Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2024

উনবিংশ শতকে বাংলার সামাজিক-ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলনে রামমোহন রায়ের অবদান লেখো। West Bengal State University 4th Semester.

 উনবিংশ শতকে বাংলার সামাজিক-ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলনে রামমোহন রায়ের অবদান লেখো। West Bengal State University 4th Semester. ভূমিকাঃ          আমরা জানি ঊনবিংশ শতাব্দীর বাঙালির জীবনে ধর্ম, সমাজ, সাহিত্য ও রাজনীতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন দেখা যায়। আর সেই সকল পরিবর্তনের মূলে না থাকলেও প্রায় সবগুলোর সাথেই রামমোহন  রায়ের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ ছিল। আসলে হিউম্যানিস্টসুলভ অনুসন্ধিৎসা, সংস্কারসুলভ  মনোবল এবং ঋষিসুলভ প্রজ্ঞা রামমোহন এক যুগপ্রবর্তকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।তবে--              রামমোহন রায় প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সমন্বয়ের মূর্ত প্রতীক ছিলেন। তাই ঊনবিংশ শতকে বাংলার ভূমিতে আংশিক হলেও যে নবজাগরণের বা নবযুগের সূচনা হয়েছিল, তার অগ্রদূত হিসেবে রামমোহনকে অভিহিত করলেও অত্যুক্তি হয় না।আসলে--         রামমোহন ছিলেন এক অনন্য প্রতিভার অধিকারী। সংস্কৃত, আরবি ও ফরাসি ভাষায় ছিল তার অগাধ পাণ্ডিত্য। ইংরেজি, হিব্রু, গ্রিক ভাষাতেও ছিল তাঁর যথেষ্ট দক্ষতা। ফ্রান্সিস্ বেকন থেকে শুরু করে লক, হিউম, নিউটন প্রমুখ মনীষীগণের চিন্তাধারার সাথে ছিল তাঁর আন্তরিক পরিচয়।এমনকি আমেরিকার স্বা

জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course)

 জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ(Rationalism)আলোচনা করো। (For BA. Second Semester & Higher Secondary Course) ভুমিকাঃ আমরা জানি জ্ঞানের উৎপত্তি বা উৎস নিয়ে পাশ্চাত্য দর্শনে দুটি উল্লেখযোগ্য পরস্পর বিরোধী মতবাদ দেখা যায়। আর এই দুটি পরস্পর বিরোধী মতবাদের মধ্যে একটি অন্যতম মতবাদ হলো বুদ্ধিবাদ বা প্রজ্ঞাবাদ। আর সেই বুদ্ধিবাদ অনুসারে-        আমরা জানি পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাসে বুদ্ধিবাদের প্রধান প্রবক্তা হলেন দার্শনিক ডেকার্ট। আর এই দার্শনিক ডেকার্টকে আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়। তবে তার পরবর্তী বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হিসেবে স্পিনোজা, লাইবনিজ এবং কান্ট বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। সেখানে জ্ঞান উৎপত্তিতে-- ডেকার্ট এর অভিমতঃ            দার্শনিক ডেকার্ট এর মতে দর্শনচিন্তার প্রথম সূত্র হলো সংশয় বা সন্দেহ। আর এই সংশয় নিয়েই দর্শন আলোচনা শুরু হয় এবং সুশৃংখল সংশয়-পদ্ধতির মাধ্যমে সংসায়াতীত, স্বতঃপ্রমাণিত ও সার্বিক মূল সত্যে পৌঁছানো যাবে। এই মূল সত্য থেকে গাণিতিক অবরোহ পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে এবং তা অবশ্যই নির্মূল ও নির্ভরযোগ্য হবে। আর গণিতের অভ্রান্ততা এবং নিশ্চয়তাকে

"কাব্যং গ্ৰাহ্যমলংকারাৎ" অথবা-কাব্য যে মানুষের উপাদেয় সে এই অলংকারের জন্যই-আলোচনা করো।( পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, বাংলা অনার্স)

 "কাব্যং গ্ৰাহ্যমলংকারাৎ" অথবা-কাব্য যে মানুষের উপাদেয় সে এই অলংকারের জন্যই-আলোচনা করো।( পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, বাংলা অনার্স) উত্তর - আমরা জানি যে, কাব্য হলো কল্পনাশ্রয়ী, ঠিক সঙ্গীতের মতোই। আর সেই কারণে কাব্য একদিকে অর্থযুক্ত পদ সমন্বয়ে সুষমান্বিত,অন্যদিকে আবার ভাবের তরঙ্গে তরঙ্গায়িত।ভাষা সেখানে ভাবের বাহন হয়ে আসে।তবে কবিমাত্রই কথার স্বর্ণকার। তাই তিনি গদ্যের মতো কাব্যের শব্দ তার অর্থকে আটপৌরে না রেখে নানান সাজ-সজ্জায় সাজিয়ে তোলেন।তবে--           অলংকার যেমননারীর ভূষণ,ঠিক তেমনি অলংকারবাদীরা শুধু কাব্যের ভূষণ হিসেবে অলংকারকে অভিহিত করে ক্ষান্ত হননি।আসলে তাঁরা বলতে চেয়েছেন, কাব্য যে মানুষের কাছে উপাদেয় হয়ে উঠে তার অলংকারের জন্যই।আর সে কারণেই -           কাব্যকার ভমহ থেকে কুন্তক পর্যন্ত প্রায় সকলেই কাব্যে অলংকার প্রয়োগের কথা বলতে আগ্ৰহী।আর সেই দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে কাব্যকার বামন বলেছিলেন-                'কাব্যং গ্ৰাহ্যমলংকারাৎ।" সুতরাং অলংকারবাদীদের মতে কাব্যের প্রাণপ্রতিষ্ঠাহয় শব্দে ও অলংকারের মধ্যে দিয়ে।তবুও -      অলংকার থা

প্রবন্ধ কাকে বলে? প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্য লেখো।প্রবন্ধের শ্রেণীবিভাগ করে ব্যক্তিনিষ্ঠ প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্য গুলি উদাহরণসহ আলোচনা কর। (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, বাংলা অনার্স)

প্রবন্ধ কাকে বলে? প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্য লেখো।প্রবন্ধের শ্রেণীবিভাগ করে ব্যক্তিনিষ্ঠ প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্য গুলি উদাহরণসহ আলোচনা কর। (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, বাংলা অনার্স) প্রবন্ধ কাকে বলে?       আমরা জানি যে,নাতিদীর্ঘ, সুবিন্যস্ত গদ্য রচনাকে প্রবন্ধ বলে।তবে প্রবন্ধ রচনার বিষয়, ভাব, ভাষা সবই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ । সুতরাং কল্পনা শক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগিয়ে লেখক যে নাতিদীর্ঘ সাহিত্য রূপ সৃষ্টি করেন সেটাই প্রবন্ধ । এক কথায়-         লেখকের ভাবনা, ভাব ও মত প্রকাশ যখন যুক্তির বন্ধনে বাঁধা পড়ে গদ্যে লেখা সাহিত্য হয়ে ওঠে তখন তাকে প্রবন্ধ বলে। প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্য বা লক্ষণঃ-        শশীভূষণ দাশগুপ্তের মতে-       "তথ্যের সহিত পরস্পর অন্বয় এবং পারস্পর্য এবং তথ্য ও যুক্তি পরস্পর অন্বয় এবং সকল জুড়িয়া শেষ পর্যন্ত একটি সুসঙ্গত সিদ্ধান্তে গমন- ইহাই প্রবন্ধের বিশিষ্ট লক্ষণ।" আর এই মতামতকে সামনে রেখে বলা যায় যে- ১) প্রবন্ধ হলো জ্ঞানের সাহিত্য। ২) প্রবন্ধে কল্পনা স্থান পেলেও যুক্তি ও শৃঙ্খলাই প্রাধান্য লাভ করে। ৩)  প্রবন্ধকে অবশ্যই গদ্য লেখা রচনা হতে হব

বৌদ্ধদর্শন ও সাংস্কৃতিক চর্চায় বৌদ্ধ বিহার গুলির ভূমিকা আলোচনা করো।(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, প্রথম সেমিস্টার, বাংলা মাইনর)

 বৌদ্ধদর্শন ও সাংস্কৃতিক চর্চায় বৌদ্ধ বিহার গুলির ভূমিকা আলোচনা করো।(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, প্রথম সেমিস্টার, বাংলা মাইনর)  আলোচনার শুরুতেই আমরা বলতে পারি যে,আমরা জানি খ্রীষ্ট্রীয় পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত বাংলায়  সংস্কৃত চর্চার প্রধান কেন্দ্র ছিল মেদিনীপুর জেলার তাম্রলিপ্ত, হুগলি জেলার ভুরিশ্রেষ্ঠ, বীরভূম জেলার সিধল ও বরেন্দ্রভূমের বনগ্রাম প্রভৃতি স্থানে। শুধু তাই নয়,প্রসিদ্ধ চৈনিক পর্যটক উয়াং চুয়াং ও অন্যান্য চৈনিক পরিব্রাজকগও বাংলার বুকে প্রচুর সংস্কৃত চর্চার কেন্দ্র দেখেছিলেন।আর সেখানে যে শুধু ব্রাহ্মণ পন্ডিতগণ সংস্কৃত চর্চা করতেন তা নয়, বৌদ্ধ পন্ডিতগণও সংস্কৃত চর্চা করতেন। তবে বৌদ্ধদের শিক্ষা কেন্দ্র ছিল জগদ্দল, সোমপুরী, পান্ডুভূমি প্রভৃতি স্থানে। এই যুগের বিখ্যাত বাঙালি বৌদ্ধপন্ডিতগ হলেন অতীশ দীপঙ্কর, শীলভদ্র, শান্তিদেব, জ্ঞানশ্রীমিত্র প্রমুখ। যারা সংস্কৃত ও অপভ্রংশ এই দুই ভাষাতেই তারা মৌলিক ও টিকাগ্রন্থ রচনা করেছিলেন। আর সেখানে আমরা দেখি-         ‌বৌদ্ধ বিহার  প্রধানত বৌদ্ধ ধর্মের সাথে যুক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানে ভিক্ষুদের বাসস্

ঘরে বাইরে উপন্যাসের নিখিলেশ চরিত্রটি রবীন্দ্র বিশ্বাসের প্রতিরূপ-আলোচনা করো।(চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা অনার্স, পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়)

ঘরে বাইরে উপন্যাসের নিখিলেশ চরিত্রটি রবীন্দ্র বিশ্বাসের প্রতিরূপ-আলোচনা করো।(চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা অনার্স, পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়) ভূমিকাঃ- আলোচনার শুরুতেই আমরা বলতে পারি যে,বাংলা সাহিত্যের একটি অন্যতম কালজয়ী উপন্যাস ঘরে বাইরে। আর সেই উপন্যাসে কয়েকটি উচ্চবিত্ত মানুষের পরিচয় আমরা দেখতে পাই। সেই সকল মানুষগুলোর মধ্যে অন্যতম নিখিলেশ, সন্দীপ এবং বিমলা। আসলে এই চরিত্রগুলিকে উপন্যাসে এক আত্মসমীক্ষার আলোকে তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে উপন্যাসে আছে দুটি পুরুষ চরিত্র নিখিলেশ এবং সন্দীপ। আর আছে একটি অন্যতম নারী চরিত্র বিমলা। এই তিনটি চরিত্রের আত্মভাবনার ফসল হল 'ঘরে বাইরে'। আর সেই উপন্যাসের--         প্রেক্ষাপট বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন।যে সময়ে উচ্চ মধ্যবিত্তেদের একটা সমাজ গড়ে উঠেছিল। সেই সমাজে ছিল ব্যক্তি স্বাধীনতা, ছিল মানবতাবোধ, আরোও ছিল সমাজের উদারতা। যেখানে নিখিলেশ উচ্চ শিক্ষিত এবং চরিত্রবান। শুধু তাই নয়, শুধু তাই নয় নিখিলেশ ধনী ব্যক্তি, বিরাট তার জমিদারি, বলা যায় রাজার মতোই। কিন্তু তার মধ্যে পূর্বপুরুষের কোন চরিত্র দোষ ছিলনা, ছিলনা স্বার্থপরতা। তবে এই নিখিলেশ পত্নীর যথার্থ ভ

ইসলাম ধর্মকেন্দ্রিক সাহিত্যে শাহ মুহম্মদ সগীরের কাব্য প্রতিভা আলোচনা করো।

 ইসলাম ধর্মকেন্দ্রিক সাহিত্যে শাহ মুহম্মদ সগীরের কাব্য প্রতিভা আলোচনা করো।  ভূমিকাঃ- রোসাঙ রাজসভার দুই খ্যাতিমান কবি দৌলত কাজী ও আলাওল ছাড়াও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে ইসলামী ধর্মভাবনা বা সুফি ভাবনাকে কেন্দ্র করে বহু কবি সাহিত্য রচনা করেছেন। আর সেই সকল সাহিত্যের মধ্যে আছে কিসসা সাহিত্য, মর্সিয়া সাহিত্য, শায়েরী সাহিত্য, পুঁথি সাহিত্য প্রভৃতি। আর সেখানে মধ্যযুগের রোমান্টিক প্রনয়মূলক কাহিনী কাব্য ইউসুফ জোলেখা র রচয়িতা শাহ মুহম্মদ সগীর তাঁর কবিত্ব শক্তির কারণে সাহিত্যের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন ।আসলে তিনি ধর্মীয় নাগপাশে আবদ্ধ মধ্যযুগের সাহিত্যকে যাঁরা নিছক মানবীয় প্রেমের আধারে মুক্তি দিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলে শাহ মুহাম্মদ সগীর।তবে--                 অখন্ড বঙ্গে সেইসব রচিত সাহিত্যগুলি সবই যে কবিত্বের নিরিখে উঁচু মানের তা বোধহয় বলা যাবে না। কিন্তু মুসলমানদের ধর্ম ও সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে যে সব সাহিত্যিক সাহিত্য রচনা করেছিলেন সেইসব সাহিত্যগুলির অনেকগুলিই সাহিত্যের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে। যার মধ্যে শাহ মুহম্মদ সগীরের 'ইউসুফ জুলেখা' অন্যতম। আর সেখানে আমরা দেখতে পাই--

নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরোধ বা সংঘর্ষের কারণ লেখো। (বি.এ চতুর্থ সেমিস্টার)

নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরোধ বা সংঘর্ষের কারণ লেখো। (বি.এ চতুর্থ সেমিস্টার) ভূমিকাঃ-          ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে সিরাজউদ্দৌলা যখন বাংলার নবাব হন তখন তিনি ছিলেন বয়সে নবীন। শুধু তাই নয় শাসনকার্যে তিনি ছিলেন অনভিজ্ঞ। স্বভাবতই ভারতের কেন্দ্রীয় শক্তির পতনের ফলে রাজনীতির ক্ষেত্রে একটি শূন্যতার সৃষ্টি হয়। আর সেই শূন্যতা পূরণ করার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা সিরাজের মধ্যে মোটেই ছিল না।। আবার অপরদিকে-           আলিবর্দী খাঁর দুই জামতা সিরাজকে নানান ষড়যন্ত্রে দুর্বল করে ফেলেছিল।শুধু তাই নয়, তারা ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণের পথ অনেকটাই প্রশস্ত করে দেয়। আর এরূপ সংকটপূর্ণ অবস্থার মধ্যেই সিরাজউদ্দৌলা সিংহাসন আহরণ করেন। অতঃপর সিরাজের সাথে ইংরেজদের বিরোধ দেখা দেয়। আর সেই বিরোধের কারণগুলি ঐতিহাসিকরা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছেন নিম্নসূত্রাকারে-- প্রথমতঃ-          সিরাজউদ্দৌলা যখন নবাব হন ঠিক তখন ইংরেজ কুঠির অধ্যক্ষ ড্রেক তাঁকে যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করে 'নজরানা' প্রদান করেননি। ফলে খুব স্বাভাবিক কারণেই ইংরেজরা সিরাজের বিরাগভাজনে পরি

শিক্ষায় মূল্যবোধের গুরুত্ব/প্রয়োজনীয়তা।

     শিক্ষায় মূল্যবোধের গুরুত্ব/প্রয়োজনীয়তা।        শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশসহ সুসংহত ব্যক্তিত্ব বিকাশের সহায়তা করা শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য। আধুনিক তথ্যকেন্দ্রিক ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থায় বিষয়ের উপর অত্যাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়। যার ফলে শিক্ষার্থীদের বৌদ্ধিক সম্ভব হয়েছে। তবে দৈহিক, প্রাক্ষোভিক, সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক বিকাশ ইত্যাদি ব্যক্তিত্বের অন্যান্য দিকগুলি উপেক্ষিত হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীর মধ্যে বাঞ্ছিত দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ, অভ্যাস, আগ্রহ ইত্যাদি যথাযথভাবে গড়ে উঠতে পারছে না। তাই--            বর্তমানে আমাদের দেশে ব্যাপক সামাজিক পরিবর্তন ঘটার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন সব দক্ষতা ও মূল্যবোধ গঠন করতে হবে যার সাহায্যে ভবিষ্যতের পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে সার্থক অভিযোজন সক্ষম হয়। শুধু তাই নয়, উৎপাদনশীল দায়িত্ববান নাগরিক পরিণত হতে পারে সে দিকে আমাদের নজর দিতে হবে।তবে--             বর্তমান ভারতের গণতান্ত্রিক, সমাজবাদ, ধর্মনিরপেক্ষ, জাতীয় সংহতি নীতির প্রতি শিক্ষা ব্যবস্থা যথাযথ গুরুত্ব আরোপ করবে। আর সেই সাথে শিক্ষার্থীর মধ্যে এমন মূল্যবোধ গড়ে তুলতে হবে যাতে সমতা, ন্যায়বিচ

মূল্যবোধের সংজ্ঞা দাও। মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। (EducationB.A first semester, NEP, West Bengal State University)

 মূল্যবোধের সংজ্ঞা দাও। মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। (EducationB.A first semester, NEP, West Bengal State University) মূল্যবোধঃ-           আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, সংকীর্ণ এবং ব্যাপক অর্থে মূল্যবোধ শব্দটির ব্যবহার করা হয়। আর সেখানে সংকীর্ণ অর্থে কোন বস্তুর বিনিময় মূল্যকে আমরা মূল্য বলে থাকি। আর ব্যাপক অর্থে মানুষের আচরণধারা যেসব উপদানের সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় সেটাই মূল্যবোধ। তবে-              আধুনিককালে বিভিন্ন দার্শনিক ও শিক্ষাবিদদের মধ্যে মূল্যবোধের বিষয়টি নিয়ে বেশ মতবিরোধ আছে। তবে মতবিরোধ যাই থাকুক না কেন, আধুনিক শিক্ষাবিদদের মতে-         ব্যক্তিজীবনের বহুমুখী বিকাশই শিক্ষার উদ্দেশ্যে। আর এই বহুমুখী বিকাশের ফলে ব্যক্তি আদর্শ জীবনের অধিকারী হয়ে গড়ে ওঠে। ব্যক্তির এই আদর্শ জীবন তিনটি মাত্রা বা তলের সমন্বয়ে গঠিত। আর সেই তিনটি মাত্রা বা তল হল--                    ১)আত্মনির্ধারণ।                   ২) আত্মোপলব্ধি।                     ৩)আত্মসমন্বয়।             এই তিন মাত্রার মধ্য দিয়ে ব্যক্তি তার জীবনাদর্শকে বেছে নেয়। আধুনিক বস্তুবাদী দার্শনিকদের মতে এই তিনটি মাত্রার জাগর

নৈতিক ও অনৈতিক ক্রিয়ার পার্থক্য লেখো। (দর্শন বি.এ চতুর্থ সেমিস্টার ২০২৪

 নৈতিক ও অনৈতিক ক্রিয়ার পার্থক্য লেখো। (দর্শন বি.এ চতুর্থ সেমিস্টার ২০২৪) ভূমিকাঃ-           নীতিবিদ্যায় আমরা ক্রিয়া বা কাজের ভালো-মন্দ বিচার করে থাকি। আর সেখানে কাজ বা ক্রিয়া বলতে আমরা এমন এক শক্তিকে বুঝে থাকি যার ব্যবহার দ্বারা পরিবর্তন ঘটানো যায়। নীতি বিদ্যায় কাজ প্রক্রিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়--                       ১) নৈতিক ক্রিয়া।                      ২)অনৈতিক ক্রিয়া।      নীতিবিদ্যায় বলা হয়, যে ক্রিয়ার নৈতিক গুণ আছে অর্থাৎ যে ক্রিয়ার ভালো-মন্দ, ন্যায় অন্যায়, উচিত অনুচিত প্রভৃতি বিচার করা সম্ভব হয় সেই ক্রিয়াই হল নৈতিক ক্রিয়া।                   আর যে ক্রিয়ার নৈতিক গুণ নেই অর্থাৎ নৈতিক বিচার করার যায় না সেই ক্রিয়া হলো অনৈতিক ক্রিয়া। এবার এখন আমরা দেখে নেবো এই দুই ধরনের ক্রিয়ার মধ্যে প্রধান পার্থক্য গুলি কি কি? প্রথমতঃ-নৈতিক কাজ বলতে আমরা বুঝি যেসব কাজের ভালো-মন্দ বিচার করা সম্ভব হয়। কিন্তু --               অনৈতিক কাজ বলতে আমরা বুঝি, যার ভালো-মন্দ, ন্যায় অন্যায় বিচার করা সম্ভব নয় সেই কাজকে। দ্বিতীয়তঃ- নৈতিক কাজ বলতে আমরা বুঝি সেই সব কাজ,যা সমাজে বসবাসকা