Skip to main content

Posts

Showing posts from June, 2024

ভারতের রাষ্ট্রপতির নির্বাচন পদ্ধতি আলোচনা করো।

ভারতের রাষ্ট্রপতির নির্বাচন পদ্ধতি আলোচনা করো।(West Bengal State University, Second Semester, NEP2020 Syllabus)।  ভারতের রাষ্ট্রপতি হলেন দেশের শাসক প্রধান। তবে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রত্যক্ষভাবে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হন না, তিনি পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হয়ে থাকেন । আর ভারতীয় সংবিধানের ৫৪ ও ৫৫ নম্বর ধারায় রাষ্ট্রপতির নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আর সেখানে বলা হয়েছে যে- মনোনয়নপত্রঃ         রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর মনোনয়নপত্র কমপক্ষে ৫০ জন নির্বাচক দ্বারা প্রস্তাবিত এবং অন্তত ৫০ জন নির্বাচকরা সমর্থিত হওয়ার দরকার। এছাড়া প্রার্থীকে ১৫,০০০ টাকা জমানত হিসেবে রাখতে হয়। নির্বাচক সংস্থা গঠনঃ           ভারতীয় সংবিধানের ৫৪ নম্বর ধারা অনুসারে একটি বিশেষ নির্বাচক সংস্থা কর্তৃক রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। আর এই সংস্থার নির্বাচকমণ্ডলী দ্বারা একক হস্তান্তরযোগ্য সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে গোপন ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে থাকেন। আর এই নির্বাচক সংস্থা গঠিত হয় সংসদের উভয় কক্ষের সদস্য এবং রাজ্যগুলির বিধানসভার নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে। তবে-             রাষ্ট্রপতি নির্বা

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সনেটের প্রশ্নাবলী

 ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সনেটের প্রশ্নাবলী/ একাদশ শ্রেণী/(MCQ/SA/etc, first semester) ১) সনেট শব্দটির আক্ষরিক অর্থ কি?   উত্তরঃ সনেট শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হলো মৃদুধ্বনি।  ২)সনেট শব্দটি কোন দেশের শব্দ?  উত্তরঃ সনেট শব্দটি ইতালীয় দেশের শব্দ। ৩) সনেট শব্দটির বাংলা অর্থ কি?  উত্তরঃসনেটের বাংলা নাম চতুর্দশপদী কবিতা।  ৪)চতুর্দশপদী নামকরণটি কে করেন?  উত্তরঃচতুর্দশপদী নামকরণটি করেন কবি মধুসূদন দত্ত । ৫) বাংলায় এবং ইংরেজিতে সনেট স্রষ্টা কাকে বলা হয়?  উত্তরঃ বাংলায় সনেট স্রষ্টা বলা হয় কবি মধুসূদন দত্তকে এবং ইংরেজিতে বলা হয় কবি পেত্রার্ককে। ৬)সনেটে মোট কতগুলি লাইন থাকে?  উত্তরঃ সনেটে মোট ১৪টি লাইন থাকে। সেই লাইনগুলির ভাগ হলো ৮ +৬=১৪ ।প্রথম আট লাইনকে বলা হয় অষ্টক এবং দ্বিতীয় ছয় লাইনকে বলা হয় ষটক  ৭)বাংলায় সনেট স্রষ্টা কাকে বলা হয়?  উত্তরঃ বাংলায় সনেট স্রষ্টা বলা হয় কবি মধুসূদন দত্তকে। ৮)মধুসূদনের ছদ্মনাম কি?  উত্তরঃ মধুসূদনের ছদ্মনাম হলো টিমোথি পেনপোয়েম।  ৯)চতুর্দশপদী কবিতা লেখা হয় কোন ছন্দে? উত্তরঃচতুর্দশপদী কবিতা লেখা হয় অমিত্রাক্ষর ছন্দে।  ১০)ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সনেটটি মধুসূদন

কার্যকরণের মধ্যে প্রসক্তি সম্বন্ধ আছে/ কারন ও কার্যের সম্পর্ক আবশ্যিক বা অবশ্যম্ভব যুক্তিসহ আলোচনা করো।

কার্যকরণের মধ্যে প্রসক্তি সম্বন্ধ আছে/ কারন ও কার্যের সম্পর্ক আবশ্যিক বা অবশ্যম্ভব যুক্তিসহ আলোচনা করো। ভূমিকাঃ কার্যকারণ সম্বন্ধে আবশ্যিক সম্বন্ধবাদ বা অবশ্যসম্ভব্য মতবাদ বা প্রসক্তি সম্বন্ধ মতবাদের প্রবক্তা হলেন বুদ্ধিবাদী দার্শনিকগণ। আর তাদের মতে-         বুদ্ধিবাদী দার্শনিকরা মনে করেন যে, কার্য-কারণের মধ্যে অবশ্যম্ভব সম্বন্ধ বর্তমান। আর লৌকিক মতবাদ অনুযায়ী আমরা জানি যে, কারণ ঘটলে কার্য ঘটতে বাধ্য। কারণ এটি একটি শক্তি, যা কার্যকে উৎপন্ন করে থাকে। কারণ হলো কার্যের পূর্ববর্তী ঘটনা এবং কার্য কারণের অনুবর্তী ঘটনা। আর সেখানে- ১) কারণ ও কার্যের মধ্যে অনিবার্য সম্বন্ধ আছেঃ            বুদ্ধিবাদী দার্শনিকগণ অনিবার্য বা আবশ্যিক সম্মন্ধবাদের প্রধান প্রবক্তা। আর তাদের মতে, কার্যকর্মের মধ্যে অনিবার্য সম্বন্ধ বর্তমান। অর্থাৎ কারণ ঘটলে কার্য না ঘটে পারে না, কারণ ঘটলে কার্য অবশ্যই ঘটবে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়-     বিষপানে মৃত্যু ঘটে। অর্থাৎ বিষপান করলে মৃত্যুর না হতে পারে না, বিষপান করলেই মৃত্যু অনিবার্য। বুদ্ধিবাদীরা শিকার করেন যে কার্য-কারণের সম্বন্ধকে আবশ্যিকভাবে মেনে নিয়েই মানুষ জগত ও জীবনের

বিদ্যাসাগর কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর একাদশ শ্রেণি।

(বিদ্যাসাগর কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর, একাদশ শ্রেণি, প্রথম সেমিস্টার )  ১). ‘বিদ্যার সাগর তুমি বিখ্যাত ভারতে’ কাকে, কেনো বিদ্যার সাগর বলা হয়েছে ? উত্তরঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে ‘বিদ্যার সাগর’ বলা হয়েছে। বিদ্যাসাগরের পান্ডিত্য অতল সমুদ্রের ন্যায়।আর সেই কারণে তাঁকে বিদ্যার সাগর বলা হয়। ২)‘করুণার সিন্ধু তুমি’- কেন  বিদ্যাসাগরকে ‘করুণার সিন্ধু’ বলা হয়েছে ? উত্তরঃ দয়া এবং দানশীলতায় বিদ্যাসাগর বিখ্যাত ভূবনে। যেমন সিন্ধু নদীতে অপরিমেয় জল থাকে ঠিক  তেমনি আপামর মানুষের জন্য তাঁর হৃদয়ে ছিল অপরিসীম ভালোবাসা, স্নেহ,করুনা।আর সেই কারণে ছিল তাই তাঁকে ‘করুণার সিন্ধু’ বলা হয়। ৩)‘সেই জানে মনে’- কে, কী জানে ? উত্তরঃ  দরিদ্র এবং অসহায় মানুষগুলো যখন বিদ্যাসাগরের কাছে সাহায্য চেয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তখন তারা জানতে পেরেছেন যে, বিদ্যাসাগর কত বড় ‘দীন দরিদ্রের বন্ধু’।  তার মধ্যে যে অপরিসীম দয়া, ভালোবাসা আছে সেটা সেই মানুষই জানেন যে, যিনি তাঁর কাছে আশ্রয় নিয়েছেন। ৪)‘দীন যে, দীনের বন্ধু’ অর্থ কী ? উত্তরঃ এখানে দীন’ শব্দের অর্থ- দরিদ্র-দুঃখী মানুষ ।আর তাদেরকেই দীন বলা হয়েছে।বিদ্যাসাগর সর্বদা প্রকৃত বন্ধুর মতো অস

একাদশ শ্রেণী, ইতিহাস চেতনা, প্রথম অধ্যায়।

 ইতিহাস চেতনা। একাদশ শ্রেণি, প্রথম সেমিস্টার, প্রথম অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর। ১) প্রাগৈতিহাসিক কথাটি কে প্রথম ব্যবহার করেন?  উত্তরঃ প্রাগৈতিহাসিক কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে প্রত্নতাত্ত্বিক পল তুর্নাল । ২)আধুনিক ইতিহাস তত্ত্বের জনক কে?  উত্তরঃআধুনিক ইতিহাসতত্ত্বের জনক হলেন র‍্যাঙ্কে। ৩)"সময়কালের ধারণা ছাড়া ইতিহাসের ধারণা অর্থহীন"- কে বলেন? উত্তরঃ স্টুয়ার্ড পির্সট। ৪)নব্যপুরাতত্ত্ব বলতে কী বোঝো? উত্তরঃ যে পুরাতত্ত্বচর্চায় একাধিক প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান নিয়ে সেগুলি বিশেষজ্ঞ দ্বারা ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ ও গুরুত্ব নিরুপণ করা হয়, তাকে নব্যপুরাতত্ত্ব বলে। ৫) দুটি বৌদ্ধ সাহিত্যের নাম লেখো। উত্তরঃ দুটি বৌদ্ধ সাহিত্য হলো বুদ্ধচরিত এবং ললিতবিস্তার। ৬) সম্রাট অশোকের শিলালিপি গুলি কে পাঠোদ্ধার করেন? উত্তরঃ সম্রাট অশোকের শিলালিপি গুলি পাঠোদ্ধার করেন জেমস প্রিন্সেপ(১৮৩৭) ৭) প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে কি কি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়?  উত্তরঃ প্রত্নতাত্ত্বিক ত্ত্ব নিদর্শন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে সমীক্ষা উৎখনন এবং বিশ্লেষণ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।  ৮) ইতিহাস রচন

মেঘনাদবধ কাব্যের তৃতীয় স্বর্গ অবলম্বনে প্রমীলার যে বীরঙ্গনা রূপ প্রকাশিত হয়েছে তা আলোচনা করো।

মেঘনাদবধ কাব্যের তৃতীয় স্বর্গ অবলম্বনে প্রমীলার যে বীরঙ্গনা রূপ প্রকাশিত হয়েছে তা আলোচনা করো। (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, বাংলা অনার্স)। ভূমিকাঃ আলোচনা শুরুতেই আমরা বলতে পারি যে,মেঘনাদবধ কাব্যখানির সাথে বাঙালি প্রাণের সম্পর্ক জড়িয়ে আছে অঙ্গাঙ্গিভাবে। আর সেই কাব্যখানি রচনা করতে গিয়ে কাব্যকার মধুসূদন দত্ত অন্য সব মহাকাব্য থেকে কাহিনী সংগ্রহ করলেও এবং সেই কাহিনীর পরিণতি একই রাখলেও  কিছু স্বাতন্ত্রতা লক্ষ্য করা যায়। শুধু তাই নয়-               কাহিনীর বিষয়বস্তুর দিক থেকে এবং চরিত্রগত দিক থেকে বেশ কিছু যেমন পরিবর্তন করেছেন আবার তেমনি কিছু সংযোজনও করেছেন। আর সেই পরিবর্তন এবং সংযোজনে একাব্যে প্রমীলা চরিত্রটি হয়ে উঠেছে অনন্যা। তার প্রধান কারণ এই চরিত্রটি কাব্যকারের একান্তভাবেই মানস প্রতিমা। যেখানে মূল রামায়ণ গ্রন্থে প্রমীলা চরিত্রের কোন অস্তিত্ব বা উল্লেখ নেই। তবে-             প্রমীলা চরিত্রটি গঠনে মধুসূদন প্রাচ্য আদর্শ পাথেয় করে চরিত্রটি সৃষ্টি করেছেন। তবে মনে করা হয় এক্ষেত্রে বীরনারী রাণী লক্ষীবাঈ চরিত্র দ্বারা মধুসূদন বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত হতে পারেন। ত

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর '' কবিতায় কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের মূল ভাবনা বা বিদ্যাসাগরের প্রতি যে শ্রদ্ধার মনোভাব ব্যক্ত করেছেন তার পরিচয় দাও।

'' ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর '' কবিতায় কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের মূল ভাবনা বা বিদ্যাসাগরের প্রতি যে শ্রদ্ধার মনোভাব ব্যক্ত করেছেন তার পরিচয় দাও। আলোচনা শুরুতেই আমরা বলতে পারি যে,কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত  '' ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর '' কবিতায় বিদ্যাসাগরের প্রতি অসীম, অপরিমেয় শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। কবি একদিকে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সকল চারিত্রিক গুণগুলি প্রকাশ করেছেন , আবার অন্যদিকে ভারতের প্রতি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের যে অপার ভালোবাসা,শ্রদ্ধা এবং অবদান - সে বিষয়েও দৃষ্টিপাত করেছেন।  আসলে কবি এখানে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে একই সঙ্গে বিদ্যার সাগর ও করুণার সাগর হিসেবে তুলে ধরেছেন। তাই কবিকে বলতে শুনি-              '' বিদ্যার সাগর তুমি বিখ্যাত ভারতে।               করুণার সিন্ধু তুমি, সেই জানে মনে,               দীন যে, দীনের বন্ধু!" কবি বিদ্যাসাগরকে বিদ্যার সাগর ও করুনার সাগর হিসেবে তুলে ধরার পরই বিদ্যাসাগরকে '' দীনের বন্ধু '' বলে সম্বোধন করেছেন। শুধু তাই নয়, বিদ্যাসাগরের চরিত্রের মহান গুণাবলি এই সনেটের মাধ্যমে উপস্থাপিত করেছেন। তবে বিদ্যাসাগর

মেঘনাথবধ কাব্যের ষষ্ঠ স্বর্গের নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো।

মেঘনাথবধ কাব্যের ষষ্ঠ স্বর্গের নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো।(West Bengal State University, Political Science, Second Semester, Minor Course) ভূমিকাঃ-আমরা জানি মেঘনাদবধ কাব্যের ষষ্ঠ সর্গের মূল পটভূমি হল 'রামানুজ কর্তৃক মেঘনাদবধ।' আর সেখানে কাব্যকার মধুসূদন দত্ত এই ষষ্ঠ স্বর্গের সমাপনীতে  লিখলেন-         "ইতি মেঘনাদবধে কাব্যে বধো নাম                    ষষ্ঠঃসর্গঃ।" এখন আমাদের বিচার করতে হবে মেঘনাথবধ কাব্যের ষষ্ঠ স্বর্গের এই নামকরণ কতটা যথার্থ। সেই আলোচনায় আমরা প্রথমেই বলতে পারি--               মেঘনাথ বধের ষষ্ঠ সর্গই সমস্ত কাব্যের মধ্যে একটি নিকৃষ্ট অন্যতম সর্গ। কারণ রক্ষ বংশের প্রতি কবির অত্যাধিক সহানুভূতি ছিল। শুধু তাই নয়, এখানে বাল্মিকীকে পরিত্যাগ করে কবি হোমারকে আদর্শরূপে গ্রহণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। আর তার প্রধান কারণ হলো, কবি মধুসূদন রক্ষবীরদের বীরত্বে এমনই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, তাদের প্রতিপক্ষকও যে বীর, সে কথা তিনি একেবারেই ভুলে গেছেন। তবে আমরা বলতে পারি,এটি তাঁর প্রবল ধর্মবিশ্বাস ও ভ্রমের অপর কারণ। তবে জাতীয় ধর্মের প্রতি বিশ্বাস বা আস্থা থাকলে কবি কখনোই এরূপ

অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলী এবং পদমর্যাদা আলোচনা করো।

অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলী এবং পদমর্যাদা আলোচনা করো।( পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দ্বিতীয় সেমিস্টার, মাইনর সিলেবাস) ভূমিকাঃ আমরা জানি যে, সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার রীতি অনুযায়ী রাজ্যের রাজ্যপাল ও মন্ত্রিসভাকে নিয়ে রাজ্যের শাসন বিভাগ গঠিত হয়। আর সেই শাসন বিভাগের প্রধান রাজ্যপাল। তবে রাজ্যপাল শাসন বিভাগের প্রধান হলেও রাজ্যের মূল কার্য পরিচালনা করেন মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদ। সংবিধানের ১৪৪/১ ধারা অনুসারে রাজ্যপাল সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগ করেন। তবে সাধারণত বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেন। আর সেই মুখ্যমন্ত্রীর কার্যকাল পাঁচ বছর, তবে কার্যকালের পূর্বে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। রাজ্য আইনসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থা হারালে মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয় এবং সাথে সাথে সরকারেরও পতন ঘটে।  ক্ষমতা ও কার্যাবলীঃ  ১) রাজ্যপালের মুখ্যপরামর্শদাতা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীঃ            রাজ্যপালের প্রধান পরামর্শদাতা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপাল ও রাজ্য

ভারতের বিদেশনীতি/পররাষ্ট্রনীতির নির্ধারক আলোচনা করো। অথবা

ভারতের বিদেশনীতি/পররাষ্ট্রনীতির নির্ধারক  আলোচনা করো। অথবা  ভারতের বিদেশনীতি তৈরীর জন্য মূল উপাদান গুলি কি কি? (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, চতুর্থ সেমিস্টার) ভূমিকাঃ আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, সুনির্দিষ্ট ও সুপরিকল্পিত বিদেশনীতির ছাড়া কোন রাষ্ট্র প্রগতি ঘটাতে পারে না। আর সেই কারণেই প্রত্যেক স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের একটি নিজস্ব বিদেশনীতি বা পররাষ্ট্রনীতি আছে। এক্ষেত্রে ভারতবর্ষ তার ব্যতিক্রমী নয়। অন্যান্য রাষ্ট্রের মত ভারতের পররাষ্ট্র নীতি দুই ধরনের নির্ধারক দ্বারা গড়ে উঠছে। যার একটি হল অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং অন্যটি আন্তর্জাতিক বিষয়। আর অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলির মধ্যে আছে- ভৌগোলিক অবস্থান, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, রাজনৈতিক ঐতিহ্য, সামরিক শক্তি, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জাতীয় চরিত্র, জনমত প্রভৃতি। বাহ্যিক বা আন্তর্জাতিক বিষয়ের মধ্যে আছে- আন্তর্জাতিক পরিবেশ, প্রতিবেশী ও বিদেশী রাষ্ট্রগুলি দ্বারা অনুসৃত নীতি এবং বিশ্বজনমত প্রভৃতি। ১)অভ্যন্তরীণ বিষয়সমূহ  ক) ভৌগোলিক অবস্থানঃ              ভারতের বিদেশ নীতির ক্ষেত্রে তার ভৌগলিক অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ

সরল বস্তুবাদের ত্রুটিগুলি লেখো।

সরল বস্তুবাদের ত্রুটিগুলি লেখো। ১) সরল বস্তুবাদ ভ্রান্ত প্রত্যক্ষের কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেনা। যে বস্ত যেমন তাকে যদি ঠিক সেই ভাবেই জানি বা দেখি তাহলে দড়িতে সাপ দেখি কেন? দড়িতে সাপ নেই অথচ সাপের জ্ঞান হয়। কাজেই সরল বস্তুবাদ এই জাতীয় ভ্রান্ত প্রত্যক্ষমূলক জ্ঞানের কোন যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দিতে পারেনা। ২) সরল বস্তুবাদ অমূল প্রত্যক্ষের কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেনা। অমূল প্রত্যক্ষ হলো সেই প্রত্যক্ষ যেখানে কোন বস্তু নেই অথচ কোন কিছু বস্তুরূপে প্রতিভাত হয়। যেমন ঘরের মধ্যে কেউ নেই অথচ ভুল করে প্রত্যক্ষ করলাম যে, কেউ যেন ঘরের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে। সরল বস্তুবাদে এই জাতীয় ভ্রান্ত জ্ঞানের কোন যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। ৩) সরল বস্তুবাদ স্বপ্নদৃষ্ট বস্তুর কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেনা। স্বপ্নে আমরা অনেক কিছুই প্রত্যক্ষ করি, যাদের কোনো বাস্তব অস্তিত্ব নেই। কিন্তু সরল বস্তুবাদ মেনে নিলে আমাদের স্বীকার করতে হয় যে, স্বপ্নদৃষ্ট বস্তুর মন-নিরপেক্ষ স্বতন্ত্র অস্তিত্ব আছে। কিন্তু তা কী সমর্থনযোগ্য? ৪) সরল বস্তুবাদ অনুযায়ী বস্তুর সব গুনই বস্তুগত। কিন্তু এ কথা ঠিক নয়। কারণ বস্তুর রূপ, রস, গন্ধ প্রভৃতি

বার্কলের দর্শনে ঈশ্বরের ভূমিকা লেখো।

 বার্কলের দর্শনে ঈশ্বরের ভূমিকা লেখো। বার্কলে আত্মগত ভাববাদ সম্পর্কে উল্লেখিত বিভিন্ন প্রশ্নের সমাধানের জন্য ঈশ্বরকে এনে তাঁর সমস্যা সমাধান করেছেন। আর সেখানে তিনি যুক্তি প্রদর্শন করেন- ১) অস্তিত্ব যদি প্রত্যক্ষ নির্ভর হয় তাহলে ব্যক্তি যার প্রত্যক্ষে পায় না তার কি অস্তিত্ব নেই? এই প্রশ্নের উত্তরে বার্কলে বলেন যে, কোন বস্তুর অস্তিত্ব আমার সীমিত প্রত্যক্ষে বা তোমার সীমিত প্রত্যক্ষকের বা ঈশ্বরের অনন্ত প্রত্যক্ষকের উপর নির্ভরশীল। আর-           বস্তু যদি ব্যক্তি মনের ধারণা হয় তাহলে ব্যক্তি যে কোন সময়ে যেকোনো ভাবে নিজের ইচ্ছেমতো বস্তু প্রত্যক্ষ করতে পারে না কেন? এর উত্তরে তিনি বলেন যে, ঈশ্বর সর্বজ্ঞ। তিনি তাঁর মনের ধারণা গুলিকে বিশেষ বিশেষ সময়ে বিশেষ বিশেষ ভাবে ব্যক্তি-মনে পাঠিয়ে দেন। তাই ব্যক্তি নিজের ইচ্ছেমতো বস্তু প্রত্যক্ষ করতে পারে না। ২) আমি এবং আমার মনের ধারণা ছাড়া আর কোন কিছুর অস্তিত্ব থাকতে পারে না। বার্কলের এই বক্তব্যের অনিবার্য পরিণতি হলো অহংসর্বস্ববাদ। আর অহংসর্বস্ববাদের অপবাদ খন্ডন করে বার্কলে বলেন যে, আমি এবং আমার ধারনাই সবকিছু নয়। এই দুটি আসলে ঈশ্বরের ধারণার সীমিত প্রকা

আমি চিন্তা করি তাই আমি আছি। উক্তিটি কার? ব্যাখ্যা করো।

 'আমি চিন্তা করি তাই আমি আছি। উক্তিটি কার? ব্যাখ্যা করো। 'আমি চিন্তা করি তাই আমি আছি'।এই কথাটি বলেন ডেকার্ড। তিনি প্রথম দর্শন শুরু করেন সন্দেহ থেকে। তবে তিনি মনে করেন, সংশয়ের মধ্য সার্বিক সত্যে পাওয়া যায়। এই মূল সত্য থেকে গাণিতিক অবরোহ পদ্ধতিটি গ্রহণ করার জন্য যে জ্ঞান পাওয়া যাবে তা অবশ্যই নির্ভুল ও জ্ঞানের যোগ্য হবে। তবে -     তিনি আরো বলেন, আমি সন্দেহ করি। 'সন্দেহ' করা মনে চিন্তা করা। তাই তাঁর চিন্তাভাবনা এবং চিন্তার মনের মত আমি এবং আমার মন বা আত্মা নিঃসন্দেহে সত্য। এইভাবে ডেকার্ত সর্বপ্রথম আমি এবং আমার আত্মার বিশ্বাসকে প্রমান করেন। প্রকৃতপক্ষে তাঁর মতে আত্মা স্বতঃসিদ্ধ। কেবল জ্ঞানই এই সত্যের সন্ধান  পারে।

অস্তিত্ব প্রত্যক্ষ নির্ভর' (Esse-est-percipi) উক্তিটির বক্তা কে? তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

অস্তিত্ব প্রত্যক্ষ নির্ভর' (Esse-est-percipi) উক্তিটির বক্তা কে? তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। 'অস্তিত্ব প্রত্যক্ষ নির্ভর'এই উক্তিটি করেন বিখ্যাত ভাববাদী দার্শনিক বার্কলে। জ্ঞান অস্তিত্ব এবং জ্ঞাততা একই কথা। অস্তিত্ব আছে এ কথার অর্থ হলো কোন বিষয় মনের ধারণা রূপে জ্ঞান হয়ে আছে। আর সত্তা হল জ্ঞাততা। যার জ্ঞাত কেবলমাত্র তারই সত্তা আছে এবং যা অজ্ঞাত তার কোন সত্তা নেই। সুতরাং যাকে আমরা বস্তু বা বস্তুধর্ম বলি তা আমাদের মনের ধারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে -           বার্কলে বলেন যে, কোন কিছুর অস্তিত্ব থাকা মানেই তা প্রত্যক্ষিভূত হওয়া। সুতরাং অস্তিত্ব বলতে বোঝায় জ্ঞাততা। তবে তিনি আরো বলেন যে, অনুভব ছাড়া কোন পদার্থের জ্ঞান হয় না। যার অনুভূত বা জ্ঞাততা আছে তাই সৎ। যেকোনো জ্ঞেয় বস্তু হলো কতগুলি গুণের সমষ্টি। সেই গুণগুলি হল আমাদের মনের ধারণা। সুতরাং-         এই জগত হল মূলত ধারণার জগত। আর এর থেকে বার্কলে সিদ্ধান্ত করলেন যে, 'অস্তিত্ব প্রত্যক্ষ নির্ভর'

বার্কলে কোন যুক্তির ভিত্তিতে লকের মুখ্যগুণ ও গৌণগুণের পার্থক্য অস্বীকার বা খন্ডন করেছেন?

বার্কলে কোন যুক্তির ভিত্তিতে লকের মুখ্যগুণ ও গৌণগুণের পার্থক্য অস্বীকার বা খন্ডন করেছেন?            অভিজ্ঞতাবাদী দার্শনিক জন লক বস্তুর মুখ্য গুণ ও গৌণ গুণের মধ্যে যে পার্থক্য করেছেন পরবর্তীকালে ব্রিটিশ ভাববাদী দার্শনিক জর্জ বার্কলে মুখ্য গুণ ও গৌণ গুণের পার্থক্যকে অস্বীকার করেছেন। আর এই অস্বীকার করে তিনি যে যুক্তি প্রদর্শন করেন তা হল-- প্রথমতঃ          বার্কলে দাবি করেন যে, আমরা গৌণ গুণগুলোকে যেমন আমাদের ইন্দ্রিয় সংবেদনের সাহায্যে লাভ করতে পারি, তেমনি মুখ্য গুণগুলোকেও ইন্দ্রিয় সংবেদনের মাধ্যমে লাভ করা যায়। কাজেই উভয় গুণের উৎস ইন্দ্রিয় সংবেদন। সুতরাং মুখ্যগুণ ও গৌণগুণের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। দ্বিতীয়তঃ        লকের মতে, মুখ্য গুনগুলি বস্তুর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িত। কিন্তু গৌণ গুণগুলি বস্তুর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত নয়। তবে বার্কলে মনে করেন যে, বস্তুর মুখ্য গুনগুলি অবস্থা ভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। কারণ বরফ গলে জলে পরিণত হলে তার আকারের পরিবর্তন হয়। আবার এই বিস্তৃতিরও পরিবর্তন ঘটে। সুতরাং গৌণ গুণের মতো মুখ্য গুণগুলিও পরিবর্তনশীল ও মনোগত। তৃতীয়তঃ         লকের মতে, বস্তুর মুখ্য গুন

কাব্যং গ্ৰাহ্যমলংকারাৎ" অথবা- কাব্য যে মানুষের উপাদেয় সে এই অলংকারের জন্যই-আলোচনা করো।

"কাব্যং গ্ৰাহ্যমলংকারাৎ" অথবা- কাব্য যে মানুষের উপাদেয় সে এই অলংকারের জন্যই-আলোচনা করো।( পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, বাংলা অনার্স) উত্তর - আমরা জানি যে, কাব্য হলো কল্পনাশ্রয়ী, ঠিক সঙ্গীতের মতোই। আর সেই কারণে কাব্য একদিকে অর্থযুক্ত পদ সমন্বয়ে সুষমান্বিত,অন্যদিকে আবার ভাবের তরঙ্গে তরঙ্গায়িত।ভাষা সেখানে ভাবের বাহন হয়ে আসে।তবে কবিমাত্রই কথার স্বর্ণকার। তাই তিনি গদ্যের মতো কাব্যের শব্দ তার অর্থকে আটপৌরে না রেখে নানান সাজ-সজ্জায় সাজিয়ে তোলেন।তবে--           অলংকার যেমননারীর ভূষণ,ঠিক তেমনি অলংকারবাদীরা শুধু কাব্যের ভূষণ হিসেবে অলংকারকে অভিহিত করে ক্ষান্ত হননি।আসলে তাঁরা বলতে চেয়েছেন, কাব্য যে মানুষের কাছে উপাদেয় হয়ে উঠে তার অলংকারের জন্যই।আর সে কারণেই -           কাব্যকার ভমহ থেকে কুন্তক পর্যন্ত প্রায় সকলেই কাব্যে অলংকার প্রয়োগের কথা বলতে আগ্ৰহী।আর সেই দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে কাব্যকার বামন বলেছিলেন-                'কাব্যং গ্ৰাহ্যমলংকারাৎ।" সুতরাং অলংকারবাদীদের মতে কাব্যের প্রাণপ্রতিষ্ঠাহয় শব্দে ও অলংকারের মধ্যে দিয়ে। তবুও -      অলংকার থ

ভাববাদ কাকে বলে? বার্কলের আত্মগত ভাববাদ ব্যাখ্যা ও বিচার করো।

ভাববাদ কাকে বলে? বার্কলের আত্মগত ভাববাদ ব্যাখ্যা ও বিচার করো। ভাববাদঃ          যে মতবাদ অনুসারে অধ্যাত্ম সত্তাকে ( আত্মা বা মনকে ) জগতের মূল সত্তা বলে গ্রহণ করা হয় অথবা ভৌত বস্তুর তুলনায় আত্মাকে প্রাধান্য দেওয়া হয় অথবা জ্ঞেয় বস্তুর অস্তিত্ব বা সত্তাকে জ্ঞাতা নির্ভর বা মন-নির্ভর বলে গণ্য করা হয় তাকে ভাববাদ বলা হয়।               •বার্কলের আত্মগত ভাববাদ• ১) একমাত্র মন ও মনের ধারণা অস্তিত্ব আছেঃ                    ব্রিটিশ দার্শনিক জর্জ বার্কলে আত্মগত ভাববাদের প্রথম ও প্রধান প্রবক্তা। আর এই মতবাদ অনুসারে বাহ্য জগতের কোন বিষয় বা বস্তুর মননিরপেক্ষ স্বতন্ত্র ও স্বাধীন অস্তিত্ব নেই। জাগতিক সকল বিষয় বা বস্তু ব্যক্তির মনের উপর নির্ভরশীল। বার্কলের মতে মন এবং মনের ধারণার সত্তা বা অস্তিত্ব আছে। ২) লকের দার্শনিক চিন্তাধারা আত্মগত ভাববাদের পথ প্রশস্ত করেছেঃ                     লকের দার্শনিক চিন্তাধারার মূলসূত্র অনুসরণ করে বার্কলে তাঁর আত্মগত ভাববাদের উপনীত হয়েছেন। লক বলেন, বস্তুর কতগুলো গুণ বা ধারণাকে আমরা সাক্ষাৎ ভাবে প্রত্যক্ষ করি এবং এই গুণ বা ধারণার কারণ হিসেবে আমরা বস্তুর অস্তিত্ব অনু

পালকিখানা ঠাকুরমাদের আমলের'। ঠাকুরমার'নাম কি? 'ছেলেবেলা' গ্রন্থে এই পালকি সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের মতামত লেখো।

'পালকিখানা ঠাকুরমাদের আমলের'। ঠাকুরমার'নাম কি? 'ছেলেবেলা' গ্রন্থে এই পালকি সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের মতামত লেখো। (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, বাংলা অনার্স) দিগম্বরী দেবী অর্থাৎ দ্বারকানাথ ঠাকুরের স্ত্রী ছিলেন রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরমা। আর সেই ঠাকুরমার আমলের একটি পালকি ছিল ঠাকুর বাড়িতে। যে পালকিটা নিয়ে রবীন্দ্রনাথের কৌতুহলের, আনন্দের, গর্বের , শেষ ছিল না।আর সেই পালকিটির বর্ণনা তিনি তার ছেলেবেলার গ্রন্থে অনাবিল ভাবে তুলে ধরছেন। সেখানে আমরা দেখি-         ঠাকুরবাড়ি র পালকিটার খুব দরাজবহর ছিল। নবাবী ছাঁদের ডান্ডা দুটো ছিল আটজন বেহারার কাঁধের মাপের। পালকিটির গায়ে ছিল রঙ্গিন আঁকা জোকা নকশা যে আঁকা জোকা সেকালের আভিজাত্য বহন করে। তবে বর্তমানে পালকিটির কিছু কিছু জায়গায়  ক্ষয়ে গেছে দাগ ধরেছে। আবার কোথাও কোথাও থেকে বেরিয়ে পড়েছে গদি। আর সেখান থেকে বেরিয়ে পড়েছে নারকেলের ছোবড়া। তবে বর্তমানে পালকিখানা খাজাঞ্চিখানার বারান্দার এক কোণে পড়ে আছে অনাদরে। এখানে স্মৃতিচারণায় রবীন্দ্রনাথকে বলতে শুনি-    "আমার বয়স তখন ৭-৮ বছর এই সংসারে     কোন দরকারই

ভারতে বিচার বিভাগীয় অতি সক্রিয়তার বিষয়টি ব্যাখ্যা করো ।

ভারতে বিচার বিভাগীয় অতি সক্রিয়তার বিষয়টি ব্যাখ্যা করো। (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দ্বিতীয় সেমিস্টার, মাইনর সিলেবাস) ভূমিকাঃ আমরা জানি যে,আধুনিক উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিচার বিভাগের ভূমিকা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। কারণ গণতন্ত্র ও জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়টি বিচার বিভাগের উপর ন্যাস্ত। তবে ২ দশকের বেশি সময় ধরে ভারতবর্ষে বিচার বিভাগ যে বিশেষ সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছে সে ক্ষেত্রেই এই বিচার বিভাগীয় সক্রিয় কথাটি ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রসঙ্গত পি.বি. সাওয়ান্ত বলেন--      "বিচার বিভাগীয় সক্রিয়তা হলো বিচার        বিভাগের সেই কাজ যা তাকে আইন ও        শাসন বিভাগীয় ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে         সাহায্য করে।" তবে আদালত যখন সংবিধান অনুসারে কোন আইন কিংবা শাসন বিভাগীয় নির্দেশ, আদেশ এর বিচার করে তাকে নেতিবাচক সক্রিয়তা বলে। কিন্তু ভারতবর্ষে বর্তমানে বিচার বিভাগীয় সক্রিয়তা বলতে যা বোঝায় তা হল ইতিবাচক বিচার বিভাগীয় সক্রিয়তা। আর এখন আমাদের এই নেতিবাচক ও ইতিবাচক বিচার বিভাগের সক্রিয়তা আলোচনা করলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে। আর সেই বিষয়টি হলো-- ১)

গুপ্ত যুগকে প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণময় যুগ বলা যায়? এর সীমাবদ্ধতা আলোচনা করো।

গুপ্ত যুগকে প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণময় যুগ বলা যায়? এর সীমাবদ্ধতা আলোচনা করো।(West Bengal State University, 2nd Semester History Minor Syllabus) ভূমিকাঃ       আলোচনা শুরুতেই বলে রাখা ভালো যে প্রাচীন ভারতবর্ষের ইতিহাসে কুষান ও সাতবাহন বংশের পর অনৈক্যের সৃষ্টি হয়। অসংখ্য স্থানীয় রাজ্যের উদ্ভব হয়েছিল ঠিক সেই সময়। আর এর সংকটময় মুহূর্তে গুপ্ত রাজগণের আবির্ভাব ঘটে। অতঃপর প্রথম চন্দ্রগুপ্ত ৩১৯ থেকে ৩২০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রাজত্ব করেন। বলা যায় তাঁর শাসনকাল থেকে গুপ্ত যুগ শুরু হয়। আর  আনুমানিক ষষ্ঠ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন হয়। এই সময়ে গুপ্ত রাজাদের অধীনে ভারতবর্ষে সাহিত্য, শিল্প, ভাস্কর্য, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটে। আর সেখানে আমরা দেখি- ১) গুপ্ত যুগের সভ্যতার বিকাশঃ           গুপ্তদের শাসনকালে সাধারণত স্বর্ণযুগ বলে অভিহিত করা হয়। কারণ শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেই নয় বৈদেশিক দিক দিয়েও গুপ্ত যুগে ভারতবর্ষে সাহিত্য, শিল্প, ভাস্কর্য,সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব উন্নতির লক্ষ্য করা যায়। তবে এই উন্নয়ন অনেকের মতে বৈদেশিক যোগাযোগের ফ

বাচনিক জ্ঞান কাকে বলে? বাচনিক জ্ঞানের শর্ত সমূহ আলোচনা করো।

 বাচনিক জ্ঞান কাকে বলে? বাচনিক জ্ঞানের শর্ত সমূহ আলোচনা করো। ( বি এ দ্বিতীয় সেমিস্টার,মাইনর সিলেবাস এবং একাদশ শ্রেণী, প্রথম সেমিস্টার) বাচনিক জ্ঞানঃ              আমরা জানি যে,'জানা' কথাটি কর্মমূলক জ্ঞানকে বোঝাতে পারে, পরিচয়মূলক জ্ঞানকে বোঝাতে পারে, আবার বচনমূলক বা বাচনিক জ্ঞানকে বোঝাতে পারে। তবে আধুনিক দর্শনে জ্ঞানের ভাষাগত দিক বা বাচনিক ব্যাখ্যার উপরেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আধুনিক দর্শনে সেই জ্ঞান-কেই জ্ঞান বলা হয়েছে, যাকে বচনে প্রকাশ করা যায়। অর্থাৎ 'জ্ঞান' মানেই বাচনিক জ্ঞান। বাচনিক জ্ঞানের শর্তঃ          দর্শনে জ্ঞান বলতে বাচনিক জ্ঞানকে বোঝায়। তবে জ্ঞানের যখন কোন বিষয় থাকে এবং বিষয়কে বচনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় তখন সেই জ্ঞানকে বাচনিক জ্ঞান বলা হয়। আর বিখ্যাত দার্শনিক জন হস্পারস্ বচ্চনের তিনটি শর্তের কথা উল্লেখ করেছেন আর সেই তিনটি শর্ত হলো- প্রথম শর্তঃ জ্ঞানের প্রথম শর্ত হল- আমরা যে ব্যাপারটিকে জানি বলে দাবি করি, সেই ব্যাপার প্রকৃতই সত্য হবে। অর্থাৎ জ্ঞান হবে সত্য ব্যাপারের জ্ঞান। আমি জানি যে 'বরফ ঠান্ডা'- এখানে ব্যাপারটি হল 'বরফ ঠান

ব্যক্তিত্ব বা ব্যক্তিসত্ত্বা কাকে বলে?

 •• ব্যক্তিত্ব বা ব্যক্তিসত্ত্বা কাকে বলে?  উত্তর - আমরা জানি যে, ব্যক্তিত্ব হল একটি বহুল প্রচলিত শব্দ। আর এই শব্দটি যে অর্থে আমরা ব্যবহার করি মনোবিজ্ঞানীরা তা সে কথা বলেন না। তবে প্রচলিত ধারা অনুযায়ী সকলেই ব্যক্তিত্বের অধিকারী নয়। যে ব্যক্তি একটি বিশেষ স্বতন্ত্রতা রক্ষা করে চলেন বা যাঁর মধ্যে কিছু অসাধারণ বৈশিষ্ট্য বর্তমান তাঁকেই আমরা ব্যক্তিদের অধিকারী বলে মনে করি। কিন্তু এই সংকীর্ণ ব্যাখ্যাটি মনোবিজ্ঞানসম্মত নয়। কারণ, মনোবিজ্ঞান বলে-প্রতিটি ব্যক্তিই ব্যক্তিত্বের অধিকারী এবং প্রতিটি ব্যক্তিই তাঁর সক্রিয় বৈশিষ্ট্যের দ্বারা অন্যান্যদের থেকে পৃথক। তাই মনোবিদ Eysenk  বলেন-        "ব্যক্তিত্ব হলো ব্যক্তির চরিত্র, বোধশক্তি,         মেজাজ, দৈহিক গঠন, ইত্যাদির একটি         মোটামুটি স্থিতিশীল সুপ্রতিষ্ঠিত সংগঠন যা            ব্যক্তিকে পরিবেশের সঙ্গে সংগতি সাধনের           সাহায্য করে।" আবার  মনোবিদAllport বলেন-           "পরিবর্তনশীল প্রক্রিয়াটাতে মানসিক সত্তার যে গতিশীল সমন্বয় ব্যক্তির অভিযোজনমূলক আচরণে তার নিজস্বতা প্রকাশে সহায়তা করে তাই হল ব্যক্তিসত্তা।" মোট কথা

প্রতিরূপী বস্তুবাদ(Representative Realism) বা বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদ(Scientific Realism)বা সবিচার বস্তুবাদ কাকে বলে ? লকের প্রতিরূপী বস্তুবাদ ব্যাখ্যা ও বিচার করো।

প্রতিরূপী বস্তুবাদ(Representative Realism) বা বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদ(Scientific  Realism)বা সবিচার বস্তুবাদ কাকে বলে ? লকের প্রতিরূপী বস্তুবাদ ব্যাখ্যা ও বিচার করো। (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দর্শন, দ্বিতীয় সেমিস্টার, মাইনর সিলেবাস এবং একাদশ শ্রেণি) প্রতিরূপী বস্তুবাদঃ            যে মতবাদে বস্তুর মন-নিরপেক্ষ অস্তিত্ব স্বীকার করা হলেও বস্তুর জ্ঞানকে পরোক্ষ অর্থাৎ ধারণার মাধ্যমে জ্ঞান বলা হয়, তাকে প্রতিরূপী বস্তুবাদ বা বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদ বলা হয়। অর্থাৎ-            যে জগৎকে আমরা দেখতে পাই তার অস্তিত্ব আছে। কেননা ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে আমরা জগৎকে সরাসরি প্রত্যক্ষ করি। আমরা বাইরে জগতে যা-ই প্রত্যক্ষ করি না কেন, তা-ই বস্তুগত। বস্তু ছাড়া আমাদের জ্ঞান হয় না। আর এই প্রতিরূপী বস্তুবাদের প্রবর্তন করেন ব্রিটিশ দার্শনিক জন লক।            •প্রতিরূপী বস্তুবাদের মূল বক্তব্য• ১) আমাদের জাগতিক বস্তুসমূহের স্বতন্ত্র অর্থাৎ মন বা জ্ঞান নিরপেক্ষ অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়। ২) জাগতিক বস্তু সরাসরি ভাবে বা প্রত্যক্ষভাবে আমাদের জ্ঞানের বিষয় হয় না। অর্থাৎ বস্তুকে আমরা কখনোই প্রত্যক্ষভাবে জানতে পারি ন

ভারতীয় সংবিধান অনুসারে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক বা শাসনতান্ত্রিক সম্পর্ক আলোচনা করো।

ভারতীয় সংবিধান অনুসারে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক বা শাসনতান্ত্রিক সম্পর্ক আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মাইনর, দ্বিতীয় সেমিস্টার)। ভূমিকাঃ         আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,ভারতবর্ষের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার গুলির মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করা হয় প্রধানত ক্ষমতা ও দায়িত্ব বন্টনের মধ্যে দিয়ে। আর সেই বন্টনের মাপকাঠি প্রধানত ধরা হয় কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে প্রশাসনিক সম্পর্ক বা শাসন সংক্রান্ত সম্পর্ক এবং আর্থিক সম্পর্কের মাধ্যমে। তবে এখানে প্রসঙ্গগত আমরা বলে রাখি, ভারতবর্ষের মতো অন্য কোন দেশের যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার গুলির মধ্যে এরূপ শাসনতান্ত্রিক সম্পর্ক নিয়ে এত বিশদ আলোচনা করা হয়নি। আর এক্ষেত্রে ভারতীয় সংবিধানের প্রণেতারা ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছিল বলা যায়। আর সেখানে আমরা দেখি-- প্রশাসনিক ক্ষমতাঃ ক) কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ক্ষমতাঃ              ভারতীয় সংবিধানে ৭৩ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসনিক ক্ষমতাযুক্ত এলাকা সংসদ প্রণীত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আর

ফুল্লরার বারো মাসের দুঃখ এবং চন্ডির নিকটে পশু গণের দুঃখ-নিবেদন অংশে কবি নিজের অভিজ্ঞতা উজাড় করে দিয়েছেন। মন্তব্যটি বিচার করো

 ফুল্লরার বারো মাসের দুঃখ এবং চন্ডির নিকটে পশু গণের দুঃখ-নিবেদন অংশে কবি নিজের অভিজ্ঞতা উজাড় করে দিয়েছেন। মন্তব্যটি  বিচার করো।     আলোচনা শুরুতেই আমরা বলতে পারি যে, কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর চন্ডিমঙ্গল কাব্যখানি সমগ্র মধ্যযুগে বাংলাসাহিত্যে একটি বাস্তবিক কাহিনী। আর সেই কাহিনী পরিপূর্ণভাবে জীবন রসে জারিত। শুধু তাই নয়, কাব্যটিতে কবি তুলে ধরেছেন বাঙালির জীবনের দুঃখ দারিদ্র্যকে।যে দুঃখ দারিদ্র্য ফুল্লরার পারিবারিক জীবনের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। সেই কাহিনীতে আমরা দেখি দেবী চণ্ডী রা কালকেতুর গৃহে এসেছেন তাদের দুঃখ দারিদ্র নতুন করার উদ্দেশ্যে এবং মর্ত্যে তাদের হাতে পূজা পাওয়ার প্রত্যাশায়। তবে এখানে সুন্দরী রমণী রূপে যেহেতু দেবীর চন্ডী আবির্ভূতা হয়েছেন,তাই তার পরিচয় কালকেতু,ফুল্লরা কেউই বুঝতে পারেনি। আর সেই কারণে ফুল্লরা সুন্দরী রমণীকে নিজের সতীন ভেবে সেদিন গৃহ থেকে বিতাড়িত করতে চেয়েছিল।তবে--      ফুল্লরার জীবনের সাথে জড়িত দুঃখ দারিদ্র্য। তার প্রতিটি পদক্ষেপেই আমরা দেখতে পাই দারিদ্রতার ছাপ,দুঃখময় জীবনের ছবি। আর সেখানে আমরা পাই কালবৈশাখীর ঝড়ে তালপাতায় ছাওয়া ছোট্ট কুঁড়েঘ