Skip to main content

Posts

Showing posts from September, 2024

চার্বাকগণ অনুমানকে প্রমাণ বলে স্বীকার করেননি কেন? চার্বাকদের যুক্তিগুলি আলোচনা ও বিচার করো।

চার্বাকগণ অনুমানকে প্রমাণ বলে স্বীকার করেননি কেন? চার্বাকদের যুক্তিগুলি আলোচনা ও বিচার করো।•অথবা.                                                            "অনুমান প্রমাণ নয়"- চার্বাকদের এই মন্তব্য ব্যাখ্যা ও বিচার করো  (প্রথম সেমিস্টার NEP).                    •অথবা                                                             অনুমান প্রমাণ খণ্ডের জন্য চার্বাকরা কোন কোন চুক্তি দিয়েছেন? তা ব্যাখ্যা ও বিচার করো। ভূমিকাঃ চার্বাক মতে জ্ঞানের একমাত্র উৎস প্রত্যক্ষ। প্রত্যক্ষই একমাত্র প্রমাণ। আর প্রত্যক্ষলব্ধ জ্ঞান নির্ভরযোগ্য। অনুমান ও শব্দ প্রমাণ রূপে গ্ৰাহ্য নয়। চার্বাক দর্শনের প্রমাণ শাস্ত্রীয় এই মতবাদটি আধ্যাত্মিকতার বিরোধিতার একটি বিরাট অস্ত্র। তবে যাঁরা অধ্যাত্মবাদী তাঁরা এমন কতগুলি পদার্থ স্বীকার করেন যা কখনোই প্রত্যক্ষগোচর নয়। এই সকল অতীন্দ্রিয় বিষয় সম্পর্কে জ্ঞানের উৎস হচ্ছে প্রত্যক্ষ ভিন্ন অন্য প্রমাণ। তবে-           চার্বাক দর্শনের সাথে প্রত্যক্ষ প্রমাণবাদীতা অগ্রাঙ্গিকভাবে জড়িত। আর সেই প্রমাণসমূহ ভারতীয় দর্শনে প্রত্যক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আর সেখানে চার্ব

দ্বিতীয় সেমিস্টার দর্শন সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

১) আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক কাকে বলা হয়? উত্তরঃ ডেকার্ডকে আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়। ২) অভিজ্ঞতাবাদী বুদ্ধিবাদী ও বিচারবাদী দার্শনিকের নাম লেখ।  •লক, বার্কলে, হিউম অভিজ্ঞতাবাদী দার্শনিক। •লাইবোনিজ,স্পিনোজা, ডেকার্ট বুদ্ধিবাদী দার্শনিক। •কান্ট বিচারবাদী দার্শনিক। ৩) অস্তিত্ব প্রত্যক্ষ নির্ভর-(Esse est Percipi) কার উক্তি? উত্তরঃ অস্তিত্ব প্রত্যক্ষ নির্ভর একটি বার্কলে বলেছেন। ৪) Cogitio ergo sum/আমি চিন্তা করি অতএব আমি আছি- এটি কার মন্তব্য  উঃ ডেকার্ত। ৫) জ্ঞানের উৎপত্তি বিষয়ে কয়টি মতবাদ আছে?  উঃ জ্ঞান উৎপত্তি বিষয়ে চারটি মতবাদ আছে। অভিজ্ঞতাবাদ, বুদ্ধিবাদ, বিচারবাদ ও ভাববাদ। ৬) স্পিনোজাকে অনুসরণ করে সমান্তরালবাদের সংজ্ঞা লেখো। উত্তরঃ সমান্তরালবাদ অনুসারে বিস্তৃতি ও চেতনা সব সময় সহাবস্থান করে এবং একই ক্রমে ক্রিয়া করে। যখন কোন দৈহিক পরিবর্তন ঘটে তখন কোন মানসিক পরিবর্তন ঘটে। আর সমান্তরালভাবে এই ঘটনা ঘটে বলে একে বলা হয় সমান্তরালবাদ।  ৭) হিউমের মুদ্রণ ও ধারণার মধ্যে পার্থক্য কোথায়? উত্তরঃ হিউমের মতে মুদ্রণ ও ধারণার মধ্যে মাত্রাগত পার্থক্য আছে। হিউম তীব্রতা ও সজীবতার দিক

শিক্ষাক্ষেত্রে দৈহিক বিকাশের গুরুত্ব বা দৈহিক বিকাশ ও শিক্ষা আলোচনা করো।

শিক্ষাক্ষেত্রে দৈহিক বিকাশের গুরুত্ব বা দৈহিক বিকাশ ও শিক্ষা আলোচনা করো। আমরা জানি যে,শিশুর দৈহিক বিকাশ তার মানসিক সামাজিক ও অন্যান্য দিকের বিকাশে সাহায্য করে। শিক্ষার ক্ষেত্রে তাই দৈহিক বিকাশের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রগতিশীল আদর্শ বিদ্যালয়ের কাজ হবে শিক্ষার্থীদের এই দৈহিক বিকাশে সাহায্য করা। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দৈহিক বিকাশ ঠিকমতো হচ্ছে কিনা সে সম্পর্কে যথাযথ তথ্য সংগ্রহ করার মাধ্যমে এবং দৈহিক বিকাশের নীতি ও পরিমানকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষাভিমুখী পরিকল্পনার রচনার মাধ্যমে শিক্ষক শিশুর দৈহিক বিকাশে সাহায্য করতে পারেন। তবে-           বিদ্যালয়ে খেলাধুলা, ব্যায়াম, অন্যান্য দেহ চর্চামূলক কাজের মাধ্যমে দৈহিক বিকাশে সহায়তা করা যায়। ব্যায়াম দেহের কোন কোন অঙ্গের শক্তি ও কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। বিদ্যালয়ে সহপাঠ্যক্রমিক কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দেহ সঞ্চালনের সুযোগ করে দেওয়া প্রয়োজন। আবার -           দৈনিক বিকাশের সাথে সাথে শিক্ষার্থীর মধ্যে নানা ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হয় বলে সেই অনুযায়ী পাঠক্রমের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। বিশেষভাবে কৌশোরে শিক্ষার্থীদের যে যৌন বিকাশ হয়, তার ফলে তাদের ম

বৌদ্ধিক বিকাশ বা জ্ঞানমূলক বিকাশ কাকে বলে?

বৌদ্ধিক বিকাশ বা জ্ঞানমূলক বিকাশ কাকে বলে?       কোন কিছু সম্বন্ধে জানানোর জন্য মনের জন্য যে সমস্ত কর্ম-কলাপ আমাদের সাহায্য করে আর এইটি হল চিন্তন, ঘটনা, কল্পনা, সমস্যা সমাধান ঘটন ইত্যাদি। তবে শিশুর জন্মের পর থেকে এই সকল প্রক্রিয়া তার মধ্যে ছাত্রদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাই মনের এই সকল বৈশিষ্ট্য বৃদ্ধির ধারাকে বলা হয় বিকাশ বিকাশ। আর এই বিকাশ বিকাশকে অনেক মনোবিদ বৌদ্ধিক বিকাশ বলে।            রাজনীতি কালে অনেক মনোবিদ গণ এই সংস্কৃতি বিকাশ বৌদ্ধিক বিকাশমূলক জ্ঞানবিজ্ঞান বিকাশ সংস্কৃতি আখ্য্যবাদী করেছেন। কারণ এই সকল প্রক্রিয়া বা সক্ষমতার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেছি। তাই-          শিশু উন্নয়ন বিকাশের সাথে তার প্রযুক্তি ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তার সাথে জ্ঞানমূলক বিকাশ বলা হয়।

ন্যায়দর্শন মতে প্রমা ও প্রমাণ কী? আলোচনা করো।

ন্যায়দর্শন মতে প্রমা ও প্রমাণ কী? আলোচনা করো। ভূমিকা - প্রমা কথাটির অর্থ হলো যথার্থ বা উৎকৃষ্ট বা প্রকৃষ্ট জ্ঞান। অর্থাৎ প্রমা= প্র+মা। যেখানে প্র= যথার্থ বা প্রকৃষ্ট , আর মা=জ্ঞান। অর্থাৎ প্রমা কথাটির অর্থ দাঁড়ায় যথার্থ বা উৎকৃষ্ট জ্ঞান। এই জ্ঞান দুই প্রকার- অনুভব ও স্মৃতি।      'অনুভব' হলো নিরপেক্ষ জ্ঞান। এই জ্ঞান বিষয় থেকে উৎপন্ন হয়। আর 'স্মৃতি' হলো সাপেক্ষ জ্ঞান। এই জ্ঞান বিষয়ের সাপেক্ষ থেকে উৎপন্ন হয়। সুতরাং ন্যায় মতে প্রমা হল অনুভব এবং যথার্থ অনুভব। আর সেই মত অনুযায়ী-- ১) প্রমা হলো অনুভব।             প্রমা হল সেই অনুভব, যা বস্তু বা বিষয়ের অনুরূপ হবে। আর সেই কারণে ঘর প্রত্যক্কর ক্ষেত্রেই আর সেই কারণে ঘর পুত্রকে ক্ষেত্রে ঘঠত্ব বিশিষ্ট ঘটের অনুভব হবে। ২) প্রমা হলো বিপর্যয়শূন্য অনুভব।          বিপর্যয় হলো ভ্রান্তি বা মিথ্যা জ্ঞান। যে জ্ঞানে দড়িতে সাপের অনুভব হতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আসলে সাপ নেই, সাপের অনুভব হবে। যেটির ভ্রান্তির নাম বিপর্যয়। তবে প্রত্যক্ষের ক্ষেত্রে এই বিপর্যয় থাকে না। ৩) প্রমা হলো সংশয়শূন্য অনুভব।              সংশয়শূন্য অনুভব হলো,

চৈতন্যদেবের গয়া গমনের ইতিবৃত্ত এবং ঈশ্বরপরীর সাক্ষাৎ এর ঘটনাটি আলোকপাত করো।

চৈতন্যদেবের গয়া গমনের ইতিবৃত্ত এবং ঈশ্বরপরীর সাক্ষাৎ এর ঘটনাটি আলোকপাত করো। বৃন্দাবন দাসের চৈতন্য ভাগবত গ্রন্থের আদি খন্ডে চৈতন্যদেবের গয়া গমন এবং ঈশ্বর পুরীর সাক্ষাতের বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। যেখানে এই চৈতন্য ভাগবত এর আদি খন্ডে ১৫টি অধ্যায় আছে। আর সেই পনেরটি অধ্যায়ের মধ্যে সর্বশেষ অধ্যায় হল পঞ্চদশ অধ্যায়। আর সেখানেই নিমাই পন্ডিতের গয়া গমন এবং সেখানে ঈশ্বরপুরীর সাক্ষাতের বিষয়টি আমরা দেখতে পাই। যেখানে-                 চৈতন্যদেব মাত্র ১৬/১৭ বছর বয়সে তাঁর একদল ছাত্রদের সাথে নিয়ে গয়া গমন করেন। আর সেখানেই বৈষ্ণব সন্ন্যাসী এবং বিখ্যাত মাধবেন্দ্র পুরীর শিষ্য ঈশ্বরপুরীর কাছ থেকে তাঁর আধ্যাত্মিক দীক্ষা নেন। আর এই ঈশ্বরপুরীর সাথে তার প্রথম দেখা হয় গয়ায় পিতৃপিন্ড দান করতে গিয়ে । এখানে ঈশ্বরপুরী মহাপ্রভুকে দশাক্ষরের গোপালমন্ত্রে দীক্ষা দেন।তবে-                  নদিয়ায় প্রত্যাবর্তনের পর, নিমাই পন্ডিত একজন ধর্মপ্রচারক হয়ে ওঠেন এবং তার ধর্মীয় প্রকৃতি এতটাই উপস্থাপন করা হয়েছিল যে অবদ্বৈত প্রভু, শ্রীবাস এবং অন্যান্য যারা চৈতন্য জন্মের আগে ইতিমধ্যে বৈষ্ণব বিশ্বাস গ্রহণ করেছিলেন, তাঁরা

অনৈতিক বা নীতিবহির্ভূত ক্রিয়া কাকে বলে? বিভিন্ন প্রকার অনৈতিক বা নীতি বর্হিভূত ক্রিয়ার উদাহরণ সহ আলোচনা করো।

অনৈতিক বা নীতিবহির্ভূত ক্রিয়া কাকে বলে? বিভিন্ন প্রকার অনৈতিক বা নীতি বর্হিভূত ক্রিয়ার উদাহরণ সহ আলোচনা করো। অনৈতিক বা নীতিবর্হিভূত ক্রিয়াঃ আমরা মানুষের কাজের নৈতিক বিচার করি। তবে মানুষের কিছু কাজের নৈতিক বিচার করা যায়, আবার কিছু কাজের নৈতিক বিচার করা যায় না। তাই-           যে কাজগুলির নৈতিক বিচার করা যায়, তাকে বলা হয় নৈতিক ক্রিয়া। আর যে কাজগুলির নৈতিক বিচার করা যায় না,সেই কাজগুলি হল অনৈতিক ক্রিয়া। অর্থাৎ-       অনৈতিক বা নীতিবহির্ভূত ক্রিয়া বলতে বোঝায়, যে ক্রিয়ার নৈতিক বিচার করা যায় না, যে ক্রিয়াকে নৈতিক ভালো বা নৈতিক মন্দ বলা যায় না, সেই ক্রিয়াকে বলা হয় অনৈতিক ক্রিয়া।       •অনৈতিক বা নীতিবহির্ভূত ক্রিয়ার প্রকার• ১)স্বয়ংক্রিয় ক্রিয়া     ২) স্বতঃসঞ্জাত ক্রিয়া ৩) প্রতিবর্ত ক্রিয়া      ৪)প্রবৃত্তিজাত ক্রিয়া  ৫) ভাবজ ক্রিয়া।       ৬) অনুকরণমূলক ক্রিয়া ৭)আকস্মিক ক্রিয়া   ৮)অস্বাভাবিক ব্যক্তির ক্রিয়া।             •  উদাহরণসহ আলোচনা • ১) স্বয়ংক্রিয় ক্রিয়াঃমানুষের অভ্যন্তরীণ দেহযন্ত্রের     ক্রিয়া হলো স্বয়ংক্রিয় ক্রিয়া। আর এই ক্রিয়া গুলি হল অনৈচ্ছিক ক্রি

ভারতের অঙ্গরাজ্যের রাজ্যপালের ক্ষমতা ও পদমর্যাদা আলোচনা করো।

ভারতের অঙ্গরাজ্যের রাজ্যপালের ক্ষমতা ও পদমর্যাদা আলোচনা করো। •ভূমিকাঃ রাজ্যপাল এবং মন্ত্রিসভা কে নিয়ে ভারতে অঙ্গরাজ্য সমূহের শাসন বিভাগ গঠিত হয়। তবে তত্ত্বগতভাবে অঙ্গরাজ্যের শাসন বিভাগীয় প্রধান রাজ্যপাল। আর এই রাজ্যপালের নামেই রাজ্য সরকারের যাবতীয় কার্য পরিচালিত হয়। অঙ্গরাজ্যের রাজ্যপাল সাধারণভাবে ৫ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত হন। এই রাজ্যপালের ক্ষমতা ও কার্যাবলীকে মোটামুটি পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়। আর সেই ক্ষমতা ও কার্যাবলী গুলি হল-                 •১)শাসন সংক্রান্ত ক্ষমতাঃ  সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যের শাসন ক্ষমতা রাজ্যপালের হাতে ন্যস্ত হয়েছে। সাধারণভাবে বিধানসভা নির্বাচনে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সেই দলের নেতা বা নেত্রীকে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করে থাকেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ ক্রমে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যদের নিয়োগ দপ্তর বন্টন ও শপথ বাক্য পাঠক্রমে দায়িত্ব রাজ্যপালের হাতে ন্যস্ত। সংবিধানের ৩৫৬ নম্বর ধারা অনুসারে রাজ্যপাল কোন রাজ্যের সাংবিধানিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করলে, তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের জরুরি অবস্থা প্রবর্তনের সুপার

ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃতি আলোচনা করো । অথবা- ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় প্রবণতা আলোচনা করো

ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃতি আলোচনা করো । অথবা-  ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় প্রবণতা আলোচনা করো। ভূমিকাঃ স্বাধীন ভারতের সংবিধানে ১ নম্বর ধারায় ভারতবর্ষকে একটি রাজ্য, সংঘ বা রাজ্যসমূহের ইউনিয়ন বলে বর্ণনা করা হয়েছে (India that is Bharat, shall be a union of States)। আসলে সেদিন সংবিধান প্রণেতারা বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, ভারতে অঙ্গরাজ্যগুলির ভারত যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কোন অধিকার নেই। আর সে কারণেই আমরা সংবিধানে দেখতে পাই-           •কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার গুলির মধ্যে শাসনতন্ত্র অনুযায়ী ক্ষমতা বন্টনের কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে পার্লামেন্ট সমগ্র ভারতবর্ষ এবং এর যে কোন অংশের জন্য ও রাজ্য আইনসভা সমগ্র রাজ্য বা তার কোনো অংশের জন্য আইন প্রণয়ন করতে পারবে। এরই পাশাপাশি ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সংবিধানের প্রাধান্য,নিরপেক্ষ যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতের অস্তিত্ব এবং দুই প্রকার সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা। আর সেখানে-           ••ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্র প্রবণতা•• •ক) আইনগত ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রাধান্যঃ •১) আইনগত ক্ষেত্রে ক্ষমতা বন্টনের তালিকা লক্ষ্য করা যায়, সেখা

ভারতের লোকসভা ও রাজ্যসভার মধ্যে সাংবিধানিক সম্পর্ক আলোচনা করো।

ভারতের লোকসভা ও রাজ্যসভার মধ্যে সাংবিধানিক সম্পর্ক আলোচনা করো। ভূমিকাঃ আমরা জানি যে, ভারত যুক্তরাষ্ট্রে একটি কেন্দ্রীয় আইনসভা আছে। আর সেই কেন্দ্রীয় আইনসভা পার্লামেন্ট নামে পরিচিত। রাষ্ট্রপতি রাজ্যসভা ও লোকসভা নিয়ে ভারতের পার্লামেন্ট গঠিত হয়েছে। এই পার্লামেন্টের দুটি কক্ষ- উচ্চ কক্ষ অর্থাৎ রাজ্যসভা, নিম্নকক্ষ অর্থাৎ লোকসভা। পার্লামেন্টের এই রাজ্যসভা ও লোকসভার মধ্যে যে সাংবিধানিক সম্পর্ক আছে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো-      লোকসভা ও রাজ্যসভা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমান ক্ষমতা ভোগ করে থাকে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে লোকসভা রাজ্যসভার তুলনায় বেশি ক্ষমতা ভোগ করে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাজ্যসভা লোকসভা তুলনায় বেশি ক্ষমতা ভোগ করে থাকে।          •রাজ্যসভা ও লোকসভা সমান ক্ষমতা• •১) সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে রাজ্যসভা ও লোকসভা সমান ক্ষমতা ভোগ করে থাকে। উভয় কক্ষের সম্মতি ছাড়া সংবিধান সংশোধন করা যায় না। ২) রাষ্ট্রপতির নির্বাচন ও পদচ্যুতি এবং উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজ্যসভা ও লোকসভা সমান ক্ষমতা ভোগ করে থাকে।  •৩) পার্লামেন্টকে অবমাননার জন্য সদস্য বা সদস্যা নয় এমন ব্যক্তিকে শাস্তি দেবার ক

রাজ্যপালের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা আলোচনা করো।

রাজ্যপালের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা আলোচনা করো।           •ভূমিকাঃ ভারতের সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় কেন্দ্রে রাষ্ট্রপতি যেমন নাম সর্বস্ব শাসক প্রধান, ঠিক তেমনি রাজ্যের রাজ্যপাল নাম সর্বস্ব শাসক প্রধান। তবে ভারতের রাষ্ট্রপতির কোন স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা নেই। কিন্তু রাজ্যপালের কতকগুলি স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা আছে। রাজ্যপাল তাঁর স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রয়োগের সময় মন্ত্রিসভার পরামর্শ মানতে বাধ্য নয়।আর সংবিধানের ১৬৩ নম্বর ধারায় রাজ্যপালের কতগুলি স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। সেই ক্ষমতা গুলি হলো - •প্রথমতঃ রাষ্ট্রপতি যদি কোন রাজ্যের রাজ্যপালকে পার্শ্ববর্তী কোন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শাসক হিসেবে নিযুক্ত করেন তাহলে তিনি ওই অঞ্চলের শাসনকার্য পরিচালনার ব্যাপারে স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। •দ্বিতীয়তঃ অরুণাচল প্রদেশ, মনিপুর, সিকিম ও নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, রাজ্যপাল উপজাতিদের স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা করতে পারেন। •তৃতীয়তঃ আসামের রাজ্যপাল উপজাতি অধ্যুষিত এলাকার জন্য স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন।তবে-          •এছাড়াও রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার নিয়

ভারতের সংবিধানে স্বীকৃত ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার আলোচনা করো। ভূমিকাঃধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার ভারতের সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত করা একটি মৌলিক অধিকার। এই অধিকারটি সকল ব্যক্তিকে তাদের ধর্ম পালন, অনুশীলন এবং প্রচারের স্বাধীনতা দিয়ে থাকে।ভারতের বহু ধর্মাবলম্বী মানুষের বসবাস। আর এখানে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে প্রীতি ও সৌভ্রাতৃত্বের ভাব বজায় রাখার জন্য সংবিধান রচয়িতা সংবিধানের ২৫ থেকে ২৮ নম্বর ধারায় ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তবে ১৯৭৬ সালের আগে মূল সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটির উল্লেখ ছিল না। কিন্তু ১৯৭৬ সালে ৪২তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারটি যুক্ত করা হয়। আর সেখানে বলা হয়- ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ রাষ্ট্রধর্ম বিরোধীতা নয়। অর্থাৎ ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে বোঝায়, রাষ্ট্র কোন ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা বা বিরোধিতা করবে না। বরং রাষ্ট্র সকল ধর্মাবলম্বী মানুষকে সমান সুবিধা দেবে, সব ধর্মকে সমান মর্যাদার চোখে দেখবে।আর সেই দৃষ্টিতে- •ক) সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারা• সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের বিবেক এবং বিশ্বাস অনুযায়ী যে কোন ধর্ম গ্রহণ, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন ও নিজের ধর্মমত প্রচার করতে পারবে। কিন্তু - রাষ্ট্র জনস্বাস্থ্য,জনশৃঙ্খলা, নৈতিকতা এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার রক্ষার্থে এই অধিকারটির ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করতে পারে। আর সেখানেই ধর্ম আচরণের সাথে জড়িত অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, এবং ধর্মনিরপেক্ষ কার্যাবলীকে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার আছে। •খ) সংবিধানের ২৬ নম্বর ধারা• ভারতীয় সংবিধানের ২৬ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় নিজেদের ধর্ম প্রচারের জন্য ধর্ম প্রতিষ্ঠান স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা করতে পারবেন। শুধু তাই নয় তাদের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন ভোগ ও পরিচালনা করতে পারবেন। তবে- ২৬ নম্বর ধারায় উল্লেখিত নাগরিকদের ধর্মীয় অধিকার সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে কখনোই অবস্থান করে না। কারণ নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার্থে এই ধর্মীয় অধিকারটির ওপর রাষ্ট্র বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায় যে, পাঞ্জাবে গুরুদ্বারগুলিকে কেন্দ্র করে উগ্রপন্থীদের কাজকর্ম প্রতিরোধ করার জন্য সরকার ১৯৮৮ সালে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করে। •গ) সংবিধানের ২৭ নম্বর ধারা• সংবিধানের ২৭ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে, কোন বিশেষ ধর্ম বা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উন্নতি এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোন ব্যক্তিকে কর বা চাঁদা দিতে বাধ্য করা যাবে না। •ঘ) সংবিধানের ২৮ নম্বর ধারা• ভারতীয় সংবিধানের ২৮ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি সরকারের সাহায্যে পরিচালিত হয় যেখানে ধর্মশিক্ষা দেওয়া যাবে না। এছাড়া সরকার কর্তৃক স্বীকৃত বা আংশিকভাবে সরকারি অর্থে পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে শিক্ষার্থীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা যাবে না। তবে এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায় যে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মশিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন বাধার নিষেধ নেই। পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, ভারতে কেবলমাত্র নাগরিক নয়, বিদেশীরাও পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার ভোগ করে থাকেন। তবে সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হলেও সমাজ জীবনে এই আদর্শটি বাস্তবায়িত করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে ওঠেনি। রাষ্ট্রের পরিচালকরা কোন ধর্মকে উৎসাহ না দেওয়ার পরিবর্তে সকল ধর্মকেই উৎসাহ দিতে এবং রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ধর্মকে জড়িয়ে ফেলতে আগ্রহী। আর সে কারণেই রাজনৈতিক দলগুলি মানুষের অন্ধ ধর্ম বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করে চলেছে বারেবারে। তবে - রাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো যাইই হোক না কেন, মানুষকে বুঝতে হবে মিলেমিশে থাকতে হলে ধর্মনিরপেক্ষতার কোন গল্প নেই। তাই মানুষকে সংকীর্ণ মানসিকতার ঊর্ধ্বে উঠে পরমত সহিষ্ণুতা, সহনশীলতা সামনে রেখে প্রকৃত মানুষ হিসেবে নিজেকে এবং অপরকে গড়ে তোলার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। আর সেখানে ভারতবাসী হিসেবে প্রত্যেকের লক্ষ্য ও আদর্শ হবে- " I am an Indian, every Indian is my brother." ঠিক এরূপ অসংখ্য বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, সাজেশন এবং ভিডিও পেতে ভিজিট করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল "SHESHER KOBITA SUNDORBON" YOUTUBE CHANNEL । রাজ্যপালের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা আলোচনা করো। •ভূমিকাঃ ভারতের সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় কেন্দ্রে রাষ্ট্রপতি যেমন নাম সর্বস্ব শাসক প্রধান, ঠিক তেমনি রাজ্যের রাজ্যপাল নাম সর্বস্ব শাসক প্রধান। তবে ভারতের রাষ্ট্রপতির কোন স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা নেই। কিন্তু রাজ্যপালের কতকগুলি স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা আছে। রাজ্যপাল তাঁর স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রয়োগের সময় মন্ত্রিসভার পরামর্শ মানতে বাধ্য নয়।আর সংবিধানের ১৬৩ নম্বর ধারায় রাজ্যপালের কতগুলি স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। সেই ক্ষমতা গুলি হলো - •প্রথমতঃ রাষ্ট্রপতি যদি কোন রাজ্যের রাজ্যপালকে পার্শ্ববর্তী কোন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শাসক হিসেবে নিযুক্ত করেন তাহলে তিনি ওই অঞ্চলের শাসনকার্য পরিচালনার ব্যাপারে স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। •দ্বিতীয়তঃ অরুণাচল প্রদেশ, মনিপুর, সিকিম ও নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, রাজ্যপাল উপজাতিদের স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা করতে পারেন। •তৃতীয়তঃ আসামের রাজ্যপাল উপজাতি অধ্যুষিত এলাকার জন্য স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন।তবে- •এছাড়াও রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার নিয়োগ ও অপসারণ, বিধানসভা ভেঙে দেওয়া, বিধানসভার অধিবেশন ডাকা প্রভৃতি ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। তবে স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা বিভিন্ন সময় রাজ্যপালকে নামসর্বস্ব শাসক প্রধানের পরিবর্তে সক্রিয় শাসকের পরিণত করো।

ভারতের সংবিধানে স্বীকৃত ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার আলোচনা করো। ভূমিকাঃধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার ভারতের                সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত করা একটি মৌলিক অধিকার। এই অধিকারটি সকল ব্যক্তিকে তাদের ধর্ম পালন, অনুশীলন এবং প্রচারের স্বাধীনতা দিয়ে থাকে।ভারতের বহু ধর্মাবলম্বী মানুষের বসবাস। আর এখানে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে প্রীতি ও সৌভ্রাতৃত্বের ভাব বজায় রাখার জন্য সংবিধান রচয়িতা সংবিধানের ২৫ থেকে ২৮ নম্বর ধারায় ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তবে ১৯৭৬ সালের আগে মূল সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটির উল্লেখ ছিল না। কিন্তু ১৯৭৬ সালে ৪২তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারটি যুক্ত করা হয়। আর সেখানে বলা হয়-         ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ রাষ্ট্রধর্ম বিরোধীতা নয়। অর্থাৎ ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে বোঝায়, রাষ্ট্র কোন ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা বা বিরোধিতা করবে না। বরং রাষ্ট্র সকল ধর্মাবলম্বী মানুষকে সমান সুবিধা দেবে, সব ধর্মকে সমান মর্যাদার চোখে দেখবে।আর সেই দৃষ্টিতে-               •ক) সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারা•  সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক ব্যক্তি নি