Skip to main content

Posts

Showing posts from July, 2025

রাজ্য আইনসভার গঠন(2nd.Sem)ও কার্যাবলী আলোচনা করো।

রাজ্য আইন সভার গঠন ও কার্যাবলী আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান দ্বিতীয় সেমিস্টার)।                •আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,ভারতের রাজ্য আইনসভা ভারতের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।এটি রাজ্যস্তরে আইন প্রণয়ন এবং রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভারতের প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব আইনসভা রয়েছে। তবে কিছু রাজ্যে একটি মাত্র কক্ষ (এককক্ষ বিশিষ্ট) নিয়ে আইনসভা গঠিত হয়, যা বিধানসভা (Legislative Assembly) নামে পরিচিত। আবার কিছু রাজ্যে দুটি কক্ষ (দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট) থাকে, যেখানে নিম্নকক্ষ বিধানসভা এবং উচ্চকক্ষ বিধান পরিষদ (Legislative Council) নামে পরিচিত।          •রাজ্য আইনসভার গঠন( বিধানসভা)• •সদস্য সংখ্যা ও নির্বাচন পদ্ধতিঃ ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী, একটি বিধানসভার সদস্য সংখ্যা সর্বনিম্ন ৬০ এবং সর্বোচ্চ ৫০০ হতে পারে। তবে কিছু ছোট রাজ্য যেমন গোয়া, সিকিম, মিজোরাম এবং পুদুচেরি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ক্ষেত্রে এই নিয়ম শিথিল করা হয়েছে এবং তাদের সদস্য স...

জীবনানন্দ দাশের 'সুচেতনা'(4th. Semester)কবিতাটি অবলম্বন করে দেখাও যে, গভীর আশাবাদ এবং জন্মান্তরবাদের ধারণা এই কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে,- তা আলোচনা করো ।

জীবনানন্দ দাশের 'সুচেতনা' কবিতাটি অবলম্বন করে দেখাও যে, গভীর আশাবাদ এবং জন্মান্তরবাদের ধারণা এই কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে,- তা আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, বাংলা মেজর)        আলোচনার শুরু হতেই আমরা বলে রাখি, জীবনানন্দ দাশের 'সুচেতনা'  কবিতাটি তাঁর 'বনলতা সেন' গ্রীষ্মের  অন্তর্গত একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আর সেই কাব্যগ্রন্থের গভীর কবিতা এবং কবির দাওয়ার শব্দ আশ্চর্য জীবন ফুটে কবিতা চিন্তা। আর আমাদেরকে আলোচিত কবিতা আশাবাদ এর  মতো গভীর জন্ম অত্যন্ত নিপুণভাবে প্রকাশ করা হয়েছে 'সুচেতনা'  কবিতায়। আর সেখানে আমরা-                   •কবির আশাবাদ• 'সুচেতনা' কবিতায় আমরা পাঠই কবির আশাবাদের দিকটি শিখেছি- কবিতাটি শুরু হতে পারে লেখক "পৃথিবীর গভীর গভীর অসুখ" - এর কথা। যেখানে কবি মানবজীবনের সংগ্রামী, রূঢ়তা, রক্তক্ষয়ীতা এবং নৈতিক অবক্ষয়ের চিত্র বাস্তবায়িত হয়েছে। মহল সভ্যতার এই ময় চিত্র পাঠকের মনে বিষাদের জন্মও, কবি এখানে থেমে থাকেনি কবি-         'সুচেতন...

মঙ্গল গ্রহে ঘনাদা(4th. Sem) গল্পে লেখক প্রেমেন্দ্র মিত্র বিজ্ঞানের সাথে কল্পনার এক মিশ্রণ ঘটিয়েছেন- আলোচনা করো।

' মঙ্গল গ্রহে ঘনাদা' গল্পে লেখক প্রেমেন্দ্র মিত্র বিজ্ঞানের সাথে কল্পনার এক মিশ্রণ ঘটিয়েছেন- আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা মাইনর, চতুর্থ সেমিস্টার)              •আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,প্রেমেন্দ্র মিত্রের  'মঙ্গল গ্ৰহে ঘনাদা'  গল্পটি বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর অনন্য উদাহরণ।আরএই গল্পে লেখক বিজ্ঞানসম্মত তথ্য ও অলৌকিকতার রঙ মিশিয়ে গল্পটিকে এক অদ্ভুত মিশ্র স্বাদে পরিবেশন করে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন।আর বিজ্ঞান ও কল্পকাহিনীর শুরুতেই আমরা দেখতে পাই গল্পে ঘনাদা তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মঙ্গলগ্রহে তার রোমাঞ্চকর অভিযানের বিবরণ দেন। যেখানে বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং চমকপ্রদ কল্পনা একাকার হয়ে যায়। যেখানে- বিজ্ঞানঃ আমরা জানি যে,প্রেমেন্দ্র মিত্র নিজে বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন। শুধু তাই নয়,বিজ্ঞানের প্রতি তাঁর অদম্য কৌতূহল ছিল।আর সেই কৌতুহল ঘনাদার গল্পগুলোতে এর সুস্পষ্ট ছাপ দেখা যায়।আর সেখানে 'মঙ্গল গ্ৰহে ঘনাদা'  গল্পেও তিনি তৎকালীন মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কিত কিছু বৈজ্ঞানিক ধারণা এবং তথ্য ব্যবহার করেছেন। আর সেই বৈজ্ঞানিক ধারণায় আম...

সর্বাত্মক পরিচয়পত্রের ব্যবহার বা প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, এডুকেশন, মাইনর)।

সর্বাত্মক পরিচয়পত্রের ব্যবহার বা প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, এডুকেশন, মাইনর)।          আমরা ' সর্বাত্মক পরিচয়পত্র'  বলতে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বুঝি। তবে শিক্ষার ক্ষেত্রে এটি সাধারণত  শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের সার্বিক তথ্য সংরক্ষণ করে।কিন্তু ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে ' ইউনিভার্সাল আইডি' (Universal ID) বলতে ব্যবহারকারীদের ট্র্যাক করার জন্য একটি একক শনাক্তকারীকে বোঝায়। এখানে উভয় প্রেক্ষাপটেই সর্বাত্মক পরিচয়পত্রের ব্যবহার বা প্রয়োজনীয়তা নিম্নে আলোচনা করা হলো- •শিক্ষার ক্ষেত্রে সর্বাত্মক পরিচয় পত্র                            ( কিউমুলেটিক রেকর্ড কার্ড-CRC).        শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বাত্মক পরিচয়পত্র বলতে কিউমুলেটিভ রেকর্ড কার্ড (CRC) বোঝায়, যা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত, শিক্ষাগত, সামাজিক এবং প্রাক্ষোভিক বিকাশের একটি বিস্তারিত এবং ধারাবাহিক রেকর্ড। এটি একজন শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে ভর্তির সময় থেকে...

বাংলা সাজেশন(চতুর্থ সেমিস্টার)CC-8,2025 বাংলা অনার্স(CBCS )

বাংলা সাজেশন CC-8,2025 বাংলা অনার্স(CBCS ) চতুর্থ সেমিস্টার                ••একক-১ (মেঘনাদবধ কাব্য, মধূসুদন দত্ত )•• ১) ***•••  মেঘনাদবধ কাব্যের প্রথম এবং ষষ্ঠ সর্গের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো। ***•• মেঘনাদবধ কাব্যের নায়ক কে এ বিষয়ে তোমার সুচিন্তিত মতামত আলোচনা করো। ***•• প্রাচীন মহাকাব্যকে উৎস হিসেবে গ্রহণ করলেও উনিশ শতকীয় নবজাগরণের চেতনায় মেঘনাদবধ কাব্য উজ্জ্বল।- প্রথম সর্গ থেকে ষষ্ঠ সর্গ অবলম্বনে মন্তব্য যথার্থতা বিচার করো। **•• প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য পূরণ ও সাহিত্যে কবি মধুসূদন দত্তের সাবলীল পদসঞ্চার কিভাবে মেঘনাদবধ কাব্যকে সমৃদ্ধ করেছে তা আলোচনা করো। •••মেঘনাদবধ কাব্যের চতুর্থ সর্গের সংযোজন কতখানি শিল্প-সম্মত হয়েছে তা বিশ্লেষণ করো। •••"প্রেমই প্রমিলাকে বীরাঙ্গনা করেছে'-মেঘনাদবধ কাব্যের তৃতীয় স্বর্গ অবলম্বনে মন্তব্যটি যথার্থ বিচার করো।              ••একক-২( সঞ্চয়িতা,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)•• *** 'ভারততীর্থ' কবিতায় রবীন্দ্রনাথের দেশ ভাবনার যে অভিব্যক্তি প্রকাশিত হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করো। *** 'তুমি বৃক্ষ ...

দ্রব্য সম্পর্কে অভিজ্ঞতাবাদীদের2 মতামত সবিচার আলোচনা করো।

দ্রব্য সম্পর্কে অভিজ্ঞতাবাদীদের মতামত সবিচার আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, দর্শন মাইনর)। বুদ্ধিবাদীরা যেখানে যুক্তির মাধ্যমে দ্রব্যের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে চেয়েছেন, অভিজ্ঞতাবাদীরা সেখানে অভিজ্ঞতার ওপর জোর দিয়েছেন। তাদের মতে, জ্ঞান ইন্দ্রিয়লব্ধ অভিজ্ঞতা থেকেই আসে। তাই, যে জিনিসের সরাসরি অভিজ্ঞতা হয় না, তার অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া কঠিন।এই ধারার প্রধান তিন দার্শনিক হলেন- জন লক,জর্জ বার্কলে এবং ডেভিড হিউম। আর সেখানে দেখি- জন লকের মতে দ্রব্যঃ  লকের মতে, আমাদের সব ধারণা আসে সংবেদন ও প্রতিফলন  থেকে।আমরা কোনো বস্তুকে দেখি, তার রঙ, আকার, গন্ধ অনুভব করি। এই গুণগুলো হলো গুণাবলী। লক এই গুণগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করেন-                             ১) মুখ্য গুণ                                                              ...

পরিমাপ পদ্ধতির(4th. Semester) প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো।

পরিমাপ পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো (Need for Quantification theory)( পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ সেমিস্টার দর্শন মাইনর)                  •আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, পরিমাপ পদ্ধতি আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে বিজ্ঞান, শিল্প, বাণিজ্য - সব ক্ষেত্রেই অপরিহার্য।আর এই প্রেক্ষিতে আমরা পরিমাপের প্রয়োজনীয়তার যে বিভিন্ন দিকগুলি পাই তাহলো- ••১) যথার্থতা ও নির্ভুলতা           • ক) সঠিক ফলাফলঃ আমরা জানি যে,পরিমাপ আমাদের কাজের ফলাফলকে সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। উদাহরণ স্বরূপ  আমরা বলতে পারি,একটি ভবন নির্মাণ, শিল্প উৎপাদন, বা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সঠিক পরিমাপ ছাড়া কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তবে এক্ষেত্রে এক মিলিমিটারের ভুলও অনেক সময় বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।           • খ) মান নিয়ন্ত্রণঃ  উৎপাদিত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিমাপ একটি অত্যাবশ্যক বিষয়। কোনো পণ্য বা সেবা যদি নির্দিষ্ট মান অনুযায়ী তৈরি না হয়, তাহলে তা বাজারে গ্রহণযোগ্য ...

ভারতের বিচার বিভাগের (2nd Semester) সক্রিয়তা আলোচনা করো।

ভারতের বিচার বিভাগের সক্রিয়তা আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর)               ১) বিচার বিভাগের সক্রিয়তাঃ আমরা বিচার বিভাগের সক্রিয়তা (Judicial Activism) বলতে জানি যে,যখন বিচার বিভাগ প্রচলিত আইন ও সংবিধানের ব্যাখ্যার বাইরে গিয়ে সামাজিক পরিস্থিতি ও জনগণের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের ক্ষমতা সচেতনভাবে প্রয়োগ করে। তবে এর মূল উদ্দেশ্য হল-জনগণের কাছে ন্যায়বিচার পৌঁছে দেওয়া এবং তাদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করা। কিন্তু-           এই বিষয়টি একটি বিতর্কিত ধারণা।কারণ কেউ কেউ মনে করেন যে,এটি ক্ষমতার পৃথকীকরণ নীতি লঙ্ঘন করে, তবুও অনেকে এটিকে গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে দেখেন।আর সেখানে বিচার বিভাগের সক্রিয়তার দিকগুলি হলো -                ২) জনস্বার্থ মামলাঃ জনস্বার্থ মামলা ভারতে বিচার বিভাগীয় সক্রিয়তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হল জনস্বার্থ মামলা। যেখানে ১৯৮০-এর দশকে এই ধারণার উদ্ভব ঘটে। তবে এর আগে কেবল ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিই আদালতে ম...

বৈজ্ঞানিক অনুমান কাকে(4th.Sem) বলে? বৈজ্ঞানিক অনুমানের মানদণ্ড গুলি আলোচনা করো

বৈজ্ঞানিক অনুমান কাকে বলে? বৈজ্ঞানিক অনুমানের মানদণ্ড গুলি আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ সেমিস্টার দর্শন মাইনর)।            • বৈজ্ঞানিক অনুমান( Criteria of scientific Hypothesis)- আমরা জানি যে, বৈজ্ঞানিক অনুমান বলতে বোঝায় বৈজ্ঞানিক অনুকল্পের মানদণ্ড বা বৈশিষ্ট্য। অর্থাৎ, একটি অনুমান বা ধারণাকে কখন 'বৈজ্ঞানিক অনুকল্প' বলা যাবে, তখন তার জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত বা গুণাবলী থাকা প্রয়োজন। তবে এক্ষেত্রে যদি কোনো অনুমানের মধ্যে এই বৈশিষ্ট্যগুলো না থাকে, তাহলে তাকে বৈজ্ঞানিক অনুকল্প হিসেবে গ্রহণ করা হয় না। আর এই আলোচনার ভিত্তিতে বৈজ্ঞানিক অনুকল্পের মানদণ্ডগুলি হল-        • পরীক্ষণযোগ্যতাঃ বৈজ্ঞানিক অনুকল্পের পরীক্ষণযোগ্যতা  সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড। আসলে বৈজ্ঞানিক অনুকল্প এমন হতে হবে যা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ভুল প্রমাণ করা সম্ভব। অর্থাৎ, এটি এমনভাবে গঠিত হবে যাতে এর স্বপক্ষে বা বিপক্ষে প্রমাণ সংগ্রহ করা যায়। তবে যদি কোনো অনুকল্পকে কোনোভাবেই পরীক্ষা করা না যায় বা ভুল প্রমাণ করা না যায়, তবে সেটি বৈজ্ঞা...