Skip to main content

ইতিহাস,প্রথম অধ্যায়, প্রথম সেমিস্টার।

১ )ভারতের ইতিহাসকে কয়টি যুগে ভাগ করা হয় ও কি কি?

উত্তরঃ ভারতের ইতিহাসের যুগকে তিনভাগে ভাগ করা হয়, প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগ।

২) কোন সময় কালকে আদি-মধ্য যুগ বলা হয়?

 উত্তরঃ হর্ষবর্ধনের মৃত্যুর সময় থেকে ১২০৬ কালপর্বকে আদি-মধ্যযুগ বলা হয়।

৩) কোন সময় কালকে মধ্যযুগ বলা হয়?

উত্তরঃ ১২০৬ থেকে ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দের সময়কালকে ভারতের ইতিহাসে মধ্যযুগ বলা হয়।

৪) কোন সময় কালকে আধুনিক যুগ বলে অভিহিত করা হয়? 

উত্তরঃ ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তীকালকে আধুনিক যুগ বলে অভিহিত করা।

৫) কোন সময় কালকে ব্রিটিশ যুগ বলে আখ্যায়িত করা হয়? 

উত্তরঃ ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে থেকে পরবর্তী সময়কে ব্রিটিশ যুগ বলে অভিহিত করা হয়।

৬) একজন জৈন শাসক এবং বৌদ্ধ নরপতির নাম লেখো।

উত্তরঃ একজন জৈন শাসক হলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য এবং বৌদ্ধ নরপতি হলেন কনিষ্ক।

৭) কোন সময় কালকে হিন্দুযুগ বলা হয়? 

 উত্তরঃ ১২০৬ খ্রিস্টাব্দের পূর্ব পর্যন্ত সময়কালকে হিন্দু যুগ বলা হয়।

৮) জেমস মিল ভারতের ইতিহাসকে কটি যুগে ভাগ করেছেন? 

উত্তরঃজেমস মিল ভারতের ইতিহাসকে তিনটি যুগে ভাগ করেছেন- হিন্দু যুগ, মুসলিম যুগ, এবং ব্রিটিশ যুগ।

৯) আধুনিক ইউরোপের বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি? 

উত্তরঃ আধুনিক ইউরোপের বৈশিষ্ট্য গুলি হল, নবজাগরণের সূচনা, যুক্তিবাদ, সাহিত্য সংস্কৃতিতে পরিবর্তন পোপের আধিপত্য হ্রাস, সামন্ত প্রথার বিলোপ  প্রভৃতি।

১০) কোন সময় কালকে মধ্যযুগের সমাপ্তি কাল বলা হয়? 

উত্তরঃ ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব রোম সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্ট্যান্টিনোপলের পতনকে মধ্যযুগের সমাপ্তি কাল বলা হয়।

১১) আধুনিক যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য কি?

উত্তরঃআধুনিক যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সামন্তপ্রথা ও ভূমিদাস প্রথার অবসান।

১২) ফ্রান্সে সামন্ততন্ত্রের উচ্ছেদ হয় কোন সময়কালে?

উত্তরঃ ফ্রান্সে সামন্ততন্ত্রের উচ্ছেদ হয়১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লবের ফলে।

১৩) প্রাচীন ভারতীয় ধারণায় কোন যুগগুলি চক্রাকারে আবর্তিত হয়েছে? 

উত্তরঃ প্রাচীন ভারতীয় ধারণায় সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর এবং কলি এই চারটি চুল অনন্তকাল ধরে আবর্তিত হয়ে চলেছে।

১৪) চক্রাকার যুগ পরিবর্তনের তিনটি স্তর কি কি? 

উত্তরঃ আর্নল্ড টয়েনবি চক্রাকার যুগ পরিবর্তনের তিনটি স্তরের কথা বলেছেন সেগুলি হল- জন্ম, বৃদ্ধি এবং ধ্বংস।

১৫) "শুরুতে ঈশ্বর স্বর্গ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।" একথা কোন গ্রন্থ থেকে জানতে পারা যায়?

উত্তরঃ "শুরুতে ঈশ্বর স্বর্গও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন" একথা আমরা জানতে পারি বাইবেল থেকে।

ঠিক এরূপ বিষয় ভিত্তিক আলোচনা সাজেশন এবং ভিডিও পেতে ভিজিট করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল "SHESHER KOBITA SUNDORBON" YOUTUBE CHANNEL ধন্যবাদ 🙏 

Comments

Popular posts from this blog

জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course)

 জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course) ভুমিকাঃ আমরা জানি জ্ঞানের উৎপত্তি বা উৎস নিয়ে পাশ্চাত্য দর্শনে দুটি উল্লেখযোগ্য পরস্পর বিরোধী মতবাদ দেখা যায়। আর এই দুটি পরস্পর বিরোধী মতবাদের মধ্যে একটি অন্যতম মতবাদ হলো বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ। আর সেই বুদ্ধিবাদ অনুসারে-        আমরা জানি পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাসে বুদ্ধিবাদের প্রধান প্রবক্তা হলেন দার্শনিক ডেকার্ট। আর এই দার্শনিক ডেকার্টকে আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়। তবে তার পরবর্তী বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হিসেবে স্পিনোজা, লাইবনিজ এবং কান্ট বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। সেখানে জ্ঞান উৎপত্তিতে-- ডেকার্ট এর অভিমতঃ            দার্শনিক ডেকার্ট এর মতে দর্শনচিন্তার প্রথম সূত্র হলো সংশয় বা সন্দেহ। আর এই সংশয় নিয়েই দর্শন আলোচনা শুরু হয় এবং সুশৃংখল সংশয়-পদ্ধতির মাধ্যমে সংসায়াতীত, স্বতঃপ্রমাণিত ও সার্বিক মূল সত্যে পৌঁছানো যাবে। এই মূল সত্য থেকে গাণিতিক অবরোহ পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে এবং তা অবশ্যই নির্মূল ও নির্ভরযোগ্য হবে। আর গণিতের অভ্রান্ততা এবং নিশ্চয়তাকে

ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা

 ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা করো। ব্যাপ্তি:- ন্যায় দর্শনমতে ব্যাপ্তি জ্ঞান হলো অনুমিতির অপরিহার্য শর্ত। ব্যাপ্তিজ্ঞান ব্যতীত অনুমিতির জ্ঞান লাভ সম্ভব নয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি, যেখানেই ধূম সেখানেই বহ্নি। এই সাহচর্য নিয়ম হলো ব্যাপ্তি।                 এখানে সাহচর্য কথাটির অর্থ হলো সমনাধিকরণ। অর্থাৎ যেখানে যেখানে ধূম থাকবে সেখানে সেখানে বহ্নি থাকবে। আর নিয়ম কথাটির অর্থ হলো নিয়ত বা ব্যতিক্রমহীনতা। সুতরাং সাহচর্য নিয়ম কথাটির মানে হল ব্যতিক্রমহীন সাহচর্য। আর সেখানে ধুম ও বহ্নির অর্থাৎ হেতু ও সাধ্যের সাহচর্য নিয়মই হল ব্যাপ্তি।    ব্যাপ্তি দুই প্রকার।         ১) সমব্যাপ্তি           ২) বিষমব্যাপ্তি। ১। সমব্যাপ্তিঃ               সমব্যাপক দুটি পদের ব্যাপ্তিকে সমব্যাপ্তি বলা হয়। এখানে ব্যাপক ও ব্যাপ্য-র বিস্তৃতি সমান হয়। যেমন, যার উৎপত্তি আছে, তার বিনাশ আছে। উৎপত্তি হওয়া বস্তু ও বিনাশ হওয়া বস্তুর বিস্তৃতি সমান। উৎপত্তিশীল ও বিনাশশীল সমব্যাপ্তি বিশিষ্ট। ২। বিষমব্যাপ্তি/অসমব্যাপ্তি :-             অসমব্যাপক দুটির প

তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস ছোট প্রশ্নোত্তর।

 ১) কুতুবউদ্দিন আইবক কে ছিলেন? উত্তর-কুতুবউদ্দিন আইবক গজনীর সুলতান মহম্মদ ঘুরির দাস ও সেনাপতি ছিলেন। তিনি দিল্লীর প্রথম তুর্কি সুলতান ছিলেন। তাঁর শাসনের শুরুর সাথে ভারতের এক নতুন যুগের সূচনা হয়। ২) নব্য মুসলমান কারা ছিলেন? কে তাদের দমন করেছিলেন? উত্তর - জালাল উদ্দিন ফিরোজ খিলজির আমলে হলান্ড বা আব্দুল্লা খানের নেতৃত্বে মোঘল আক্রমণ সংঘটিত হয় । তার আক্রমণ জালাল উদ্দিন কর্তৃক প্রতিহত হয় । সেই সময় কিছু বন্দি মঙ্গল জালাল উদ্দিনের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে । ধর্মান্তরিত হতে হবে এই শর্তে জালাল উদ্দিন তাদের আবেদনের সাড়া দেন। তারা এতে সম্মত হয় ।এই ধর্মান্তরিত মোঙ্গলেরা নব্য মুসলমান নামে পরিচিত। নব্য মুসলমানরা আলাউদ্দিনকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করলে সেই আলাউদ্দিন এর আদেশে একদিনে ৩০ হাজার নব্য মুসলমানকে হত্যা করে অর্থাৎ আলাউদ্দিন নব্য মুসলমানদের দমন করে। ৩) মালিক কাফুর দ্বারা বিজিত দাক্ষিণাত্যের দুটি রাজ্যের নাম করো। উত্তর - মালিক কাফুর ছিলেন সুলতান আলাউদ্দিনের একজন দক্ষ সেনাপতি । তাঁর দ্বারা দক্ষিণ ভারতের বিজিত রাজ্য দুটি হল দেবগিরি এবং বরঙ্গল। ৪) পাইবস ও সিজদা কি? উত্তর - পাইবস হল সম্রাটের প