Skip to main content

Posts

Showing posts from November, 2024

প্যারীচাঁদ(৩য় সেমিস্টার) মিত্রের বাংলা গদ্য সাহিত্যে অবদান।

বাংলা গদ্য সাহিত্যে প্যারীচাঁদ মিত্র র অবদান আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার, বাংলা, মেজর )। ভূমিকাঃ আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে হিন্দু কলেজের অন্যতম ছাত্র এবং ইয়ংবেঙ্গল দলের অন্যতম নেতা প্যারীচাঁদ মিত্র বাংলা গদ্যে বিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় রেখে গেছেন। বঙ্কিমচন্দ্রের পূর্বে বাংলা গদ্যে যে পালাবদল হয়েছে তার পশ্চাতে ছিল বাংলা ভাষা ও সাহিত্যির দীপ্ত ব্যক্তিত্ব। আর-                                                                              সেই সকল দীপ্ত ব্যক্তিত্বের মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্যারীচাঁদ মিত্র, যিনি টেকচাঁদ ঠাকুর ছদ্মনামের বেশি প্রসিদ্ধ ছিলেন। আসলে প্যারীচাঁদ জনকল্যাণের জন্যই কলম ধরেছিলেন স্ত্রীসমাজের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি ছিল তাঁর একমাত্র আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং প্রয়াস। তবে তাঁর গ্রন্থ গুলিতে সাহিত্যবোধের কোন অভাব ঘটেনি, তাই তিনি জ্ঞ...

জাতি(XI,2nd Sem .)ও রাষ্ট্রের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

         • জাতিঃ রাষ্ট্রবিজ্ঞানে জাতি ও রাষ্ট্র এ দুটি বিষয়কে অনেক সময় অভিন্ন বলে মনে করা হয়। তবে 'এক জাতি এক রাষ্ট্র' তত্ত্বটি এ দুটির মধ্যে অভিন্নতার দিকটি নির্দেশ করে। কিন্তু জাতি পূর্ণতা লাভ করে রাষ্ট্র গঠনের মধ্যে দিয়ে। আসলে-                                                                      জাতি হলো একটি সম্প্রদায়, যা একটি সাধারণ ভাষা, অঞ্চল, ইতিহাস, জাতিগততা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে গড়ে ওঠে            • রাষ্ট্রঃ রাষ্ট্র বলতে এমন এক রাজনৈতিক সংগঠনকে বোঝায়, যা কোন একটি ভৌগোলিক এলাকা ও তৎসংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করার সার্বভৌম ক্ষমতা রাখে। তবে রাষ্ট্র সাধারণত একগুচ্ছ প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে। এসব প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ হিসেবে সংশ্লিষ্ট ভৌগোলিক সীমার মধ্যে বসবাসকারী সমাজের সদস্যদের শাসনের জন্য নিয়ম-কানুন তৈরি করে।       ...

ইকতা ব্যবস্থা(3rd Sem) সম্পর্কে যা জানো লেখো সুলতানি যুগে ইফতার ব্যবস্থার বিবর্তন সম্পর্কে আলোচনা কর

ইকতা ব্যবস্থা সম্পর্কে যা জানো লেখো, •অথবা• সুলতানী যুগে ইকতা ব্যবস্থা বিবর্তন সম্পর্কে আলোচনা করো। ভুমিকাঃ ভারতে গজনীর ঘুরী বংশের সুলতানরা প্রথম তুর্কি শাসনকে সুসংহত রূপ দিতে শুরু করেন। সেই সাথে দিল্লির সুলতানরা তাদের অধীনে সামরিক নেতাদের বশ্যতা ও আনুগত্য আদায় করতে আগ্রহী ছিলেন।  তাঁরা ইকতা ব্যবস্থার মাধ্যমে সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অংশের সাথে এবং দিল্লির প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে চেয়েছিলেন। ফলে সুলতানরা সারা দেশকে কয়েকটি ইকতা দ্বারা ভাগ করেন। তবে -        পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইকতাদারী ব্যবস্থার প্রকৃতিরও পরিবর্তন ঘটেছিল। বিদ্রোহী হিন্দু সামন্তদের বিদ্রোহ দমনে এই ইকতাদাররা সুলতানদের বিশেষ সাহায্য করতেন। কাজেই রাজস্ব আদায় করা ছাড়াও সুলতানদের নির্দেশ অনুযায়ী ইকতাদারদের এই অতিরিক্ত কাজ করতে হতো। যারফলে তাঁরা প্রশাসনের অস্তিত্বের সাথে নিজেদের একাঙ্গী করে তোলেন। আর সেখানে -          •সুলতানদের সংস্কার-ইলতুৎমিস•  সুলতান ইলতুৎমিস তার সমগ্র সাম্রাজ্যকে দুটি ভাগে ভাগ করেছিলেন। দিল্লির দোয়াব এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলকে তিনি নিজের অধ...

জাতীয়বাদ(XI,2nd sem )কাকে বলে? জাতীয়তাবাদের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।

জাতীয়তাবাদ কাকে বলে? জাতীয়তাবাদের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।  • জাতীয়তাবাদঃ জাতীয়তাবাদ হল একটি মানসিক অনুভূতি। যে অনুভূতির মাধ্যমে কোন জাতির ঐতিহ্য, আশা-আকাঙ্ক্ষা ইত্যাদি প্রকাশ পায়। শুধু তাই নয়- ভাষা, ধর্ম, সাহিত্য, সংস্কৃতি, বংশ প্রভৃতি কারণে যখন একটি জনসমষ্টি নিজেদের সুখ-দুঃখ, ন্যায়-অন্যায় ও মান-অপমানের সমান অংশীদার বলে মনে করে এবং নিজেদের মধ্যে গভীর একাত্মবোধ অনুভব করে তখন তাদের মধ্যে জাতীয়তাবোধের সৃষ্টি হয়।আর-                               ঔঔৌএই জাতীয়তাবোধের সঙ্গে দেশপ্রেম মিলিত হয়ে যখন তা একটি রাজনৈতিক আদর্শ হিসেবে গড়ে ওঠে, তখন তাকে জাতীয়তাবাদ বলে।          •জাতীয়তাবাদের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য• জাতীয়তাবাদ হলো একটি মহান আদর্শ।আর এই আদর্শ মানুষের মধ্যে ঐক্যবোধের সঞ্চার করে। সেই সাথে মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে আত্মত্যাগে প্রেরণা যোগায়। তবে প্রত্যেক জাতির কিছু নিজস্ব গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকে। যেখানে-                ...

গণপ্রজাতন্ত্র (3rd.Sem) চিনের বিচারব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

গণপ্রজাতন্ত্র চিনের বিচারব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার, মাইনর, রাষ্ট্রবিজ্ঞান)। ভূমিকাঃ আলোচনার শুরুতেই বলে রাখা ভালো যে,১৯৮২ সালে সংবিধান অনুসারে চিনের বিচারব্যবস্থা গঠিত হয় চার শ্রেণীর আদালত নিয়ে। আর সেই আদালত গুলি হল সর্বোচ্চ গণ আদালত, আঞ্চলিক আদালতসমূহ, বিশেষ গণ আদালত এবং সামরিক আদালত। আর এই আদালত গুলির বিচারব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য গুলি হলো- ১) অখন্ড বিচার ব্যবস্থাঃ গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের বিচারবিভাগীয় সংস্থা বলতে গণ আদালত গুলিকে বোঝানো হয়। আর সেখানে চার ধরনের আদালত বিদ্যমান। সেই আদালত গুলি হল-                             ক) বিচার ব্যবস্থার শীর্ষে সর্বোচ্চ গণ আদালত।          খ) নিম্নে এবং অভিন্ন স্তরে রয়েছে আঞ্চলিক আদালত সমূহ                                                          ...

যুক্তরাজ্যের (3rd Sem) শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি ও আইনের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করো

যুক্তরাজ্যের শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি ও আইনের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করো। (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মাইনর) ভূমিকাঃ আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, আইন হলো এমন সব নিয়ম-কানুন, যেগুলি আদালত কর্তৃক সাধারণ বিবাদ মিমাংসার ক্ষেত্রে নেওয়া হয় ও প্রয়োগ করা হয়। আর এখানে শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি গুলি সাংবিধানিক আইনকে ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। তবুও শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি ও আইনের মধ্যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কতগুলি পার্থক্য লক্ষণীয়। আর সেই পার্থক্যগুলি হলো- ১) মর্যাদা সংক্রান্তঃ শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি তুলনায় আইনের মর্যাদা অনেক বেশি। কারণ আইন কেউ ভঙ্গ করলে আইন ভঙ্গকারীকে শাস্তি ভোগ করতে হয়। কিন্তু-        •শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতিকে ভঙ্গ করা হলে আইন ভঙ্গকারীর মতো শাস্তি পেতে হয় না।  ২) বলবৎযোগ্য সংক্রান্তঃ বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ডাইসি মনে করেন, আদালত কর্তৃক আইনের নিয়মকানুন প্রযুক্ত হয়। তাই আইনকে আদালত কার্যকর বা বলবৎ করে। কিন্তু -          •শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি গুলি আদালত কর্তৃক বলবৎযোগ্য নয়।  ৩) উৎস স...

ব্রিটেনের(3rd,Sem.) কমন্সসভা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি সভার মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করো।

ব্রিটেনের কমন্সসভা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি সভার মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মাইনর সিলেবাস)।  ভূমিকাঃ আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশ ব্রিটেনের আইনসভা পার্লামেন্ট নামে পরিচিত। আর সে দেশের পার্লামেন্ট দুটি কক্ষ- উচ্চ কক্ষ এবং নিম্নকক্ষ। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হল লর্ডসভা। রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থার দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেস নামে পরিচিত। তবে কংগ্রেসের দুটি কক্ষ উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হলো জনপ্রতিনিধি সভা। আর এক্ষেত্রে উভয় দেশের নিম্নপক্ষ কমন্সসভা ও প্রতিনিধি সভার মধ্যে তুলনামূলক আলোচনায় আমরা দেখি-          উভয় দেশের নিম্নকক্ষের মধ্যে কিছু মিল বা সাদৃস্য লক্ষ্য করা যায়।আর সেই সদস্য গুলি হল-       উভয় দেশের নিম্নকক্ষের সদস্যরা জনগণ দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত হন এবং উভয় দেশের নিম্নকক্ষ আইন প্রনয়ন সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত। সভার কার্যাদি পরিচালনা করেন স্পিকার এবং নিম্নকক্ষ বিভিন্ন কমিটির মাধ্যম...

ব্রিটেনের (3rd.Sem.) কমন্সসভা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি সভার মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করো।

ব্রিটেনের কমন্সসভা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিসভার মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মাইনর সিলেবাস)।  ভূমিকাঃ আলোচনা শুরু হবে আমরা বলে রাখি যে, সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশ ব্রিটেনের আইনসভা পার্লামেন্ট নামে পরিচিত। আর সে দেশের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ কক্ষ- উচ্চ কক্ষ এবং প্রকাশক। পার্লামেন্টকক্ষ হল লর্ডের অংশ। সামরিক স্বাস্থ্য প্রশাসন ব্যবস্থার দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেস পরিচিত। তবে বিকল্পের কক্ষ উচ্চ কক্ষ ও নিম্ন কক্ষ। নেতাদের জনপ্রতিনিধি সভা। আর দুই দেশের দুই পক্ষের কমন্স পার্টি ও দ্বিতীয় সভার মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা আমরা জেনেছি-          দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে কিছু মিল বা সাদৃস্য লক্ষ্য করা যায়।          • দুই দেশের নিম্নকক্ষের সদস্যরা জনগন দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে হন এবং দুই দেশের নিম্নকক্ষ আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত যোগাযোগের সাথে যুক্ত হন। সভার কার্যদির কর্তা স্পিকার এবং নিম্নকক্ষ বিভিন্ন বৃত্তের মাধ্যমে কার্যাদি সম্পাদন করেন। এখনও দুই দেশের নামকক্ষের মধ্...

রাজসিংহ ঐতিহাসিক উপন্যাস হিসেবে কতখানি সার্থক, আলোচনা করো।

ঐতিহাসিক উপন্যাস হিসেবে রাজসিংহ উপন্যাসটি কতখানি সার্থক, আলোচনা করে দেখাও।                 •• আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, বঙ্কিমচন্দ্রের সময়ে নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক উপাদানসমূহ আবিষ্কৃত না হওয়ায় তাকে টডের রাজস্থানের ইতিহাস অর্ম ও মানুচীর বিবরণ এবং বার্ণিয়ারের ভ্রমণ বৃত্তান্ত থেকে উপকরণ ও বর্ণনা গ্রহণ করতে হয়েছিল। তবে তিনি বিশেষ সাবধানতা সহকারে উপকরণ সমূহ উপন্যাসে ব্যবহার করেছেন এবং লিখলেন রাজসিংহ উপন্যাসটি। আর এই উপন্যাস সম্পর্কে তিনি বললেন-      "এই প্রথম ঐতিহাসিক উপন্যাস লিখলাম।" বঙ্কিমচন্দ্রের এই ধারণা এবং মন্তব্য থেকে আমরা সহজেই বলতে পারি যে ,উপন্যাসটি অবশ্যই ঐতিহাসিক। আর এই স্বীকৃতি ঔপন্যাসিক নিজেই দিয়েছেন। আর যেখানে আমরা দেখি-            ইতিহাসকে কেন্দ্র করে বঙ্কিমচন্দ্র অসংখ্য উপন্যাস রচনা করেছেন। যার মধ্যে অন্যতম চন্দ্রশেখর, দুর্গেশনন্দিনী, সীতারাম আরোও অনেক উপন্যাস। তবে এখানে একটি কথা বলে রাখা ভালো ইতিহাসকে কেন্দ্র করে উক্ত উপন্যাসগুলি রচিত হলেও লেখক বঙ্কিমচন্দ্র এই শ্রেণীর লেখাগুলোকে ক...

মহম্মদ বিন(3rd.Sem) তুঘলকের সংস্কারগুলি আলোচনা করো।

মহম্মদ বিন তুঘলকের সংস্কারগুলি আলোচনা করো•অথবা• মহম্মদ বিন তুঘলকের নেওয়া নীতি গুলির পর্যালোচনা করো ( পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার, মাইনর, ইতিহাস)। ভূমিকাঃ আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, মহম্মদ-বিন-তুঘলকের শাসনকালের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল তাঁর সংস্কার। তবে এই সংস্কারগুলিকে একটা সময়ে তার খামখেয়ালীপনার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হতো। শুধু তাই নয়, তাঁকে উদ্মাদ রাজা এবং রক্তপিপাসু ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত করাও হয়েছিল। কিন্তু-         আধুনিককালে গবেষণার ফলে এ কথা প্রমাণ করা হয়েছে যে, মহম্মদ বিন তুঘলক তাঁর প্রতিটি সংস্কারের ক্ষেত্রে যুক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সংস্কার গুলি প্রবর্তন করতে গিয়ে তিনি যতখানি প্রগতিশীলতার পরিচয় দিয়েছিলেন, তার থেকে অনেক কম বাস্তব জ্ঞান অথবা ভারসাম্যের অভাবের পরিচয় দেন। আর সেই পরিচয়ে দেখি- প্রথমতঃ          •দোয়াব অঞ্চলে কর বৃদ্ধি•  বিখ্যাত ঐতিহাসিক বারানী দোয়াব অঞ্চলে কর বৃদ্ধির জন্য সুলতান মহম্মদ বিন তুঘলকের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি এই অঞ্চলে কর বৃদ্ধি করেছি...

ব্রিটেনের আইনের (3rd Sem.) অনুশাসন সম্পর্কে আলোচনা ও পর্যালোচনা করো।

ব্রিটেনের আইনের অনুশাসন সম্পর্কে আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, তৃতীয় সেমিস্টার, মাইনর সিলেবাস)। ভূমিকাঃ আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,আইনের অনুশাসন কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ডাইসি। তবে ব্রিটিশ শাসন ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো আইনের অনুশাসন। ব্রিটেনে আইনের অনুশাসন হল নাগরিকদের অধিকার ও স্বাধীনতার মূল ভিত্তি। সেখানে ব্রিটেনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, ১২১৫ সালে' মহাসনদ' আইনে অনুশাসনের ভ্রুণ ছিল। আর ১৬৮৮ সালে 'গৌরবময় বিপ্লব' এবং ১৬৮৯ সালে 'বিল অব রাইটস' এর মাধ্যমে আইনের অনুশাসন ব্রিটেনে প্রসার লাভ করে। আর সেখানে-                •আইনের অনুশাসনের অর্থ•              সাধারণভাবে আইনের অনুশাসন বলতে বোঝায় যে, আইনের স্থান সর্বোচ্চ এবং সকলেই আইনের চোখের সমান। অর্থাৎ আইনের গুরুত্ব সর্বাধিক। আর সেখানে ব্যক্তি যাতে দৈনন্দিন জীবনে স্বাধীনভাবে চলতে পারে, সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষিত হয় আইন তা সুনিশ্চিত করবে।...

ব্রিটেনের(3rd Sem.) শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি সম্পর্কে আলোচনা করো।

ব্রিটেনের শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি সম্পর্কে আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার, মাইনর, রাষ্ট্রবিজ্ঞান) ভূমিকাঃ ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো শাসনতান্ত্রিক রীতি নীতি। আর শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি উপর ভিত্তি করে ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থা পরিচালিত হয়। ব্রিটেনের অলিখিত সংবিধানের উৎস হলো শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি। ব্রিটেনের রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি গড়ে উঠেছে। যেখানে শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ডাইসি। আর সেখানে বলা হয়-            • শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি হল কতগুলি অলিখিত নিয়ম-কানুন, যেগুলি আইন নয়, আদালত কর্তৃক বলবৎযোগ্য নয়, অথচ সাংবিধানিক আইনের মতো মান্য হয়। প্রসঙ্গগত অধ্যাপক কে সি হেয়ার বলেন-     "শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি বলতে সেইসব                         নিয়মকানুনকে বোঝায় যা আইনের অংশ না                   হয়েও...

আগুন নাটকের (XI, 2nd Semester)প্রথম ও দ্বিতীয় দৃশ্যের আলোচনা,ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ।

বিজন ভট্টাচার্যের আগুন নাটকের প্রথম ও দ্বিতীয় দৃশ্যের আলোচনা,ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ(একাদশ শ্রেণী,দ্বিতীয় সেমিস্টার, পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ) করো।                   বিজন ভট্টাচার্যের আগুন নাটকে আমরা প্রথম দৃশ্যে দেখতে পাই যে, ভোরবেলার অস্পষ্ট আলোয় দেখা যায় গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারে সংসারের টুকিটাকি জিনিসপত্র। সেই সাথে আরো দেখা যায় যে, ওই ঘরের মেঝেতে তিনজন অকাতরে ঘুমিয়ে আছে।                    ঠিক এরূপ পরিবেশের মধ্যে ভোরবেলায় মোরগের ডাক শোনা যায় এবং তার সঙ্গে দূরের কোন এক গ্ৰাম থেকে আজানের শব্দ ভেসে আসে। আর এমন সময় পরিবারের কর্তা অর্থাৎ পুরুষ নেত্যর বাবা শুয়ে শুয়ে বিড়ি টানে এবং ভাবতে থাকে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে চাল কেনার লাইনে দাঁড়াতে হবে। কারণ -                •দেরি হয়ে গেলে চাল না পেয়ে আবার খালি হাতে ফিরে আসতে হবে বাড়িতে। আর সেই কারণে পাশে ঘুমন্ত স্ত্রীকে ঠেলা মেরে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করে নেত্যর বাবা। আবার কলমি শাক, দাঁতন কাঠ...

জাতি কাকে(XI,2nd Sem .)বলে? জাতির বৈশিষ্ট্য লেখো।

জাতি কাকে বলে? জাতির বৈশিষ্ট্য লেখো(পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, একাদশ শ্রেণি, দ্বিতীয় সেমিস্টার) •জাতিঃ আমরা জানি যে,জাতি শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো নেশন(Nation)। আর এই নেশন শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ নেটিও(Natio) থেকে। যার বাংলা অর্থ হল জাতি। তবে গার্নার মনে করেন-      "ব্যুৎপত্তিগত অর্থে জাতি হল এমন একটি                       জনসমাজ যা একই পূর্বপুরুষ থেকে উদ্ভূত।"            •আসলে নেশন একটি সজীব সত্তা, মানষ পদার্থ। আর এই দুটি জিনিস বস্তুত একই। যার মধ্যে একটি অতীতে অবস্থিত, আরেকটি বর্তমানে। তবে -        •আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা জাতি শব্দটিকে একটু ভিন্ন অর্থের প্রয়োগ করেন। আর তাঁদের মতে জাতীয় জনসমাজের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনা গভীর হলে জাতির উদ্ভব হয় এবং জাতি পরিণতি লাভ করে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে। প্রসঙ্গত গিলক্রিস্ট বলেন-       "জাতি হলো রাষ্ট্রের অধীনস্থ ঐক্যবদ্ধ                     ...

বাংলা গদ্যের(3rd. Mejor )জনক বিদ্যাসাগরই"-আলোচনা করো

"বাংলা গদ্যের জনক বিদ্যাসাগরই"-আলোচনা করো।  •অথবা• বাংলা গদ্য সাহিত্যের প্রথম কৃতি শিল্পী বিদ্যাসাগর  •অথবা• বাংলা গদ্য সাহিত্যে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা করো। (বাংলা মেজর, তৃতীয় সেমিস্টার) • ভূমিকাঃ বাংলা গদ্যের বিকাশে অন্যতম পুরোধা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি উনিশ শতকের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। শুধু বাঙালি নন, সর্বশ্রেষ্ঠ গদ্য শিল্পী। রামমোহন রায়, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার বাংলা গদ্যের যে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছিলেন বিদ্যাসাগর সেই উদ্যোগকে আরো রস সমৃদ্ধ করে তুললেন। তাই তিনি বাংলা গদ্য সাহিত্যে প্রথম কৃতি শিল্পী। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে-      "বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ভাষা অতি সুমধুর ও        মনোহর। রামমোহনের হাতে বাংলা গদ্যের প্রাণ        প্রতিষ্ঠা হলেও বাংলা গদ্যের জনকত্বের দাবিদার        বিদ্যাসাগরই।"          আসলে অতি বালক বয়স থেকে বিদ্যাসাগরকে কঠোর দারিদ্রতার সাথে তীব্র লড়াই করে বড় হতে হয়। ১৮৪১ সালে তিনি 'বিদ্যাসাগর' উপাধি লাভ করেন এবং ওই বছরেই তিনি ফোর...

সাম্য ও স্বাধীনতার(BA1,XI 2nd) পারস্পরিক সম্পর্ক

“সাম্য ও স্বাধীনতা পরস্পর সম্পূরক” এবং “স্বাধীনতা ও সাম্য পরস্পরবিরােধী”- ব্যাখ্যা কর। অথবা, সাম্য ও স্বাধীনতা কাকে বলে? সাম্য ও স্বাধীনতার সম্পর্ক আলােচনা কর। অথবা, সাম্য কাকে বলে? সাম্য ও স্বাধীনতার সম্পর্ক আলােচনা কর।(বি.এ. প্রথম সেমিস্টার এবং একাদশ শ্রেণী, দ্বিতীয় সেমিস্টার) •ভূমিকাঃ আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,সাম্য বিষয়টি আলােচনা সর্বকালের একটি বহু আলোচিত বিষয়। যেখানে প্রাচীনকালের গ্রিক দার্শনিকগণ থেকে আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগণ পর্যন্ত সকলেই সাম্যের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরােপ করে থাকেন।আর সেখানে -                 •সাধারণ অর্থে সাম্য•  সাধারণ অর্থে সাম্য বলতে বোঝায় রাষ্ট্র বা সমাজে সকল মানুষই সমান। তাই সেখানে প্রত্যেকে সমান সুযােগ-সুবিধা, সমান অধিকার ও স্বাধীনতা ভােগ করবে।  •সাম্যঃ সাম্যের সংজ্ঞা নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ আছে। একেকজন একেকভাবে সাম্যের সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। প্রসঙ্গত ম্যাক্সি বলেন-                সাম্য হলো সেরূপ সুযােগ-সুবিধার ব্যবস্থা যাতে কোনাে ব্যক্তির ব্যক্তিত্...

চীনের জাতীয়(3rd Sem.)গণ-কংগ্ৰেসের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো।

চীনের জাতীয়(3rd Sem.)গণ-কংগ্ৰেসের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো। পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। •ভূমিকাঃ আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, জাতীয় গণ- কংগ্রেস হলো চীনের এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা। আর সেখানে জনসাধারণের অধিকার ভোগ সুনিশ্চিত করার জন্য সংবিধানের ৫৭ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে,    "The national people's Congress of the               peoples's republic of China is the                       highest organ of the State Power."  চীন সংবিধানে বলা হয়েছে যে, গণ সাধারণতন্ত্রী চীনের সমস্ত ক্ষমতা জনসাধারণের হস্তে ন্যস্ত করা হয়েছে। সেদেশের সংবিধানের ২ নম্বর ধারা অনুসারে জাতীয় গণ কংগ্রেস এবং বিভিন্ন স্তরের আঞ্চলিক গণ কংগ্রেস সমূহের মাধ্যমে ক্ষমতা প্রয়োগ করে। সুতরাং জাতীয় গণ কংগ্রেস চীনের শাসন ব্যবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে।                •জাতীয় গণ কংগ্রেসের গঠন•  সংবিধানের ৫৯ নম্বর ধারায় জাতীয়...

কবি জয় (XI)গোস্বামী নুন কবিতার মধ্যে দিয়ে সাধারণ নিম্নবিত্ত মানুষের অসহায় জীবন যাত্রার করুন কাহিনী তুলে ধরেছেন- আলোচনা করো।

কবি জয় গোস্বামী নুন কবিতার মধ্যে দিয়ে সাধারণ নিম্নবিত্ত মানুষের অসহায় জীবন যাত্রার করুন কাহিনী তুলে ধরেছেন- আলোচনা করো।               •আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,কবি জয় গোস্বামীর একটি অন্যতম কবিতা 'নুন'। আর এই কবিতাটি 'ভুতুমভগবান' কাব্যগ্ৰন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। যেখানে আমাদের এই সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কথা তুলে ধরা হয়েছে। আসলে এই মানুষগুলির দৈনন্দিন জীবনযাত্রা করুন ও অসহায়। কিভাবে তাদের সংসার জীবন অতিবাহিত হবে তা তারা নিজেই জানে না। কারণ তাদের আজ নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যায়! এ এক ঐ মানুষগুলোর অসহ্য অসহায় জীবন।আর সেখানে আমরা দেখি-                • নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার কাহিনী।যে কাহিনীতে আছে পরিবার গুলির মনের কথা, মনের ভাষা। তবে তাদের মনের কথা, মনের ভাষা যাইই হোক না কেন, এই মানুষগুলো কিন্তু অল্পতেই ভীষণ খুশি। কারণ তারা একবেলা ভাতে,এক কাপড়ে খুশি থাকে। বলা যায় এমন জীবনযাত্রায় তারা অভ্যস্ত এবং এভাবেই তাদের দিনগুলি কেটে যায়। কারণ-       ...

গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের(3rd sem .)সংবিধানে উল্লেখিত মৌলিক কর্তব্য গুলি আলোচনা করো।

গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সংবিধানে উল্লেখিত মৌলিক কর্তব্য গুলি আলোচনা করো। (West Bengal State University, 3rd Semester, Political Science, Minor Syllabus) ভূমিকাঃ আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,১৯৮২ সালে চীনের সংবিধানে চীনা নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্য গুলি তালিকাভুক্ত করা হয়। আর সেখানে বলা হয়- প্রত্যেক নাগরিক তার মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতা তখনই ভোগ করতে পারবে,যখন সে তার মৌলিক দায়িত্ব পালন করবে। আর সেই দৃষ্টিতে চীন নাগরিকদের কয়েকটি মৌলিক কর্তব্যের বিষয় সংবিধানে লিপিবদ্ধ করা হয়। সেই কর্তব্যগুলি হল- •১) সংবিধানকে অনুসরণ করাঃ          •প্রত্যেক চীনা নাগরিকের প্রথম এবং প্রধান মৌলিক কর্তব্য হল, সংবিধান ও আইনকে মেনে চলা এবং তার সহ নাগরিকদের অধিকারকে সম্মান করা। সেখানে কোন ব্যক্তি বা সংগঠন সংবিধান ও আইনের উর্ধ্বে নয়।  •২) জাতির ঐক্য রক্ষাঃ             •চীনের নাগরিকদের অন্যতম প্রধান কর্তব্য হলো দেশের ঐক্য এবং সকল জাতীয়তার ঐক্য রক্ষা করা। এখানে জাতীয়তার ঐক্য রক্ষা, দেশদ্রোহী ও অন্যান্য বিপ্লবী কার্যকলাপ,জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার বিরু...

জাঁ বোঁদার(Clas XI)রাষ্ট্র চিন্তার ধারা আলোচনা করো।

জাঁ বোঁদার রাষ্ট্র চিন্তার ধারা আলোচনা করো। (পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, একাদশ শ্রেণী, দ্বিতীয় সেমিস্টার) •রাষ্ট্রের সংজ্ঞা:  রাষ্ট্রে প্রসঙ্গে বোঁদা বলেন— কয়েকটি পরিবার ও তাদের যৌথ সম্পত্তির সমন্বয়ে যখন কোনাে আইনসত সরকার সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী হয়, তখন তাকে রাষ্ট্র বলে। আর সেখানে - •রাষ্ট্রের লক্ষ্য:         বোঁদার মতানুসারে, রাষ্ট্র শুধুমাত্র মানুষের বস্তুগত লক্ষ্যই চরিতার্থ করবে না, তার আধ্যাত্মিক প্রয়ােজনও মেটাবে।  •রাষ্ট্রের শ্রেণিবিভাগ:           বোঁদা বলেন—সরকার হবে তিন ধরনের যথা- রাজতান্ত্রিক, অভিজাততান্ত্রিক এবং গণতান্ত্রিক। তিনি আরো বলেন যে, মিশ্র রাষ্ট্র কাম্য নয়, কেননা মিশ্র রাষ্ট্র হল নৈরাজ্যেরই নামান্তর। তাঁর মতে প্রশাসন মিশ্র হলেও রাষ্ট্র মিশ্র হতে পারে না। •রাষ্ট্রের লক্ষ্য:        বোঁদা মনে করেন রাষ্ট্রকে সবার আগে সাধারণের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে হবে। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দান, সম্পত্তি রক্ষপাবেক্ষপ, প্রশাসনের সুষ্ঠু পরিচালনা, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করা ইত্যাদি ...

পদিপিসি বর্মিবাক্স(3rd sem). গল্পে হাস্যরস পাঠকের মন জয় করে নিয়েছে- আলোচনা করো।

পদিপিসির বর্মিবাক্স গল্পে 'হাস্যরস' পাঠকের মন জয় করে নিয়েছে- আলোচনা করো।( পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার,NEP)                      •আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, বাংলা সাহিত্যে একটি অন্যতম লেখিকা হলেন লীলা মজুমদার। কেবলমাত্র শিশু সাহিত্যে নয়, কিশোর সাহিত্যেও তিনি এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছেন। বলা যায়, আপামর বাংলা সাহিত্য প্রেমিক পাঠকদের মনে বিশেষ জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন। আর সে কারণেই বাংলা সাহিত্যের সব ধরনের পাঠকদের কাছে তিনি সমান জনপ্রিয় লেখিকা। তাঁর জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ গল্পে হাস্যরস পরিবেশনে। আলোচ্য পদিপিসির বর্মীবাক্স গল্পে প্রতিছত্রে ছত্রে সেই হাস্যরস বিচ্ছুরিত হয়েছে।আর সেখানে আমরা দেখতে পাই-           •পদিপিসি এক ভয়াল, ভয়ঙ্কর বেঁটেখাটো মহিলা, যার তেজ সিংহের মতো। এই কারণে কেউ তার সামনে আসতে সাহস পেত না,সকলে সর্বদা তার ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে থাকতো। এর সাথে তার আরেকটি বড় গুণ ছিল, মনও ছিল তার ভীষণ ঘোরপ্যাঁচের। আর সেখানে গল্পের মূল প্লট হল পদিপিসি নিমাইখুড়োর কাছ থে...

ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্য গুলি লেখো।

ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্য গুলি লেখো।(BA/XI Second Semester 2023-24) ভূমিকাঃ- আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,ভারতীয় সংবিধানের চতুর্থ অধ্যায়ের ৫১ নম্বর ধারা ও ৫১/ক  ধারায় মোট ১১ টি কর্তব্যের কথা বলা রয়েছে। ১৯৭৬ সালে ৪২তম সংবিধান সংশোধনের পরে স্বরণ সিং কমিটির সুপারিশে মৌলিক কর্তব্য গুলি সংবিধানে যুক্ত করা হয়েছিল। আর-              ২০০২ সালে মৌলিক দায়িত্ব বা কর্তব্যগুলি ১০ থেকে ১১ পর্যন্ত উন্নীত করা হয়। আর সেখানে বলা হয়-ভারতীয় সংবিধানে বাধ্যবাধকতা গুলির মধ্যে একটি অন্যতম হলো মৌলিক কর্তব্য। এই কর্তব্য গুলি নাগরিকদের পালন করা উচিত। আর সেই কর্তব্যগুলি হল- •১) সংবিধান মেনে চলা এবং এর আদর্শ ও প্রতিষ্ঠান জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতকে সম্মান করা। •২) আমাদের জাতীয় স্বাধীনতার সংগ্রামকে অনুপ্রাণিত করে এমন মহৎ আদর্শ লালন ও অনুসরণ করা  •৩) ভারতের সার্বভৌমত্ব, একতা ও অখন্ডতা সমুন্নত রাখা ও রক্ষা করা।  •৪) দেশকে রক্ষা করা এবং জাতীয় সেবা প্রদানের জন্য যখন তা করতে বলা হয়।  •৫) ধর্মীয় ভাষাগত এবং আঞ্চলিক বা বিভাগীয় বৈচিত্র্যকে অতিক্রম...