Skip to main content

সর্বশিক্ষা অভিযানে বিদ্যালয়ের ভূমিকা লেখো।

 আমরা জানি বিদ্যালয়ের প্রধান হলেন প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা। তাকে শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী, পরিচালক মণ্ডলী, শিক্ষাকর্মচারী সকলের সাহায্যে বিদ্যালয় পরিচালনা করতে হয়।

            তাই সর্বশিক্ষা অভিযানে শিক্ষার্থীদের প্রতি বিদ্যালয়ের ভূমিকা বলতে বোঝায় প্রধান শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষিকা, সহ-শিক্ষক বা সহ-শিক্ষিকা, পরিচালকমণ্ডলী, শিক্ষাকর্মচারী এদের সকলের মিলিত কার্যকলাপ। আর এই কার্যকলাপে সর্বশিক্ষা অভিযানে বিদ্যালয়ের ভূমিকা হলো--


(১) বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সব ছেলেমেয়ে বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার যোগ্য কিনা ত খতিয়ে দেখা।


(২) বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যার অনুপাতে পরিকাঠামোগত কী কী অসুবিধা আছে তা দেখা।


(৩) শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ আনন্দদায়ক কি না।


(৪) কোন ক্লাসে অসফল শিক্ষার্থীর সংখ্যা নির্ণয় করা।


(৫) বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের সকলে ন্যূনতম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া সম্পূর্ণ করছে কি না তার দেখা।


(৬) কোন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় পরইত্যআগ করার প্রবণতা বেশি।


(৭) শিখন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে অংশগ্রহণ করছে কি না বিষয়টির প্রতি দৃষ্টিপাত করা।


(৮) ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের বসার কোন অসুবিধা হচ্ছে কি না তা সে বিষয়ে যথেষ্ট যত্নবান হওয়া।


(৯) শিক্ষার্থী তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে কি না বিষয়টি পরীক্ষা করা।


(১০) শিক্ষার্থীদের দুর্বলতার অংশগুলি চিহ্নিত করে কীভাবে প্রতিকার করা যায় তার ব্যবস্থা করা।


          পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে- প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা উপরিউক্ত বিষয় বা সমস্যাগুলি গুরুত্ব অনুসারে সমাধান করার চেষ্টা করবেন। প্রধান শিক্ষককে বা শিক্ষিকাকে অবশ্যই মনে রাখার দরকার যে তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য হল সকলের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করে দেওয়া। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছে কি না , সে বিষয়ে বিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা অবশ্যই যত্নবান হবেন।


Comments

Popular posts from this blog

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...