Skip to main content

Posts

Showing posts from July, 2025

গৌতম বুদ্ধের অষ্টাঙ্গিক মার্গ(4th Sem)ব্যাখ্যা করো।

গৌতম বুদ্ধের অষ্টাঙ্গিক মার্গ ব্যাখ্যা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ সেমিস্টার দর্শন মাইনর)।          আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,বৌদ্ধ দর্শনে গৌতম বুদ্ধের ' অষ্টাঙ্গিক মার্গ ' হলো দুঃখ নিরোধের (নির্বাণ) পথ, যা চারটি আর্য সত্যের চতুর্থ সত্য। এটি মধ্যম পন্থা নামেও পরিচিত। শুধু তাই নয়,এটি চরম ভোগবিলাস এবং কঠোর কৃচ্ছ্রসাধনের মধ্যবর্তী একটি ভারসাম্যপূর্ণ জীবনধারার নির্দেশ দেয়।আর বৌদ্ধ দর্শনে সেই আটটি মার্গ হলো-          •১)সম্যক দৃষ্টিঃ সম্যক দৃষ্টির অর্থ হলো-সঠিক জ্ঞান বা প্রজ্ঞা। আর সেখানে চারটি আর্য সত্য (দুঃখ, দুঃখের কারণ, দুঃখের নিরোধ, দুঃখ নিরোধের মার্গ) সম্পর্কে সুস্পষ্ট এবং সঠিক উপলব্ধি থাকা। জগৎ ও জীবন সম্পর্কে কুসংস্কারমুক্ত, বাস্তবসম্মত ও গভীর অন্তর্দৃষ্টি থাকা।         •২)সম্যক সঙ্কল্পঃ সঠিক চিন্তা বা উদ্দেশ্য। এর অর্থ হলো মনকে লোভ, ঘৃণা এবং হিংসা থেকে মুক্ত রাখা। অহিংসা, প্রেম-মৈত্রী, করুণা এবং অপরের কল্যাণের প্রতি দৃঢ় সংকল্প পোষণ করা। ত্যাগ ও পরোপকারের মনোভাব থাকা।     ...

রীতি আত্মা কাব্যস্য- আলোচনা করো।

'রীতি আত্মা কাব্যস্য' আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা মেজর)।           ' রীতি আত্মা কাব্যস্য ' এই উক্তিটির অর্থ হলো, 'রীতিই কাব্যের আত্মা'। ভারতীয় কাব্যতত্ত্বের ইতিহাসে এই ধারণাটি রীতিবাদ নামে পরিচিত। যার প্রধান প্রবক্তা হলেন অষ্টম শতকের বিখ্যাত পণ্ডিত আচার্য বামন । তাঁর রচিত ' কাব্যালঙ্কারসূত্রবৃত্তি' নামক গ্রন্থে তিনি এই মতবাদটি প্রতিষ্ঠা করেন। আর সেখানে- বামনের রীতির ধারণাঃ বামনের মতে, কাব্য শুধু ভাবের প্রকাশ নয়, বরং একটি বিশেষ শৈলীর মধ্য দিয়ে সেই ভাবকে উপস্থাপন করা। এই বিশেষ শৈলীকেই তিনি 'রীতি' বলেছেন। তাঁর মতে, ' বিশিষ্ট পদরচনা রীতি' অর্থাৎ, শব্দের বিন্যাস এবং বাক্য গঠনের একটি বিশেষ ধরনই হলো রীতি। তিনি মনে করতেন, এই বিশেষ শৈলীই একটি সাধারণ বাক্যকে কাব্যে পরিণত করে।আসলে-            বামন রীতির সঙ্গে ' গুণ'- এর গভীর সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। তাঁর মতে, গুণ বা কাব্যিক সৌন্দর্যই রীতির ভিত্তি। এই গুণগুলির সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমেই একটি রীতি স্বতন্ত্র হয়ে ওঠে। পন্ডিত আচার্য বামন তিনটি প্রধান রীতির ...

Write a Paragraph about the 'Yoga in Our Daily life.

Write a Paragraph (in about 120 words) about the 'Yoga in our daily life. In our increasingly fast-paced and demanding world, yoga has emerged as a beacon of holistic well-being. More than just physical postures, it's a profound science of living that harmonizes the body, mind, and spirit. Regular practice significantly enhances physical flexibility, strength, and balance, while improving respiration and energy levels. Crucially, yoga is a powerful antidote to modern stress, reducing anxiety, promoting mental clarity, and fostering a sense of inner calm through mindfulness and controlled breathing. So-            It not only aids in managing lifestyle diseases but also cultivates self-awareness, leading to better emotional regulation and a more positive outlook on life, truly making it an indispensable part of a balanced existence.

বৌদ্ধ দর্শনে চারটি আর্যসত্য(4th.Sem.) ব্যাখ্যা করো।

বৌদ্ধ দর্শনে চারটি আর্যসত্য ব্যাখ্যা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ সেমিস্টার দর্শন মাইনর)          •আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,বৌদ্ধ দর্শনের মূল ভিত্তি হলো চার আর্যসত্য।আর এই চারটি সত্য গৌতম বুদ্ধের প্রথম ধর্মোপদেশ, "ধর্মচক্রপ্রবর্তন সূত্র"-এর নির্যাস।আসলে গৌতম বুদ্ধ জ্ঞানলাভের পর এই আর্যসত্যগুলি প্রকাশ করেন।যে আর্যসত্য মানবজাতির দুঃখ এবং তা থেকে মুক্তির পথ দেখাতে সাহায্য করে। গৌতম বুদ্ধের সেই চারটি আর্য সত্য হলো- ১) দুঃখ আর্যসত্যঃ গৌতম বুদ্ধের প্রথম আর্যসত্য হলো দুঃখের সত্যতা। বুদ্ধ বলেছেন যে জীবন মাত্রই দুঃখময়। এখানে দুঃখ বলতে শুধু শারীরিক কষ্ট বা মানসিক যন্ত্রণা বোঝানো হয়নি, বরং জীবনের অপরিহার্য পরিবর্তনশীলতা, অপূর্ণতা এবং অতৃপ্তিকেও বোঝানো হয়েছে। জন্ম, জরা, ব্যাধি, মৃত্যু - এ সবই দুঃখ। প্রিয়জনের বিচ্ছেদ, অপ্রিয়জনের সঙ্গে বাস, যা চাওয়া হয় তা না পাওয়া, বা যা আছে তা ধরে রাখতে না পারার অক্ষমতা - এ সবই দুঃখের প্রকারভেদ।আসলে-           •গৌতম বুদ্ধের মতে, আমাদের অস্তিত্বের প্রতিটি দিকই দুঃখের সঙ্গে জড়িত, ক...

Write a Paragraph (in about 120 words) on the Importance of Open Schooling in the recent time

Write a Paragraph (in about 120 words) in the Importance of Open Schooling in the recent time.                      • OPEN SCHOOLING •   In recent times, open schooling has emerged as a vital and transformative educational pathway, catering to the diverse needs of learners globally. Its inherent flexibility, offering self-paced learning and freedom from rigid schedules, makes it ideal for individuals who cannot access traditional schooling due to geographical limitations, financial constraints, personal commitments like work or sports, or specific learning styles.            Open schooling systems, such as West Bengal WBCROS, provide a second chance for dropouts, promote inclusive education for those with special needs, and offer a wide array of vocational and academic courses. By emphasizing self-discipline and independent thinking, it not only bridges educational gaps but also empowers learners t...

Write a letter to the inspector in charge of your local police station complaining about the loss of your Mobile Phone in it locality.

Write a letter to the Inspector in Charge of your local Police Station Complaining about the loss of your Mobile Phone in the locality.  To,                                                                              The Inspector-in-Charge,                            Hingalganj Police Station,               Hingalganj,North 24 Pargana s                             Pin Code-743435 Subject- Complaint Regarding Loss of Mobile Phone Respect Sir/Madam, I am writing to report the loss of my mobile phone within your jurisdiction. I reside at Vill+PO+PS-Hingalganj,743435 and would like to register a formal complain...

যেও না রজনী আজি(2nd.Major) লয়ে তারা দলে।

"যেও না রজনী আজি লয়ে তারাদলে।                        গেলে তুমি দয়াময়ি ,এ পরাণ যাবে।।" -বক্তা কে? পদটির মধ্য দিয়ে বক্তার কোন চরিত্রের কোন মনোভাবের প্রকাশ পায়? আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় সেমিস্টার বাংলা মেজর শাক্ত পদাবলী)         •আলোচ্য অংশটির বক্তা হলেন উমার মা মেনকা ।পদটি বিজয়া পর্যায়ের পদ।             আলোচ্য এই চরণটি বাংলা সাহিত্যের একটি বিখ্যাত বিজয়া দশমীর গান বা কবিতার অংশ। এটি মূলত মা দুর্গার বিদায়কালে রচিত।যেখানে প্রকৃতি এবং ভক্তের আকুতি মেশানো এক গভীর শোকের সুর ধ্বনিত হয়। এই চরণে, রজনীকে (রাত্রি) অনুরোধ করা হচ্ছে, যেন সে তারা সহ এখনই চলে না যায়। কারণ তার প্রস্থানে ভক্তের প্রাণ চলে যাবে। আসলে এই উদ্ধৃতিটির মধ্যে দিয়ে বিরহ, আকুতি এবং প্রকৃতির সঙ্গে ভক্তের গভীর সম্পর্কের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।আর সেখানে -              এই গানের প্রেক্ষাপট বিজয়া দশমী, যা দেবী দুর্গার মর্ত্যলোক থেকে ফিরে যাওয়ার দিন। এই দিনট...

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের (2nd.Sem) গঠন ও কার্যাবলী আলোচনা করো।

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের গঠন ও কার্যাবলী আলোচনা কর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর)।               •আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, ভারতীয় সংবিধানের ১২৪/১ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে, পার্লামেন্ট আইন করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সংখ্যা বৃদ্ধি না করা পর্যন্ত একজন প্রধান বিচারপতি এবং অনধিক ৭ জন বিচারপতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হবে।বর্তমানে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ১ জন প্রধান বিচারপতি এবং ৩৩ জন অন্যান্য বিচারপতি সহ মোট ৩৪ জন বিচারপতির পদ রয়েছে। এই সংখ্যা ২০১৯ সালে বৃদ্ধি করা হয়েছিল। বিচারপতিদের নিয়োগঃ   সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত করা হয়। প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন রাষ্ট্রপতির দ্বারা এবং অন্যান্য বিচারপতিদের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শ করে নিয়োগ দেন। যোগ্যতাঃ   সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হতে হলে একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই ভারতের নাগরিক হতে হবে। এছাড়াও, তাকে কমপক্ষে পাঁচ বছর কোনো হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, অথবা কমপক্ষে দশ বছর কোনো ...

পৌরাণিক নাটক কাকে(4th Semester Major)বলে? একটি সার্থক পৌরাণিক নাটকের পরিচয় দাও। পৌরাণিক নাটকের জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণ কি আলোচনা করো।

পৌরাণিক নাটক কাকে বলে ? একটি স্বার্থক পৌরাণিক নাটকের পরিচয় দাও। পৌরাণিক নাটকের জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণ আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা মেজর)। পৌরাণিক নাটকঃ  আমরা জানি যে,পৌরাণিক নাটক হলো এমন এক নাটক যা সুপ্রাচীন পুরাণ, কিংবদন্তি বা ধর্মগ্রন্থ থেকে কাহিনী ও চরিত্র গ্রহণ করে রচিত হয়। শুধু তাই নয়,এই নাটকে সাধারণত দেব-দেবী, ঋষি-মুনি, রাজা-মহারাজা এবং পৌরাণিক বীরদের জীবন, কর্ম ও বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিষয়টি আবর্তিত হয়।আর সেখানে পৌরাণিক নাটকের মূল উদ্দেশ্য থাকে- ধর্মীয় বা নৈতিক মূল্যবোধ প্রচার করা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং দর্শককে পৌরাণিক জগতে ডুবিয়ে দেওয়া।            • একটি সার্থক পৌরাণিক নাটক• বিল্বমঙ্গলঃ  আমরা জানি যে,কোন একটি নাটককে পৌরাণিক নাটকের পর্যায়ে উন্নীত করতে হলে তার মধ্যে কিছু পৌরাণিক বিশেষত্ব থাকতে হয়। আর এই প্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যে,বাংলার নাট্যজগতে গিরিশচন্দ্র ঘোষের ' বিল্বমঙ্গল ঠাকুর (১৯০০)  একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং সার্থক পৌরাণিক নাটক হিসেবে ...

গোয়েন্দা কাহিনী হিসেবে (4th.Sem) সজারুর কাঁটা উপন্যাসের বিশেষত্ব আলোচনা করো।

গোয়েন্দা কাহিনী হিসেবে 'শজারুর কাঁটা' উপন্যাসের বিশেষত্ব আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা মাইনর)।           আমরা আলোচনার শুরুতেই বলে রাখি যে,শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যোমকেশ বক্সী সিরিজের অন্যতম জনপ্রিয় উপন্যাস 'শজারুর কাঁটা' একটি ব্যতিক্রমী গোয়েন্দা কাহিনী। আর এই উপন্যাসটির বিশেষ বিশেষত্বগুলো হলো- ১ . মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা ও সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণঃ' শজারুর কাঁটা' নিছকই একটি হত্যা রহস্য নয়, এর গভীরে রয়েছে মানব মনের জটিলতা ও সম্পর্কগুলোর সূক্ষ্ম বুনন। উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্রেরই নিজস্ব গোপন দিক এবং মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন রয়েছে। ব্যোমকেশ কেবল অপরাধীকে চিহ্নিত করেই থেমে থাকেন না, তিনি তাদের ভেতরের জগতটাকেও উন্মোচন করেন। খুনের পেছনের কারণ হিসেবে মনস্তাত্ত্বিক বিকৃতি এবং সম্পর্কের জটিল সমীকরণ উঠে আসে, যা গতানুগতিক গোয়েন্দা কাহিনীর চেয়ে এটিকে আলাদা করে তুলেছে। ২. চিরাচরিত ছকের বাইরেঃ সাধারণ গোয়েন্দা কাহিনীতে একটি সুস্পষ্ট খুন, সন্দেহভাজনদের তালিকা এবং ক্রমান্বয়ে রহস্য সমাধানের একটি ছক দেখা যায়। কিন্তু 'শজারুর কাঁটা' এই ছক ভ...

ক্র্যেশমার ব্যক্তিত্বের (2nd.Sem) টাইপ গুলির কথা বলেছেন সেগুলি আলোচনা করো।

ক্র্যেশমার ব্যক্তিত্বের যে টাইপ গুলির কথা বলেছেন সেগুলি আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় সেমিস্টার এডুকেশন মাইনর)।              •আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, আর্নস্ট ক্র্যেশমার ( Ernst Kretschmer) ছিলেন একজন জার্মান মনোরোগ বিশেষজ্ঞ । যিনি শারীরিক গঠন এবং ব্যক্তিত্বের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করেছিলেন।আর তিনি তাঁর রোগীদের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ব্যক্তিত্বকে প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করেছেন। তাঁর এই শ্রেণীবিভাগ শারীরিক গঠন (Physique) এবং মেজাজ বা প্রবণতা (Temperament) এর ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছিল।আর সেগুলি হলো-  ক্র্যেশমারের ব্যক্তিত্বের চারটি প্রধান প্রকারের কথা বলেছেন, আর সেই প্রকারগুলো হলো- ১ . পিকনিক (Pyknic) প্রকার-- শারীরিক বৈশিষ্ট্যঃ এই ধরণের ব্যক্তিদের দেহাকৃতি ছোট ও স্থূলকায় হয়। এদের ঘাড় ছোট ও মোটা হয়, মুখ গোলাকার, এবং শরীর মাংসল ও চওড়া হয়। এদের স্থুলতা দেখা যায়, বিশেষ করে পেট ও বুকের দিকে।  মেজাজ বা প্রবণতাঃ পিকনিক ব্যক্তিরা সাধারণত সামাজিক, প্রফুল্ল এবং বহির্মুখী হয়। এরা হাসিখুশি, খেতে ও ঘুমাতে ...

বাংলা Minor সাজেশন চতুর্থ সেমিস্টার প্রশ্নপত্র

        বাংলা চতুর্থ সেমিস্টার এর প্রশ্নপত্র       West Bengal State University.               •Second Semester•                                                         BENGALI MINOR                                                        SUGGESTION-2025 একক-১ •শজারুর কাঁটা• ক) গোয়েন্দা কাহিনী হিসেবে শজারুর কাটা উপন্যাসটির বিশেষত্ব নিরুপন করো।২০, *** • প্রতিহিংসায় জর্জরিত হয়ে মানুষ কতটা হিংস্র ও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে 'শ জারুর কাঁটা' উপন্যাসের কাহিনী অনুসরণে তা আলোচনা করো।২০, *** • শজারুর কাঁটা উপন্যাসটিতে দেবাশীষ চরিত্রটির বিশেষত্ব আলোচনা করো।২১, • "দারিদ্র্যের আবহাওয়ায় এই দুটো রিপু তাকে প্রকৃতিস্থ থাকতে দেয়নি।"-'শজারুর কাঁটা' অবলম্...

The gift of the Magi

      The gift of the Magi//O.Henry   Most Important  Question for your Examination (Higher Secondary) 1) who were the Magi? What did they bring with them?  Answer- The Magi were the wise men from the East.The use of the word 'magi' is a biblical allusion to men.       Traditionally,they bought gifts to the infant Jesus at his birth.They came bearing gifts of gold, frankincense and myrrh.Narrator said that, because of these gifts we all traditionally give gifts at Christmas time just as Jim and Della did. 2) " It was like him. Quiteness and Value the description applied to both"-What are the two things refered to? Explain the line. Answer- The above quoted line is taken from O.Henry's 'The gift of the Magi'. Here the two refered to Jim and the fob chain brought by Della for his gold watch. With twenty one dollar and eighty seven cents,Della went to several shops and bought a simple platinum fob chain . The chain was simple and proclaimed its ...
  West Bengal State University. Bengali Major, 4th Semester, Suggestion 2025                    DS5,BNGDSC405T.                  একক-১ ১)   *** গীতিকাব্য কাকে বলে? গীতিকাব্যের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে একটি সার্থক গীতিকাব্যের পরিচয় দাও। *** মহাকাব্য কাকে বলে? মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ বাংলা ভাষায় একটি সাহিত্যিক মহাকাব্যের আলোচনা করো। * ট্রাজেটির স্বরূপ আলোচনা কর এবং বাংলা সাহিত্যের একটি সার্থক ট্রাজেডি নাটকের পরিচয় দাও। ** পৌরাণিক নাটক কাকে বলে? বাংলা ভাষায় রচিত একটি পৌরাণিক নাটকের পরিচয় দাও।পৌরাণিক নাটকের জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণ কী? আলোচনা করো। *** একাঙ্ক নাটক বা ঐতিহাসিক নাটক কাকে বলে? বাংলা ভাষায় রচিত একটি সার্থক উল্লেখযোগ্য একান্ত নাটক/ঐতিহাসিক নাটকের পরিচয় দাও। একক-২ *** প্রবন্ধের শ্রেণীবিভাগ করে ব্যক্তিনিষ্ঠ প্রবন্...

কবি কঙ্কন মুকুন্দরাম2nd Sem, Major )চক্রবর্তীর চন্ডিমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খন্ড অবলম্বনে ফুল্লরা চরিত্রটি আলোচনা করো।

কবি কঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী চন্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খন্ড অবলম্বনে ফুল্লরা চরিত্রটি আলোচনা করো •• অথবা ফুল্লরা চরিত্রটি একটি প্রতিবাদী নারী চরিত্র- আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ কৃষ্ণীয় দ্বিতীয় সেমিস্টার বাংলা মেজর)।            •আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,কবি কঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী রচিত অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্য চন্ডিমঙ্গল।আর সেই কাব্যের আখেটিক খন্ডের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রতিবাদী এবং  স্বামীপ্রানা চরিত্র ফুল্লরা। আসলে দরিদ্র ব্যাধ কালকেতুর স্ত্রী ফুল্ল রা দেবী চণ্ডীর মায়ার সৃষ্ট এক সংকটময় পরিস্থিতিতে তার চারিত্রিক দৃঢ়তা, বাস্তবতাবোধ এবং স্বামীর প্রতি গভীর প্রেমের এক আদর্শ নিদর্শন।           •দারিদ্রময় জীবন ও সংগ্ৰামী ম নঃ চন্ডিমঙ্গল কাব্যের  আখেটিক খন্ডে আমরা ফুল্লরার দৈনন্দিন জীবনযাত্রার এক করুন চিত্র দেখতে পাই। স্বামী কালকেতুর শিকারের ওপর নির্ভর করে তাদের সংসার চলে। দারিদ্র্য তাদের জীবনের নিত্যসঙ্গী। ফুল্লরার দীর্ঘ বারোমাস্যা বর্ণনার মধ্য দিয়ে কবি তৎকালীন সমাজের এক সাধারণ দরিদ্র নারীর দুঃখ-দুর্দশা অত্য...

দ্রব্য হলো গুণের (2nd. Sem)অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয় আঁধার ব্যাখ্যা করো।

' দ্রব্য হলো গুণের অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয় আধার'- কে বলেছেন? ব্যাখ্যা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, দর্শন মাইনর )।          • অভিজ্ঞতাবাদী দার্শনিক জন লক (John Locke) বলেন দ্রব্য হলো গুণের অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয় আঁধার।যার অর্থ হলো-আমরা কোনো বস্তুর বাহ্যিক গুণাবলী (যেমন: রং, আকার, গন্ধ, স্বাদ) সম্পর্কে জানতে পারি এবং অনুভব করতে পারি, কিন্তু এই গুণাবলীগুলো যে আধার বা ভিত্তিকে আশ্রয় করে থাকে, সেই দ্রব্যটির প্রকৃত স্বরূপ আমাদের কাছে অজানা ও অচেনা থেকে যায়। সাধারণ অর্থে দ্রব্যঃ সাধারণ অর্থে, দ্রব্য হলো কোনো বস্তু বা পদার্থ। দর্শনে এর অর্থ আরও গভীর। দার্শনিকরা দ্রব্য বলতে এমন কিছুকে বোঝান যা স্বয়ংস্থিত বা স্বনির্ভর। এটি কোনো কিছুর উপর নির্ভরশীল নয়, বরং এটিই অন্যান্য গুণাবলীকে আশ্রয় করে থাকে। আমরা যখন একটি আপেল দেখি, তখন আমরা তার লাল রং, মিষ্টি স্বাদ, গোলাকার আকৃতি অনুভব করি। এই সব গুণাবলী একটি আপেলের "দ্রব্যত্ব" কে আশ্রয় করে থাকে। গুণ কীঃ গুণ হলো দ্রব্যের সেইসব বৈশিষ্ট্য যা আমরা আমাদের ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে উপলব্ধি করি। যেমন, আপেলের লাল রং, ম...

দ্রব্য=ঈশ্বর=প্রকৃতি,(2nd.Sem) এই উক্তিটি কে করেছেন? ব্যাখ্যা কর।

 " দ্রব্য = ঈশ্বর = প্রকৃতি" - এই উক্তিটি কে করেছেন ? ব্যাখ্যা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় সেমিস্টার দর্শন)। আলোচ্য মন্তব্যটি আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের অন্যতম প্রভাবশালী চিন্তাবিদ স্পিনোজা করেছেন। স্পিনোজার ব্যাখ্যাঃ স্পিনোজার দর্শনকে সর্বেশ্বরবাদ  বলা হয়, যেখানে ঈশ্বরকে প্রকৃতির থেকে আলাদা কোনো সত্তা হিসেবে দেখা হয় না, বরং ঈশ্বর ও প্রকৃতিকে একই জিনিস বলে মনে করা হয়। তার বিখ্যাত ল্যাটিন উক্তি হল- " Deus sive Natura", যার অর্থ "ঈশ্বর অথবা প্রকৃতি"। আসলে  স্পিনোজার এই সমীকরণটি বুঝতে হলে তার " দ্রব্য" (Substance) ধারণাকে বোঝা প্রয়োজন: স্পিনোজার মতে দ্রব্যঃ স্পিনোজার মতে, দ্রব্য হল এমন এক সত্তা যা নিজের অস্তিত্বের জন্য অন্য কোনো কিছুর উপর নির্ভরশীল নয়। এটি নিজেই নিজের কারণ এবং এর অস্তিত্বকে বোঝার জন্য অন্য কোনো ধারণার প্রয়োজন হয় না। এটি অসীম, একক এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ। তার মতে, মহাবিশ্বে কেবল একটিই দ্রব্য আছে। স্পিনোজার মতে ঈশ্বরঃ স্পিনোজা ঈশ্বরকে কোনো ব্যক্তিগত সত্তা হিসেবে দেখেননি যিনি জগত সৃষ্টি করেছেন এবং বাইরে থেকে নি...

শাস্তি সম্পর্কিত(4th.Sem.) প্রতিরোধমূলক মতবাদ সবিচার আলোচনা করো।

'শাস্তি' সম্পর্কিত প্রতিরোধমূলক মতবাদ সবিচার আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, দর্শন  মাইনর)। আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,শাস্তি সম্পর্কিত প্রতিরোধমূলক মতবাদ  হলো শাস্তির একটি ধারণা যেখানে শাস্তির মূল উদ্দেশ্য হলো অপরাধীকে ভবিষ্যতে কোনো অপরাধ করা থেকে বিরত রাখা । তবে এই মতবাদ অনুযায়ী, অপরাধীকে শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয় যাতে সে শারীরিকভাবে অথবা মানসিকভাবে আর অপরাধ করতে না পারে। আসলে এটি একটি উপযোগবাদী এবং ভবিষ্যৎ-কেন্দ্রিক একটি ধারণা। আর সেই ধারণায়- প্রতিরোধমূলক মতবাদের মূলনীতিঃ এই মতবাদের প্রধান উদ্দেশ্য হলো অপরাধীকে অক্ষম করে তোলা।এর মাধ্যমে অপরাধী যেন ভবিষ্যতে সমাজের জন্য আর হুমকি হয়ে না ওঠে, তা নিশ্চিত করা হয়। তবে এই নিশ্চিতকরণ বিভিন্ন উপায়ে করা যেতে পারে। আর সেখানে- অপরাধীকে শারীরিকভাবে অক্ষম করা: আমরা জানি যে, অতীতে একটা সময়ে হাত কেটে ফেলা বা অঙ্গহানির মতো কঠোর শাস্তির প্রচলন ছিল।যার উদ্দেশ্য ছিল অপরাধীকে একই অপরাধ পুনরায় করা থেকে শারীরিকভাবে বিরত রাখা। যদিও আধুনিক বিচার ব্যবস্থায় এই ধরনের শাস্তি অমানব...

বেন্থামের উপযোগবাদ ব্যাখ্যা ও বিচার করো।

বেন্থামের উপযোগবাদ ব্যাখ্যা ও বিচার করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ সেমিস্টার দর্শন মাইনর)।         •আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,  বেন্থাম একজন প্রখ্যাত ইংরেজ দার্শনিক, আইনতত্ত্ববিদ এবং সমাজ সংস্কারক ছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁকে আধুনিক উপযোগবাদের জনক হিসেবে গণ্য করা  হয়।তাই তাঁর এই তত্ত্বটি মূলত উপযোগ বা লাভের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। আর সেখানে-                                                                                   •বেন্থামের উপযোগবাদের মূল বক্তব্যঃবেন্থামের উপযোগবাদের মূল ভিত্তি হলো সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের সর্বাধিক সুখ। তার মতে, কোনো কাজ নৈতিকভাবে তখনই সঠিক বা ভালো, যখন তা সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের জন্য সর্বাধিক পরিমাণ সুখ বা আনন্দ উৎপাদন করে। এর বিপরীতে, যে কাজ দুঃখ বা কষ্ট নিয়ে আসে, তা অনৈতিক।আর সেখানে-    ...

বেন্থামের উপযোগবাদ(4th.Sem,Philosophy) ব্যাখ্যা ও বিচার করো।

উপযোগবাদ কাকে বলে? বেন্থামের উপযোগবাদ ব্যাখ্যা ও বিচার করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ সেমিস্টার দর্শন মাইনর)। উপযোগবাদঃ উপযোগবাদ হলো নীতিশাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব, যে তত্ত্ব কোনো কাজের নৈতিকতা বিচার করে তার ফলাফল বা উপযোগিতার ভিত্তিতে। এই তত্ত্বের মূল কথা হলো, যে কাজটি সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের জন্য সর্বাধিক সুখ বা কল্যাণ বয়ে আনে, সেটিই নৈতিকভাবে সঠিক এবং ভালো কাজ।তবে-             উপযোগবাদ অনুসারে, কোনো সিদ্ধান্ত বা কাজের ভালো-মন্দ বিচার করতে হলে দেখতে হবে তার চূড়ান্ত ফলাফল কী। যদি কোনো কাজের ফলে সমাজের মোট সুখ বা আনন্দ বৃদ্ধি পায় এবং দুঃখ বা কষ্ট কমে, তবে সেই কাজটিই কাঙ্ক্ষিত। উপযোগবাদ ব্যক্তিগত সুখের চেয়ে সামগ্রিক সুখ ও কল্যাণের ওপর বেশি জোর দেয়।তবে এই উপযোগবাদের প্রধান প্রবক্তা ও জনক হলেন জেরেমি বেন্থাম।           জেরেমি বেন্থাম  ছিলেন একজন ইংরেজ দার্শনিক ও সমাজ সংস্কারক এবং আধুনিক উপযোগবাদের (Utilitarianism) জনক। তাঁর উপযোগবাদ ছিল একটি নৈতিক দর্শন, যা কোনো কাজের ভালো-মন্দ বা উচিত-অনুচিত বিচার ক...

জন স্টুয়ার্ট মিলের(4th Sem/Philosophy) উপযোগবাদ ব্যাখ্যা ও বিচার করো।

জন স্টুয়ার্ট মিলের উপযোগবাদ ব্যাখ্যা ও বিচার করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ সেমিস্টার দর্শন মাইনর)। আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,জন স্টুয়ার্ট মিলের উপযোগবাদ একটি গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক তত্ত্ব।যে তত্ত্বটি জেরেমি বেন্থামের উপযোগবাদের উপর ভিত্তি করে বিকশিত হয়েছে। তবে তবে বেন্থামের উপযোগবাদের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠলেও  বলা যায় যে,মিল এই তত্ত্বকে আরও পরিমার্জিত ও মনস্তত্ত্বসম্মত রূপ দিয়েছেন। আর সেখানে মিলের উপযোগবাদের মূলনীতিকে ' সর্বাধিক সুখের নীতি' (Greatest Happiness Principle) বলা হয়। আর সেই নীতির মূল কথা হলো- কর্মের নৈতিক মানদন্ডঃ  মিলের মতে, কোনো কাজ তখনই নৈতিকভাবে সঠিক, যখন সেটি সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের জন্য সর্বাধিক সুখ বা আনন্দ  উৎপাদন করে। পক্ষান্তরে, যে কাজ দুঃখ বা আনন্দের বিপরীত ফল উৎপন্ন করে, তা অনৈতিক। সুখের গুণগত পার্থক্যঃ  সুখের গুণগত পার্থক্য: বেন্থাম কেবল সুখের পরিমাণগত তারতম্য স্বীকার করলেও, মিল সুখের গুণগত পার্থক্য (qualitative difference) এর ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, সব ধরনের সুখ সমান নয়। বুদ্ধিবৃত্তিক, আত্মিক এবং নৈ...

চর্যাপদ থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

 চর্যাপদ থেকে সংক্ষিপ্ত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো:  ১) বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রাচীন যুগ বলতে কোন সময়কে বোঝায়?  উত্তরঃ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রাচীন যুগ বলতে বোঝায়- নবম শতাব্দীকে। ২) চর্যাপদ কী?    উত্তরঃ  চর্যাপদ হলো বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন। যেটি মূলত বৌদ্ধ সহজিয়া সাধকদের সাধন-সংগীতের সংকলন।   ৩) চর্যাপদ কে আবিষ্কার করেন?     উত্তরঃ  মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। ৪) কত সালে চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় ?    উত্তর: ১৯০৭ সালে।   ৫) চর্যাপদ কোথা থেকে আবিষ্কৃত হয়?    উত্তর: নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে।   ৬) হরপ্রসাদ শাস্ত্রী সম্পাদিত চর্যাপদের গ্রন্থের নাম কী ?    উত্তর: "হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা বৌদ্ধগান ও দোঁহা"।  * ৬. কত সালে এই গ্রন্থ প্রকাশিত হয়?    উত্তর: ১৯১৬ সালে (১৩২৩ বঙ্গাব্দে)।  * ৭. চর্যাপদের ভাষা কী নামে পরিচিত?    উত্তর: সান্ধ্যভাষা (সন্ধ্যাভাষা)।  * ৮. চর্যাপদে মোট কয়টি পদ পাওয়া গেছে?    উত্তর: ৪৬টি পূর্ণ ...

শজারুর কাঁটা উপন্যাসে(4th Sem) দীপা চরিত্রটি আপাততদৃষ্টিতে স্বার্থপর মনে হলেও শেষ পর্যন্ত তার উত্তরণ ঘটেছে, বিষয়টি আলোচনা করো।

শজারুর কাঁটা উপন্যাসে দীপা চরিত্রটি আপাততদৃষ্টিতে স্বার্থপর মনে হলেও শেষ পর্যন্ত তার উত্তরণ ঘটেছে, বিষয়টি আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা মাইনর)।        আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের রহস্য উপন্যাস 'শজারুর কাঁটা'-য় দীপা চরিত্রটি একটি জটিল এবং বহুস্তরীয় চরিত্র। যেখানে গল্পের শুরুতেই আমরা দেখি,দীপার আচরণে একধরনের স্বার্থপরতা এবং আত্মকেন্দ্রিকতা লক্ষ্য করা যায়, কিন্তু উপন্যাসের শেষে তার মধ্যে যে মানবিক পরিবর্তন এবং মানসিক উত্তরণ ঘটে, তা সেই চরিত্রটিকে নিছক একজন নেতিবাচক চরিত্র হিসেবে দেখা ঠিক হবে না, বরং বলা ভালো এই নেতিবাচক চরিত্র থেকে সে অনেক ঊর্ধ্বে নিজেকে তুলে ধরেছে।আর সেখানে আমরা দেখি-  •আপাততদৃষ্টিতে দীপার চরিত্রের স্বার্থপরতার দিক- বিলাসিতা অর্থলোভী দীপাঃ  আমরা দীপা একজন ধনী পরিবারের মেয়ে এবং তার জীবনযাপনে বিলাসিতার ছাপ স্পষ্ট। সে তার ব্যক্তিগত আরাম-আয়েশ এবং পছন্দের বিষয়ে আপস করতে রাজি নয়। উপন্যাসের প্রথম দিকে তার আর্থিক নিরাপত্তার প্রতি অতিমাত্রিক আকর্ষণ দেখা যায়।  ...

স্ত্রীর পত্র গল্পে(4th.Sem BNGA) মৃণালের কণ্ঠে যে প্রতিবাদের সুর ধ্বনিত হয়েছে তা আলোচনা করো।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'স্ত্রীর পত্র' গল্পে মৃণালের কণ্ঠে যে প্রতিবাদের সুর ধ্বনিত হয়েছে, তা আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, বাংলা মেজর)।             •আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'স্ত্রীর পত্র'  গল্পটি মূলত মৃণালের আত্মপ্রকাশ এবং তার প্রতিবাদী সত্তার উন্মোচন ঘটেছে। আর সেখানে আমরা দেখি, পিত্রালয়ে লেখা একটি পত্রের ছত্রে ছত্রে মৃণালের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ, যন্ত্রণা এবং পুরুষতান্ত্রিক সমাজের প্রতি এক তীব্র প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে।তাই-            মৃণালের প্রতিবাদ শুধুমাত্র ব্যক্তিগত মুক্তি নয়, বরং বলা যেতে পারে যে,সামগ্রিকভাবে নারীর অধিকার ও আত্মমর্যাদার প্রতিষ্ঠার দাবি। মৃণালের সেই অধিকার প্রতিষ্ঠায় গল্পের শুরুতেই আমরা দেখি যে-                 প্রথমেই  আমরা জানতে পারি যে,মৃণালের প্রতিবাদ তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অভাবকে কেন্দ্র করে । তাই মৃণাল জানায়-                  ...

বাঙালি ঘরের কথাই বড় হ'য়ে দেখা দিয়েছে শাক্ত পদাবলীতে-শাক্তপদ অবলম্বনে মন্তব্যটির সার্থকতা বিচার করো।

" বাঙালির ঘরের কথাই বড় হ'য়ে দেখা দিয়েছে শাক্ত পদাবলীতে"- শাক্তপদ অবলম্বনে মন্তব্যটির সার্থকতা বিচার করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, বাংলা মেজর)              আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে," বাঙালির ঘরের কথাই বড় হ'য়ে দেখা দিয়েছে শাক্ত পদাবলীতে"  -এই মন্তব্যটি শাক্ত পদাবলীর আগমনী ও বিজয়া পর্যায়ের পদগুলির ক্ষেত্রে অত্যন্ত সার্থক।আর সেখানে এই পদগুলিতে পৌরাণিক চরিত্রগুলি (যেমন উমা, মেনকা, শিব, হিমালয়) যেন বাংলার সাধারণ ঘরের মানুষ হয়ে ধরা দিয়েছে, আর তাদের সুখ-দুঃখ, মান-অভিমান, আকাঙ্ক্ষা-বিরহ বাঙালির চিরন্তন পারিবারিক জীবনেরই প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে। সেই প্রতিচ্ছবিতে আমরা দেখতে পাই-          শাক্ত পদাবলীতে পারিবারিক জীবনের প্রতিফলন।  তবে শাক্ত পদাবলীর মূল বিষয়বস্তু যদিও শক্তি আরাধনা, কিন্তু উমাসঙ্গীত বা আগমনী-বিজয়ার পদগুলি বাঙালির হৃদয়কে গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে তার প্রধান কারণ হল এর বাৎসল্য রস এবং পারিবারিক আবেশ। সেখানে-             • আদর্শ বাঙালি মা,মা ম...

আরণ্যক উপন্যাসের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

আরণ্যক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়/ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় সংসদ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা)। " পৃথিবীর মধ্যে এমন আর নেই।"-কথাটি কে কাকে বলেছে? এমন আর নেই বলতে কি বোঝানো হয়েছে? আলোচনা করো। উত্তরঃ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'আরণ্যক' রচনাংশে এই কথাটি কথক সত্যচরণকে অনার্য রাজকন্যা ভানুমতী বলেছে।      এমন আর নেই বলতে রিজার্ভ ফরেস্ট এর মধ্যে প্রবাহিত ঝাটি নামক ঝরনার প্রতি  নির্দেশ করা হয়েছে। যেখানে রাজকন্যা ভানুমতীর জবানীতে ঝাটি ঝরনার বিবরণে জানা যায় যে, ঝাটি ঝরনার আরো আরো ভয়ংকর জঙ্গলের অবস্থান। তবে অনুমান করা যেতে পারে যে, জনমানবহীন আদি অন্তহীন ওই বনভূমিতে অত্যাধিক বুনো হাতির আবাসস্থল রয়েছে। আবার চারিদিকে জীবজন্তু ও বৃক্ষলতার জগতের মধ্যেও অগণিত বনময়ূরের অবাধ বিচরণ আছে।আর এমন স্থানকে ভানুমতী 'পৃথিবীর মধ্যে এমন আর নেই' বলে যে আবেগ বিহ্বলতার পরিচয় দিয়েছে, তার মধ্যে কোনো অতিশয়োক্তির প্রকাশ ঘটেনি। ২) "ভানুমতীর পৃথিবী কতটুকু জানিতে বড় ইচ্ছা হইল।"-ভানুমতী কে? তার পৃথিবীর পরিচয় কতটুকু তা কিভাবে প্রকাশ পেয়েছে? উত্তরঃ ...