Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2024

তৃতীয় সেমিস্টারের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 তৃতীয় সেমিস্টারের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ কতগুলি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (২১/২০২৩-২৪) ১) সরকারের সংজ্ঞা দাও।             উত্তর - সরকার হলো কোনো দেশের সর্বোচ্চ সংস্থা ও কর্তৃপক্ষ, যার মাধ্যমে দেশটির শাসন কার্য পরিচালিত হয়। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকার জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি যেমন সংসদ সদস্যদের দ্বারা গঠিত হয়। অর্থাৎ জনগনের দ্বারা জনগনের জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে যারা দেশ পরিচালনা করে তাদেরকেই সরকার বলে। ২) তুলনামূলক রাজনীতির দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।            উত্তর -তুলনামূলক রাজনীতি হল বিশ্বের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যবস্থার পদ্ধতিগত অধ্যয়ন এবং তুলনা। কেননা এখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যবস্থার মিল বা পার্থক্য রয়েছে এবং কীভাবে তাদের মধ্যে উন্নয়নমূলক পরিবর্তন এসেছে তা ব্যাখ্যা করার জন্য এটি তুলনামূলক। ৩) পুঁজিবাদের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো। উত্তর - ১) কেন্দ্রীভূত ব্যক্তিগত মালিকানা:          পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় উৎপাদনের উপাদানসমূহের মালিকানা কেন্দ্রীভূত থাকে পুঁজিপতিদের হাতে। শ্রমিক-শ্রেণী উৎপাদনের সকল প্রকার উপাদানের মালিকানা থেকে বঞ্চিত থাকে।  ২) (৫) মুনাফার জন্য উৎপাদন:         

বৈষ্ণব কবিতা কী গীতি কবিতা? গীতি কবিতার সংজ্ঞা দিয়ে আলোচনা করো। অথবা- গীতি কবিতা হিসেবে বৈষ্ণব পদাবলীর সার্থকতা আলোচনা করো।

           বৈষ্ণব কবিতা কী গীতি কবিতা? গীতি কবিতার সংজ্ঞা দিয়ে আলোচনা করো। অথবা-গীতি কবিতা হিসেবে বৈষ্ণব পদাবলীর সার্থকতা আলোচনা করো।             বৈষ্ণব পদাবলী গীতি কবিতা কিনা বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যে এবিষয়ে বেশ বিতর্ক আছে । তবে বিতর্ক থাকলেও বৈষ্ণব পদাবলীর গীতি ধর্মবিষয়ক এ বিষয়ে কোন সন্দেহে নেই। যেটি বাঙালি মানসে যে গীতি প্রবণতার সুর চর্যাপদের যুগ থেকে আরম্ভ করে সাহিত্য ধারায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রবাহিত হয়ে আসছিল। বৈক্ষ্ণব পদাবলীতে সেই প্রবাহ উত্তাল কলরোলে পরিণত হল।বৈক্ষ্ণব পদাবলীর গীতি কাব্যিক লক্ষণ বিচারের গীতি কবিতা হলো-                 গীতি কবিতা বা লিরিকের উদ্ভব গেয় কবিতা হিসাবে। প্রাচীনকালে Lyre নামে একপ্রকার বাদ্যযন্ত্রের সাথে গীত কবিতাকে গীতি কবিতা বলা হত। সেই হিসাবে প্রাচীন Ballad এমনকি মহাকাব্যের গীতিকবিতা বলা যায়। এই নিরিখে বৈষ্ণব পদাবলী অবশ্যই গীতি কবিতা। কারণ--            গীতি কবিতা মূলত গান হিসাবে জন্ম হয়েছিল। সুনির্দিষ্ট রাগ রাগিনীর সাহায্যে গীত বৈষ্মব পদের আবেদন ও ব্যঞ্জনা স্রোতকে এক রহস্যময়তার আবেশ ভরা মাধুর্যের জগতে নিয়ে যায়। প্রতিটি বৈষ্ণব পদের প্রারম

শ্রীমন্তের টোপর কবিতাটির কবি কে? কবিতাটি কোন কাব্য থেকে গ্রহণ করা হয়েছে? কবিতাটির ভাববস্তু বা বিষয়বস্তু নিজের ভাষায় লেখো।

 প্রশ্ন:   শ্রীমন্তের টোপর কবিতাটির কবি কে? কবিতাটি কোন কাব্য থেকে গ্রহণ করা হয়েছে? কবিতাটির বিষয়বস্তু বা ভাববস্তু নিজের ভাষায় লেখো।                শ্রীমন্তের টোপর কবিতাটির কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত।           শ্রীমন্তের টোপর কবিতাটি কবি মধুসূদন দত্ত 'চন্ডীমঙ্গল' কাব্যের একটি ছোট্ট কাহিনী নিয়ে রচনা করেছেন।              আলোচনা শুরুতেই আমরা বলতে পারি যে, কবি মধুসূদন দত্ত চন্ডীমঙ্গল কাব্যের বণিক খন্ডের একটি কাহিনী নিয়ে রচনা করেছেন শ্রীমন্তের টোপর কবিতাটি। আর এই কবিতাটি ১৪ চরণের লেখা একটি সনেট জাতীয় কবিতা বা রচনা। তবে আমরা বলতে পারি কবি চন্ডীমঙ্গলের কাহিনী নিয়ে কবিতাটি রচনা করলেও এই কাহিনীর সাথে বেশ কিছু অংশ তিনি সংযোজন করেছেন। আর সেই সংযোজনের মধ্য দিয়ে কবি নিজস্ব প্রকাশ ভাবনা, সেই সাথে অলংকার ব্যবহারে কবিতাটি মনোগ্রাহী এবং সর্বজনীন করে তুলেছেন। যেখানে---        চন্ডীমঙ্গল কাব্যের কাহিনীতে আমরা দেখতে পাই দেবীর চন্ডীকে পুজো করে খুল্লনা মায়ের কৃপায় একটি টোপর উপহার পেয়েছিলেন। আর এই টোপরটি ছিল বহু মূল্যবান। বলা যায় যার দাম ছিল লক্ষাধিক টাকা বা তারও বেশি। কিন্তু শ্রীমন্ত যখন স

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের পরিচয় দাও । অথবা শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের কাব্য কাহিনী সংক্ষেপে লেখো।

 শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের পরিচয় দাও। অথবা শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের কাহিনীটি সংক্ষেপে লেখো।                   আলোচনার শুরুতেই আমরা বলতে পারি যে, মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হল 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'। আর এই শ্রীকৃষ্ণকীর্তন পুঁথিটি ১৯১৬ (১৩১৬ বঙ্গাব্দ) খ্রিস্টাব্দে বসন্ত রঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ বাঁকুড়া জেলার কামিল্যা গ্রাম থেকে আবিষ্কার করেন। গ্রন্থটি আবিষ্কারের পর থেকেই বাংলা সাহিত্যের দেখা দেয় কাব্যটিকে নিয়ে নানান সমস্যা ও বিতর্ক। বিতর্ক যাইই থাকুক কেন,১৩২৩ বঙ্গাব্দে বসন্ত রঞ্জনের সম্পাদনায় গ্রন্থটি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশিত হয়। তবে--             এখানে উল্লেখ্য যে, পুঁথিটির মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য চিরকুট পাওয়া যায় । আর সেই চিরকুট লেখা ছিল শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ এই নামটি। কিন্তু এই শ্রীকৃষ্ণকীর্তন নামটি এতটাই জনপ্রিয় এবং প্রচলিত হয়ে যায় যে এই শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামটি কোন এক অজানা অন্তরালে হারিয়ে যায়। কেবলমাত্র শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের ক্ষেত্রে নয়, মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যে আসল নাম হারিয়ে যাওয়ার অনেক ঘটনা এর আগেও দেখা গেছে। যেখানে--                 আমরা জানি

শিক্ষার সামাজিক সংস্থা রূপে পরিবারের ভূমিকা বা কার্যাবলী আলোচনা কর।

 শিক্ষার সামাজিক সংস্থা রূপে পরিবারের ভূমিকা বা কার্যাবলী আলোচনা কর। ভূমিকা-        আমরা জানি শিশুর মানসিক প্রথম বিকাশ ঘটে পরিবার থেকেই। সেই কারণে শিশুর শিক্ষার ক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা অনস্বীকার্য।শুধূ তাই নয়, পরিবার থেকেই শিশুর সামাজিক শিক্ষা শুরু হয় । তাই শিশুর শিক্ষায় পরিবারের কিছু কাজ বা ভূমিকা আছে। তাই পরিবার হলো সভ্যতার অন্যতম প্রাচীন সংগঠন বা সংস্থা। পরিবারে মাধ্যমেই শিশুর সুষ্ঠু সামাজিকীকরণ সম্পন্ন হয়ে থাকে এবং সমাজে একজন পূর্ণাঙ্গ মানব হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। আর সেখানে পরিবারের ভূমিকা হলো--- ১)সামাজিক আচরণ শিক্ষায় পরিবার।           পরিবারই প্রথম শিশুর আচরণের সামাজিক শিক্ষা দিয়ে থাকে। তবে কোন শিশু সেই আচার-আচরণ শিখে ভূমিষ্ঠ হয় না। কিন্তু সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মধ্যে থেকে শিশু যাবতীয় আচরণ শিখে নেয়। বলা যায় শিশুর সামাজিক আচরণ শিক্ষার প্রথম স্তরের বিদ্যালয় হল পরিবার। ২)সুঅভ্যাস গঠনে পরিবার।           আমরা জানি পরিবারই বিভিন্ন ধরনের সুঅভ্যাস শিশুকে শিখিয়ে দেয়। কারণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ, বিশেষ করে খাদ্য গ্রহণ, নির্দি

বাংলা গদ্য সাহিত্যের ইতিহাসে সবুজপত্রের ভূমিকা ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ- আলোচনা করো।

বাংলা গদ্য সাহিত্যের ইতিহাসে সবুজপত্রের ভূমিকা ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ- আলোচনা করো।         আমরা জানি ১৯১৪ সালে তৎকালীন বাংলাদেশে যে পত্রিকাটি ভূমিষ্ঠ হয়েছিল সেটি হলো সবুজপত্র ।যার প্রচ্ছদ ছিল সম্পূর্ণ সবুজ। আর এই পত্রিকাটি বাংলা তথা ভারতবর্ষ শুধু নয়, সমগ্র বিশ্বের ইতিহাসেই এক গভীর সংকটকালের মধ্যে আবির্ভাব হয়। ইউরােপের অতৃপ্ত জাতীয়তাবাদী দেশগুলি নিজ নিজ অস্তিত্বরক্ষার তাগিদেই ক্রমশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তিতে পরিণত হয়ে উঠেছিল। আর ঠিক তখন -          পুঁজি ও বাজার সংগ্রহের অশুভ প্রতিযােগিতা ক্রমশ ইউরােপীয় দেশগুলিকে ঠেলে দিল মানব-সভ্যতার চরম বিপর্যয়ের মুখে । প্রথম মহাযুদ্ধের দিকে। প্রত্যক্ষভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা ঘটে ১৯১৪-র জুলাইতে। এই যুদ্ধে ইংল্যাণ্ড অতর্কিত ভাবে জড়িয়ে পড়ে । স্বভাবতই প্রত্যক্ষভাবে না হলেও ইংল্যাণ্ডের উপনিবেশ ভারতীয় উপমহাদেশের অর্থনীতি রাজনীতি-সংস্কৃতিতে ছড়িয়ে পড়ে মহাযুদ্ধের অশুভ কালাে ছায়া। তবে--          রবীন্দ্রনাথ এর আগেই ইউরােপ-আমেরিকা ভ্রমণকালে‘গীতাঞ্জলী’র বাণী ও ভারতীয় অধ্যাত্মবাদের বার্তা পৌছে দিয়ে এসেছেন। ১৯১8-তেই ইউরােপ-ভ্রমণ সেরে এসে রবীন্দ্রনা

শিক্ষার সামাজিক সংস্থা বলতে কী বোঝো? সামাজিক গোষ্ঠীর প্রকারভেদ গুলি উদাহরণসহ আলোচনা কর।

 সামাজিক সংস্থা বলতে কি বোঝ?            শিক্ষার সামাজিক সংস্থা হল এমন এক সমাজস্থ স্থান যেখান থেকে বিশেষ কোন বিষয়ে সমাজে বসবাসকারী মানুষকে সেবা দান করা হয়। আর সেবাদানের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো সামাজিক সংস্থা। আর--         এই ধরনের সামাজিক সংস্থাগুলি ব্যক্তির বিশেষ বিশেষ সামাজিক ও কৃষ্টিমূলক আকাঙ্ক্ষা পূরণের চেষ্টা করে থাকে। যার মধ্য দিয়ে ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং তার অন্তর্নিহিত সৃজনাত্মক ক্ষমতার বিকাশ ঘটে। এছাড়াও  এই সংস্থা গুলির মাধ্যমে সদস্যদের আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রিত হয়। সামাজিক সংস্থার শ্রেণীবিভাগ:-           সামাজিক সংস্থা ব্যক্তিকে সমাজের কার্যকরী ও বাঞ্ছিত সদস্য হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করে থাকে। তবে বর্তমানে আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সংস্থা আছে। আর সেই সকল সংস্থাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংস্থাগুলি হল- পরিবার, বিদ্যালয়, ক্লাব, ধর্মীয় সংস্থা, ক্রিড়া সংস্থা প্রভৃতি। সামাজিক গোষ্ঠীর শ্রেণীভাগ বা প্রকারভেদ গুলি উদাহরণসহ আলোচনা কর। উত্তর - গোষ্ঠীর সদস্যদের পারস্পরিক সম্পর্কের মাত্রা ও প্রকৃতি, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য, সংগঠনের রূপরেখা এবং গোষ্ঠীর স্থায়িত্বের উপর ভিত্

সামাজিক পরিবর্তন কাকে বলে? সামাজিক পরিবর্তনের প্রকারভেদ।শিক্ষায় সামাজিক পরিবর্তনের ভূমিকা লেখো।

  সামাজিক পরিবর্তন কাকে বলে?       উত্তর -আমরা জানি যে-সমাজবিজ্ঞানের একটি আলোচ্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সামাজিক পরিবর্তন। আর এই মানব সমাজ  সর্বদা পরিবর্তনশীল। মে পরিবর্তন প্রাচীন যুগ থেকে শুরু করে আধুনিক যুগ পর্যন্ত পরিলক্ষিত।আর--             সমাজ পরিবর্তনশীল বলেই আদিম সমাজ থেকে ক্রমবিকাশের ধারায় আমাদের বর্তমান বা আধুনিক সত্য অবস্থার উত্তরণ ঘটেছে। তবে সমাজ কোন বস্তু নয়, সমাজ হলো মানুষের পারস্পরিক এক সম্পর্কের বেড়াজাল। আর সেই সম্পর্কের মধ্যে দেখা যায় গতিশীলতা ও পরিবর্তন মানুষের আন্ত:মানবিক সম্পর্কের মধ্যে যে গতিশীলতা পরিলক্ষিত হয় তাই আসলে সামাজিক পরিবর্তন। © সামাজিক পরিবর্তনের প্রকারভেদ বা শ্রেণীবিভাগ বা ধরন আলোচনা করো। উত্তর - সামাজিক পরিবর্তন বলতে কিছু পরিবর্তিত ক্রিয়া-কলাপকে বোঝায়, যেগুলি সামগ্রিকভাবে সমাজের রূপ ও পরিকাঠামোর মধ্যে পরিবর্তন আনে। সামাজিক পরিবর্তনকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়-     ১) রৈখিক পরিবর্তন।      ২) বৃত্তাকার আবর্তনমূলক পরিবর্তন। ১) রৈখিক পরিবর্তন:- কোন না কোনভাবে সমাজ, ইতিহাসের বহু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন সূচিত করে। যেমন জ্ঞানের প্রসার, উৎপাদন শক্তির বিকাশ, সমাজে

সর্বশিক্ষা অভিযানে বিদ্যালয়ের ভূমিকা লেখো।

 আমরা জানি বিদ্যালয়ের প্রধান হলেন প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা। তাকে শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী, পরিচালক মণ্ডলী, শিক্ষাকর্মচারী সকলের সাহায্যে বিদ্যালয় পরিচালনা করতে হয়।             তাই সর্বশিক্ষা অভিযানে শিক্ষার্থীদের প্রতি বিদ্যালয়ের ভূমিকা বলতে বোঝায় প্রধান শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষিকা, সহ-শিক্ষক বা সহ-শিক্ষিকা, পরিচালকমণ্ডলী, শিক্ষাকর্মচারী এদের সকলের মিলিত কার্যকলাপ। আর এই কার্যকলাপে সর্বশিক্ষা অভিযানে বিদ্যালয়ের ভূমিকা হলো-- (১) বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সব ছেলেমেয়ে বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার যোগ্য কিনা ত খতিয়ে দেখা। (২) বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যার অনুপাতে পরিকাঠামোগত কী কী অসুবিধা আছে তা দেখা। (৩) শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ আনন্দদায়ক কি না। (৪) কোন ক্লাসে অসফল শিক্ষার্থীর সংখ্যা নির্ণয় করা। (৫) বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের সকলে ন্যূনতম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া সম্পূর্ণ করছে কি না তার দেখা। (৬) কোন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় পরইত্যআগ করার প্রবণতা বেশি। (৭) শিখন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে অংশগ্রহণ করছে কি না বিষয়টির প্রতি দৃষ্টিপাত করা। (৮) ক্লাসরুমে শি

তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস ছোট প্রশ্নোত্তর।

 ১) কুতুবউদ্দিন আইবক কে ছিলেন? উত্তর-কুতুবউদ্দিন আইবক গজনীর সুলতান মহম্মদ ঘুরির দাস ও সেনাপতি ছিলেন। তিনি দিল্লীর প্রথম তুর্কি সুলতান ছিলেন। তাঁর শাসনের শুরুর সাথে ভারতের এক নতুন যুগের সূচনা হয়। ২) নব্য মুসলমান কারা ছিলেন? কে তাদের দমন করেছিলেন? উত্তর - জালাল উদ্দিন ফিরোজ খিলজির আমলে হলান্ড বা আব্দুল্লা খানের নেতৃত্বে মোঘল আক্রমণ সংঘটিত হয় । তার আক্রমণ জালাল উদ্দিন কর্তৃক প্রতিহত হয় । সেই সময় কিছু বন্দি মঙ্গল জালাল উদ্দিনের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে । ধর্মান্তরিত হতে হবে এই শর্তে জালাল উদ্দিন তাদের আবেদনের সাড়া দেন। তারা এতে সম্মত হয় ।এই ধর্মান্তরিত মোঙ্গলেরা নব্য মুসলমান নামে পরিচিত। নব্য মুসলমানরা আলাউদ্দিনকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করলে সেই আলাউদ্দিন এর আদেশে একদিনে ৩০ হাজার নব্য মুসলমানকে হত্যা করে অর্থাৎ আলাউদ্দিন নব্য মুসলমানদের দমন করে। ৩) মালিক কাফুর দ্বারা বিজিত দাক্ষিণাত্যের দুটি রাজ্যের নাম করো। উত্তর - মালিক কাফুর ছিলেন সুলতান আলাউদ্দিনের একজন দক্ষ সেনাপতি । তাঁর দ্বারা দক্ষিণ ভারতের বিজিত রাজ্য দুটি হল দেবগিরি এবং বরঙ্গল। ৪) পাইবস ও সিজদা কি? উত্তর - পাইবস হল সম্রাটের প

'কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি' কাব্যাংশের রচনধর্মী প্রশ্ন।

 ১) কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতায় কি দেখে প্রজাদের প্রলয় মনে হয়েছিল? সেই প্রলয়ের ফলে কি হয়েছিল আলোচনা করো। ২) সাত দিন ঝড় বৃষ্টিতে কলিঙ্গবাসীর জীবনে কি প্রভাব পড়েছিল আলোচনা করো। ৩) কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতায় একটা সময় কেউ কারোর শরীর দেখতে পাচ্ছিল না কেন? আলোচনা করো। ৪) কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কাব্যাংশ যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ছবি ধরা পড়েছে তা নিজের ভাষায় লেখো।

উনিশ শতকের কাব্য রচনায় রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় এর কবি কৃতিত্ব লেখো।

 উনবিংশ শতকের মধ্যভাগে বাংলা কাব্য জগতে ঈশ্বর গুপ্ত ও মধুসূদনের মধ্যে যার আবির্ভাব হয়েছিল তিনি হলেন কবি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি কবি ঈশ্বর গুপ্তের 'সংবাদ প্রভাকার' পত্রিকায় প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন কবি হিসেবে। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে আবদ্ধ বাংলা কাব্যে ঐতিহাসিক কাব্যের সূত্রপাত করলেন । তাই সুকুমার সেন বলেন-         "ইংরেজি কাহিনী কাব্যের রোমান্স রসের যোগান দিয়া রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় নবযুগের দিকে বাংলা সাহিত্যের মুখ ফিরাইলেন।"                    ঈশ্বর গুপ্তের শিষ্য রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম জীবনের কবি গানের বাঁধনদার হয়েও পাশ্চাত্য শিক্ষা ও ভাবধারায় ধাবিত হয়ে আধুনিক বাংলা কাব্যে নতুন সুরের প্রবর্তন করেন। বাংলা কাব্যের পুরাতন রীতি তিনি অনুসরণ করেছিলেন ঠিকই কিন্তু ঐতিহাসিক কাহিনী মধ্যে দিয়ে স্বদেশ প্রেমের আবেগকে তিনি বাংলা কাব্যের সঞ্চার করে দিলেন। তাঁর কাব্য রচনা মূল প্রেরণা দেশাত্মবোধ। উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে পরাধীনতার গ্লানিকে কেন্দ্র করে যে দেশাত্মবোধের উদ্বোধন ঘটে রঙ্গলাল সেই যুগধর্মকে তাঁর কাব্যে রূপ দিয়েছেন। শুধু তাই নয় স্বদে

"ওরে নবমী নিশি না হইও রে অবসান । শুনেছি দারুন তুমি না রাখো সতের মান।।" পদকর্তা কে? কে কাকে এই কথাটি বলেছে? উদ্ধৃতির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করুন।

 উত্তর - আলোচ্য অংশটির পদকর্তা হলেন শাক্তবলীকার কমলাকান্ত ভট্টাচার্য। পদটি "বিজয়া" পর্যায়ের পদ।          মা মেনকা নববীর নিশির কাছে এই প্রার্থনা করেছেন যে- নবমী নিশি যেন কোন মতেই আজ অতিবাহিত না হয়। কারণ দশমীর ভোর হলেই জামাই শিব দ্বারে এসে উপস্থিত হবেন ।অতঃপর তার প্রাণের প্রিয় উমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠবে ।আর এই কথা ভেবেই জননী মেনকার মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছে।         তবে এখানে মেনকার এই প্রার্থনা কখনোই বাস্তবায়িত হতে পারে না। কেননা দিনের শেষে তেমন সন্ধ্যা নেমে আসে,রাতের শেষে তেমন হবেই সূর্য উদয় হবেই। এটাই কালের স্বাভাবিক নিয়ম। তবুও মায়ের মন মানে না। আর সেই কারণেই নবমী রাত যাতে অতিবাহিত না হয় এমন প্রার্থনা মা মেনকা করছেন ।আসলে এই অভিব্যক্তির মধ্যে দিয়ে জননীর মনের যন্ত্রণা প্রকাশিত হয়েছে এবং সেই সাথে মা মেনকা নবমী নিশিকে তিরস্কার করেছেন। কারণ--              নবমীর রাত শেষ হলেই বিসর্জনের বাজনা আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে উঠবে। আর তখনই জননীর মন যন্ত্রণা পৃথিবীর সমস্ত জননীর হৃদয়কে স্পর্শ করে যায়।  তার ফলস্বরূপ তিনি নবমী নিশির দরবারে এমন আবেদন করেছেন-     "

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি/মুকুন্দ চক্রবর্তী/নবম শ্রেণি

          দেবরাজ ইন্দ্র চার মেঘকে আদেশ করলেন যে কলিঙ্গদেশে গিয়ে ঝড়-বৃষ্টির মাধ্যমে তারা যেন ভয়ংকর প্রলয় কাণ্ড ঘটায়। দেবরাজ ইন্দ্রের কথামতো হলােও তাই। আকাশ ঘন মেঘে আচ্ছন্ন। অন্ধকারে কেউ নিজের শরীরও দেখতে পাচ্ছে না। ঘনঘন বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। অপরদিকে ঈশানে মেঘ উড়ছে। উত্তরদিকে মেঘ ডাকছে। কলিঙ্গদেশের আকাশে মেঘ উড়ে এসে উচ্চনাদে গর্জন শুরু করেছে। আসন্ন প্রলয়ের প্রমাদ গণে কলিঙ্গ প্রজারা বিষাদমগ্ন এবং সকলেই ভয়ে তটস্থ।               আকাশজুড়ে দেবরাজ আদিষ্ট চারি মেঘের সম্মেলন ও বর্ষণ। হুড়হুড় দুড়দুড় শব্দে ঝড় বইছে। কলিঙ্গদেশের মানুষ বিপদ বুঝে ঘর ছেড়ে পালাচ্ছে। সবুজ ঘাস, গাছ ও মাঠের শস্য ধুলােয় ঢাকা পড়ছে। ঝড়ে উলটে-পড়া শস্য দেখে প্রজারা মর্মাহত হয়ে চমকে উঠছে। চারি মেঘের বাহক হয়ে আট দিগহস্তী জল বর্ষণ করছে। ব্যাং-এর মতন থেকে থেকে তােক করে লাফিয়ে লাফিয়ে বাজ পড়ছে। মেঘগর্জনে কেউ কারও কথা শুনতে পাচ্ছে না। বৃষ্টির বিরাম নেই। সাতদিন একনাগাড়ে অবিরাম বৃষ্টি ঝরছে। বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের ও বজ্রপাতের আওয়াজ শোনা যায় হুড়হুড় দুড়দুড় ঝনঝনিয়ে। বৃষ্টির সঙ্গে শিলও পড়ছে ভাদ্র মাসের পাকা তালের মত

অনুমিতি ও অনুমান কাকে বলে? এই প্রসঙ্গে স্বার্থানুমিতি ও পরার্থানুমিতি মধ্যে প্রভেদ গুলি লেখো।

 অনুমিতি-     ভারতীয় দর্শনে যথার্থ জ্ঞান লাভের উপায় কে প্রমাণ বলা হয়। আর ন্যায় দর্শনে ৪ প্রকার প্রমাণ স্বীকার করা হয়। সেই প্রমাণগুলি হলো প্রত্যক্ষ অনুমান উপমান এবং শব্দ।             আসলে অনুমান শব্দটি অনু এবং মান এই দুটি শব্দ সমন্বয়ে গঠিত। এখানে অনু শব্দের অর্থ প্রস্রাব অনু শব্দের অর্থ পশ্চাৎ এবং মান শব্দের অর্থ জ্ঞান। অর্থাৎ অনুমান শব্দের অর্থ হলো পশ্চাৎ জ্ঞান। এই জ্ঞান অন্য জ্ঞানের পরে আসে। তাই ভারতীয় দর্শনে অনুমান বলতে যথার্থ জ্ঞান লাভের উপায় কে বোঝায়।আর এই অনুমানের মাধ্যমে আমরা যে জ্ঞান লাভ করি, সেই জ্ঞানকে বলা হয় অনুমিতি। অনুমান -         অনুমান হলো এমন এক প্রকার মানসিক প্রক্রিয়া যার সাহায্যে জ্ঞাত বিষয়ের উপর অজ্ঞাত বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায়। আসলে কোন এক বিষয়ের প্রত্যক্ষ জ্ঞানের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ জ্ঞান নেই এমন এক বিষয়ের জ্ঞান লাভের উপায়কে বলা হয় অনুমান। অর্থাৎ-             অনুমানের ক্ষেত্রে আমরা জ্ঞাতশত্র থেকে অজ্ঞাত সত্যে উপনীত হই। তাই অনুমিতির করণকে বলা হয় অনুমান। স্বার্থানুমিতি-             যখন কোন ব্যক্তি নিজের জ্ঞান লাভের জন্য অনুমান করেন তখন তাকে বলা