Skip to main content

Posts

Showing posts from July, 2024

উদ্দেশ্য ও অভিপ্রায় কাকে বলে? উদ্দেশ্য ও অভিপ্রয়ায়ের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

উদ্দেশ্য ও অভিপ্রায় কাকে বলে? উদ্দেশ্য ও অভিপ্রয়ায়ের মধ্যে পার্থক্য লেখো।             আমরা জানি প্রতিটি কাজের পিছনে একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ও অভিপ্রায় থাকে।প্রাত্যহিক জীবনে আমরা উদ্দেশ্য ও অভিপ্রায়কে একই অর্থে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এই উদ্দেশ্য এবং অভিপ্রায় এই দুটি শব্দ এক নয়, এই দুটি শব্দকে নীতিবিদ্যায় ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা হয়। আর সেখানে-- •উদ্দেশ্যঃ উদ্দেশ্য হলো এমন একটি মানসিক অবস্থা                যা ব্যক্তিকে বিশেষ একটি কাজ করতে বাধ্য করে ও একই কাজের পিছনে এক মানসিক আবেগ কাজ করে। আর এই কারণে অধ্যাপিকা লিলি বলেন-     "উদ্দেশ্য হলো একটি সচেতন মানুষের ক্রিয়া যা      একজন মানুষকে একটি বিশেষ পন্থায় কাজ      করতে এগিয়ে দেয়।"         উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, আমাদের যখন খাবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগে তখন আমরা রেস্তোরায় গিয়ে খাদ্য বস্তর খোঁজ করি।এই খাবারের প্রতি বাসনাটি হলো হল আমাদের উদ্দেশ্য। •অভিপ্রায়ঃ মানুষ যে ফলাফলের দিকে নজর দেখে    ...

ভারতীয় সাংবিধানিক ব্যবস্থায় লোকসভার অধ্যক্ষ বা স্পিকারের ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো।

ভারতীয় সাংবিধানিক ব্যবস্থায় লোকসভার অধ্যক্ষ বা স্পিকারের ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো। ভূমিকাঃ ভারতের সংবিধান প্রণেতারা ব্রিটেনের                           সংসদীয় শাসনব্যবস্থার অনুকরণ ভারতের সংসদীয় শাসনব্যবস্থার প্রবর্তন করেছেন। আর সেই সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় একজন গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী ব্যক্তিত্ব হলেন লোকসভার অধ্যক্ষ বা স্পিকার। এখানে সংসদের নিম্নকক্ষ অর্থাৎ লোকসভার সভাপতিকে স্পিকার বা অধ্যক্ষ বলে অভিহিত করা হয়। এই স্পিকার হলেন লোকসভার মূল পরিচালক। আর সেই পরিচালকের নিয়োগ, ক্ষমতা ও কার্যাবলী সংবিধানে বিভিন্ন ধারায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে-              নিয়োগের ক্ষেত্রে স্পিকারকে অবশ্যই লোকসভার সদস্য হতে হয়। আর সেখানে নবগঠিত এবং নবনির্বাচিত লোকসভার সদস্যরা প্রথম অধিবেশনে নিজেদের মধ্যে থেকে একজনকে অধ্যক্ষ পদে এবং অন্য একজনকে উপাধ্যক্ষ পদে নির্বাচন করে থাকেন। লোকসভার স্পিকারের কার্যকালের মেয়াদ পাঁচ বছর। তবে তিনি পদত্যাগ করলে,পদচ্যুত করা হলে, লোকসভার সদস্যপদ বাতিল...

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবি উপন্যাসের ঠাকুরঝি চরিত্রটি আলোচনা করো।

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবি উপন্যাসের ঠাকুরঝি চরিত্রটি আলোচনা করো।              আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবি উপন্যাসে নিতাইয়ের জীবনের সাথে নিবিড়ভাবে, অন্তরঙ্গতার সাথে ওতপ্রোতভাবে যে নারী চরিত্রটি জড়িয়ে আছে তার মধ্যে অন্যতম ঠাকুরঝি চরিত্র। আর এই নারী চরিত্রটির সাথে নিতাইয়ের প্রথম আলাপ এবং প্রথম প্রেম। বলা যায় নিতাইয়ের জীবনে প্রথম নারী ঠাকুরঝি,যে তার সাথে গভীরভাবে থেকেছে। আসলে এই ঠাকুরঝি কবি গানের প্রেরণার শক্তি। প্রসঙ্গত আমরা বলে রাখি ঔপন্যাসিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর 'আমার সাহিত্য জীবন' গ্রন্থে বলেছেন-    “ঠাকুরঝি চরিত্রটি তাঁর চোখে দেখা বাস্তব চরিত্র।        ঠাকুরঝির অস্তিত্ব আছে। সে গ্ৰামান্তরের রুইদাস      বংশের মেয়ে। চোখে ভীরু চঞ্চল হরিণীর দৃষ্টি।”                আসলে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঠাকুরঝির চরিত্রের উপর কল্পনার রং মিশিয়ে বাস্তবসম্মত চরিত্র হিসেবে উপন্যাসে তুলে ধরেছেন। কিন্তু অতি পরিতাপের বিষয় ...

Education Examination

            "শেষের কবিতা" কোচিং সেন্টার                              হিঙ্গলগঞ্জ                       টেষ্ট পরীক্ষা ২০২৪      শিক্ষা বিজ্ঞান,        দ্বিতীয় সেমিস্টার               তারিখঃ ২৬-০৭-২০২৪ __________________________________ সময়ঃ ১ ঘন্টা।                             পূর্ণমান-২৫ ১) যেকোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও।          ২×১০=২০ ক) শিক্ষা মনোবিজ্ঞান কাকে বলে? শিক্ষা ও মনোবিজ্ঞানের সম্পর্ক লেখো। খ) শিক্ষা মনোবিজ্ঞান কাকে বলে? শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের প্রকৃতি ও পরিধি আলোচনা করো। গ) শিক্ষা মনোবিজ্ঞান কাকে বলে? শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো। ২) যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও।          ১×৫=৫ ক) মনোবিদ্যার সংজ্ঞা দাও।...

চৈতন্যভাগবত গ্রন্থে চৈতন্যদেবের বাল্য লীলার পরিচয় দাও।

চৈতন্যভাগবত গ্রন্থে চৈতন্যদেবের বাল্যলীলার পরিচয় দাও। (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা মেজর, দ্বিতীয় সেমিস্টার এন ই পি)। ভূমিকাঃ আমরা জানি যে,বৃন্দাবন দাস এর চৈতন্যভাগবত গ্রন্থে আদিখণ্ডের চতুর্থ-পঞ্চম-ষষ্ঠ অধ্যায়ে চৈতন্যদেবের বাল্যজীবন ও বাল্যলীলার পরিচয় লিপিবদ্ধ আছে। আর চৈতন্যদেবের এই বাল্যজীবন এবং লীলা বৃন্দাবন দাস গ্রন্থটিতে এমনভাবে তুলে ধরেছেন যা অন্যত্রে ভীষণ দুর্লভ বলা যেতেই পারে। আর এই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা বলতে পারি চৈতন্যদেবের বাল্যলীলা থেকেই চৈতন্যদেবের যুগাবতার হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে তার অসাধারণ আমরা বৃন্দাবন দাসের চৈতন্যভাগবত দেখেই জানতে পারি। তবে-        ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণের দিনে চৈতন্যদেবের জন্ম হয়। আর জন্মের পর তাঁর নাম রাখা হয় নিমাই অর্থাৎ তাঁর বাল্যনাম নিমাই। তবে অনেকে মনে করেন যে, নিম গাছের নিচে তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন বলেই তার নাম রাখা হয় নিমাই। তবে এ কথা সার্বিক সত্য নয়। কারণ চৈতন্যভাগবতে বলা হয়-               নাম দুইবার সবে করেন বিচার।             ...

রাজ্যসভার গঠন ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো।

 রাজ্যসভার গঠন ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মাইনর সিলেবাস) ভূমিকাঃ আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,ভারতবর্ষের সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ইংল্যান্ডের সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার অনুকরণে।সেখানে ভারতীয় সংবিধানে বলা হয়েছে যে, সংবিধানের ৭৯ নম্বর ধারা অনুসারে রাষ্ট্রপতি ও দুটি কক্ষ নিয়ে ভারতের সংসদ বা পার্লামেন্ট গঠিত হয়েছে। যেখানে উচ্চকক্ষের নাম রাজ্যসভা (Council of States) এবং নিম্নকক্ষের নাম লোকসভা(House of the People)। আর এখানে-         উচ্চকক্ষ অর্থাৎ রাজ্যসভা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয়। এখানে রাজ্যসভা ক্ষমতা ও পদমর্যতার দিক থেকে নিম্নকক্ষ অর্থাৎ লোকসভার সমতুল্য নয়। সংবিধানের ৮০ নম্বর ধারা অনুসারে বলা হয়েছে যে অনধিক 250 জন প্রতিনিধি নিয়ে রাজ্যসভা গঠিত হবে। যার মধ্যে 12 জন সদস্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত হন। অবশিষ্ট ২৩৮ জন সদস্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধি। আর এই সকল প্রতিনিধিদের-          ভারতীয় নাগরিক হত...

আরবদের সিন্ধু বিজয়ের পটভূমি কি ছিল ব্যাখ্যা করো।

আরবদের সিন্ধ বিজয়ের পটভূমি কি ছিল ব্যাখ্যা করো। (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান,এন ই পি)। ভূমিকাঃ আমরা জানি হযরত মহম্মদ ইসলাম ধর্মের প্রচার শুরু করেছিলেন সপ্তম শতকের প্রথম দশকে। তবে হযরতের মৃত্যুর পর ইসলামের বাণী বহন করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন খলিফা। ৬৬১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৭৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালে খলিফা পদ উমায়েদ বংশের অধীনে চলে আসে। আর এই পর্বে আরবরা ভারতের সিন্ধু দখল করে তাদের শাসন প্রবর্তন করেছিলেন। ৬৪৪ খ্রিস্টাব্দে পারস্য আরব সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। অতঃপর আরবদের দৃষ্টি পড়ে পূর্ব দিকে ভারতভূমির ওপর। আর সেখানে-            •আরব শাসনের ঐতিহাসিক উপাদান• আমরা জানি যে,ভারতে আরবদের প্রাথমিক কার্যকলাপ সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্যের যথেষ্ট অভাব আছে। আরবি ও ফারসিতে লেখা কিছু গ্রন্থ এ বিষয়ে আলোকপাত করা হলেও সেগুলো যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য কিনা সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহের দানা আছে। অল-বিরাদুরি নামক একটি গ্রন্থে আরবদের ভারত অভিযানের ধারাবাহিক বিবরণ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এই গ্রন্থটিতে সন তারিখ নিয়ে বিভ্রান্ত দেখ...

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীপরিষদের মধ্যে সম্পর্ক আলোচনা করো ।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীপরিষদের মধ্যে সম্পর্ক আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, রাষ্ট্রবিজ্ঞানো, এন ই পি)। ভূমিকাঃ         আমরা জানি যে,ভারতের সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পদধিকারী ব্যক্তিত্ব হলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে ভারতের সংবিধানে ৭৫ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি অন্যান্য মন্ত্রীদের নিযুক্ত করবেন। শুধু তাই নয়, মন্ত্রিসভা গঠনে প্রধানমন্ত্রী এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। সেখানে তত্ত্বগত ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়োগ করলেও বাস্তব ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করে থাকেন প্রধানমন্ত্রীই। আর এর পাশাপাশি মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যদের রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করেন প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে। সেখানে-       প্রধানমন্ত্রীর সাথে মন্ত্রিসভার কোন সদস্যের মতবিরোধ হলেই সেই মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়। তবে এক্ষেত্রে কোনো মন্ত্রী স্বেচ্ছায় যদি মন্ত্রীত্ব ত্যাগ না করেন তাহলে প্রধানমন্ত্রী নিজে পদত্যাগ করবে...

কার্যকারণ সম্বন্ধে লৌকিক মতবাদ

কারণ একটি শক্তি বিশেষ, যা কার্য উৎপন্ন করে- মতামতটি সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো।                            অথবা কার্যকারণ সম্পর্কে লৌকিক মতবাদটি আলোচনা করো।(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, দর্শন, এন ই পি সিলেবাস)                 লৌকিক মতামতঃ  আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,কারণ ও কার্যের সম্বন্ধ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দুটি পরস্পর বিরোধী মতবাদ গড়ে উঠেছে। আর সেই মতবাদগুলি হল-     ১) কার্য-কারণের মধ্যে আবশ্যিক সম্পর্ক আছে বলে যাঁরা মনে করেন তাঁরা হলেন বুদ্ধিবাদী দার্শনিক।     ২) যাঁরা কার্য-কারণের আবশ্যিকতা না স্বীকার করে নিয়ত ও সতত সংযোগকে স্বীকার করেছেন যাঁরা তাদের অভিজ্ঞতাবাদী বলা হয়।            তবে এই দুটি মতবাদ ছাড়া লৌকিক মতাবাদ নামে আর একটি মতবাদ গড়ে উঠেছে। তাঁরা কার্য-কারণের সম্বন্ধকে আবশ্যিক ও আন্তর সম্বন্ধ বলে ঘোষণা করেছেন। আর তাঁদের মতে কারণ কার্যকে ঘটায়। সেই লৌকিক মতবাদে বলা হয়-- ...

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে সম্পর্ক আলোচনা করো।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে সম্পর্ক আলোচনা করো  (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মাইনর- NEP, Second Unit) ।           • আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একজন নিয়মতান্ত্রিক শাসক প্রধান থাকেন,আর তার নামে দেশের সমস্ত কাজ শাসনকার্য পরিচালিত হয়। কিন্তু প্রকৃত ক্ষমতা ভোগ করেন প্রকৃত শাসক, যিনি জনগণের দ্বারা প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। ভারতেও অনুরূপ সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছে। এই ব্যবস্থায় নিয়মতান্ত্রিক শাসক প্রধান হলেন রাষ্ট্রপতি। প্রকৃত ক্ষমতা আছে প্রধানমন্ত্রীর অর্থাৎ প্রকৃত শাসক হলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের দ্বারা নির্বাচিত হন।আর সেই  সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মতো সম্পর্ক গুলি হল--  ১) ভারতীয় সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির দ্বারা নিযুক্ত হন।আর সেখানে লোকসভায় যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সেই দলের নেতা বা নেত্রীকে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক...

রাষ্ট্রপতির জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত ক্ষমতা গুলি আলোচনা করো।

রাষ্ট্রপতির জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত ক্ষমতা গুলি আলোচনা করো। (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, এন ই পি সিলেবাস ২০২৪) ভূমিকাঃ আমরা জানি যে, যেকোন দেশ যেকোনো মুহূর্তে সংকটজনক বা যুদ্ধকালীন অবস্থায় পড়তে পারে। আর সেই সংকটজনক অবস্থার মধ্যে থেকে দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য অবশ্যই সরকারের হাতে বিশেষ ক্ষমতার প্রয়োজন। ভারতীয় সংবিধান রচয়িতারা এরূপ উপলব্ধি থেকে সংবিধানের ৩৫২ থেকে ৩৬০ নম্বর ধারার অনুসারে রাষ্ট্রপতির হাতে তিন ধরনের জরুরি ক্ষমতা অবস্থা ন্যাস্ত করেছেন। আর সেই জরুরি ক্ষমতাগুলি হল- ১) জাতীয় জরুরি অবস্থা (৩৫২ নম্বর ধার)ঃ       ভারতীয় সংবিধানের ৩৫২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্রপতি যদি এই মর্মে নিশ্চিত বা সন্তুষ্ট হন যে- যুদ্ধ বহিরাক্রমণ বা দেশের মধ্যে সশস্ত্র বিদ্রোহের কারণে সমগ্র ভারতে বা ভারতের কোন অংশে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে বা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা আছে তাহলে তিনি জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন।আর এই ঘোষণাটি এক মাসের মধ্যে পার্লামেন্টের অনুমোদন করিয়ে নিতে হয়, তা না হলে সেই আইনটি বাতিল হয়ে...

মূল্যায়নের গুরুত্ব আলোচনা করো।

মূল্যায়নের গুরুত্ব আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার শিক্ষা বিজ্ঞান) । ভূমিকাঃ আলোচনার শুরুতেই আমরা বলতে পারি যে, শিক্ষার ধারাবাহিক পরিবর্তনশীল প্রক্রিয়ার পথে একজন শিক্ষার্থীর ধীরে ধীরে বর্ধিত ও বিকশিত হয়। আর এই শিক্ষা প্রক্রিয়াকে আদর্শ এবং শিক্ষার্থীর জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ রূপে কার্যকরী করে তোলে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া। তবে প্রাচীন যুগ থেকে আজ পর্যন্ত এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়া বিভিন্নভাবে পরিবর্তিত হলেও এর গুরুত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব বহুমুখী। আর সেখানে বলা হয়– ১) বর্তমান শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে সমন্বয়ের দ্বারা শিক্ষার্থীরা অকারণ পরিবর্তনকে বিচার করে মূল্যায়ন।  ২) আধুনিক শিক্ষার লক্ষ্যাভিমুখী মূল্যায়ন ব্যবস্থাও পরিবর্তন ও পরিবর্ধিত। ৩) শিক্ষার্থীর বহুমুখী আচরণধারার প্রকৃত তাৎপর্য বিচারকরনের জন্য প্রয়োজন হয় মূল্যায়ন। ৪) শিক্ষার ধারা ঘটমান পরিবর্তনকে যথার্থভাবে বিচার করার জন্য প্রয়োজন শিক্ষার্থীর সার্বিক মূল্যায়ন  ৫) মূল্যায়ন শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত পাঠক্রমেও যথার্থত...

ইতিহাস,প্রথম অধ্যায়, প্রথম সেমিস্টার।

১ )ভারতের ইতিহাসকে কয়টি যুগে ভাগ করা হয় ও কি কি? উত্তরঃ ভারতের ইতিহাসের যুগকে তিনভাগে ভাগ করা হয়, প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগ। ২) কোন সময় কালকে আদি-মধ্য যুগ বলা হয়?  উত্তরঃ হর্ষবর্ধনের মৃত্যুর সময় থেকে ১২০৬ কালপর্বকে আদি-মধ্যযুগ বলা হয়। ৩) কোন সময় কালকে মধ্যযুগ বলা হয়? উত্তরঃ ১২০৬ থেকে ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দের সময়কালকে ভারতের ইতিহাসে মধ্যযুগ বলা হয়। ৪) কোন সময় কালকে আধুনিক যুগ বলে অভিহিত করা হয়?  উত্তরঃ ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তীকালকে আধুনিক যুগ বলে অভিহিত করা। ৫) কোন সময় কালকে ব্রিটিশ যুগ বলে আখ্যায়িত করা হয়?  উত্তরঃ ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে থেকে পরবর্তী সময়কে ব্রিটিশ যুগ বলে অভিহিত করা হয়। ৬) একজন জৈন শাসক এবং বৌদ্ধ নরপতির নাম লেখো। উত্তরঃ একজন জৈন শাসক হলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য এবং বৌদ্ধ নরপতি হলেন কনিষ্ক। ৭) কোন সময় কালকে হিন্দুযুগ বলা হয়?   উত্তরঃ ১২০৬ খ্রিস্টাব্দের পূর্ব পর্যন্ত সময়কালকে হিন্দু যুগ বলা হয়। ৮) জেমস মিল ভারতের ইতিহাসকে কটি যুগে ভাগ করেছেন?  উত্তরঃজেমস মিল ভারতের ইতিহাসকে তিনটি যুগে ভাগ করেছেন- হিন্দু যুগ, মুসলিম যুগ, এবং ব্র...

রাষ্ট্রকূট বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে? এই বংশের শ্রেষ্ঠ রাজার নাম কি? কিভাবে রাষ্ট্রকূট শক্তির উত্থান হয়েছিল তা আলোচনা করো।

রাষ্ট্রকূট বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে? এই বংশের শ্রেষ্ঠ রাজার নাম কি? কিভাবে রাষ্ট্রকূট শক্তির উত্থান হয়েছিল তা আলোচনা করো। ( ইতিহাস, মাইনর,দ্বিতীয় সেমিস্টার, পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় শিক্ষানীতি সিলেবাস ২০২০) ভূমিকাঃ             আমরা জানি যে,বিভিন্ন বংশের শাসকরা তাঁদের যোগ্যতা-দক্ষতা দিয়ে দক্ষিণ ভারতের প্রাচীন প্রাচীন যুগের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করে তুলেছিলেন। আর তাদের অন্যতম বংশ হলো রাষ্ট্রকূট বংশ। চালুক্যদের ক্ষমতার গরিমা চূর্ণ করে দন্তিদুর্গ বংশের প্রতিষ্ঠা করেন। আর সেই বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা হলেন অমোঘবর্ষ।         আমরা জানি যে ৭৫২ থেকে ৯৮২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত যে রাজবংশ ভারতের উত্তর এবং দক্ষিণ অংশ আলোকিত করেছে সেটি হলো রাষ্ট্রকূট রাজবংশ। তৎকালীন সময়ে রাষ্ট্র বলতে প্রশাসনিক বিভাগ এবং রাষ্ট্রকূট বলতে রাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে বোঝানো হতো। তবে পরবর্তীকালে এই অর্থটি পরিবর্তিত হয়ে জাতি বা গোষ্ঠীর রূপে গণ্য হয়। বলা যায়, চালুক্যদের সামান্য সামন্ত রাজা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। রাষ্ট্রকূট রাজারা নিজ পরাক্রমে মহারাষ্ট্র, তামি...

রাষ্ট্রপতির আইন সংক্রান্ত ক্ষমতা আলোচনা করো।

রাষ্ট্রপতির আইন সংক্রান্ত ক্ষমতা আলোচনা করো।                  আমরা জানি যে, ভারতীয় সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রপতি হলেন কেন্দ্রীয় আইনসভার অবিচ্ছেদ্য অংশ বা অঙ্গ। সংবিধানের ৭৯ নম্বর ধারায় বলা হয়েছ যে, রাষ্ট্রপতি লোকসভা ও রাজ্যসভাকে নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় আইনসভা গঠিত হবে। আর সেই আইনসভায় রাষ্ট্রপতি পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের অধিবেশন আহ্বান ও স্থগিত রাখতে পারেন। তবে সাধারণ বিল নিয়ে সংসদে কোন মতবিরোধ দেখা দিলে রাষ্ট্রপতি সেখানে দুটো কক্ষের যুগ্ম অধিবেশন আহ্বান করে সেই মতবিরোধ নিরশন করেন। আর সেই আইনসভায়--          সংসদের উচ্চকক্ষে ১২ জনকে নিয়োগ করার ক্ষমতা সংবিধান রাষ্ট্রপতির হাতে অর্পণ করেছ। এছাড়াও তিনি সংসদের নিম্নকক্ষে অর্থাৎ লোকসভায় দুজন অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সম্প্রদায় থেকে মনোনীত করতে পারেন। তবে-            ভারতীয় সংবিধানের রীতি অনুসারে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন ছাড়া কোনবিল আইনে পরিণত হতে পারে না। সেখানে অর্থবিল বা সংবিধান সংশোধনের বিল সংসদে গৃহীত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো ...

ভারত যুক্তরাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।

ভারত যুক্তরাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। ১)যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মতো ভারতের দুই ধরনের সরকার আছে। সমগ্র ভারতে শাসন পরিচালনার জন্য একটি কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রত্যেক অঙ্গরাজ্যের শাসন কার্যের জন্য পৃথক রাজ্য সরকার। সেই হিসেবে ভারতের ২৯ টি অঙ্গরাজ্যের জন্য ২৯টি রাজ্য সরকার আছে। ২) ভারতীয় সংবিধান দ্বারা আইন শাসন ও আর্থিক সব ধরনের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার গুলির মধ্যে বন্টন করা হয়েছে। আইন সংক্রান্ত ক্ষমতাবিভাজন প্রসঙ্গে বিস্তারিত তালিকা আছে- কেন্দ্রীয় তালিকার ৯৯ টি বিষ৬য় কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য তালিকার ৬৪টি বিষয়ে রাজ্য সরকার আইন প্রণয়ন করে থাকে। ৩) ভারতে একটি লিখিত সংবিধান আছে এবং সেই সাথে সংবিধানের প্রাধান্যও আছে। সংবিধানই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির ক্ষমতার উৎস। ৪) ভারতের সংবিধান অংশত দুষ্পরিবর্তনীয়। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে বজায় রাখার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ের স্বার্থ জড়িত যেসব অংশ দুষ্পরিবর্তনীয় হওয়া দরকার সেইসব অংশগুলি দুষ্পরিবর্তনীয় করা হয়েছে।  ৫) ভারতের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার গুলির মধ্যে বিরোধ মীমাংসার জন্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালত...

রাষ্ট্র পরিচালনায় নির্দেশমূলক নীতির গুরুত্ব বা তাৎপর্য লেখো।

রাষ্ট্র পরিচালনায় নির্দেশমূলক নীতির গুরুত্ব বা তাৎপর্য লেখো। ভূমিকাঃ আমরা জানি যে, ভারতবর্ষের সংবিধানের আশু লক্ষ্য হলো ভারতকে বিশ্বের দরবারে একটি জনকল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা। আর এই উদ্দেশ্যকে সাফল্যমন্ডিত করতে কেবলমাত্র রাজনৈতিক গণতন্ত্র যথেষ্ট নয়, অর্থনৈতিক গণতন্ত্রও প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর সেই কারণে ভারতের সংবিধানের মৌলিক অধিকার গুলির মাধ্যমে রাজনৈতিক গণতন্ত্র এবং নির্দেশমূলক নীতিগুলির মাধ্যমে সামাজিক ও অর্থনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়েছে। এই প্রচেষ্টা কে প্রতিষ্ঠা করার অভিপ্রায়ে ভারতের সংবিধান রচয়িতারা আয়ারল্যান্ডের সংবিধান অনুকরণে ৩৬ থেকে ৫১ নং ধারায় নির্দেশমূলক নীতিগুলি উল্লেখ করেছেন। তবে উল্লেখ যাইই থাকুক না কেন, একদল পন্ডিত মনে করেন নির্দেশমূলক নীতির বাস্তবে কোন গুরুত্ব নেই। পাশাপাশি আবার অন্য একদল পন্ডিত মনে করেন যে, নির্দেশমূলক নীতির বাস্তবে বেশ গুরুত্ব বা তাৎপর্য আছে।                         •বিপক্ষে যুক্তি•  ১) নির্দেশমূলক নীতি আদালত কর্তৃক বলবৎযোগ্য নয়। তাই নির্দেশমূলক নীতি আদালত দ্বার...

ছুটি গল্পের কাহিনী বিশ্লেষণ করে এই গল্পের নামকরণ কতটা যুক্তিযুক্ত তা আলোচনা করো।

ছুটি গল্পের কাহিনী বিশ্লেষণ করে এই গল্পের নামকরণ কতটা যুক্তিযুক্ত তা আলোচনা করো। আমরা জানি যে প্রকৃতির সাথে মানব মনের মেলবন্ধন হলেই সেখানে মানুষ হয়ে ওঠে প্রকৃতির সন্তান। আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছুটি গল্পটি তেমনিই এক দৃষ্টান্ত।যে গল্পটি ১২৯৯ সালে সাধনা পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রসঙ্গত আমরা বলতে পারি যে,রবীন্দ্রনাথ সাজাদপুরের পদ্মার ঘাটে একটা নৌকোর মাস্তুলকে গড়িয়ে গড়িয়ে একদল ছেলেরা মজার খেলার যে বর্ণনা দিয়েছেন, সেটাই মনে হয় ছুটি গল্পের প্রধান ভিত্তিভূমি। যেখানে–           আমরা ছুটি গল্পের শুরুতেই দেখি, নদীর ধারে বিশাল এক শালকাঠ মাস্তুল তৈরি করার জন্য পড়েছিল। আর সেখানে যেসকল ছেলেমেয়েরা খেলা করছিল। তাদের মধ্যে বিশেষ করে বালকদের মধ্যে সর্দার ফটিক চক্রবর্তী। সেদিন তারা সকলেই সেই কাঠের গুড়িটি নিয়ে গড়িয়ে খেলার জন্য তৈরি হয়। ফটিকের এই কথায় সকলেই রাজি হয়ে যায়। কিন্তু আমরা আশ্চর্যজনক ভাবে দেখলাম যে,ফটিকের ভাই মাখন সেই কাঠের গুড়ির ওপর চেপে বসে রইল। সে কোনমতেই সেখান থেকে নামতে রাজি নয়। অতঃপর আমরা দেখি ছেলেরা সকলে মিলে সেই কাঠের গুড়িটি ঠেলে এবং তার ফল...
ছোটগল্প হিসেবে “কাবুলিওয়ালা” নামকরণ কতটা স্বার্থক তা আলোচনা করো।         আমরা জানি সাহিত্যের নামকরণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আসলে নামকরণ চুম্বকের দুই আকর্ষণ বিন্দুর মতো-একবিন্দু আকর্ষণ করে পাঠককে আর অন্য বিন্দু আকর্ষণ করে কাহিনী ঘটনা ও চরিত্রের ত্রিবেণী সঙ্গম কে। গল্পকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গল্পের শীর্ষ নাম কে কখনো গল্পের শিষ্য নামকে কখনো কাহিনী বা ঘটনা বা চরিত্রের ঘাত-প্রতিঘাতের অপুর নির্ভর করান, আবার কখনো গভীর ব্যঞ্জনাশ্রয়ী নামকরণ করে থাকেন। আর কাবুলিওয়ালা গল্পে আমরা দেখি-        রবীন্দ্রনাথ এই গল্পের রহমতের পিতৃত্বকে গুরুত্ব দিলেও গল্পের নাম রহমত রাখেন নি। আসলে রবীন্দ্রনাথ শুধু রহমতের পিতৃত্বকে নয়, সকলের পিতৃত্বকে গুরুত্ব দিতে বিশেষ নামকরণের পরিবর্তে নির্বিশেষে নামকরণের কথা চিন্তা করেছেন। সেক্ষেত্রে ব্যক্তির নাম গল্পের মূল বক্তব্যকে যথার্থভাবে প্রতিপন্ন করতে পারত না।তবে-         আলোচ্য কাবুলিওয়ালা গল্পে দেখা যায় মিনি, কাবুলিওয়ালা রহমত, মিনির বাবা, এই তিন প্রধান চরিত্র। গল্পের প্রথম স্তরে রহমত ও মিনির বন্ধুত্ব প্রাধান্...

ভারতের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও পদমর্যাদা আলোচনা করো

ভারতের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও পদমর্যাদা আলোচনা কর।( পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, মাইনর সিলেবাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান)            সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় দুই ধরনের শাসকের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয়। সেখানে একজন নিয়মতান্ত্রিক বা নাম সর্বস্ব শাসক এবং অপরজন হলেন প্রকৃত শাসক। ভারতবর্ষের নাম সর্বস্ব শাসক হলেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রকৃত শাসক হলেন প্রধানমন্ত্রী সহ তাঁর মন্ত্রীপরিষদ। তবে সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ভারতবর্ষে-      রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে এবং ৩৫ বছর বয়স হতে হবে। সেই সাথে লোকসভা বা রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী কোন মতেই রাষ্ট্রীয় লাভজনক পদে থাকা চলবে না। শুধু তাই নয় তার নাম ৫০জন নির্বাচক কর্তৃক প্রস্তাবিত এবং সমর্থিত হতে হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় অবশ্যই ১৫০০০ টাকা জামানত হিসেবে জমা রাখতে হবে। রাষ্ট্রপতির কার্যকালের মেয়াদ পাঁচ বছর। তবে তিনি পুনঃনির্বাচিত হতে পারেন। আবার সংবিধান ভঙ্গের অভিযোগে পার্লামেন্ট রাষ্ট্রপতিকে পদচ্যু...