক তেমনি আলোচ্য ভাব সম্মিলন কবিতাটি ব্রজবুলি ভাষায় রচিত একটি পদ। আর সেই কবিতায় রাধা বিরহের সাথে কৃষ্ণের সঙ্গলাভ করেছেন। যেখানে রাধিকাকে প্রথমেই বলতে শুনি--              "কি কহব রে সখি আনন্দ ওর।                                     চিরদিন মাধব মন্দিরে মোর।।" • শ্রীমতি রাধিকা আজ সীমাহীন আনন্দে আত্মহারা হয়ে সখিকে বলেন, আর কোনদিনই তার প্রাণের প্রিয় মানুষটিকে হারাবেন না বা হারাতে দেবেন না। কারণ আজ থেকে তাঁর প্রাণের প্রিয় মানু...

বাংলা গদ্যের বিকাশে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ও পন্ডিত/লেখকদের অবদান আলোচনা করো।

বাংলা গদ্যের বিকাশে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ও পন্ডিত/লেখকদের অবদান আলোচনা করো। (বাংলা, মেজর,তৃতীয় সেমিস্টার, পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় NEP) • ভূমিকাঃ আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, বাংলা সাহিত্যের ধারাবাহিক গদ্য রচনার সূত্রপাত ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের লেখকদের হাত ধরে হয়। তবে বাংলা ভাষায় গদ্য ব্যবহারের আধুনিক প্রবণতার প্রথম সার্থক পথিকৃৎ উনিশ শতকের নবপ্রবুদ্ধ শিক্ষা পদ্ধতি ও শিক্ষালয়। বাংলা ভাষায় গদ্য রচনার যে প্রাচীন নিদর্শন প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষ্য করা যায়, তাতে আদর্শ লেখ্য ভাষার উপযোগী শৃঙ্খলার অভাব ছিল স্পষ্ট। এই সময়কালে পর্তুগিজদের রচিত বাংলা ব্যাকরণ ছিল তাদের স্বজাতীয় বাংলা। যে বাংলা ছিল তাদের রূপ-রীতি সম্পর্কে এক সাধারণ জ্ঞান পরিবেশনের চেষ্টা মাত্র। পরবর্তীতে-            •  ইংরেজ বৈয়াকরণদের প্রয়াস ছিল ঠিক ওই একই রকম। যার ফলে বাংলার গদ্যের জগৎ, রূপ-রীতির শৃঙ্খলাহীন বৈচিত্র্যে পুঞ্জীভূত হয়ে উঠেছিল। এই বিচ্ছিন্ন বিচিত্র রচনাধারার বিশৃঙ্খল জগতে রূপরীতির শৃঙ্খলাবদ্ধ সামঞ্জস্য বিধানে পরোক্ষভাবে হলেও প্রথম গৌরব ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের।আর...

শিক্ষাশ্রয়ী সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি আলোচনা করো।

 ••শিক্ষা বলতে কি বোঝায়? শিক্ষা হলো একটি সারা জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া, যার মধ্যে দিয়ে শিশুর সর্বাঙ্গীন বিকাশ সাধন সম্ভবপর হয়ে থাকে। তাই শিক্ষার মাধ্যমে শারীরিক, আধ্যাত্মিক, মানসিক, সামাজিক, নৈতিক, চারিত্রিক প্রভৃতি দিকের বিকাশ সাধন সম্ভবপর হয়। আসলে শিক্ষা হলো জ্ঞানের সংগ্রহ-     "Education is the acquisition of knowledge." ••সমাজতত্ত্ব বা সমাজবিজ্ঞান বলতে কী বোঝো?  সমাজবিজ্ঞান মানব সমাজের বৈজ্ঞানিক ও পদ্ধতিগত অধ্যায়ন। এখানে সমাজবদ্ধ মানুষের সামাজিক আচরণ, সামাজিক সম্পর্কের ধরন, সামাজিক মিথস্ক্রিয়া এবং দৈনন্দিন জীবনের সাথে সম্পর্কিত সাংস্কৃতিক দিকের প্রতি মনোনিবেশ করা হয়। আসলে-      শিক্ষার সংজ্ঞা কিংবা উপাদানই হলো সমাজের উপাদান। আবার এই সমাজের বিজ্ঞানভিত্তিক সাধারণ চর্চা হলো সমাজতত্ত্ব। যে সমাজতত্ত্বের জনক August Comte বলেন -     "Sociology is the scientific study of social phenomenon" ( সমাজতত্ত্ব হল সমাজের ঘটনাবলীর বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা)। ••শিক্ষাশ্রয়ী সমাজতত্ত্বের প্রকৃতি আলোচনা করো।  ভূমিকাঃ শিক্ষাশ্রয়ী সমাজতন্ত্রের প্রকৃত...

একরাত্রি গল্পটি লিরিকধর্মী গল্প বলা যায় কিনা আলোচনা করো।

একরাত্রি গল্পটি লিরিকধর্মী গল্প বলা যায় কিনা আলোচনা করো।           • আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আগে গীতিকবি এবং পরে ছোটগল্পকার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আর গীতিকবি হওয়ার কারণে তাঁর ছোটগল্পে গীতিপ্রবণতা বা লিরিক প্রবনতা স্বাভাবিকভাবে অনুপ্রবিষ্ট হয়েছে। তবে এখানে বলে রাখা ভালো যে, রবীন্দ্রনাথের প্রথম পর্বের বেশিরভাগ ছোটগল্পেই গীতিরস বা লিরিক রসের অনুপ্রবেশ লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু এই গীতিরস ছোট গল্পকে কতখানি স্বধর্মচ্যুত করেছে সেটা বিচার্য বিষয়। আর সেই বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ আক্ষেপ করে বলেছেন-      "অসংখ্য ছোট ছোট লিরিক লিখেছি, বোধহয়        পৃথিবীর অন্য কোন কবিও এত লেখেন নি। কিন্তু         অবাক লাগে তোমরা যখন বল যে আমার        'গল্পগুচ্ছ' গীতিধর্মী। যা কিছু লিখেছি নিজে         দেখেছি, সে আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা।"               • বাস্তব ও কল্পনার সমন্বয়ে যথার্থ ছোটগল্প যেভাবে সৃষ্টি হয়, সেভ...

শেষের কবিতা

 শেষের কবিতা  প্রথম ইউনিট টেস্ট                  সময় ১.৩০ঘন্টা                               মান-৩০ _--++++++-----------------+-+-----+++-++++ ১) যেকোন ১০টি প্রশ্নের উত্তর দাও১০×১=১০ ক)চর্যাপদের আবিষ্কারক কে?  খ) চর্চাগীতিকোষ আবিষ্কৃত হয় কোথা থেকে?  গ) চর্চাগীতি কোষ কত সালে আবিষ্কৃত হয়? ঘ)  চর্যাপদের মোট পদের সংখ্যা কত? ঙ) চর্যাপদের টিকা রচনা করেছেন কে?  চ) চর্চার কোন কবি নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিয়েছেন? ছ) চর্চাপদে কোন খেলার উল্লেখ আছে?  জ) চর্যাপদের ভাষা যে বাংলা তাকে প্রমাণ করেন কে?  ঝ) চর্চাগীতিকোষ কে আবিষ্কার করেন ? ঞ) বাংলা সাহিত্যের আদিতম নিদর্শন কোনটি?  ট) চর্যাপদের তিনজন কবির নাম লেখো। ঠ) চর্যাপদের কবিরা নিজের নামের পাশে কি লিখতেন?  ড) চর্যাপদের প্রধান কবি কে? ঢ) চর্যাপদের ভাষাকে কি নামে অভিহিত করা হয়? ত) চর্যাপদের কবির সংখ্যা কত? ২) ক  দাগের প্রশ্ন অবশ্যই এবং অপর যেকোন একটি প্রশ্ন লিখতে হবে। ১০×২=২০...

প্রথম সেমিস্টার ছোট প্রশ্নোত্তর চার্বাক দর্শন

 ১) চার্বাক দর্শনকে কেন জড়বাদী দর্শন বলা হয়?  উত্তরঃ চার্বাক দার্শনিকগণ ক্ষিতি,অপ, তেজ ও মরুৎ এই চার প্রকার সূক্ষ্ম প্রত্যক্ষযোগ থেকে জগতের যাবতীয় বস্তু এমনকি প্রাণ চৈতন্যের উৎপত্তিকেও ব্যাখ্যা করে বলে তাদের জড়বাদী দার্শনিক বলা হয় ‌। ২) চার্বাক জড়বাদের মূল বক্তব্য লেখো। উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের মূল বক্তব্য হলো-ক্ষিতি,অপ,তেজ ও মরুৎ এই চারটি স্থুল জড়ভূতই জগৎ ও জীবনের মূলতত্ত্ব এবং আত্মা ইত্যাদি অতীন্দ্রিয় জগতের অস্তিত্ব নেই। ৩) চার্বাকরা কেন একমাত্র প্রত্যক্ষকে প্রমান বলেন? উত্তরঃ চার্বাকরা বলেন, প্রত্যক্ষই একমাত্র প্রমাণ। কারণ, বিভিন্ন প্রমাণের মধ্যে প্রত্যক্ষ হলো মূল প্রমাণ এবং সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী প্রমাণ যা সংশয় ও বিপর্যয় শূন্য। ৪) অনুমান প্রমাণ সম্পর্কে চার্বাকদের বক্তব্যের বিরুদ্ধে যুক্তি কী?  উত্তরঃ অনুমান প্রমাণ সম্পর্কে চার্বাকদের বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রধান যুক্তি হল- অনুমান যেমন প্রত্যক্ষনির্ভর, প্রত্যক্ষও তেমনি ইন্দ্রিয়নির্ভর-স্বনির্ভরতা প্রমাণের লক্ষণ হলে প্রত্যক্ষ ও অনুমান উভয়কে বর্জন করতে হয় এবং লৌকিক জীবনে অনুমান অপরিহার্য। ৫) চার্বাক মতে শব্দ প্রম...