Skip to main content

Posts

Showing posts from March, 2024

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ কারণগুলি আলোচনা করো।

 দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ কারণগুলি আলোচনা করো। ভূমিকাঃ-          দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণসমূহের মধ্যে অন্যতম কারণ হলো ১৯৩৩ সালে আডলফ হিটলার ও তার নাৎসি বাহিনীর জার্মানির রাজনৈতিক অধিগ্রহণ এবং এর আগ্রাসী বৈদেশিক নীতি। অতঃপর আর একটি কারণ ছিল ১৯২০-এর দশকের ইতালীয় ফ্যাসিবাদ এবং ১৯৩০-এর দশকে জাপান সাম্রাজ্যের চীন প্রজাতন্ত্রের আক্রমণ। তবে-               প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার ২০ বছরের ব্যবধানে ১৯৩৯ খ্রি: ৩ রা ডিসেম্বর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয়।প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর রাষ্ট্রনেতাগন জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বকে ভয়াবহ যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রয়াসী হয়েছিলেন ।কিন্তু তা সত্বেও বিভিন্ন কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমি রচিত হয়েছিল। আর সেই কারণগুলি হলো-             দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরোক্ষ কারণঃ (১) ভার্সাই সন্ধির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়াঃ-         ১৯১৯ খ্রি:ভার্সাই সন্ধিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারন হিসাবে চিহ্নিত করা হয় ।বিজয়ী মিত্রপক্ষ জার্মানির উপর অপমানজনক এই ভার্সাই সন্ধির শর্ত চাপিয়ে দিয়েছিল।যে সন্ধি আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জার্মান জাতির পক্ষে মেনে ন

ফ্রয়েবেলের মতে উপহার(Gifts )এবং কাজ/বৃত্তি (Occupation) এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। (B.A.First Semester NEP Education Syllabus)

 ফ্রয়েবেলের মতে উপহার(Gifts )এবং কাজ/বৃত্তি (Occupation) এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। (B.A.First Semester NEP Education Syllabus) ভুমিকাঃ-        ফ্রয়েবেল তাঁর কিন্ডারগার্ডেন পদ্ধতিতে শিশুদের আত্মসক্রিতার নীতিকে পরিপূর্ণভাবে প্রয়োগ করেছেন। শুধু তাই নয়, শিশুরা যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে তার ব্যবস্থা এই পদ্ধতিতে রাখা হয়েছে। যার ফলে শিশুরা ক্রীড়া প্রবণতাকে সামনে রেখে জীবনের প্রয়োজনীয় সব কৌশল, দক্ষতা ও অভ্যাসগুলি অর্জন করতে পারে। শিশুর এই ক্রিয়া প্রবণতাকে কাজে লাগানোর জন্য ফ্রয়েবেল কতকগুলি শিক্ষামূলক উপকরণ ব্যবহার করেছেন। আর সেই উপকরণ গুলিকে কিন্ডার গার্ডেন পদ্ধতিতে বলা হয় উপহার(Gifts) এবং কাজ/বৃত্তি(Occupation)। ১) উপহার (Gifts):-           ফ্রয়েবেল উপহারের উপকরণগুলির মাধ্যমে জগতের নিয়মাবলীকে সাংকেতিকভাবে শিশুর কাছে পরিবেশন করতে চেয়েছেন। যার মধ্যে দিয়ে শিশুরা বাহ্য বস্তজগৎ সম্পর্কে বাস্তব ধারণা লাভ করে। সেই ধারণা লাভের জন্য তিনি ২০টি উপহারের কথা বলেন। তবে বর্তমানে কিন্ডারগার্ডেন বিদ্যালয়ে সাতটি উপহার ব্যবহার করা হয়।আর সেই ৭টি উপহার হল- প্রথম উপহার -      একটি বাক্সে ৬টি উল

অধিকার কাকে বলে? অধিকারের প্রকারভেদ/শ্রেণীবিভাগ আলোচনা করো।

 অধিকার কাকে বলে? অধিকারের প্রকারভেদ/শ্রেণীবিভাগ আলোচনা করো। অধিকারঃ-          অধিকার হলোএমন কতকগুলো মৌলিক সুযোগ-সুবিধা যা সবার জন্য আবশ্যক। আসলে অধিকার বলতে মানুষের আত্মবিকাশের জন্য সেই সকল সুযোগ-সুবিধা বা দাবিকে বোঝায়, যে দাবিসমূহের হয়তো নৈতিক না হয় আইনগত ভিত্তি রয়েছে। অধ্যাপক হ্যারন্ড জে লাঙ্কি র মতে-       "অধিকার হচ্ছে সমাজজীবনের সেসব অবস্থা যা  ব্যতীত মানুষ তার ব্যক্তিত্বের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হয় না।" (Rights are those conditions of social life without which no man can be at his best.)               আবার জাতিসংঘের ইউনেস্কো কমিটির মতে, ‘অধিকার হলো জীবনযাত্রার সেসব সুযোগ-সুবিধা, যা না থাকলে নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক স্তরে মানুষ সক্রিয় সদস্য হিসেবে সমাজের কল্যাণ সাধন করতে পারে না। কারণ ঐসব সুযোগের অভাবে নিজ সত্তার পূর্ণ বিকাশ আদৌ সম্ভব না। অধিকারকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়--                ১) নৈতিক অধিকার                ২)  আইনগত অধিকার । ১) নৈতিক অধিকার : যে অধিকার মানুষের নৈতিক অনুভূতির উপর নির্ভর করে এবং যেগুলো কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রক্ষিত হয় না এবং যা লঙ্ঘিত করলে

দোলযাত্রা বা হোলি উৎসরের ইতিবৃত্ত

 .        দোলযাত্রা বা হোলি উৎসবের ইতিবৃত্ত                        .     সমরেশ সরদার ।                আমরা জানি যে,দোলযাত্রা বা হোলি উৎসব হলো রঙের উৎসব। আর এই উৎসবটি বসন্তকালীন হওয়ায় নাম হয়েছে বসন্ত উৎসব। শুধু তাই নয়, এই বসন্ত উৎসবকে আমরা প্রেমের উৎসব, মিলনের উৎসব বলতেও পারি। এই প্রেক্ষিতে সনাতন হিন্দু ধর্মের একটি উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় উৎসব হলো হোলি উৎসব। তার প্রধান কারণ-              হিন্দুধর্মের অন্যতম এবং তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী, বৃন্দাবনে রাধা ও কৃষ্ণের দ্বারা হোলি খেলা উৎসব পালিত হয়েছিল। আবার এই দিনে ভগবান শ্রী শ্রী চৈতন্যদেব জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই চৈতন্যদেব গোটা বাংলায় মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দিয়েছিলেন প্রেমের অমোঘ বাণী। আবার এই দিনে হোলিকা দহনও করা হয় অর্থাৎ ন্যাড়া ঘর পোড়ানো হয়। যার উদ্দেশ্য যাবতীয় অশুভ শক্তির বিপরীতে শুভের জয় নিশ্চিত করা।            আমরা যদি ইতিহাসের পাতায় একটু নজর দিই তাহলে জানতে পারবো যে, এই হোলি উৎসব উদ্ভব হয়েছিল ভারতীয় উপমহাদেশে। অতঃপর সেখান থেকে দক্ষিণ এশীয় প্রবাসীদের মাধ্যমে এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে এবং পশ্চিমা বিশ্বের বেশ কিছু অংশেও ছড়িয়ে পড

সগুণ ও নির্গুণ ব্রহ্ম সম্পর্কে যা জানো আলোচনা কররো।অথবা শঙ্করের মতে নির্গুণ ব্রহ্মের স্বরূপ নির্দেশ করো। শঙ্করের নির্গুণ ব্রহ্ম ও সগুণ ব্রহ্মের মধ্যে পার্থক্য কী?

 সগুণ ও নির্গুণ ব্রহ্ম সম্পর্কে যা জানো আলোচনা কররো।অথবা শঙ্করের মতে নির্গুণ ব্রহ্মের স্বরূপ নির্দেশ করো। শঙ্করের নির্গুণ ব্রহ্ম ও সগুণ ব্রহ্মের মধ্যে পার্থক্য কী?     সগুণ ও নির্গুণ ব্রহ্মের স্বরূপঃ-               উপনিষদে ব্রহ্মের দুটি রূপের কথা বলা হয়েছে একটি সর্বোপাধিবিবর্জিত এবং অপরটি হল উপাধিবিশিষ্ট। এই উপনিষদে প্রথমটিকে পরব্রহ্ম এবং দ্বিতীয়টিকে অপর ব্রহ্মরূপে অভিহিত করা হয়েছে। আর সেখানে পরব্রহ্ম নির্গুন ব্রহ্ম এবং অপর ব্রহ্ম হল সগুণ ব্রহ্ম। তবে শংকর বেদান্তে ঈশ্বরকে অপরব্রহ্ম বা সগুণব্রহ্ম এবং নির্গুণ ব্রহ্মকে বলেন পরব্রহ্ম। সগুণ ব্রহ্ম জগতের স্রষ্টা, রক্ষক ও সংহারক। এই সগুণ ব্রহ্ম মায়া দ্বারা উপহিত। তবে নির্গুণ ব্রহ্মের সঠিক বর্ণনা দেওয়া অসম্ভব। আর এখানে শঙ্করের মতে নির্গুণ কথার অর্থ হলো-        যার কোন গুণ নেই, তিনি নির্গুণ। তার সম্পর্কে উপনিষদে বলা হয়েছে তিনি নিরংশ, নিষ্ক্রিয়, শান্ত, নির্দোষ এবং মালিন্যরহিত। সর্বোপাধিবর্জিত নির্গুন ব্রহ্ম চিন্তা ও বাক্যের অগোচর। শঙ্করের নির্গুণ ব্রহ্মকে শূন্য মনে করা ভুল হবে। তিনি প্রকৃতপক্ষে পূর্ণ -স্বরূপ ও ভাবপদার্থ। নির্গুন ব্রহ্ম অভ

রাসেলের শিক্ষার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য বা শিক্ষাভাবনা আলোচনা করো। (প্রথম সেমিস্টার, শিক্ষা বিজ্ঞান, মাইনর সিলেবাস)

 রাসেলের শিক্ষার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য বা শিক্ষাভাবনা আলোচনা করো। (প্রথম সেমিস্টার, শিক্ষা বিজ্ঞান, মাইনর সিলেবাস)       ভূমিকাঃ- আলোচনার শুরুতেই আমরা বলতে পারি যে, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রাসেল On Education: Especially on Early Childhood গ্ৰন্থে তাঁর শিক্ষাচিন্তার মূল বিষয়টি তুলে ধরেছেন। আবার সেখানে তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান কয়েকধরনের বিতর্কের কথা বলেছেন। যেমন-          একটি বিতর্ক হল- আলঙ্কারিক শিক্ষা বনাম প্রয়োজনীয় শিক্ষা। মোটা দাগে শিল্প-সাহিত্যকে রাসেল আলঙ্কারিক শিক্ষা বলে মনে করেন।অন্যদিকে বিজ্ঞান চেতনা সম্পন্ন শিক্ষাকে মনে করেন প্রয়োজনীয় শিক্ষা। পাশাপাশি তিনি উপযোগবাদিতার দিক থেকে বিজ্ঞানশিক্ষাকে গুরুত্ব দেন। তবে কল্পনা শক্তি বৃদ্ধিতে সাহিত্যের ভূমিকার কথাও অস্বীকার কখনও করেননি। তাই তাঁর ঝোঁক প্রয়োজনীয় শিক্ষার দিকে হলেও আলঙ্কারিক শিক্ষাকে তিনি একেবারে নাকচ করে দেননি। তিনি বলেন-          ”গণতন্ত্রবাদীরা সমাজকে একদিকে প্রয়জনীয় এবং অন্যদিকে আলঙ্কারিক বা অপ্রয়োজনীয় এ দু’ভাগে ভাগ করতে চান না।”         রাসেল শিশুদের শিক্ষার উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। তিনি শিশুদের শিক্ষার সময় তাদেরকে

চর্যাপদের কয়েকটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

 চর্যাপদের কয়েকটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর- ১) চর্যাপদের পুঁথি কে কবে কোথা থেকে আবিষ্কার ও প্রকাশ করেন? উত্তর - মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যাপদের পুঁথি আবিষ্কার করেন ১৯০৭খ্রিস্টাব্দে নেপালের রাজ দরবার থেকে। তিনি তালপাতায় লেখা এই পুঁথিটি সংগ্রহ করেন। এই পুঁথিটি ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশিত হয়। ২) চার্যার প্রথম পদকর্তা কে? তাঁর মোট গান কটি?  উত্তর - চর্যার প্রথম পদকর্তা হলেন কাহ্নপাদ। তাঁর মোট গান ২২টি। ৩) চর্যার পদকর্তা সংখ্যা কত জন? চর্যার পুঁথিতে কটি পথ পাওয়া গেছে? উত্তর - চর্যা পদকর্তার সংখ্যা ২৪ জন। চর্যাপুঁথিতে সাড়ে ৪৬ টি পদ পাওয়া গেছে। ৪) চর্যাপদের শ্রেষ্ঠ পদকর্তা নাম কি? উত্তর - চর্যাপদের শ্রেষ্ঠ পদকর্তা হলেন কাহ্নপাদ। ৫) চর্যাপদের পুঁথিটির প্রকৃত নাম কি? উত্তর - চর্যাপদের পুঁথিটির প্রকৃত নাম চর্যাচর্য্যবিনিশ্চয়। ৬) চর্যাপদের কোন ধর্ম মতের কথা বলা আছে? উত্তর -চর্যাপদে সহজিয়া ধর্মমতের কথা বলা আছে। ৭) চর্যাপদের আদি পদকর্তা কে? উত্তর -চর্যাপদের আদি পদকর্তা হলেন লুইপাদ। ৮) পঞ্চস্কন্ধ কি কি? উত্তর -পঞ্চ স্কন্ধ হলো-রূপ,বেদনা, সংজ্

ন্যায়দর্শন মতে লৌকিক এবং অলৌকিক প্রত্যক্ষ আলোচনা করো।

 প্রশ্নঃ ন্যায়মতে লৌকিক এবং অলৌকিক প্রত্যক্ষ আলোচনা করো। প্রত্যক্ষঃ ন্যায় মতে ইন্দ্রিয় বিষয় সন্নিকর্ষ থেকে যে জ্ঞান উৎপন্ন হয় তা যথার্থ। আর এরূপ জ্ঞানকে বলা হয় প্রত্যক্ষ। এই জ্ঞান দু''রকমের- সাক্ষাৎ এবং অসাক্ষাৎ।তবে সন্নিকর্ষের এই তারতম্য অনুসারে প্রত্যক্ষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়--        ১) লৌকিক প্রত্যক্ষ এবং          ২) অলৌকিক প্রত্যক্ষ। ১) লৌকিক প্রত্যক্ষঃ যখন বিষয়ের সাথে ইন্দ্রিয় সংযোগ হয় এবং সেই সংযোগের ফলে যে প্রত্যক্ষ হয় তাকেই লৌকিক প্রত্যক্ষ বলা হয়। লৌকিক প্রত্যক্ষ এর ক্ষেত্রে ইন্দ্রিয়ের সাথে বিষয়ের যে লৌকিক সন্নিকর্ষ ড়য় তা ৬ প্রকার- সংযোগ, সংযোগ সমবায়, সংযুক্ত সমবেত সমবায়, সমবায়, সমবেত সমবায় এবং বিশেষণ-বিশেষ্যভাব।তবে-         লৌকিক প্রত্যক্ষ আবার দুই প্রকার। বাহ্য প্রত্যক্ষ এবং মানস প্রত্যক্ষ। বাহ্যইন্দ্রিয় পাঁচটি-চক্ষু কর্ণ নাসিকা জ্বিহা এবং ত্বক। এই পাঁচটি ইন্দ্রের সাহায্যে যখন বাইরের জগতের কোন বিষয় বা বস্তুর সংযোগ স্থাপিত হয় তখন তাকে বাচ্চু প্রত্যক্ষ বলে অপরপক্ষে-           চিন্তা অনুভূতি ইচ্ছা কামনা বাসনা মানসিক ক্রিয়া প্রক্রিয়ার সাথে যখন মন

প্রশ্নঃ জাতি ও রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য এবং তাদের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো।

 প্রশ্নঃ জাতি ও রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য এবং তাদের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো। জাতিঃ আলোচনার শুরুতেই আমরা বলতে পারি যে, ইংরেজি নেশন শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হলো জাতি। তবে এই জাতি বলতে সঠিক কি বোঝায় তা এক কথায় বলা একটু কঠিন। এই জাতি সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন বিভিন্ন দার্শনিক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রমুখ। আর সেই ব্যাখ্যা প্রদান করতে গিয়ে অধ্যাপক ল্যাক্সি বলেন-        "জাতির সংজ্ঞা নির্ণয় করা খুব কঠিন বিষয়। কারণ কোন বিচার্য বাহ্যিক উপাদানের ভিত্তিতে তাকে চিহ্নিত করা যায় না।"          আসলে ভাষা কিংবা জৈবিক ভিত্তিতে জাতি সৃষ্ট হয় না। জাতি হল এক জীবন্ত আধ্যাত্মিক নীতির মূর্ত রূপ। কোন গৌরবোজ্জ্বল  বা দুঃখময় অতীত স্মৃতির বন্ধন এবং একই রাষ্ট্রে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ইচ্ছাই একটি জনসমাজকে জাতিতে পরিণত করে। আর এখানে বিখ্যাত দার্শনিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেন-   "নেশন একটি সজীব সত্তা, একটি মানস পদার্থ।"           মোট কথা হলো, জাতি হল ঐতিহাসিক ভাবে বিকশিত এমন একটি স্থায়ী জনসমাজ, যাদের ভাষা এক, বাসভূমি এক, অর্থনৈতিক জীবন এক, মানসিক গঠনও এবং এই মানসিক

প্রশ্নঃ স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা ও দর্শন আলোচনা করো।

 প্রশ্নঃ স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা ও দর্শন আলোচনা করো।   (প্রথম সেমিস্টার, শিক্ষা বিজ্ঞান,মাইনর সিলেবাস) ভূমিকাঃ আলোচনার শুরুতেই আমরা বলতে পারি যে,শিক্ষা পরিপূর্ণতার এক প্রকাশ। তা প্রতিটি মানুষের মধ্যেই থাকে। তাই স্বামী বিবেকানন্দ মনে করতেন, সমসাময়িক শিক্ষা ব্যবস্থা যে মানুষকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করে না, বা মানুষের মধ্যে আত্মনির্ভরতা ও আত্মমর্যাদাবোধ জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করে না, তা খুব বেদনার বিষয়। তাই তিনি  শিক্ষাকে তথ্যের সমষ্টি মনে করতেন না।আসলে--           স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন একজন ভারতীয় সর্বশ্রেষ্ঠ হিন্দু সন্ন্যাসী। যিনি তৎকালীন সময়ে পাশ্চাত্যে বেদান্ত দর্শন প্রচারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। তবে সেই সঙ্গে ভারতেও ধর্মসংস্কারে তার বিশেষ অবদান রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা সম্পর্কে বলেছেন--  "যদি ভারতকে জানতে চাও, তবে বিবেকানন্দের       রচনাবলী পড়ো। তার মধ্যে যা কিছু আছে সবই     ইতিবাচক।"  আসলে বিবেকানন্দ অনুভব করেছিলেন যে, দেশের ভবিষ্যৎ জনগণের উপর নির্ভর করে, তাই তিনি মানুষের উপর বেশি জোর দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন--      

প্রশ্নঃ নাগরিক ও বিদেশের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ কর

 প্রশ্নঃ নাগরিক ও বিদেশীর মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ কর। নাগরিকঃআমরা নাগরিক বলতে জানি যে, নাগরিক হলেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি অধিকার এবং দায়িত্ব সহ একটি দেশের আইনী সদস্য।  বিদেশীঃ বিদেশী হলেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি কোনো স্থান বা সম্প্রদায়ের নন। অন্য কথায়, একজন বিদেশী এমন একটি দেশের অপরিচিত ব্যক্তি যেটি সে নয়।              নাগরিক ও বিদেশীর মধ্যে পার্থক্যঃ- নাগরিক ও বিদেশীদের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো তাদের রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক।আর সেই  তথ্য বিশ্লেষণে নাগরিক ও বিদেশিদের মধ্যে পার্থক্য হলো-- প্রথমতঃ নাগরিকরা সেই রাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা যারা রাষ্ট্রের আইন ও নিয়ম মেনে চলার অঙ্গীকারাবদ্ধ। তাদের রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকত্বের অধিকার রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ভোটদান, নির্বাচিত হওয়া, রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা ইত্যাদি। কিন্তু --              বিদেশীরা হলো সেই ব্যক্তি, যারা অন্য কোনো রাষ্ট্রের নাগরিক। তারা সেই রাষ্ট্রে বসবাস করতে পারে, কিন্তু তাদের সেই রাষ্ট্রের নাগরিকত্বের অধিকার থাকে না। দ্বিতীয়তঃ নাগরিকদের নিজ রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করা আবশ্যিক কর্তব্য।কিন্তু--         বিদেশীদের বি

জীবনীগ্রন্থ হিসেবে চৈতন্যভাগবত কতটা স্বার্থক, আলোচনা করে দেখাও।

 জীবনীগ্রন্থ  হিসেবে চৈতন্যভাগবত কতটা স্বার্থক, আলোচনা করে দেখাও।       ভূমিকাঃ- আলোচনা শুরুতেই আমরা বলতে পারি যে, বাংলা ভাষায় চৈতন্যজীবনী গ্রন্থ প্রণয়নের প্রথম দাবিদার বৃন্দাবন দাস। তবে এই বৃন্দাবন দাসের পরে বাংলা ভাষায় আরো অনেক চৈতন্যজীবনী প্রণেতার নাম আমরা পেয়ে থাকি। উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি, লোচন দাস জয়নন্দ কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোবিন্দ দাস প্রমুখ কবি। এখানে বলে রাখা দরকার যে, চৈতন্যদেবকে অবলম্বন করে অসংখ্য চৈতন্য জীবনে গ্রন্থ রচিত হলেও বৃন্দাবন দাস কর্তৃক বাংলা ভাষায় চৈতন্য জীবনী গ্রন্থ রচনার প্রথম পথপ্রদর্শক। যেখানে-      কবি বৃন্দাবন দাস মহাপ্রভু চৈতন্যদেবের নানান লৌকিক অলৌকিক জীবনী কাহিনী অত্যন্ত সহজ সরল, আড়ম্বরহীন এবং কাব্য মাধুর্যমন্ডিত করে বৈষ্ণব সমাজে বিশেষ করে সাধারণ বৈষ্ণব অনুরাগী মানুষের কাছে প্রথম তুলে ধরলেন চৈতন্যদেবকে। আসলে কবি বৃন্দাবন দাস ছিলেন পরম বৈষ্ণব ভক্ত। তবে তিনি চৈতন্যকে প্রত্যক্ষভাবে না দর্শন করলেও কবির কৈশোর কালের কিছু সময় চৈতন্য ধরাধামে অতিবাহিত করেছিলেন। প্রসঙ্গত বলে রাখা দরকার যে চৈতন্যদেবের মৃত্যুর কয়েক বছর পর তার গুরু ও পরামর্শদাতা নিত্যানন্দের

প্রশ্নঃ- রুশোর "সাধারণ ইচ্ছা"General Will ) ব্যাখ্যা করো।(প্রথম সেমিস্টার, মাইনর)।

 প্রশ্নঃ-  রুশোর "সাধারণ ইচ্ছা"General Will ) ব্যাখ্যা করো।(প্রথম সেমিস্টার, মাইনর)।       প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিদ্ রুশো মনে করেন 'সাধারণ ইচ্ছা হল ব্যক্তির ইচ্ছার সমষ্টি, যা রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতার উৎস।' তবে এই ইচ্ছা রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের যৌথ ইচ্ছা, যে ইচ্ছা ব্যক্তিগত স্বার্থের বিপরীতে রাষ্ট্রের স্বার্থকে প্রতিফলিত করে। আসলে সাধারণ ইচ্ছা হল সর্বজনীন মঙ্গলের ইচ্ছা। মোট কথা -সাধারণ ইচ্ছা হলো ব্যাক্তির সমষ্টিগত ইচ্ছা,যা সমাজে বসবাসকৃত মানুষের মঙ্গল সাধন করে।আর সেখানে --             রুশো তাঁর “সামাজিক চুক্তি” গ্রন্থে 'সাধারণ ইচ্ছা'কে “সমাজ বা রাষ্ট্রের সার্বভৌম ইচ্ছা” হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে-      "প্রাকৃতিক অবস্থায় মানুষ স্বাধীন এবং সমান।        কিন্তু এই স্বাধীনতা এবং সাম্য প্রকৃতির দ্বারা        সুরক্ষিত নয়।" তাই নিজেদের জীবন সুরক্ষিত রাখার কারণেই মানুষ সাধারণ ইচ্ছার বশবর্তী হয়ে সামাজিক চুক্তির মাধ্যমে একটি রাষ্ট্র গঠন করে। এই রাষ্ট্রের সার্বভৌম ইচ্ছাই হল সাধারণ ইচ্ছা।আর সেই ইচ্ছার কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়। লক্ষণীয় সেই বৈশিষ্ট্যগুলি হলো---