Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2024

ভারতীয় সংবিধানে লিপিবদ্ধ নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্যগুলি লেখো।

ভারতীয় সংবিধানে লিপিবদ্ধ নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্যগুলি লেখো। ভূমিকাঃ আমরা জানি যে ভারতের মূল সংবিধানে নাগরিকদের সচেতন করার অভিপ্রায়ে মৌলিক অধিকার গুলি উল্লেখ ছিল না।কিন্তু ১৯৭৬ সালে ৪২ তম সংবিধান সংশোধনের মধ্যে দিয়ে সংবিধানের চতুর্থ অধ্যায় ৫১/১ ধারায় নাগরিকদের দশটি মৌলিক কর্তব্য সংযোজন করা হয়। অতঃপর ২০০২ সালে আরোও একটি মৌলিক অধিকার ভারতীয় সংবিধানে নাগরিকদের জন্য সংযোজিত করা হয়। অর্থাৎ ভারতীয় নাগরিকদের জন্য সংবিধানে মোট ১১টি মৌলিক অধিকার লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।আর সেই মৌলিক কর্তব্যগুলি হলো- ১) ভারতীয় সংবিধানকে মান্য করা, ভারতের জাতীয় পতাকাকে ও জাতীয় সংগীতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা। ২) স্বাধীনতা সংগ্রামের আদর্শগুলি সযত্নে সংরক্ষণ ও অনুসরণ করা। ৩) ভারতের সার্বভৌমত্ব ঐক্য ও সংহতিকে সমর্থন ও সংরক্ষণ করা। ৪) দেশ রক্ষা ও জাতির সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করা। ৫) ভারতীয় জনগণের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধের বিকাশ সাধন করা। ৬) ভারতের মিশ্র সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমর্থন ও সংরক্ষণ করা। ৭) বনভূমি, হ্রদ,নদনদী প্রভৃতি প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ ও জীবন্ত প্রাণীদের প্রতি মমত্ত্ববোধ দেখানো। ৮) বৈজ্ঞানিক...

নৈতিক মানদণ্ড রূপে মিলের উপযোগবাদ ব্যাখ্যা ও বিচার করো।

নৈতিক মানদণ্ড রূপে মিলের উপযোগবাদ ব্যাখ্যা ও বিচার করো। ভূমিকাঃ আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি-যে মতবাদ কর্মের ফলাফলের ভিত্তিতে কর্মের নৈতিক বিচার করে তাকে উপযোগবাদ বলে। আবার একে উদ্দেশ্যমূলক মতবাদও বলা যায়। আসলে উপযোগবাদে কর্মের অভিপ্রায়ের থেকে কর্মের ফলাফলের দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।তবে-       •আত্মসুখবাদীদের মত পরসুখবাদীরাও সুখকেই জীবনের একমাত্র আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আর আমরা পরসুখবাদ বলতে বুঝি সেই মতবাদ- যে মতবাদ সর্বাধিক সংখ্যক লোকের সর্বাধিক পরিমাণ সুখকে নৈতিক মানদণ্ড বা নৈতিক মূল্য নির্ধারণের মাপকাঠি বলে। অনেকে পরসুখবাদকে উপযোগবাদ নামে অভিহিত করেছেন। জে এস মিল সংযত পরসুখবাদের বা উপযোগবাদের অন্যতম প্রচারক ও প্রধান প্রবক্তা।আর তার মতে-         •সর্বাধিক সংখ্যক লোকের সর্বাধিক পরিমাণ সুখ লাভই হলো যথার্থ নৈতিক আদর্শ। আর যে কাজ সর্বাধিক সংখ্যক লোকের শান্তির উৎপাদন করে সেই কাজ ভালো, আর যে কাজ তা করতে পারেনা তা মন্দ। মানব জীবনের কর্ম লক্ষ্য হলো সুখ লাভ করা এবং দুঃখ পরিহার করা। কিন্তু-       •মিল শান্তি বলতে দুঃখের অনুপস্থিকে বুঝিয...

ভারতের(2nd Sem Minor) সংবিধানের বর্ণিত সাম্যের অধিকার ( ১৪-১৮ নম্বর ধারা) আলোচনা করো।

ভারতের সংবিধানে বর্ণিত সাম্যের অধিকারটি (১৪ থেকে ১৮ নম্বর ধারা) মূল্যায়ণ করো। পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় সেমিস্টার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর)      • আমরা জানি যে, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিস্বরূপ পরিগণিত হওয়া তিনটি আদর্শ হলো- সাম্য, মৈত্রী এবং স্বাধীনতা। আর এই তিনটি ভিত্তি স্তম্ভের মধ্যে সাম্যের আদর্শ  একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে এই তিনটি আদর্শই মানুষকে যুগে যুগে গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে অনুপ্রেরণা সঞ্চার করেছে। ১৭৭৬ সালে আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে-                      " সকল মানুষই সমানভাবে সৃষ্টি হয়েছে।"                            (" All men are created equal") ।                এরই পরবর্তী সময়কালে অর্থাৎ ১৭৮৯ সালে ফরাসি জাতীয় সংসদ ঘোষণা করে যে, প্রত্যেক মানুষ স্বাধীনভাবে জন্মগ্রহণ করে।আর সেই কারণে প্রত্যেকেই সমানাধিকার ভোগ করতে পারে। আসলে সাম্য ও স্বাধীনতা এর আদর্শ ওতোপ্...

অনৈতিক বা নীতিবহির্ভূত ক্রিয়া কাকে বলে? বিভিন্ন প্রকার অনৈতিক বা নীতিবর্হিভূত ক্রিয়ার উদাহরণ সহ আলোচনা করো।

অনৈতিক বা নীতিবহির্ভূত ক্রিয়া কাকে বলে? বিভিন্ন প্রকার অনৈতিক বা নীতিবর্হিভূত ক্রিয়ার উদাহরণ সহ আলোচনা করো। •অনৈতিক বা নীতিবর্হিভূত ক্রিয়াঃ আমরা মানুষের কাজের নৈতিক বিচার করি। তবে মানুষের কিছু কাজের নৈতিক বিচার করা যায়, আবার কিছু কাজের নৈতিক বিচার করা যায় না। তাই-           যে কাজগুলির নৈতিক বিচার করা যায়, তাকে বলা হয় নৈতিক ক্রিয়া। আর যে কাজগুলির নৈতিক বিচার করা যায় না,সেই কাজগুলি হল অনৈতিক ক্রিয়া। অর্থাৎ-       অনৈতিক বা নীতিবহির্ভূত ক্রিয়া বলতে বোঝায়, যে ক্রিয়ার নৈতিক বিচার করা যায় না, যে ক্রিয়াকে নৈতিক ভালো বা নৈতিক মন্দ বলা যায় না, সেই ক্রিয়াকে বলা হয় অনৈতিক ক্রিয়া।       •অনৈতিক বা নীতিবহির্ভূত ক্রিয়ার প্রকার• ১)স্বয়ংক্রিয় ক্রিয়া       ২) স্বতঃসঞ্জাত ক্রিয়া ৩) প্রতিবর্ত ক্রিয়া         ৪)প্রবৃত্তিজাত ক্রিয়া  ৫) ভাবজ ক্রিয়া।         ৬) অনুকরণমূলক ক্রিয়া ৭)আকস্মিক ক্রিয়া      ৮)অস্বাভাবিক ব্যক্তির ক্রিয়া।   ...

ভারতীয় সংবিধানে "ধর্মনিরপেক্ষতা" বলতে কি বোঝায়?

ভারতীয় সংবিধানে "ধর্মনিরপেক্ষতা" বলতে কি বোঝায়?  আমরা জানি যে,ভারতীয় সংবিধানের ৪২ তম সংশোধনীর ১৯৭৬ সালে 'ধর্মনিরপেক্ষতা' শব্দটি চালু করা হয়েছিল। আর সেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা মানে বলা হয়- ধর্ম থেকে সরকারকে আলাদা করা, যার অর্থ দাঁড়ায় ভারত সরকার কোন নির্দিষ্ট ধর্মকে অনুসরণ বা পক্ষপাতী করবে না, বরং প্রতিটি ধর্মকে সমানভাবে সমর্থন করবে বা নিরপেক্ষ থাকবে।তবে-          ভারতীয় সংবিধানের প্রণেতাবর্গ ভারতবর্ষকে একটি ধর্মীয় রাষ্ট্রে পরিণত না করে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। তাই ভারতীয় সংবিধানের অন্যতম রূপকার অনন্তশায়ানাম আয়েঙ্গার বলেন-      "আমরা ভারতকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে        পরিণত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ"( "we are         pledged to make the state a secular         one.") ভারতীয় সংবিধানের ২৫-২৮ নম্বর ধারাতে ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার সম্বন্ধে যে বক্তব্য সংযোজিত করা হয়েছে তার মাধ্যমেই ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রটি সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আর সেখানে ২৫ নম্বর ধার...

বেন্থামের উপযোগবাদ ব্যাখ্যা করো।

বেন্থামের উপযোগবাদ ব্যাখ্যা করো। ভূমিকাঃ আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, বেন্থাম একজন পরসুখবাদী দার্শনিক। আর তাঁর মতে সর্বাধিক সংখ্যক লোকের সর্বাধিক সুখ উৎপাদনই নৈতিক বিচারের মানদন্ড। বিভিন্ন সুখের মধ্যে কোন গুণগত পার্থক্য নেই। সব সুখই একই রকমের। তবে সুখের মধ্যে পরিমানগত পার্থক্য আছে। দৈহিক সুখ আর মানসিক সুখ গুণের দিক থেকে এক হলেও পরিমাণগত দিক থেকে তাদের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। দৈনিক সুখের পরিমাণ মানসিক সুখের থেকে অনেক বেশি। আসলে তাঁর মতে-        "যে কাজ অধিকাংশ লোকের দৈহিক সুখ          উৎপাদন করতে পারবে, সে কাজ ভালো,           আর যে কাজ তা পারবে না তা মন্দ।" আসলে বেন্থাম দৈহিক সুখের উপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন বলে, তার মতবাদকে অসংযত বা স্থূল পরসুখবাদ বলা হয়। আর সে কারণে-        বেন্থাম সুখের পরিমাণ নির্ধারণ করতে গিয়ে ৭টি মানের কথা বলেছেন। আর সেই ৭টি মান নিম্ন সূত্রাকারে আলোচনা করা হলো - •১) তীব্রতাঃ বেন্থামের মতে দুটি সুখের মধ্যে যে সুখের তীব্রতা বেশি সেই সুখই আমাদের কাম্য। দৈহিক সুখের তীব্রত...

আরবদের শাসন ব্যবস্থার প্রকৃতি ও গুরুত্ব আলোচনা করো ।

আরবদের শাসন ব্যবস্থার প্রকৃতি ও গুরুত্ব আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, ইতিহাস, এনএপি সিলেবাস)। ভূমিকাঃ আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,                 কাশিম সিন্ধুদেশে প্রবেশ করে বেশ কয়েকটি                অঞ্চল দখল করে সেখানে আরবীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। অতঃপর আরবিয় শাসনকার্য প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আরবীয় শাসক নিযুক্ত করেন। আর এই লক্ষ্যে তিনি শাসনকার্য পরিচালনা করার জন্য এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সৈন্য মোতায়েন করেন। তবে এই সময় প্রশাসনিক ব্যবস্থার প্রধান রীতিনীতি ছিল বিজিত জনসাধারণকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করা। কিন্তু এই কাজটি মোটেই সেই সময়ে সহজ ছিল না। অতঃপর আমরা দেখি-                     •কাশিমের সমস্যা•  আমরা জানি যে,আরবরা দক্ষ যোদ্ধা ছিলেন,কিন্তু তাদের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা মোটেই ভালো ছিল না। বলা যায় যে,ভারতের প্রশাসনিক কাঠামো, ভাষা, রাজস্ব ব্যবস্থা, আইন-কানুন ইত্যাদি সম্বন্ধে তাদের কোন ধ্যান-ধারণা ছিল না। শুধ...

কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রকৃত্যক কমিশনের গঠন ও কার্যাবলী আলোচনা করো।

কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রকৃত্যক কমিশনের গঠন ও কার্যাবলী আলোচনা করো। ভূমিকাঃ আমরা জানি যে, কোন দেশের সরকারের                 সাফল্য নির্ভর করে সেই দেশের সরকারি কর্মচারীদের সততা,কর্মদক্ষতা এবং নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গির উপর। আর সরকারি কর্মচারীদের দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হলে তাদের নিয়োগের বিষয়টি রাজনৈতিক প্রশাসকের পরিবর্তে একটি নিরপেক্ষ কর্তৃপক্ষের হাতে প্রদান করা শ্রেয় । এই ধরনের উপলব্ধি থেকে ভারতীয় সংবিধানের ১১৫ নম্বর ধারায় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রকৃত্যক কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। গঠনঃ রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত একজন সভাপতি এবং             কয়েকজন সদস্য নিয়ে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রকৃত্যক কমিশন গঠিত হয়। আর কতজন সদস্য নিয়ে এই কমিশন গঠিত হবে তা নির্ধারণ করে থাকেন রাষ্ট্রপতি। তবে বর্তমানে রাষ্ট্রকৃত্যক কমিশনের সদস্য সংখ্যা হল ১০। এই কমিশনের সভাপতি ও সদস্যদের কার্যকালের মেয়াদ ৬ বছর। তবে কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে কমিশনের যেকোনো সদস্য পদত্যাগ করতে পারেন। আবার বিশেষ কারণে রাষ্ট্রপতি যে কোন সদস্যকে অপসার...

কান্টের নৈতিক মতবাদ ব্যাখ্যা করো।

 কান্টের নৈতিক মতবাদ ব্যাখ্যা করো। ভূমিকাঃ আমরা জানি কান্টের নৈতিক মতবাদ              কৃচ্ছতাবাদ নামে পরিচিত। আর সেই মতবাদে তিনি মানুষের দুই প্রকার বৃত্তির কথা বলেছেন। এই বৃত্তি গুলি হল-        ক) বুদ্ধিবৃত্তি। এটি মানুষের নিম্নবৃত্তি বলা হয়।        খ) জীববৃত্তি। এটি মানুষের উচ্চবৃত্তি বলা হয়।                   আসলে মানুষ ইন্দ্রিয়পরায়ণ জীব হিসেবে সুখের অনুসন্ধান করে। আর বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব হিসেবে মানুষ আবেগ, অনুভুতি, ভোগবিলাস প্রভৃতিকে অবদমন করে বিশুদ্ধ চিন্তার দ্বারা জীবন যাপন করতে চায়। তবে কান্ট মানুষের দুই ধরনের বুদ্ধির কথা বলেছেন। আর সেই বুদ্ধিগুলো হলো- তাত্ত্বিক বুদ্ধি ও ব্যবহারিক বুদ্ধি। আর এখানে-              মানুষ তাত্ত্বিক বুদ্ধির সাহায্যে জ্ঞানবিদ্যা ও অধিবিদ্যা সংক্রান্ত জ্ঞান লাভ করে। অতঃপর ব্যবহারিক বুদ্ধির দ্বারা মানুষ নৈতিক নিয়ম জানতে পারে। নিয়ম অভিজ্ঞতার সাহায্যে পাওয়া যায় না। এটি পূর্বতঃসিদ্ধ ও স্বতঃ...

অর্থবিল কাকে বলে? ভারতীয় পার্লামেন্টে অর্থবিল পাসের পদ্ধতি আলোচনা করো।

অর্থবিল কাকে বলে? ভারতীয় পার্লামেন্টে অর্থবিল পাসের পদ্ধতি আলোচনা করো। অর্থবিলঃ ভারতীয় সংবিধানের ১১০ নম্বর ধারায় বলা               হয়েছে যে, ভারতের সঞ্চিত তহবিল বা আকস্মিক তহবিল থেকে অর্থবিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় কিংবা ব্যয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করা সংক্রান্ত বিষয়ের সাথে জড়িত ও প্রাসঙ্গিক কোনো আর্থিক অঙ্গীকার ও নীতিকে অর্থবিল বলে। অর্থাৎ - •যেকোন কর ধার্য, বিলোপ, পরিহার,পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণ। •ভারত সরকার কর্তৃক ঋণগ্রহণ যা কোন প্রতিশ্রুতি প্রদান নিয়ন্ত্রণ, বা ভারত সরকার কর্তৃক গৃহীত বা গৃহীত হবে এমন কোন আর্থিক দায়িত্ব সম্পর্কিত আইনের সংশোধন।        এরূপ আরো পাঁচটি বিষয় সংবিধানের ১১০ নম্বর ধারায় উল্লেখ আছে। তবে ১১০ নম্বর ধারায় উল্লেখিত বিষয়ের সম্পর্কিত বিল ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে বিল অর্থবিল হিসাবে পরিগণিত হয় না। আবার কোনবিল অর্থবিল কিনা সে বিষয়ে লোকসভার স্পিকার একটি সার্টিফিকেট প্রদান করে থাকেন। সংবিধানের ১১০/৩ নম্বর ধারা অনুসারে অর্থবিল সংক্রান্ত বিষয় স্পিকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হয়।       ...

রম্যরচনা কাকে বলে? রম্যরচনার বৈশিষ্ট্য লেখো।

                   •রম্যরচনা কাকে বলে?• আমরা জানি যে,রম্য রচনা' কথাটির অভিধানিক অর্থ হলো, যে রচনা রমণীয় বা সুন্দর। আর এই অর্থে রম্য রচনার এই সংজ্ঞাটি অতি ব্যাপক। কারণ হিসেবে আমরা বলতে পারি যে-           সাহিত্যের ধর্মই এই যে, তা রমণীয় ও সুন্দর হবে, হবে রসোত্তীর্ণ। আর এই অর্থে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ—সকল শ্রেষ্ঠ রচনাসমূহকেই রম্য রচনা অভিধায় ভূষিত করতে পারি। তবে ‘রম্য রচনা’ কথাটির এই ব্যাপক অর্থ স্বীকার করেও, বিশেষ অর্থে রম্য রচনা বলতে আমরা এক বিশেষ রচনারীতিকেই বুঝে থাকি। আর সেখানে বলা যেতে পারে-           যে রচনায় জীবনের লঘু-চপল বিকাশগুলিকে নিয়ে উচ্চতর সারস্বত কর্মে নিয়োজিত করা হয়, সেই রচনাই রম্য রচনা।                  •রম্যরচনার বৈশিষ্ট্য লেখো• প্রথমতঃ হালকা বৈঠকি চালে, ঘরোয়া মেজাজে, লঘু                হাস্যরসাত্মক, রম্য কল্পনার স্পর্শযুক্ত যেকোনো গদ্য রচনাকেই রম্য রচনা বলা যায়। দ্বিতীয়তঃ ...

শেষ ভালো যার সব ভালো তার'-নৈতিক বিচারের দিক থেকে এই নীতি কি সমর্থনযোগ্য? আলোচনা করো।

'শেষ ভালো যার সব ভালো তার'-নৈতিক বিচারের দিক থেকে এই নীতি কি সমর্থনযোগ্য? আলোচনা করো।               • আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, ঐচ্ছিক ক্রিয়া নৈতিক বিচারের বিষয়। আর এই ঐচ্ছিক ক্রিয়ার দৈহিক স্তর নৈতিক বিচারের বিষয় হতে পারে না। এই বিষয়ে সকল নীতিবিদ সহমত পোষণ করেন। যে সকল কাজের অভিপ্রায় ও ফলাফল ভালো সেই কাজ নৈতিক ভালো এবং উভয় যদি মন্দ হয় তবে সেই কাজ নৈতিক মন্দ। এই বিষয়টি প্রায় সব নীতিবিদ একমত পোষণ করে থাকেন। কিন্তু-         যে সকল কাজের মানসিক স্তর উদ্দেশ্য ও অভিপ্রায় এবং ফলাফলের মধ্যে সংগতি থাকে না সেই ব্যাপারে ফলমুখী নীতিবিদ্যা ও কর্তব্যমুখী নীতিবিদ্যার মধ্যে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। আর সেখানে-          'শেষ (ফল) ভালো যার সব ভালো তার' অর্থাৎ উদ্দেশ্য ও অভিপ্রায় যাই হোক না কেন কোন বিশেষ কাজের ফল যদি ভালো(সুখকর) হয় বা বহুজন হিতায় হয় তবে সেই কাজটি নৈতিক ভালো এবং ফল যদি মন্দ হয় তবে সেই কাজ নৈতিক মন্দ। এই মতানুসারে নৈতিক বিচারের মানদন্ড হলো-        ফলাফল ভালো = কাজটি নৈ...

তুমি বৃক্ষ আদি প্রাণ"-(4th Sem)এই পঙ্ক্তিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন কবিতার? বৃক্ষকে যুগ যুগান্তরের প্রতিনিধি হিসেবে কীভাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে, তা আলোচনা করো।

"তুমি বৃক্ষ আদি প্রাণ"- এই পঙ্ক্তিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন কবিতার? বৃক্ষকে যুগ যুগান্তরের প্রতিনিধি হিসেবে কীভাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে, তা আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা মেজর)।       এই উক্তিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'বনবাণী' কাব্যগ্রন্থের 'বৃক্ষবন্দনা'  কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। আর সেখানে কবি বলেছেন-           বৃক্ষ আমাদের আদি প্রাণ।  কারণ বৃক্ষ আমাদের প্রাণবাযয়ু প্রদান করে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। তাই এই ধরাতলে এখনোও প্রাণের স্পন্দন দেখা যায়। পৃথিবী সৃষ্টির কোটি কোটি বছর আগে এই বৃক্ষ প্রথম জন্মলাভ করে পৃথিবীর বুকে।আর সেখানে-                •অন্ধ ভূমিগর্ভ থেকে বৃক্ষই একদিন শুনেছিল সূর্যের আহ্বান। আর সেদিন তার প্রথম প্রাণের জাগরণ ঘটে।সেই জাগরণ হল বৃক্ষই আদিপ্রাণ। সেদিন সে উন্নত শিরে উচ্চারণ করল আলোকের প্রথম বন্দনা। পাষাণের বক্ষের ওপর তার জন্ম ঘটে।আর জন্মের পর নিজের বেদনাময় নিষ্ঠুর জীবনে নিয়ে এলো প্রাণের স্পন্দন। আর সেই স্পন্দনে বৃক্ষকে যুগ যুগান্তরের প্রত...

ভারতীয় সংসদে সাধারণ বিল পাসের প্রক্রিয়া আলোচনা কর। অথবা ভারতের পার্লামেন্টের আইন পাশের পদ্ধতি আলোচনা করো।

ভারতীয় সংসদে সাধারণ বিল পাসের প্রক্রিয়া আলোচনা কর। অথবা ভারতের পার্লামেন্টের আইন পাশের পদ্ধতি আলোচনা করো।  ভূমিকাঃআমরা জানি যে ,ভারতবর্ষ হলো পৃথিবীর                সর্ববৃহৎ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আর সেই রাষ্ট্রের সংবিধানে ১০৭-১২২ নম্বর ধারায় পার্লামেন্টের বিল পাশের বিষয়টি বা পদ্ধতিটি উল্লেখ আছে। এদিক থেকে তাই বলা হয়-ভারতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের বিষয়টি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। যেখানে পার্লামেন্টে কোন বিল পাশ করতে হলে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি অতিক্রম করতে হয়। আর সেই তিনটি পদ্ধতি হলো-       •বিলের প্রথম পাঠ (First reading)•  •পার্লামেন্টে বিল পাশের প্রথম পাঠে বিলের উত্থাপক বিলটির নামকরণসহ বিলটি উত্থাপন করেন। উত্থাপন পর্বে বিলটির সম্বন্ধে কোন বিস্তারিত আলোচনা করা হয় না। এখানে কেবলমাত্র উত্থাপনকারী সদস্য বিলটির প্রয়োজনীয়তা বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে অতি সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিয়ে থাকেন। তবে নীতিগতভাবে সংসদের অধিকাংশ সদস্যের সমর্থন লাভ করলে বিলটি উত্থাপিত হয়েছে ও এর প্রথম পাঠ সমাপ্ত হয়েছে বলে ধরা হ...

চোল রাজাদের সামুদ্রিক কার্যকলাপ আলোচনা করো। •অথবা• রাজরাজ ও প্রথম রাজেন্দ্র চোলের নৌসাম্রাজ্যের বিস্তারের ইতিহাস লেখো।

চোল রাজাদের সামুদ্রিক কার্যকলাপ আলোচনা করো। •অথবা•  রাজরাজ ও প্রথম রাজেন্দ্র চোলের নৌসাম্রাজ্যের বিস্তারের ইতিহাস লেখো।  •অথবা•  রাজেন্দ্র চোলের সামুদ্রিক কার্যকলাপ আলোচনা করো। •ভূমিকাঃ আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,                  চোল বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক প্রথম রাজেন্দ্র চোল। আর তিনি প্রথম রাজরাজের মৃত্যুর পর ১০১৮ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে বসেন। শাসক হিসেবে তিনি সিংহাসন আরোহন করে চোল শক্তিকে সর্বোচ্চ শিখরে স্থাপন করেন। অতঃপর এই চোল সাম্রাজ্যে বিস্তারে প্রথমে সিংহল জয় করে একটি দ্বীপে পরিণত করেন। তবে বলা যায়, প্রায় পঞ্চাশ বছরের বেশি সময়কাল ধরে শ্রীলংকা চোল সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। অতঃপর-          •শাসক হিসেবে প্রথম রাজেন্দ্র চোল সিংহাসন আহরণ করে দ্বিগবিজয়ে বেরিয়ে পড়েন। তাঁর সুদক্ষ সেনাবাহিনী একের পর এক রাজ্য জয় করেন। আর সেই রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল কেরল ও পান্ড্য। এই সকল রাজ্যের জয় করে তিনি পশ্চিমে বিশেষ করে চালুক্যদের সাথে সরাসরি সংগ্রামে অবতীর্ণ হন। আর এই সংগ্রামে তিনি বেঙ্গি দখল করলেন বটে কিন...

জনস্বার্থ মামলা কী? জনস্বার্থ মামলার বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো।

জনস্বার্থ মামলা কী? জনস্বার্থ মামলার বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো।  •অথবা ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় জনস্বার্থ মামলার বিষয়টি আলোচনা করো। জনস্বার্থ মামলাঃ জনস্বার্থ মামলা ভারতীয় বিচার                            বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ।  সেখানে জনস্বার্থ মামলা একটি আইনি কার্যপ্রক্রিয়া। আর সেই প্রক্রিয়ার দ্বারা জনসাধারণের স্বার্থ রক্ষার্থে আদালতে মামলা দায়ের করে আইনের লড়াইয়ের মাধ্যমে জনসাধারণের সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার বলবৎ করা হয়। অর্থাৎ -      জনস্বার্থ মামলা হলো জনসাধারণ বা তার কোন অংশের অধিকার ও স্বার্থ বলবৎ করার জন্য আদালতে পরিচালিত একটি আইনগত পদক্ষেপ। আর সেই পদক্ষেপের মাধ্যমে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী কোন ব্যক্তি যদি তার কোন অধিকার খর্ব হয় তবে তিনি আদালতের কাছে এই আবেদন করতে পারেন। তবে তার পক্ষে তৃতীয় কোন ব্যক্তি যদি এই আবেদন করেন, সেক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্টে সেই আবেদন কোনভাবেই গ্রাহ্য হবে না। কিন্তু -        ভারতবর্ষের অগণিত সাধারণ মানুষ যার...

জনস্বার্থ মামলা কী? জনস্বার্থ মামলার বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো। •অথবা ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় জনস্বার্থ মামলার বিষয়টি আলোচনা করো।

জনস্বার্থ মামলা কী? জনস্বার্থ মামলার বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো।  •অথবা ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় জনস্বার্থ মামলার বিষয়টি আলোচনা করো।

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবি উপন্যাসে নিতাই চরিত্রটির অবতারণার সার্থকতা কোথায় আলোচনা করো।

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবি উপন্যাসে নিতাই চরিত্রটির অবতারণার সার্থকতা কোথায় আলোচনা করো।       আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবি উপন্যাসের একটি অন্যতম চরিত্র কবি নিতাই চরণ। এই নিতাই চরণ অতি নিম্ন বংশজাত এবং স্বল্প শিক্ষিত একজন কবি। তবুও এই চরিত্রটি গোটা উপন্যাসে তারই জীবনের কাহিনী এবং পরিনতি তুলে ধরা হয়েছে। বলা যায় এই নিতাই চরিত্রটি লেখক বাস্তব মাটি থেকে তুলে এনেছেন। আসলে নিজের চরিত্রটি একটি মানুষের ছায়া দিয়ে তৈরি। আর সেখানে আমরা দেখি-         নিতাই চরিত্রটি আমাদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি চরিত্র। আর এই চরিত্রটিকে লেখক পঙ্কিল ও ঘৃণ্য জীবন থেকে একটি শান্ত শিষ্ট ভদ্র জীবনে উত্তরণের চেষ্টা করেছেন। তবে উপন্যাসে আমরা দেখি এই নিতাই এর পিতৃকুল মাতৃকুল উভয়ই ডাকাতি পেশার সাথে যুক্ত। আর তার জন্য তাদের অনেকেই জেল খেটেছে আবার কেউবা জেলের মধ্যে মরেছে। তবে নিতাই এই পেশার সাথে যুক্ত হওয়ার কোন চেষ্টা করেনি। বরং বলা যায় এই পেশা সে পরিহার করার চেষ্টা করেছে। এখানে সে বিদ্যালয়ে গিয়ে কিছু শিক্ষা গ্রহণ করে কবি প্রতিভা অর্জনের চে...