Skip to main content

প্রশ্ন-গুচ্ছ কাকে বলে? সুবিধা ও অসুবিধা গুলি লেখো।

প্রশ্নগুচ্ছ কাকে বলে? প্রশ্নগুচ্ছের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি লেখো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, এডুকেশন Uni-2)

 •• প্রশ্নগুচ্ছঃ কোন গবেষণায় তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রশ্নগুচ্ছ বা প্রশ্নাবলী অতি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। নির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের জন্য বিধিবদ্ধভাবে রচিত প্রশ্ন সমূহকে প্রশ্নগুচ্ছ বলে। আর Normative সার্ভে গবেষণার ক্ষেত্রে বিস্তৃত পরিধি থেকে তথ্যসংগ্রহের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল প্রশ্নগুচ্ছ।

                   প্রশ্নগুচ্ছের সুবিধাঃ 

১) প্রশ্নপত্র যথাযথভাবে ব্যবহৃত হলে তথ্য সংগ্রহের উপায় হিসেবে প্রশ্নগুচ্ছের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা যায়। 

২) তাৎপর্যপূর্ণ প্রতিটি প্রশ্নের প্রতি প্রতিক্রিয়াকারীর মনোযোগে আকর্ষণে এটি ভীষণ কার্যকরী

৩) গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা যখন বহু দূরে এবং বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করেন সেখানেই এই পদ্ধতিটি সাক্ষাৎকার, পর্যবেক্ষণ, অভীক্ষা প্রয়োগ ইত্যাদি অপেক্ষা সহজে প্রয়োগ করা যায়। 

৪) প্রশ্নগুচ্ছ দলগতভাবে প্রয়োগ করা যায় এবং যেকোনো উদ্দেশ্যে ভাবে করা যায় ।

৫) পরিকল্পনা করা, প্রস্তুত করা এবং প্রয়োগ করা অপেক্ষাকৃত সহজ সরল হয় 

৬) গভীর অধ্যয়নের প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রশ্নগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ। পরে অন্য পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে।

৭) প্রশ্নগুচ্ছের  জন্য উত্তরদাতা নিজে নিজে ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ পেয়ে থাকে।


 প্রশ্নগুচ্ছের অসুবিধা বা সীমাবদ্ধতাঃ 

১) প্রশ্নগুচ্ছের নির্ভরযোগ্যতা ও যথার্থতা কম। তথ্য সংগ্রহের প্রাথমিক উৎসের অভাবে এটি গৌণ উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

২) অনেক সময় উত্তরদাতারা প্রশ্ন সঠিকভাবে বুঝতে পারেনা।ফলে তাদের দেওয়া উত্তর গবেষকের বিভ্রান্তির কারণ হয়।

৩) যেসব প্রশ্নের উত্তর উত্তরদাতার ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত, সেই সব উত্তরদাতা প্রশ্নগুলি এড়িয়ে চলে বা সঠিকভাবে উত্তর দেয় না। আর তারফলে এক্ষেত্রে গবেষকের কিছু করণীয় থাকে না।

৪) প্রশ্নগুচ্ছ শিশু এবং নিরক্ষরদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা মোটেই সম্ভবপর হয় না। 

৫) প্রশ্নগুচ্ছ যেহেতু পূর্বেই করা থাকে সেহেতু উত্তরদাতাদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া, অঙ্গভঙ্গি, আবেদন, অনুভূতি ইত্যাদি কিছুই জানা যায় না।

৬) প্রশ্নগুচ্ছ আগেই করা থাকে বলে কোন কোন গবেষণার বিষয় এমন হয় যে, যার সম্পর্কে প্রশ্ন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।

৭) প্রশ্নগুচ্ছের উত্তর পাওয়া অনিশ্চিত।কারণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে,শতকরা ৬০ জনের নিকট থেকে প্রশ্নোত্তর পাওয়া যায়নি। আবার ডাকযোগে প্রেরিত প্রশ্নোত্তরের সংখ্যা শতকরা ২০ ভাগের অধিক নয়।


এইরকম বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক আলোচনা বিষয় ভিত্তিক সাজেশন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে ভিজিট করুন আমাদের SHESHER KOBITA SUNDORBON" ইউটিউব চ্যানেলে।




Comments

Popular posts from this blog

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

দর্শন প্রথম সেমিস্টার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাইনর সিলেবাস)  ১)চার্বাক মতে ভূত কয়টি ও কি কি? উত্তরঃচার্বাক মতে ভূত চারটি- ক্ষিতি, অপ্ , তেজ ও মরুৎ ২) স্বভাববাদ কী? উত্তরঃ চার্বাক জড়বাদের ভিত্তি হল স্বভাববাদ। যে মতবাদ অনুসারে স্বভাব থেকেই ভূত সৃষ্টি, আবার স্বভাব থেকেই বিচ্ছেদ। যার জন্য ঈশ্বরকে স্বীকার করা প্রয়োজন নেই। ৩) অব্যাপ্যদেশ কথাটির অর্থ লেখো। উত্তরঃ অব্যাপ্যদেশ বলতে বোঝায়- অশাব্দ অর্থাৎ যাকে শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। ৫) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?  কোন একটি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে তার নিজের বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও যদি অপর একটি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণকে প্রত্যক্ষ করার হয়, তাহলে সেই প্রত্যক্ষকে জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ বলা হয়। ৬) ন্যায় মতে প্রমাণের প্রকার  উত্তরঃ ন্যায় মতে প্রমাণ চার প্রকার। প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান এবং শাব্দ। ৭) সন্নিকর্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় ও কোন বাস্তব পদার্থের মধ্যে একপ্রকার বিশেষ সম্পর্ক ঘটলে তবেই আমাদের একটি বস্তুর প্রত্যক্ষজ্ঞান ।আর ঐ বিশেষ বিশেষ সম্পর্কের পারিভাষিক নাম হলো সন...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

ইতিহাস (3rd Semester) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনর)। ১)বন্দেগান-ই-চাহালগানি বলতে কী বোঝায়? •উত্তরঃবন্দেগান-ই-চাহালগান বলতে চল্লিশ জন তুর্কি ও অ-তুর্কি দাসদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীকে ডাল চালিশা বা তুরকান-ই- চাহালগানি নামে ডাকা হতো। ২)আমির খসরু কে ছিলেন? •উত্তরঃ আমির খসরু ছিলেন প্রখ্যাত সুফি সাধক বা আরেফ নিজামউদ্দিন আওলিয়ার ছাত্র এবং অন্যতম প্রধান খলিফা। যাঁকে 'ভারতের তোতা' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩) মহরানা প্রতাপ কে ছিলেন?  •উত্তরঃ মেবারের শিশোদিয়া রাজবংশের একজন হিন্দু রাজপুত রাজা ছিলেন মহারানা প্রতাপ সিং। যিনি রাজপুতদের বীরত্ব ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। বহু বছর ধরে তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে লড়াই করেন। ৪) জায়গীরদারী সংকট কী? •উত্তরঃ জায়গিরদারী সংকট ছিল মোগল সাম্রাজ্যের একটি অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকটে জমি বা জায়গিরের অভাব দেখা দিয়েছিল। যার ফলে প্রশাসনিক খরচ মেটানো এবং যুদ্ধের খরচ বহন করা সম্ভব হতো না। ৫) দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী? •উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলতে ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীত...