Skip to main content

Posts

Showing posts from May, 2024

প্রশ্ন-গুচ্ছ কাকে বলে? সুবিধা ও অসুবিধা গুলি লেখো।

 প্রশ্নগুচ্ছ কাকে বলে?প্রশ্নগুচ্ছের সুবিধা ও অসুবিধা গুলি লেখো। (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, এডুকেশন ) প্রশ্নগুচ্ছঃ     কোন গবেষণায় তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রশ্নগুচ্ছ বা প্রশ্নাবলী অতি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। নির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের জন্য বিধিবদ্ধভাবে রচিত প্রশ্ন সমূহকে প্রশ্নগুচ্ছ বলে। আর Normative সার্ভে গবেষণার ক্ষেত্রে বিস্তৃত পরিধি থেকে তথ্যসংগ্রহের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল প্রশ্নগুচ্ছ।  প্রশ্নগুচ্ছের সুবিধাঃ- ১) প্রশ্নপত্র যথাযথভাবে ব্যবহৃত হলে তথ্য সংগ্রহের উপায় হিসেবে প্রশ্নগুচ্ছের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা যায়।  ২) তাৎপর্যপূর্ণ প্রতিটি প্রশ্নের প্রতি প্রতিক্রিয়াকারীর মনোযোগে আকর্ষণে এটি ভীষণ কার্যকরী ৩) গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা যখন বহু দূরে এবং বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করেন সেখানেই এই পদ্ধতিটি সাক্ষাৎকার, পর্যবেক্ষণ, অভীক্ষা প্রয়োগ ইত্যাদি অপেক্ষা সহজে প্রয়োগ করা যায়।  ৪) প্রশ্নগুচ্ছ দলগতভাবে প্রয়োগ করা যায় এবং যেকোনো উদ্দেশ্যে ভাবে করা যায় । ৫) পরিকল্পনা করা, প্রস্তুত করা এবং প্রয়োগ করা অপেক্ষাকৃত সহজ সরল হয়  ৬) গভীর অধ্যয়নের প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে

স্মরণ ও বিস্মরণ এর পার্থক্য লেখো।

 স্মরণ ও বিস্মরণ এর প্রধান পার্থক্য নির্ণয় করো।  ব্যক্তির নিজস্ব অতীত অভিজ্ঞতাকে প্রতিরূপের সাহায্যে মনের সামনে পুনরায় টেনে আনাকে স্মৃতি বলে। স্মৃতি হলো অতীত প্রত্যক্ষ বা অনুভূত বস্তুর যথাসম্ভব অবিকল পুনরুৎপাদনের ক্ষমতা এবং স্মরণ হলো ক্রিয়া।          স্মৃতিকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর যে উপাদানগুলি পাওয়া যায় তা হল-            ১) শিখন ও অভিজ্ঞতা লাভ              ২) সংরক্ষণ বা ধারণ পুনরুদ্রেক,                  পুনঃপরিজ্ঞান।       স্মৃতির পশ্চাতে এই সকল অবদানগুলির মিথস্ক্রিয়া কাজ করে। এগুলি বিস্তৃতির ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয় না। বিস্তৃতির ক্ষেত্রে স্মৃতি প্রতিরূপটির যে সকল গুণ থাকলে মনে থাকতো তা থাকে না।                   এক্ষেত্রে উদ্দীপকের পুনরাবৃত্তি ঘটে না, আমাদের আবেগ, মেজাজ ও স্বাভাবিক আগ্রহের প্রতিকূল উদ্দীপক এবং নতুনত্ব বা বৈচিত্রপূর্ণ উদ্দীপক বিস্মৃতিতে হারিয়ে যায়। এছাড়া পর্যালোচনার অভাব, বাধাজনিত বিস্মৃতি, অনুষঙ্গের অভাব, মনোযোগ ও আগ্রহের অভাব, অবদমন, আঘাত প্রভৃতিও বিস্মৃতির কারণে মধ্যে পড়ে। স্মৃতির ক্ষেত্রে এগুলির দৈন্যতা পরিলক্ষিত হয় না।

জানা' ক্রিয়াপদটি কী কী অর্থে ব্যবহার করা হয়? অর্থগুলি দৃষ্টান্তসহ বিশ্লেষণ করো।

'জানা' ক্রিয়াপদটি কী কী অর্থে ব্যবহার করা হয়? অর্থগুলি দৃষ্টান্তসহ বিশ্লেষণ করো। ভূমিকাঃ           ইংরেজিতে Knowledge বা বাংলায় জ্ঞান বলতে আমরা বুঝে থাকি কোন বিষয় বা বস্তুকে জানা। কেননা Know এই ক্রিয়াপদ থেকে Knowledge শব্দটি এসেছে। তাই জানা ক্রিয়াপদটির অর্থ জেনে রাখা আমাদের অত্যন্ত জরুরি। আর এই জানা পদটি সাধারণত তিনটি অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে। আর সেগুলি হল-             ১) পরিচিতি অর্থে জানা ।             ২) সামর্থ্য বা কর্মকৌশল অর্থে জানা।             ৩) বাচনিক অর্থে জানা। ১) পরিচিতি অর্থে জানাঃ              যখন আমি বলি আমি রিচার্ড স্মিথ কে জানি, তখন এই কথাটির অর্থ হল রিচার্ডের সাথে আমার পরিচিতি আছে। অর্থাৎ দু একবার তাঁর সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল। এই সাক্ষাৎ পরিচয় না থাকলে কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে জানি একথা বলা যায় না। বস্তু বা ঘটনার অস্তিত্ব সম্পর্কে এরূপ প্রাথমিক সচেতনতা থেকে যে জ্ঞান হয়, তাকে বলে পরিচিতমূলক জ্ঞান। সুতরাং 'জানা' বলতে এক্ষেত্রে বোঝায় সাক্ষাৎ পরিচিতি। ২) সামর্থ বা কর্মকৌশল অর্থে জানাঃ           যখন আমি বলি, 'আমি ঘোড়ায় চড়তে জানি' তখন এই

ভারতীয় সংবিধানে উল্লিখিত নির্দেশমূলক নীতিগুলির গুরুত্ব ও তাৎপর্য আলোচনা করো।

ভারতীয় সংবিধানে উল্লিখিত নির্দেশমূলক নীতিগুলির গুরুত্ব ও তাৎপর্য আলোচনা করো।(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ভূমিকাঃ        আলোচনা শুরুতেই বলা যায় যে,ভারতীয় সংবিধানে উল্লিখিত নির্দেশমূলক নীতিগুলি আদালত কর্তৃক  বলবৎযোগ্য না হওয়ার ফলে বাস্তবে এগুলি নৈতিক উপদেশ বা রাজনৈতিক ইস্তেহারে পরিণত হয়েছে। তবে এই নীতিগুলি একেবারেই মূল্যহীন নয়। কারণ এই নীতিগুলি আদালত কর্তৃক বলবৎযোগ্য না হয়েও এর গুরুত্ব বা তাৎপর্যকে সরাসরি অস্বীকার বা উপেক্ষা করা যায় না। তাই এই নির্দেশ মূলক নীতিগুলি বেশ তাৎপর্য বা গুরুত্ব আছে বলে মনে করা হয়। আর সেই গুরুত্ব গুলি হলো- ১) রাজনৈতিক তাৎপর্যঃ            নির্দেশমূলক নীতিগুলি আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে সমতা আনার মাধ্যমে ভারতীয় গণতন্ত্রকে পরিপূর্ণ করার চেষ্টা করেছে। তাই এই নীতিগুলি সমাজ বিপ্লবকে লক্ষ্য রেখে তা বাস্তবে রূপায়িত করার সহায়ক বলা হয়। আসলে এইসব নীতি ভারতের সমাজ জীবন ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক চিন্তাকে সুদৃঢ় ভিত্তির উপর স্থাপন করেছে। ২) সাংবিধানিক গুরুত্বঃ          

স্মরণ রাখার সহজ উপায় গুলি আলোচনা করো।

 স্মরণ রাখার সহজ উপায় গুলি আলোচনা করো (West Bengal State University, 2nd Semester, Education, Minor) ভূমিকাঃ        স্মৃতি কিভাবে বাড়ানো যায় এই বিষয়টি নিয়ে অতি প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক কাল পর্যন্ত মনোবিদদের মধ্যে বেশ মতপার্থক্য দেখা যায়। আর এই মতপার্থক্যের মধ্যে প্রাচীনকালে স্মৃতিকে ফ্যাকাল্টি অফ মাইন্ড বলে বর্ণনা করা হত। তাঁদের মতে স্মৃতিকে বাড়ানো যায়। কিন্তু আধুনিক মনোবিদরা মনে করেন, স্মৃতির ধারণ শক্তি মানুষের সহজাত। যা অনুশীলন বা চর্চার দ্বারা তাকে কোনভাবেই বাড়ানো যায় না। প্রাচীন এবং আধুনিক কালের মনোবিদদের মতামতকে সামনে রেখে বলা যায় যে- ১) আগ্রহঃ           কোন বিষয়বস্তু শেখার আগে ওই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা দরকার। আর আগ্রহ না থাকলে বিষয়বস্তু আয়ত্ত করা কঠিন হবে এবং সেটির সংরক্ষণ ক্ষণস্থায়ী হবে। ২) মনোযোগঃ          মনোযোগ হল মনকে নিযুক্ত করার প্রক্রিয়া। কোন বিষয়ে আয়ত্ত করার সময় মনকে সেই বিষয়ে নিযুক্ত করতে পারলে সংরক্ষণের কাজ সঠিকভাবে হয়। কারণ মনোযোগের সাহায্যেই বিষয়বস্তুগুলি জ্ঞানেন্দ্রিয় থেকে স্বল্পস্থায়ী স্মৃতিতে যায়। ৩) অনুষঙ্গ স্থাপনঃ          দুটি বিষ

বিস্মৃতি/বিস্মরণ অভিশাপ না আশীর্বাদ? যুক্তি দাও।

 বিস্মৃতি/বিস্মরণ অভিশাপ না আশীর্বাদ? আলোচনা করো।(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, এডুকেশন,মাইনর)              আমরা জানি স্মৃতির বিপরীত প্রক্রিয়া হল বিস্মতি। আবার ভুলে যাওয়াকে আমরা বলি বিস্মৃতি। আসলে বিস্মৃতি হলো মস্তিষ্কে সংরক্ষণের অভাব, এটি একটি স্বাভাবিক মানসিক ঘটনা।           মনোবিদ রিবোর্ট বলেন যে, আমাদের কোন কিছু শেখার জন্য ভুলে যাওয়ার প্রয়োজন আছে। আমরা যা শিখি তার সমস্তটাই মনের মধ্যে রাখা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের মানসিক ক্ষমতা হলো সীমাবদ্ধ। অপরিচিত জিনিসকে যদি আমরা ভুলে না যাই তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় জিনিস মনে রাখতে পারব না। অনেক অনেক অতৃপ্ত বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা আমরা ভুলতে চাই মানসিক কষ্ট লাঘব করার জন্য। এদিক থেকে বিচার করলে বিস্মৃতি আমাদের কাছে আশীর্বাদ স্বরূপ। আবার-             অনেক সময় আমরা প্রয়োজনীয় জিনিসও ভুলে যাই। সবকিছু ভুলে যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় কিছু যথাসময়ে মনে করতে না পারাকে নিঃসন্দেহে অভিশাপ বলা যায়।মনোবিদ ফ্রয়েডের মতে-          " আমরা ভুলে যেতে চাই বলে ভুলে যাই।              ভুলে যাওয়াটা হলো একটি ঐচ্ছিক              মানসিক প্রক্র

ভারতীয় সংবিধানে উল্লিখিত নির্দেশমূলক নীতিগুলির গুরুত্ব ও তাৎপর্য আলোচনা করো।

 ভারতীয় সংবিধানে উল্লিখিত নির্দেশমূলক নীতিগুলির গুরুত্ব ও তাৎপর্য আলোচনা করো।(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ভূমিকাঃ        আলোচনা শুরুতেই বলা যায় যে,ভারতীয় সংবিধানে উল্লিখিত নির্দেশমূলক নীতিগুলি আদালত কর্তৃক  বলবৎযোগ্য না করার ফলে বাস্তবে এগুলি নৈতিক উপদেশ বা রাজনৈতিক ইস্তেহারে পরিণত হয়েছে। তবে এই নীতিগুলি একেবারেই মূল্যহীন নয়। কারণ এই নীতিগুলি আদালত কর্তৃক বলবৎযোগ্য না হয়েও এর গুরুত্ব বা তাৎপর্যকে সরাসরি অস্বীকার বা উপেক্ষা করা যায় না। তাই এই নির্দেশ মূলক নীতিগুলি বেশ তাৎপর্য বা গুরুত্ব আছে বলে মনে করা হয়। আর সেই গুরুত্ব গুলি হলো- ১) রাজনৈতিক তাৎপর্যঃ            নির্দেশমূলক নীতিগুলি আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে সমতা আনার মাধ্যমে ভারতীয় গণতন্ত্রকে পরিপূর্ণ করার চেষ্টা করেছে। আর এই নীতিগুলি সমাজ বিপ্লবকে লক্ষ্য রেখে তা বাস্তবে রূপায়িত করার সহায়ক বলা যায়। তাই এইসব নীতি ভারতের সমাজ জীবন ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক চিন্তাকে সুদৃঢ় ভিত্তির উপর স্থাপন করেছে। ২) সাংবিধানিক গুরুত্বঃ             সংব

বস্তুবাদ কাকে বলে? সরল বস্তুবাদের মূল বক্তব্য কী? সরল বস্তুবাদের তত্ত্বটি ব্যাখ্যা ও বিচার করো।

বস্তুবাদ কাকে বলে? সরল বস্তুবাদের মূল বক্তব্য কী? সরল বস্তুবাদের তত্ত্বটি ব্যাখ্যা ও বিচার করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বিএ দ্বিতীয় সেমিস্টার(NEP) এবং উচ্চমাধ্যমিক)। বস্তুবাদঃ-        যে মতবাদ অনুসারে বাহ্যিক জগতের বিষয়বস্তুর জ্ঞান-নিরপেক্ষ বা মন-নিরপেক্ষ বস্তর স্বতন্ত্র সত্তা আছে, তাকে বস্তুবাদ বলা হয়। আর এই বস্তুবাদ এর সমর্থক হলেন জন লক।         তবে আধুনিক দর্শনে বস্তুবাদ হল সেই মতবাদ, যেখানে বলা হয় যে, জড় বস্তুর অথবা ভৌত বস্তুর মন-নিরপেক্ষ এবং ইন্দ্রিয়-অভিজ্ঞতার-নিরপেক্ষ অস্তিত্ব আছে। আর এই বস্তুবাদ হল ভাববাদের বিরোধী মতবাদ। বস্তুবাদের শ্রেণীবিভাগঃ-                 ১) লৌকিক বা সরল বস্তুবাদ                 ২) প্রতিরূপী বা বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদ  ১) সরল বস্তুবাদঃ-            বস্তুবাদের সরলরূপ হল লৌকিক বস্তুবাদ বা সরল বস্তুবাদ। আর এই মত অনুসারে আমরা জানি যে,ভৌত বস্তু বা জড় বস্তুকে ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতায় সাক্ষাৎভাবে বা সরাসরি জানতে পারি। এরূপ ভৌত বস্তুর মন-নিরপেক্ষ বা মন স্বতন্ত্র অস্তিত্ব আছে। অর্থাৎ-         আমরা জানি বা না জানি ভৌত বস্তুর অস্তিত্ব থাকবেই। যেমন চেয়ার-ট

গুপ্ত যুগের প্রশাসন/ শাসন ব্যবস্থার প্রকৃতি আলোচনা করো।

গুপ্ত যুগের প্রশাসন / শাসন ব্যবস্থার প্রকৃতি আলোচনা করো। (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ইতিহাস মাইনর, দ্বিতীয় সেমিস্টার।) ভূমিকাঃ কুষাণোত্তর পর্বে তথা চতুর্থ শতকের একেবারে প্রারম্ভে প্রধানত উত্তর ভারতকে কেন্দ্র করে যে গুপ্ত সাম্রাজ্য  প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তা কালক্রমে বিস্তার লাভ করেছিল। তবে সাম্রাজ্যের বিস্তৃতির পশ্চাতে একটি দৃঢ় প্রশাসনিক কাঠামো যে ছিল সে বিষয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। গুপ্ত যুগের সমসাময়িক শিলারেখ তথা দামোদরপুর তাম্রশাসন,জুনাগড়লিপি ও ফা-হিয়েনের বিবরণ  ইত্যাদি বহু বিচিত্র প্রমাণ গুপ্ত শাসন ব্যবস্থার প্রকৃতি বিশ্লেষণের সাহায্য করে। পূর্ববর্তী শাসকদের মতো এ যুগেও শাসন ব্যবস্থার শীর্ষে ছিলেন সম্রাট। তবে রাজার মতামতই চূড়ান্ত। যদিও তিনি ইচ্ছে করলে পরামর্শ নিতে পারতেন। আসলে সম্রাট ছিলেন বিবিধ ক্ষমতার অধিকারী। তবে -          মৌর্য সাম্রাজ্যের পতনের প্রায় ৫০০ বছর পর গুপ্ত রাজাগণ মগধে এক শক্তিশালী রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। আর এখানে গুপ্ত শাসনব্যবস্থা সংক্রান্ত তথ্য আহরণের জন্য আমাদের প্রধানত লেখমালা, মুদ্রা ও সিলমোহরের মতো প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের উপর নির্ভর করতে হয়

আমার দাও মা তবিলদারি/আমি নিমকহারাম নই শঙ্করী।

           "আমায় দাও মা তবিলদারি।            আমি নিমকহারাম নই শংকরী।।" কবি কে? কোন শ্রেণীর পদ? উক্তিটির ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে কবির ভক্তিচিত্তর প্রকাশটি বুঝিয়ে দাও ।(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়,শাক্ত পদাবলী, দ্বিতীয় সেমিস্টার, বাংলা মেজর) শাক্ত পদাবলীর সাহিত্যের যিনি ভক্তির আবেগে পদগুলিকে রসসিক্ত করেছেন, সেই রামপ্রসাদ সেন হলেন আলোচ্য পদের রচয়িতা। আর এই পদটি ভক্তের আকুতি পর্যায়ের শ্রেণীভুক্ত।            বিশ্ব জননী বিশ্ব সৃষ্টি করার পর বিশ্বের সবকিছু বিলিয়ে দেবার ভার দিয়েছেন মহাদেবের উপর। স্বভাবভোলা মহাদেব ইচ্ছা মতো সকলকে বরদেন। কেউ কোন কিছু চাইলে কখনো পাত্র বিচার করেন না। এর ফলে বস্তুর অপচয় হতে থাকে। প্রকৃত ভক্ত কবি এত অপচয় সহ্য করতে না পেরে জননীর কাছে আবেদন করেছেন, যদি তাকে মায়ের কৃপা বিতরণ করার অধিকার দেওয়া হয় তবে যোগ্যকেই তিনি শুধু কৃপা বর্ষণ করবেন।           আমরা জানি যে,সাধনার ভেদ আছে। প্রকৃত সাধক রামপ্রসাদ বিনা কারণে সিদ্ধিলাভকে সমর্থন করেননি। তিনি সাধনার সেই স্তরকে সমর্থন করেছেন, যে স্রোতে এলে বলা চলে-           "বধূ কি আর ছাড়িয়া দিব।           হি

স্মৃতি কাকে বলে? স্মৃতির উপাদান গুলি কি কি বিশদে আলোচনা করো।

 স্মৃতি কাকে বলে? স্মৃতির উপাদান গুলি কি কি বিশদে আলোচনা করো।(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার NEP, শিক্ষা বিজ্ঞান।) স্মৃতিঃ   আমরা জানি যে ,স্মৃতি হলো একটি মানসিক প্রক্রিয়া। তাই অতীত অভিজ্ঞতার যথাসম্ভব অবিকল পুনরুদ্রেক করার ক্ষমতাকেই স্মৃতি বলে। এই স্মৃতিকে বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন মনোবিদরা বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। আর সেই সকল মনোবিদদের মধ্যে অন্যতম হলেন উডওয়ার্থ। তিনি বলেন-      "যে মানসিক প্রক্রিয়ার দ্বারা পূর্বে শেখা কোন          কাজ একইভাবে পরবর্তীকালে সম্পাদন করা      যায়, তাই হল স্মরণ বা স্মৃতি।"        মোট কথা হলো, কোন বিষয় শিখনের সময় বা কোন অভিজ্ঞতা অর্জনের সময় বিষয় বা পরিস্থিতি ব্যক্তির সামনে না থাকলেও সে সম্পর্কে চিন্তা করা যায়। বিষয়টি একটি ছবি ব্যক্তির মনের মধ্যে থাকে যা ইন্দ্রিয়াতীত বিষয়টি সম্পর্কে চিন্তা করতে সাহায্য করে। বিষয়টির এই মানস ছবিকে বলা হয় প্রতিরূপ। প্রতিরূপের মাধ্যমে অতীতের বিষয়কে মনের চেতন স্তরে অবিকল একইভাবে পুনঃরুজ্জীবিত করাই হল স্মরণ বা স্মৃতি। স্মৃতির উপাদানগুলি আলোচনা করো।           কোন বিষয় শেখার পর বিষ

বঁধু কি আর বলিবো আমি

                    ' বঁধু কি আর বলিব আমি।          জীবনে মরণে            জনমে জনমে                      প্রাণনাথ হৈও তুমি।।' পদকর্তার নাম কী? কোন পর্যায়ের পদ? আলোচ্য পদটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা মেজর, দ্বিতীয় সেমিস্টার, বৈষ্ণব পদাবলী ১৪ সংখ্যক পদ সিলেবাস অনুসারে)।  আলোচ্য পদটির পদকর্তা হলেন বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি চন্ডীদাস। আর পদটি নিবেদন পর্যায় থেকে চয়ন করা হয়েছে।                 'নিবেদন' পর্যায়ের এই পদে শ্রীরাধা কৃষ্ণকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন-শুধু জীবনের-মরণে নয়, জন্ম-জন্মান্তরে কৃষ্ণকে যেন প্রাণনাথ হিসেবে কাছে পেতে চান। কেননা এই জগতে তাঁর আপন বলতে শুধুমাত্র কৃষ্ণই আছে। তাই তিনি কৃষ্ণের চরণে আশ্রয় নিয়ে সবাইকে পর করেছেন। এখানে রাধা উপলব্ধি করেছেন কৃষ্ণই তাঁর জীবনের একমাত্র প্রার্থিত। এজন্য কৃষ্ণের কাছে রাধা সর্বস্ব সমর্পন করেছেন। প্রেম বঞ্চিত রাধার মনে হয়েছে, এই ত্রিভুবনে রাধাকে আপন বলে মনে করবার কেউ নেই। রাধার নাম ধরে তার সুখ দুঃখ আনন্দ বিরহের অনুভূতির কথা শোনার মত মানুষও নেই। রাধা বলেছেন তাঁর আর আ

জ্ঞানোৎপত্তি বিষয়ে কান্টের বিচারবাদ ব্যাখ্যা করো। এই বিচারবাদ কি গ্রহণযোগ্য? আলোচনা করো।

 জ্ঞানোৎপত্তি বিষয়ে কান্টের বিচারবাদ ব্যাখ্যা করো। এই বিচারবাদ কি গ্রহণযোগ্য? আলোচনা করো। (BA Second Semester WBSU & Higher Secondary Course)। ভূমিকাঃ        অভিজ্ঞতাবাদ ও বুদ্ধিবাদের মধ্যে নিহিত সত্য গ্রহণ করে কান্ট জ্ঞানৎপত্তির ক্ষেত্রে যে মতবাদ প্রতিষ্ঠা করেছেন দর্শনের ইতিহাসে তা বিচারবাদ (Criticism or Critical theory of knowledge) নামে খ্যাত। কান্টের মতে বুদ্ধিবাদ ও অভিজ্ঞতাবাদ উভয়ই চরমপন্থী মতবাদ। উভয় মতবাদই আংশিকভাবে সত্য, পরিপূর্ণভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তাই তিনি অভিজ্ঞতাবাদ ও বুদ্ধিবাদের বিরুদ্ধে দাবির মধ্যে সমন্বয় সাধন করলেন। আর সেই সমন্বয়ে আমারা পাই-- ১) জ্ঞান উপাদান ও আকারের সংমিশ্রণঃ         কান্টের মতে যথার্থ জ্ঞানের মধ্যে নতুনত্ব অবশ্যই থাকবে। আবার সেই জ্ঞান সর্বজনগ্ৰাহ্য ও অবশ্যস্বীকার্য হবে। কেবল ইন্দ্রিয়ানুভবের দ্বারা জ্ঞান হয় না। আন্তর ধারণা থেকে বুদ্ধির মাধ্যমে যদি আমরা যথার্থ ও সুনিশ্চিত জ্ঞান লাভ করি তাহলে জ্ঞানের অগ্রগতি ও নতুনত্বকে ব্যাখ্যা করা যায় না। আবার-         অপরদিকে ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতা যদি জ্ঞানের একমাত্র উপায় হয় তাহলে সর্বজনগ্রাহ্য ও অবশ্যস্বীকা

ভারতীয় সংবিধানে প্রস্তাবনা স্বরূপ আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান)।

 ভারতীয় সংবিধানে প্রস্তাবনা স্বরূপ আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান)। ভূমিকাঃ আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,১৯৪৯ সালে ২৬শে নভেম্বর ভারতের সংবিধানে একটি প্রস্তাবনা সংযুক্ত হয়েছিল। আর সেই প্রস্তাবনাটি ১৯৪৬ সালে ৪২ তম সংবিধান সংশোধনের দ্বারা কিছুটা পরিবর্তন করা হয়। সেই সংবিধানে বলা সেই সংবিধানে বলা হয়েছিল যে,জাতীয় ঐক্য ও সংহতি সুনিশ্চিত করার সাথে সাথে ভাতৃত্ববোধ প্রসারের জন্য অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। সেই নিরিখে ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনার স্বরূপটি হলো-- ১) আমরা ভারতের জনগণঃ            আমরা ভারতের জনগণ কথাটির অর্থ হল যে, ভারতীয় জনগণই সংবিধানের স্রষ্টা ও সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। আর সেদিন ভারতের সংবিধান কোন বিদেশী শক্তির দ্বারা সৃষ্টি হয়নি বা পরিচালিত হয়নি। ২) সার্বভৌমঃ           সার্বভৌম কথাটির অর্থ হলো ভারত রাষ্ট্র অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে পরিচালিত হবে। যার অর্থ হল, অন্য কোন রাষ্ট্র বা প্রতিষ্ঠানের নির্দেশ অনুসারে ভারত রাষ্ট্র পরিচালিত হবে না।  ৩) সমাজতান্ত্রিকঃ           সমাজতন্ত্র কথাটির অর্থ

"সই কেবা শুনাইলো শ্যাম নাম।" কোন পর্যায়ের পদ? কবি কে? এই বক্তব্যের মধ্যে নাম শ্রবণজাত যে অনুভূতির কথা বলা হয়েছে তার পরিচয় দাও।

             "সই কেবা শুনাইলো শ্যাম নাম।" কোন পর্যায়ের পদ? কবি কে? এই বক্তব্যের মধ্যে নাম শ্রবণজাত যে অনুভূতির কথা বলা হয়েছে তার পরিচয় দাও। আলোচ্য এই পদটি পূর্বরাগ পর্যায়ের পদ । পদটির  পদকর্তা হলেন কবি চন্ডীদাস।                শ্রীমতি রাধিকা দুই অক্ষরজাত একটি নাম শ্যাম শ্রবণ করার পর মুহূর্তে এক অদ্ভুত ভাবাবেগে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন। তিনি কোনভাবেই এই নাম ছাড়তে পারছেন না। তিনি সখিদের জানিয়েছেন, এই নাম যখন কানের ভিতর দিয়ে মরমে প্রবেশ করেছে 'তখন আকুল করল মোর প্রাণ'। রাধার মনে হয়েছে নাম শুনে যার এত প্রেম জাগে, সেই প্রেমিক মানুষটির সান্নিধ্যে এলে রাধার কী অবস্থা হবে। এই শ্যাম নামে এমন মধু আছে যে, 'বদন ছাড়িতে না পারে।' আর সে কারণে শ্রীমতির রাধিকা তার সখীদের কাছে বলেছেন-        কৃষ্ণ নাম জপ করতে করতে রাধার অঙ্গ অবশ হয়েছে। রাধা প্রতি মুহূর্তে ভাবতে থাকেন- "কেমনে পাইব সই তারে"। নাম শ্রবণে যদি এমন হয়, তাহলে একবার শ্যাম রূপ দর্শন করলে' 'যুবতী-ধরম কৈছে রয়'। রাধারানী শ্যামকে ভুলতে চান কিন্তু কোনভাবেই তিনি ভুলতে পারেন না। অর্থাৎ-         শ্রী

স্মরণ রাখার সহজ উপায় গুলি আলোচনা করো (West Bengal State University, 2nd Semester, Education, Minor)

স্মরণ রাখার সহজ উপায় গুলি আলোচনা করো (West Bengal State University, 2nd Semester, Education, Minor) ভূমিকাঃ        স্মৃতি কিভাবে বাড়ানো যায় এই বিষয়টি নিয়ে অতি প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক কাল পর্যন্ত মনোবিদদের মধ্যে বেশ মতপার্থক্য দেখা যায়। আর এই মতপার্থক্যের মধ্যে প্রাচীনকালে স্মৃতিকে ফ্যাকাল্টি অফ মাইন্ড বলে বর্ণনা করা হত। তাঁদের মতে স্মৃতিকে বাড়ানো যায়। কিন্তু আধুনিক মনোবিদরা মনে করেন, স্মৃতির ধারণ শক্তি মানুষের সহজাত। যা অনুশীলন বা চর্চার দ্বারা তাকে কোনভাবেই বাড়ানো যায় না। প্রাচীন এবং আধুনিক কালের মনোবিদদের মতামতকে সামনে রেখে বলা যায় যে- ১) আগ্রহঃ           কোন বিষয়বস্তু শেখার আগে ওই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা দরকার। আর আগ্রহ না থাকলে বিষয়বস্তু আয়ত্ত করা কঠিন হবে এবং সেটির সংরক্ষণ ক্ষণস্থায়ী হবে। ২) মনোযোগঃ          মনোযোগ হল মনকে নিযুক্ত করার প্রক্রিয়া। কোন বিষয়ে আয়ত্ত করার সময় মনকে সেই বিষয়ে নিযুক্ত করতে পারলে সংরক্ষণের কাজ সঠিকভাবে হয়। কারণ মনোযোগের সাহায্যেই বিষয়বস্তুগুলি জ্ঞানেন্দ্রিয় থেকে স্বল্পস্থায়ী স্মৃতিতে যায়। ৩) অনুষঙ্গ স্থাপনঃ          দুটি বিষয

রবীন্দ্রনাথ ছেলেবেলা গ্রন্থে জ্যেতিরিন্দ্রনাথের যে স্মৃতিচারণা করেছেন তা আলোচনা করো। (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা অনার্স, চতুর্থ সেমিস্টার)

রবীন্দ্রনাথ ছেলেবেলা গ্রন্থে জ্যেতিরিন্দ্রনাথের যে স্মৃতিচারণা করেছেন তা আলোচনা করো। (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা অনার্স, চতুর্থ সেমিস্টার) অথবা "জ্যোতিদাদা এসেছিলেন নির্জলা নতুন মন নিয়ে...।"  অথবা "ছাদের রাজ্যে নতুন হাওয়া বইল নামল নতুন ঋতু।"                আলোচনা শুরুতেই আমরা বলতে পারি যে, উনিশ শতকের সংগীত ও নাট্য ইতিহাসে জ্যেতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি উল্লেখযোগ্য নাম। আর তার থেকে উল্লেখযোগ্য তিনি হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা। সেই দাদার সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল রবীন্দ্রনাথকে 'রবীন্দ্রনাথ' করে তোলা। বালক রবীন্দ্রনাথকে বাঁধনের সব শিকল কেটে তাকে মুক্তির জগতে ও আনন্দ জগতের দাঁড় করান এই জ্যোতি দাদাই। আর সেই দাদাকে রবীন্দ্রনাথ বারে বারে তাঁর 'ছেলেবেলা' গ্রন্থে বিনম্র চিত্তে স্মরণ করেছেন।           আসলে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তার দাদার বয়সের ব্যবধানত্র ছিল ১২ বছর। তবে এই ১২ বছর বয়সটি তাঁদের মধ্যে মানসিক মেলবন্ধনের কোন অন্তরায় হয়ে ওঠেনি। তাই আমরা দেখি রবীন্দ্রনাথের জীবনে যাবতীয় নৈরাশ্য, হতাশার মেঘ সরিয়ে দিয়ে তাঁকে দৈহিক ও মানসিক বিকাশ সাধ

পরিমাপন বা পরিমাপ (Measurements) কাকে বলে? পরিমাপনের স্কেলগুলি কি কি আলোচনা করো।

পরিমাপন বা পরিমাপ (Measurements) কাকে বলে? পরিমাপনের স্কেলগুলি কি কি আলোচনা করো। (4th. Semester Education General) পরিমাপন/পরিমাপঃ             শিক্ষায় পরিমাপ হল শিক্ষার্থীর কোন বিষয়বস্তুর অন্তর্গত কোন জ্ঞানের অথবা কোন বিশেষ বিষয়ের দক্ষতা ও ক্ষমতার পরিমাপ নির্ণয় করা। আরো সহজ কথায় বলা যায় যে-           কোন স্তরের শিক্ষার্থীদের পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত কোন বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়ার পরে যে স্কোরমান বা মূল্যমান দেওয়া হয় তাকে পরিমাপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি একধরনের ক্রিয়া বা প্রক্রিয়া, যা শিক্ষা ক্ষেত্রে যেকোনো বিষয়ে মূল্য আরোপের ক্ষেত্রে একটি সংখ্যাসূচক নির্দেশ করে। পরিমাপের বা পরিমাপনের বিভিন্ন স্কেলঃ ১) নামসূচক স্কেলঃ           যে স্কেলের সাহায্যে কোন বস্তু বা ব্যক্তিকে সংখ্যা দ্বারা চিহ্নিত করা যায়, তাকে নামসূচক স্কেল বলে। যেমন-            ক্রিকেট ও ফুটবল খেলোয়াড়দের নম্বর দিয়ে চিহ্নিতকরণ, পরীক্ষার্থীদের ক্রমিক সংখ্যা দিয়ে চিহ্নিতকরণ করা। ২) ক্রমসূচক স্কেলঃ           যে স্কেলের সাহায্যে কোন বিশেষ বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে কোন বিশেষ শ্রেণিতে মাত্রার ক্রম অনুযায়ী বিন্যস্ত করা যায়

মূল্যায়ণ কাকে বলে? মূল্যায়ণের নীতিগুলি আলোচনা করো।

মূল্যায়ণ কাকে বলে? মূল্যায়ণের নীতিগুলি আলোচনা করো।  ভূমিকাঃ-          আধুনিক মনোবিজ্ঞান ও শিক্ষা ক্ষেত্রে মূল্যায়ণের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত কোন কিছুর উপর মূল্য আরোপ করার প্রক্রিয়াকে মূল্যায়ণ (Evaluation ) বলে। আসলে মূল্যায়ণ হলো ব্যক্তির আচরণের উপর মূল্য আরোপ করা। তবে বর্তমানে মনোবিজ্ঞান ও শিক্ষাক্ষেত্রে মূল্যায়ণ শব্দটিকে আরো ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করা হয়।আর সেখানে-               আধুনিক মূল্যায়ণ হলো একটি উদ্দেশ্য ভিত্তিক বিজ্ঞানসম্মত ও সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিমাপের প্রক্রিয়া। আর শিক্ষার দিক থেকে বলা হয় যে, শিক্ষার্থী শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনের পথে কতটা অগ্রসর হয়েছে, তা নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া হল মূল্যায়ণ। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ্ Wesley এর মতে-        "মূল্যায়ন হলো যাবতীয় প্রচেষ্টা ও উপায়           যার সাহায্যে কাঙ্খিত উদ্দেশ্যগুলিকে           পরিমাণ ও গুণগতভাবে কতখানি         বাস্তবায়িত হয়েছে তা যাচাই করা যায়।" মূল্যায়ণের নীতিসমূহঃ-            মূল্যায়ণের জন্য যেসব নীতিগুলি প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত সেগুলিকে মূল্যায়ণের নীতি বলে। মূল্যায়ণ শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি

শাস্তি সম্পর্কে প্রতিরোধাত্মক মতবাদটি সবিচার আলোচনা করো।

শাস্তি সম্পর্কে প্রতিরোধাত্মক মতবাদটি সবিচার আলোচনা করুন।(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, দর্শন ) ভূমিকাঃ     আমরা জানি যে,সমাজ জীবনে মানুষের আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করার একটি প্রধান উপায় হল শাস্তি। আর সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সমাজের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ও নিয়ম ভঙ্গকারী মানুষগুলিকে শাস্তি দিয়ে সমাজ তথা রাষ্ট্র সে সকল মানুষগুলির  আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যেখানে -        এই শাস্তি নামক প্রথাটি পৃথিবীর আদিমকাল থেকে অপরাধীদের দিয়ে আসছে। তবে আদিম যুগে অপরাধীকে শাস্তি দানের মধ্যে দিয়ে ব্যক্তিগত প্রতিশোধ নেওয়া হতো। যেখানে ন্যায়পরায়ণতার দাবীতেই নৈতিক নিয়ম লঙ্ঘনকারী অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া হয়। যারা সামাজিক ও নৈতিক নিয়ম ভঙ্গ করে সমাজ তাদেরই শাস্তি দিয়ে থাকে। কিন্তু এই শাস্তিদানের মূলনীতি কি হবে তার নির্ধারণ করতে গিয়ে নীতিবিদ্যায় শাস্তি সংক্রান্ত তিনটি মতবাদ উদ্ভব হয়েছে। আর সেই মতবাদগুলি হল-               ১) প্রতিরোধাত্মক মতবাদ               ২)সংশোধাত্মক মতবাদ এবং                 ৩) প্রতিশোধাত্মক মতবাদ। ১) প্রতিরোধাত্মক মতবাদঃ প্রতিরোধাত্মক মতবাদ অনুয

পোষ্টমাষ্টার গল্পের নামকরণ কতটা যুক্তিযুক্ত গল্পের নায়ক চরিত্রের নিরিখে আলোচনা করে দেখাও।(চতুর্থ সসেমিস্টার, বাংলা মিল)

পোষ্টমাষ্টার গল্পের নামকরণ কতটা যুক্তিযুক্ত গল্পের নায়ক চরিত্রের নিরিখে আলোচনা করে  দেখাও।(চতুর্থ সসেমিস্টার, বাংলা মিল)        ভূমিকা: আলোচনার শুরুতেই বলে রাখি যে-নামে কিছু যায় আসে না তবুও বলতে হয় গল্প বা উপন্যাসের ক্ষেত্রে এই কথাটি একদম খাটে না। আর আলোচ্য গল্পের ক্ষেত্রে আমরা দেখি গল্পটা নাম পোস্টমাস্টার। যে নামটি চরিত্রটির পেশার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যেখানেই এই পোষ্টমাষ্টার চরিত্রটি অতি জীবন্ত। কিন্তু এই গল্পের প্রাণ প্রাণ হলো রতন নামক চরিত্রটি । তবুও গল্পটির নাম পোস্ট মাস্টার। যেখানেই রবীন্দ্রনাথ জানালেন---       " সাজাদপুরের কৃষি বাড়িতে যে পোস্ট অফিস        ছিল তার পোষ্টমাষ্টারকে তিনি প্রতিদিন দেখতেন। তাকে নিয়েই এ গল্প ।"           পোস্টমাস্টার গল্পে পোস্টমাস্টার এর কোন নাম নেই। তিনি কলকাতার মানুষ। তিনি গ্রামে এসে ভীষণ সমস্যার সম্মুখীন হলেন। ঠিক যেমন জলের মাছকে ডাঙায় তুললে সেই মাছের যে অবস্থা হয় পোস্টমাস্টার গল্পে পোস্টমাস্টার এর সেই একই অবস্থা আমরা দেখি। এই সকল সমস্যার মধ্যে আবার রতন তাঁর মনের মধ্যে অনেকটা জায়গা জুড়ে নেয়। পোষ্টমাষ্টার চিন্তিত ঘরের জন্য।এই রতন একট

ঘরে বাইরে উপন্যাসটিতে সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব কতখানি আছে তা আলোচনা করো। (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা অনার্স)

 ঘরে বাইরে উপন্যাসটিতে সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব কতখানি আছে তা আলোচনা করো। (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা অনার্স) ভূমিকাঃ             ঘরে বাইরে উপন্যাসটি ১৯১৬ সালে সবুজপত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। আর সেই উপন্যাসটি চৌদ্দটি পর্বে এবং বিমলার আত্মকথা দিয়ে শুরু ও তারই আত্মকথা দিয়ে শেষ হয়েছে। যেখানে স্বদেশী আন্দোলনের পটভূমিকায় রচিত এই উপন্যাসে একদিকে আছে জাতিপ্রেম ও সংকীর্ণ স্বাদেশিকতার সমালোচনা, অন্যদিকে আছে সমাজিক প্রভাব । বিশেষ করে নিখিলেশ বিমলা এবং সন্দীপ এই তিন চরিত্রের আকর্ষণ,বিকর্ষণের নিখুঁত বিশ্লেষণ।আছে নারী পুরুষের প্রেম মনস্তাত্ত্বিক সম্পর্ক ।তবে সম্পর্ক, আকর্ষণ-বিকর্ষণ যাই থাকুক না কেন, ঘরে বাইরে উপন্যাসটি আমরা নিঃসন্দেহে একটি রাজনৈতিক উপন্যাস বলে অভিধা করতে পারি। আর সেখানে আমরা দেখি--              ঘরে বাইরে" স্বদেশী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লেখা রবীন্দ্রনাথের রাজনৈতিক উপন্যাস হিসেবেই অধিক পরিচিত।আর সেখানে গল্পের মূল চরিত্র নিখিলেশ,বিমলা এবং সন্দীপ।এই তিন চরিত্রের কারো না কারো আত্মজবানীতে প্রকাশ পেয়েছে উপন্যাসের মূল বিষয়। প্রকাশ পেয়েছে তিনজনের আ