Skip to main content

Posts

Showing posts from February, 2024

প্রশ্নঃ চর্যাপদের ধর্মীয় পটভূমি বা চর্যাপদের ধর্মীয়তত্ত্ব আলোচনা করো।(প্রথম সেমিস্টার মেজর এবং মাইনর সিলেবাস)।

 প্রশ্নঃ চর্যাপদের ধর্মীয় পটভূমি বা চর্যাপদের ধর্মীয়তত্ত্ব আলোচনা করো।(প্রথম সেমিস্টার মেজর এবং মাইনর সিলেবাস)।           আমরা জানি যে,চর্যাগানের পটভূমি সপ্তম শতাব্দীর শেষার্ধ থেকে অষ্টম শতাব্দীর প্রথমার্ধ। আর বাংলা সাহিত্যে এই সময়টি নানা দিক থেকে সংক্রান্তিকাল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে সেই সময়ে আমরা দেখি, শশাঙ্কের মৃত্যুর পর গৌড়ে তখন চলছে নৈরাজ্য। তখন চতুর্দিকে অনিশ্চয়তার সংকেত দন্ডশক্তি দুর্বলা, রাজতন্ত্র অস্থির, প্রকৃতিপুঞ্জ পর্যুদস্ত।এমনই সময়ে ধর্ম জগতেও তখন বড় ধরনের পরিবর্তনের সূচনা হয়েছিল। গুপ্ত যুগের ব্রাহ্মণ্য ধর্ম তখন অব্যাহত।সেই সঙ্গে প্রচলিত ছিল ষটকর্ম কর্মবিহিত শাক্তাচার ও শৈব হঠযোগ। তাছাড়া জৈন সাধুদের একটি শাখা ক্রমশ শৈব হঠযোগের দিকে ঝুঁকে পড়ায় শৈব নাথ সাহিত্যের উদ্ভব হয়।তবে-           লৌকিক সিদ্ধির তাগিদে বৌদ্ধ ধর্মে মহাজন শাখায় মাধ্যমিক ও বিজ্ঞানবাদে নানা সূত্র ও শাস্ত্র ব্যাখ্যার প্রচলন ছিল। ছিল বিভিন্ন রকমের তন্ত্র-মন্ত্র ক্রিয়া-চর্চার সাধন। সিদ্ধ নাগা অর্জুন প্রবর্তিত রস রসানের প্রতিও আকর্ষণ ছিল।বৌদ্ধ তন্ত্র যান বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিল, কখনো বজ্রযান,

চর্যাপদের সাহিত্যমূল্য বা কাব্যমূল্য বা ঐতিহাসিক বা সামাজিক গুরুত্ব আলোচনা করো। (প্রথম সেমিস্টার মেজর এবং মাইনর সিলেবাস)

 চর্যাপদের সাহিত্যমূল্য বা কাব্যমূল্য বা ঐতিহাসিক বা সামাজিক গুরুত্ব আলোচনা করো। (প্রথম সেমিস্টার মেজর এবং মাইনর সিলেবাস) ভূমিকাঃ- প্রাচীন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের একমাত্র নিদর্শন চর্যাপদ। বৌদ্ধ সহজিয়া সাধক সম্প্রদায়ের সাধারণ সংগীতের সংকলন গ্রন্থ এই চর্যাপদ। তবে চর্যার গানগুলির মধ্যে ধর্ম সাধনার গূঢ়তত্ত্ব নানাবিধ রূপ ও সংকেতের মাধ্যমে লিপিবদ্ধ হয়েছে। সাধারণ বিচারের চর্যাপদের গুরুত্ব একটি বিশেষ ধর্ম সম্পর্কে মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার কথা ছিল। কিন্তু তা যে হয়নি তার কারণ চর্চার পদকর্তারা সাধক হলেও কবি ছিলেন এবং তারা পদ রচনা করতে গিয়ে সমকালীন সমাজকে চিত্রিত করেছেন। আর সেই চিত্রের মধ্যে সমকালীন মানব জীবন, ইতিহাস, ভাষা এবং কাব্য ধারা সম্পর্কে উপলব্ধি করা যায়। আর এখানেই চর্যাপদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিহিত।সেখানে আমরা দেখি- প্রথমতঃ- চর্যাপদের ভাষা প্রাচীন বা মধ্যভারতী কোন আর্য ভাষা নয়, আসলে এ হলো নব্য ভারতীয় আর্য ভাষার অন্যতম নিদর্শন। তবে বলা বাহুল্য,তা অবশ্যই বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন। চর্চার ভাষায় বাংলার সমজাতীয় মৈথিলী, উড়িয়া ও অসমীয়া ভাষার কিছু কিছু নিদর্শন থাকলেও এর মূল কাঠামো তৎকা

কর্তৃত্ব কাকে বলে? মাক্স ওয়েবারের কর্তৃত্বের শ্রেণীবিভাগ আলোচনা করো (প্রথম সেমিস্টার)।

 কর্তৃত্ব কাকে বলে? মাক্স ওয়েবারের কর্তৃত্ব শ্রেণীবিভাগ আলোচনা করো (প্রথম সেমিস্টার)। কর্তৃত্ব-                 কর্তৃত্ব হল এমন এক ধরনে আইনানুগ সাংগঠনিক ক্ষমতা, যার মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অধস্তনদের কার্যসম্পাদনের জন্য নির্দেশনা দান করেন। অতঃপর সেই কার্য তদারকি এবং তা পালনের জন্য তত্ত্বাবধান করতে পারেন। যার স্বাভাবিক ধর্ম হল কর্তৃত্ব উপর স্তর থেকে নিচের স্তরে ব্যবহার করা ।মোট কথা হল-বৈধভাবে ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকারকে কর্তৃত্ব বলে।আর এই নিরিখে কর্তৃত্বের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য আমরা পাই -- প্রথমতঃ- কর্তৃত্বের বৈধতার ভিত্তি হলো আইনানুগ কাঠামো। দ্বিতীয়তঃ- কর্তৃত্বের সবকিছু আনুষ্ঠানিক। তৃতীয়তঃ- নিয়মকানুন পরিবর্তন বা প্রবর্তনের জন্য আইনসভা বা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করতে হয়। চতুর্থতঃ- নিয়োগের জন্য যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেয়া হয়। পঞ্চমতঃ- আইনের মাধ্যমে সমস্ত কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। মাক্স ওয়েবারের কর্তৃত্বের শ্রেণীবিভাগঃ-         আইনের বৈধতার নীতিসমূহ বর্ণনাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে ম্যাক্স ওয়েবারের কর্তৃত্ব তত্ত্ব। আর সেইসব নীতির সাধারণ কাঠামো ও প্রধান প্রধান প্রকার ওয়েবার বিস্তারিত তথ্য

প্রশ্নঃ-নাগরিকতা অর্জনের/নির্নয়ের পদ্ধতিগুলি আলোচনা করো।(প্রথম সেমিস্টার)

 প্রশ্নঃ-নাগরিকতা অর্জনের/নির্নয়ের পদ্ধতিগুলি আলোচনা করো।(প্রথম সেমিস্টার)              নাগরিকতা অর্জনের দুটি পদ্ধতি   ক) জন্মসূত্র  খ) অনুমোদন সূত্র । ক). জন্মসূত্রে নাগরিকতা অর্জনের পদ্ধতি : জন্মগ্রহণই যখন নাগরিকতা অর্জনের ভিত্তি হিসেবে ধরা হয় তখন তাকে জন্মসূত্রে নাগরিক বলা হয়। জন্মসূত্রে নাগরিকতা অর্জনের ক্ষেত্রে দুটি নীতি অনুসরণ করা হয়।যথা-  ১ । জন্মনীতি ও ২ । জন্মস্থান নীতি । ১. জন্মনীতি : -             জন্মনীতি অনুযায়ী পিতা-মাতার নাগরিকতা দ্বারা সন্তানের নাগরিকতা নির্ধারিত হয় । এ ক্ষেত্রে শিশু যে দেশে বা যেখানেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন, পিতা-মাতার নাগরিকতা দ্বারা সন্তানের নাগরিকতা নির্ধারিত হয়। যেমন-                  বাংলাদেশের কোনো এক দম্পতি যুক্তরাজ্যে গিয়ে একটি সন্তান জন্ম দান করলেন । এ নীতি অনুসারে ঐ সন্তান বাংলাদেশের নাগরিকতা লাভ করবে। কারণ তার পিতা-মাতা বাংলাদেশের নাগরিক । ২. জন্মস্থান নীতি :-              জন্মস্থান নীতি অনুযায়ী পিতা-মাতা যে দেশেরই নাগরিক হোক না কেন, সন্তান যে রাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করবে সে ঐ রাষ্ট্রের নাগরিকতা লাভ করবে। যেমন-             কোনো বাংলাদেশি

বিবেকানন্দের জীবন দর্শন আলোচনা করো। প্রথম সেমিস্টার,(ইউনিট IV, Minor,Education)

 বিবেকানন্দের জীবন দর্শন আলোচনা করো। প্রথম সেমিস্টার,(ইউনিট IV, Minor,Education) ভূমিকা -বিবেকানন্দের জীবন দর্শন,শিক্ষা সংক্রান্ত মতবাদ ভারতীয় শিক্ষাকে সমৃদ্ধ করেছে। আসলে বিবেকানন্দের কাছে শিক্ষার তাৎপর্য 'মানুষ গড়া'। তাই তিনি ঘোষনা করেন-            "Man making is my mission." বিবেকানন্দের জীবন দর্শন শিক্ষার লক্ষ্য এবং শিক্ষা পদ্ধতি সমস্ত চিন্তায় বেদান্ত দর্শন থেকে উৎসারিত। যেখানে--        বিবেকানন্দ খুব ভালো করেই উপলব্ধি করেন যে দুর্দশাগ্রস্থ ভারতবর্ষের মানুষকে জাগ্রত করতে হলে কুসংস্কার মুক্ত ও বিজ্ঞান সচেতন করে তুলতে হবে। পাশাপাশি মানুষদের মধ্যে আধ্যাত্মিক বিকাশ ঘটাতে হবে। আর এ কাজ করতে হলে চাই যথার্থ শিক্ষা-               "Man making Education." আসলে শিক্ষা মানুষকে আত্মশক্তিতে ভরপুর এবং দৃঢ় চরিত্রের অধিকারী করে তুলবে। আর এটাই ছিল বিবেকানন্দের জীবনে স্বপ্ন। তাই বিবেকানন্দের জীবন ও কর্ম ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ। সেখানে তাঁর মৌলিক জীবন দর্শনের যে ধারণা গুলি আমরা পাই- ১) বিশ্বজনীনতা ও আধ্যাত্মিক ভ্রাতৃত্ববোধ ।             বিবেকানন্দ বিশ্বাস করতেন সকল মানুষ সমান।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও আমরা।

  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও আমরা                  সময়টা১৯৫২ সাল ২১শে ফেব্রুয়ারি।সেই সময়কালে পাকিস্তান সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে। পরিবর্তে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দু ভাষাকে জনগণের কাঁধের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়।আর তারই প্রতিবাদে ঢাকায় একদল তরুণতুর্কী ছাত্রসমাজ ও সাধারণ জনগণ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেন। অতঃপর এক দীর্ঘ টালবাহানার পর-              ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিলে বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হবে সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করা হয়।            ভাষা আন্দোলনের সেই বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খালি পায়ে 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' গাইতে গাইতে হাতে ফুল নিয়ে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানান। তবে আমাদের করণীয় --            একুশের ভাষা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দিনটি আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার এবং রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদেরই। কারণ,ভাষা আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের ঐতিহ্য।আর সেই ভাষার মাধ্যমেই আমরা প্রকাশ করি আমাদের ভাবনা, আমাদের অ

শিক্ষায় মূল্যবোধের গুরুত্ব বা শিক্ষায় মূল্যবোধের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো।(প্রথম সেমিস্টার মাইনর)

 শিক্ষায় মূল্যবোধের গুরুত্ব বা শিক্ষায় মূল্যবোধের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো।(প্রথম সেমিস্টার মাইনর) ভূমিকা -আলোচনার শুরুতেই আমরা বলতে পারি যে,মূল্যবোধহীন শিক্ষা আলো বিহীন পূর্ণিমার চাঁদের মত। তবে সুস্থ বিকাশের দ্বারাশিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মূল্যবোধ শিক্ষার মাধ্যমে সঠিকভাবে গঠন করা যায়। শিশু যখন গৃহপ্রবেশ থেকে বিদ্যালয়ে পদার্পণ করে তখন সে আরো বৃহত্তর পরিবেশের মধ্যে পরিচিতি লাভ করে। এবং সেখানেই তার সর্বাঙ্গীন বিকাশ আরো বেশিকরে সুসম্পন্ন হয়।যার ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মূল্যবোধের গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা বিভিন্নভাবে পরিলক্ষিত হয়।আর সেই গুরুত্বগুলি হলো– ১)  নৈতিক বিকাশ সাধন            আমরা জানি মূল্যবোধের শিক্ষা শিশুর মধ্যে নৈতিকতার বিকাশ সাধনের সহায়তা করে। তাই শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যথাযথ মূল্যবোধ গঠন করা প্রয়োজন। তবেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিক বিকাশ সাধন সম্ভব হয়। ২)ব্যক্তিত্বের উন্নতকরণে-           মূল্যবোধের শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ সাধন সম্ভব হয়। যেমন -সততা, সত্যবাদিতা, কর্তব্য পরায়ণতা প্রভৃতি মূল্যবোধ গুলি যদি সঠিক বিকাশ না ঘটে ত

আধুনিক গীতিকবিতা হিসেবে বৈষ্ণব পদাবলী/বৈষ্ণব পদাবলীকে গীতিকবিতা বলা যায় কী? | ধর্মনিরপেক্ষ গীতি কবিতা হিসেবে বৈষ্ণব পদাবলী-আলোচনা করো।

 আধুনিক গীতিকবিতা হিসেবে বৈষ্ণব পদাবলী/বৈষ্ণব পদাবলীকে গীতিকবিতা বলা যায় কী? | ধর্মনিরপেক্ষ গীতি কবিতা হিসেবে বৈষ্ণব পদাবলী-আলোচনা করো।         (প্রথম সেমিস্টার CC2) বৈষ্ণব পদাবলী।           আলোচনার শুরুতেই আমরা বলতে পারি যে-বৈষ্ণব পদাবলীতে আছে গীতিরস,আছে রোমান্টিকতা এ বিষয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।আসলে গীতিকবিতাকে ইংরেজিতে বলা হয় lyre lyric,যার আভিধানিক অর্থ হলো গীতিকবিতা।আর এই লিরিক নামক বাদ্যযন্ত্রের সাহায্যে এগুলির গীত হত বলেই এদের এরূপ নামকরণ করা হয়েছিল বলে মনে করা হয়।তবে আদিতে গীতিকবিতা ছিল গীতাত্মক বৈষ্ণব পদাবলী। কিন্তু মূলত পাঠ্য কবিতা নয়, গেয় কবিতা। সুতরাং বৈষ্ণব পদাবলীকেlyric বা গীতিকবিতা আখ্যাই বিধেয়। প্রসঙ্গত বলা দরকার রবীন্দ্রনাথ কিন্তু বৈষ্ণব পদাবলী কে গীতিক কবিতা রুপে আখ্যায়িত করেছেন। তবে-          বৈষ্ণব পদাবলী নায়ক-নায়িকার ও সখা-সখীদের উক্তি-প্রত্যুক্তি প্রধান পালার আকারে সজ্জিত হয়েছে । শুধু তাই নয়,কীর্তনীয়ারা অনেক সময়ই যেভাবে কীর্তনের পালাগুলি গান করে উপস্থাপনা করে থাকেন, তাতে ঐ পালাগুলিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গীতিনাট্য (opera) বলাই শ্রেয়। তবে পালাবদ্ধ রসকীর

ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা

 ব্যাপ্তি কাকে বলে? ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি? ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভের উপায়/ব্যাপ্তিগ্রহের উপায় গুলি আলোচনা করো। ব্যাপ্তি:- ন্যায় দর্শনমতে ব্যাপ্তি জ্ঞান হলো অনুমিতির অপরিহার্য শর্ত। ব্যাপ্তিজ্ঞান ব্যতীত অনুমিতির জ্ঞান লাভ সম্ভব নয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি, যেখানেই ধূম সেখানেই বহ্নি। এই সাহচর্য নিয়ম হলো ব্যাপ্তি।                 এখানে সাহচর্য কথাটির অর্থ হলো সমনাধিকরণ। অর্থাৎ যেখানে যেখানে ধূম থাকবে সেখানে সেখানে বহ্নি থাকবে। আর নিয়ম কথাটির অর্থ হলো নিয়ত বা ব্যতিক্রমহীনতা। সুতরাং সাহচর্য নিয়ম কথাটির মানে হল ব্যতিক্রমহীন সাহচর্য। আর সেখানে ধুম ও বহ্নির অর্থাৎ হেতু ও সাধ্যের সাহচর্য নিয়মই হল ব্যাপ্তি।    ব্যাপ্তি দুই প্রকার।         ১) সমব্যাপ্তি           ২) বিষমব্যাপ্তি। ১। সমব্যাপ্তিঃ               সমব্যাপক দুটি পদের ব্যাপ্তিকে সমব্যাপ্তি বলা হয়। এখানে ব্যাপক ও ব্যাপ্য-র বিস্তৃতি সমান হয়। যেমন, যার উৎপত্তি আছে, তার বিনাশ আছে। উৎপত্তি হওয়া বস্তু ও বিনাশ হওয়া বস্তুর বিস্তৃতি সমান। উৎপত্তিশীল ও বিনাশশীল সমব্যাপ্তি বিশিষ্ট। ২। বিষমব্যাপ্তি/অসমব্যাপ্তি :-             অসমব্যাপক দুটির প

দর্শন প্রথম(NEP) এবং তৃতীয় সেমিস্টারের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

দর্শন। প্রথম এবং তৃতীয় সেমিস্টারের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর  ১)ন্যায় সূত্রে প্রণেতা ও বৈশেষিক সূত্রের প্রণেতার নাম উল্লেখ করো।           উত্তর -ন্যায় সূত্রের প্রণেতা হলেন মহর্ষি গৌতম   এবং বৈশেষিক সূত্রের প্রণেতা হলেন ঋষি কণাদ। ২) বৈশেষিক দর্শনের কত প্রকার অভাব স্বীকার করা হয়েছে? তাদের নাম লেখো।         উত্তর - বৈশেষিক দর্শনে দুই প্রকার অভাব স্বীকার করা হয়েছে।আর সেই অভাব পদার্থগুলি হলো-          ১) অন্যোন্যাভাব ২) সংসর্গাভাব। ৩) ন্যায় মতে সন্নিকর্ষ শব্দের অর্থ কি?               উত্তর -ন্যায়মতে সন্নিকর্ষ শব্দের অর্থ হলো, ইন্দ্রিয় এবং ইন্দ্রগ্রাহ্য বিষয়ের মধ্যে সম্বন্ধ। তাদের মতে এই সম্ভন্ধের ফলে আমাদের মনে প্রত্যক্ষ জ্ঞান উৎপন্ন হয়। ৪) জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?                 উত্তর -জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ হলো,যে প্রত্যক্ষে কোনো ইন্দ্রিয় নিজস্ব বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও অন্য ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণ প্রত্যক্ষ করা যায়, তাকে জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ বলে। যেমন- “সুরভি চন্দনম্”- অর্থাৎ দূরে চন্দন কাঠ দেখে তার সুগন্ধের যে জ্ঞান লাভ তাই জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ। ৫) ন্যায় মতে ব্যাপ্তি কয়

শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক লক্ষ্য লেখো।

 প্রশ্ন/ শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক  লক্ষ্য লেখো।          ভূমিকা -শিক্ষা মনোবিজ্ঞানে ব্যক্তি বৈষম্যের নীতি কে বলা হয়েছে- প্রত্যেক ব্যক্তিই এক একটি পৃথক সত্তা। আসলে প্রত্যেক ব্যক্তি ভিন্ন ভিন্ন সামর্থ, প্রবণতা ও প্রকৃতি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। তাই ব্যক্তি বৈষম্যের নীতি অনুযায়ী প্রত্যেক শিশুকে পৃথকভাবে যাচাই করা দরকার। শুধু তাই নয়, তাদের সর্বাঙ্গীণ আত্মপ্রকাশে সাহায্য করাই হলো শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য। আর এই লক্ষ্যকে বলা হয় শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক লক্ষ্য। যেখানে-       ১)    ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবাদী শিক্ষা দর্শনে শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যক্তিই প্রাধান্য লাভ করে আসছে বহুকাল থেকে। তবে জীববিজ্ঞানীদের মতে প্রতিটি মানুষ এক একটি একক সত্তা। তাই ব্যক্তির অস্তিত্ব আছে বলেই সমাজের অস্তিত্বের কথা ভাবা হয়। কারণ ব্যক্তিকে নিয়েই সমাজ। সুতরাং ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশই শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য।     ২) প্রাচীন ভারতের আশ্রমিক ও আবাসিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যক্তিতান্ত্রিক মতবাদের প্রাধান্য দেখা যায়। তখন শিক্ষার লক্ষ্য ছিল 'আত্মানং বিদ্ধি'। তবে ভারতীয় দার্শনিকগণ বিদ্যার্থীর বিকাশে সমাজ জীবনের ভূমিকাকে তেমন গু

তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ১৯/২০২৩-২৪

তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত  প্রশ্নোত্তর ১৯/২০২৩-২৪ ১) ইউরোকেন্দ্রীকতা বলতে কি বোঝ?         উত্তর -ইউরোকেন্দ্রিকতা বলতে ইউরোপীয় বা পশ্চিমা সভ্যতাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এমন এক পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গিকে বোঝায় যা পশ্চিমা সভ্যতাকে বিশ্বের অপরাপর সভ্যতার উপর প্রাধান্য দেয়। এই কেন্দ্রিকতার সঠিক ক্ষেত্রটি অবশ্য সুনির্ধারিত নয়। ২) তুলনামূলক সরকার বলতে কি বোঝায়?             উত্তর -তুলনামূলক সরকার হলো- রাষ্ট্রের আইনগত কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানসমূহ যেমন আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ, বিচার বিভাগ, আমলাতন্ত্র ইত্যাদি। তবে তুলনামূলক সরকারের আলোচনা ক্ষেত্র উন্নত পশ্চিমী দেশগুলির শাসনব্যবস্থার আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ। আর সেখানে দার্শনিকতার মানসিকতা ও মূল্যবোধের প্রবণতা থাকে। কিন্তু আন্তঃসামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে না। ৩) অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন বলতে কি বোঝ?           উত্তর -অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন বলতে অধিক পরিমাণে অর্থনৈতিক সামগ্রীর প্রবাহকে বোঝাযয়। অর্থাৎ -                অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন বলতে পণ্য ও পরিষেবার আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান মাত্রা, আন্তর্জাতিক পুঁজির প্রবাহ এবং প্রযুক্তির ব্যাপক