Skip to main content

ভারত যুক্তরাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।

ভারত যুক্তরাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।

১)যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মতো ভারতের দুই ধরনের সরকার আছে। সমগ্র ভারতে শাসন পরিচালনার জন্য একটি কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রত্যেক অঙ্গরাজ্যের শাসন কার্যের জন্য পৃথক রাজ্য সরকার। সেই হিসেবে ভারতের ২৯ টি অঙ্গরাজ্যের জন্য ২৯টি রাজ্য সরকার আছে।

২) ভারতীয় সংবিধান দ্বারা আইন শাসন ও আর্থিক সব ধরনের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার গুলির মধ্যে বন্টন করা হয়েছে। আইন সংক্রান্ত ক্ষমতাবিভাজন প্রসঙ্গে বিস্তারিত তালিকা আছে- কেন্দ্রীয় তালিকার ৯৯ টি বিষ৬য় কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য তালিকার ৬৪টি বিষয়ে রাজ্য সরকার আইন প্রণয়ন করে থাকে।

৩) ভারতে একটি লিখিত সংবিধান আছে এবং সেই সাথে সংবিধানের প্রাধান্যও আছে। সংবিধানই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির ক্ষমতার উৎস।

৪) ভারতের সংবিধান অংশত দুষ্পরিবর্তনীয়। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে বজায় রাখার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ের স্বার্থ জড়িত যেসব অংশ দুষ্পরিবর্তনীয় হওয়া দরকার সেইসব অংশগুলি দুষ্পরিবর্তনীয় করা হয়েছে। 

৫) ভারতের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার গুলির মধ্যে বিরোধ মীমাংসার জন্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালত হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেখা যায়।

        উপরোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি যে, ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলি বর্তমান এবং ভারত একটি যুক্তরাষ্ট্র। ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, যেগুলি সাধারণত অন্যান্য যুক্তরাষ্ট্রের দেখা যায় না। সেইগুলি ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রকে অনন্যতা ও স্বাতন্ত্র্য দান করেছে। আর সেই বৈশিষ্ট্যগুলি প্রধানত কেন্দ্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে।

Comments

Popular posts from this blog

জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course)

 জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course) ভুমিকাঃ আমরা জানি জ্ঞানের উৎপত্তি বা উৎস নিয়ে পাশ্চাত্য দর্শনে দুটি উল্লেখযোগ্য পরস্পর বিরোধী মতবাদ দেখা যায়। আর এই দুটি পরস্পর বিরোধী মতবাদের মধ্যে একটি অন্যতম মতবাদ হলো বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ। আর সেই বুদ্ধিবাদ অনুসারে-        আমরা জানি পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাসে বুদ্ধিবাদের প্রধান প্রবক্তা হলেন দার্শনিক ডেকার্ট। আর এই দার্শনিক ডেকার্টকে আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়। তবে তার পরবর্তী বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হিসেবে স্পিনোজা, লাইবনিজ এবং কান্ট বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। সেখানে জ্ঞান উৎপত্তিতে-- ডেকার্ট এর অভিমতঃ            দার্শনিক ডেকার্ট এর মতে দর্শনচিন্তার প্রথম সূত্র হলো সংশয় বা সন্দেহ। আর এই সংশয় নিয়েই দর্শন আলোচনা শুরু হয় এবং সুশৃংখল সংশয়-পদ্ধতির মাধ্যমে সংসায়াতীত, স্বতঃপ্রমাণিত ও সার্বিক মূল সত্যে পৌঁছানো যাবে। এই মূল সত্য থেকে গাণিতিক অবরোহ পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে এবং তা অবশ্যই নির্মূল ও নির্ভরযোগ্য হবে। আর গণিতের অভ্রান্ততা এবং নিশ্চয়তাকে

ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা

 ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা করো। ব্যাপ্তি:- ন্যায় দর্শনমতে ব্যাপ্তি জ্ঞান হলো অনুমিতির অপরিহার্য শর্ত। ব্যাপ্তিজ্ঞান ব্যতীত অনুমিতির জ্ঞান লাভ সম্ভব নয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি, যেখানেই ধূম সেখানেই বহ্নি। এই সাহচর্য নিয়ম হলো ব্যাপ্তি।                 এখানে সাহচর্য কথাটির অর্থ হলো সমনাধিকরণ। অর্থাৎ যেখানে যেখানে ধূম থাকবে সেখানে সেখানে বহ্নি থাকবে। আর নিয়ম কথাটির অর্থ হলো নিয়ত বা ব্যতিক্রমহীনতা। সুতরাং সাহচর্য নিয়ম কথাটির মানে হল ব্যতিক্রমহীন সাহচর্য। আর সেখানে ধুম ও বহ্নির অর্থাৎ হেতু ও সাধ্যের সাহচর্য নিয়মই হল ব্যাপ্তি।    ব্যাপ্তি দুই প্রকার।         ১) সমব্যাপ্তি           ২) বিষমব্যাপ্তি। ১। সমব্যাপ্তিঃ               সমব্যাপক দুটি পদের ব্যাপ্তিকে সমব্যাপ্তি বলা হয়। এখানে ব্যাপক ও ব্যাপ্য-র বিস্তৃতি সমান হয়। যেমন, যার উৎপত্তি আছে, তার বিনাশ আছে। উৎপত্তি হওয়া বস্তু ও বিনাশ হওয়া বস্তুর বিস্তৃতি সমান। উৎপত্তিশীল ও বিনাশশীল সমব্যাপ্তি বিশিষ্ট। ২। বিষমব্যাপ্তি/অসমব্যাপ্তি :-             অসমব্যাপক দুটির প

তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস ছোট প্রশ্নোত্তর।

 ১) কুতুবউদ্দিন আইবক কে ছিলেন? উত্তর-কুতুবউদ্দিন আইবক গজনীর সুলতান মহম্মদ ঘুরির দাস ও সেনাপতি ছিলেন। তিনি দিল্লীর প্রথম তুর্কি সুলতান ছিলেন। তাঁর শাসনের শুরুর সাথে ভারতের এক নতুন যুগের সূচনা হয়। ২) নব্য মুসলমান কারা ছিলেন? কে তাদের দমন করেছিলেন? উত্তর - জালাল উদ্দিন ফিরোজ খিলজির আমলে হলান্ড বা আব্দুল্লা খানের নেতৃত্বে মোঘল আক্রমণ সংঘটিত হয় । তার আক্রমণ জালাল উদ্দিন কর্তৃক প্রতিহত হয় । সেই সময় কিছু বন্দি মঙ্গল জালাল উদ্দিনের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে । ধর্মান্তরিত হতে হবে এই শর্তে জালাল উদ্দিন তাদের আবেদনের সাড়া দেন। তারা এতে সম্মত হয় ।এই ধর্মান্তরিত মোঙ্গলেরা নব্য মুসলমান নামে পরিচিত। নব্য মুসলমানরা আলাউদ্দিনকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করলে সেই আলাউদ্দিন এর আদেশে একদিনে ৩০ হাজার নব্য মুসলমানকে হত্যা করে অর্থাৎ আলাউদ্দিন নব্য মুসলমানদের দমন করে। ৩) মালিক কাফুর দ্বারা বিজিত দাক্ষিণাত্যের দুটি রাজ্যের নাম করো। উত্তর - মালিক কাফুর ছিলেন সুলতান আলাউদ্দিনের একজন দক্ষ সেনাপতি । তাঁর দ্বারা দক্ষিণ ভারতের বিজিত রাজ্য দুটি হল দেবগিরি এবং বরঙ্গল। ৪) পাইবস ও সিজদা কি? উত্তর - পাইবস হল সম্রাটের প