Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2025

বাংলা(2nd.Sem, Major 24) মেজর দ্বিতীয় সেমিস্টার প্রশ্ন ২০২৪

Bengali Major Question 2024, 2nd Semester, West Bengal State University/NEP. প্রতিটি একক থেকে একটি করে প্রশ্ন নিয়ে মোট চারটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ।                                                  (প্রতিটি উত্তরের শব্দসংখ্যা অনধিক ৩০০ হওয়া বাঞ্ছনীয়)                                           একক-১ ক) "জপিতে জপিতে নাম     অবশ করিল গো।                                    কেমনে পাইব সি তারে।।" -কোন পর্যায়ের পদ? পদকর্তা কে? পদটির ভাব-সৌন্দর্য ও কাব্য-সৌন্দর্য ব্যাখ্যা করো।                                অথবা  খ) গোষ্ঠী নিরপেক্ষ গীতিকবিতা হিসেবে বৈষ্ণব পদাবলী আধুনিক কাব্য পা...

বাঙলা ভাষা (XII,3rd Sem) প্রবন্ধের মূল ভাববস্তু নিজের ভাষায় লেখো।

বাঙলা ভাষা প্রবন্ধের মূল ভাববস্তু নিজের ভাষায় আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, দ্বাদশ শ্রেণী, তৃতীয় সেমিস্টার)।            •আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,স্বামী বিবেকানন্দ ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে ২০শে ফেব্রুয়ারি,তিনি যখন আমেরিকায় ছিলেন সেই সময়কালে ' উদ্বোধনী' পত্রিকার  (১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ই জানুয়ারি প্রথম প্রকাশ)সম্পাদক মহাশয়কে একটি পত্র প্রেরণ করেছিলেন। আমাদের আলোচ্য প্রবন্ধটি সেই পত্রের একটা অংশ স্বরূপ। বিবেকানন্দ প্রেরিত সেই পত্রটি উদ্বোধন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। আর সেই পত্রের ষষ্ঠ অধ্যায় ' ভাববার কথা' নাম দিয়ে পত্রটি প্রকাশিত হয়। যেটি আমাদের পাঠ্য বিষয় হিসাবে ' বাঙলাভাষা' প্রবন্ধ নামে পরিচিত।যে প্রবন্ধ থেকে -               •আমরা জানতে পারি যে, ভাষা মানুষের মনের কথা প্রকাশ করে।তবে ইতিহাসের পাতায় নজর দিলে আমরা দেখতে পাই যে, সেই সময়কালে আমাদের এই বাংলায় সংস্কৃত ভাষা প্রচলিত ছিল। আর সংস্কৃত ভাষা প্রচলিত থাকার কারণে সমস্ত বিদ্যাচর্চা, জ্ঞানচর্চা, পাঠ সবই এই ভাষায় দেওয়া হতো। যার ফলে ...

ইলতুৎমিসের(RMV) কৃতিত্ব আলোচনা করো।

ইলতুৎমিসের শাসনকার্যে কৃতিত্ব আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়, সংসদ দ্বাদশ শ্রেণী)।            আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, কুতুবউদ্দিন আইবকের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র আরাম শাহ উত্তরাধিকারের দাবি নিয়ে সিংহাসনে বসেন। তবে আরাম শাহ  সিংহাসনে বসলেও মুসলিম অভিজাতরা ইলতুৎমিসকে সমর্থন করেন। তার প্রধান কারণ সিংহাসন বসার অধিকার,ক্ষমতা এবং জনসমর্থন ইলতুৎমিসের পক্ষেই ছিল। আর সেই জনসমর্থনকে সামনে রেখে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সমর্থনে আরাম শাহকে শেষ পর্যন্ত হত্যা করে ইলতুৎমিস সিংহাসনে বসেন।  • সমস্যা ও জটিল পরিস্থিতিঃ ইলতুৎমিস সিংহাসনে বসার পরেই নানান জটিল সমস্যার সম্মুখীন হন।বলা যায় সেই সমস্যাগুলি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে বেশি সময় লাগেনি। ঠিক সেই সময়ে-                                                   হিন্দু শাসনকর্তারা এবং মুসলিম প্রাদেশিক শাসকরা ক্ষমতার লোভে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। এছাড়াও রাজবংশের কোন কোন ব্যক্তির দিল্লি...

ইংল্যান্ডের (6th.Ssm BNGA) বঙ্গ মহিলা গ্রন্থ অবলম্বনে উনিশ শতকের ইংল্যান্ডের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা আলোচনা করো।

'ইংল্যান্ডের বঙ্গমহিলা' গ্রন্থ অবলম্বনে উনিশ শতকের ইংল্যান্ডের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার স্বরূপটি নিজের ভাষায় আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ষষ্ঠ সেমিস্টার, বাংলা অনার্স-CC14)      • আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,  'ইংল্যান্ডের বঙ্গমহিলা'গ্ৰন্থ  হতে আমরা জানতে পারি যে, ইংল্যান্ডের কোন নগরে, কোন গ্রামে বিদ্যাচর্চা ও শিক্ষার অভাব নেই। কারণ সে দেশে প্রতিটি গ্রামে কমপক্ষে দুই তিনটি করে বিদ্যালয় আছে। তবে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, এদেশে প্রতিটি গ্রামে বা নগরে কতগুলি বিদ্যালয় বা কলেজ  আছে তার সংখ্যা গণনা করা বিষয়টি অসম্ভব। আর এই তথ্য থেকে প্রমাণ করা যায় যে, সে দেশের কোন গ্রামে,কোন নগরে কেউ অন্তত অশিক্ষিত হয়ে থাকতে চায়না।তবে-      • ইংল্যান্ডের কোন মানুষ শিক্ষালাভ ও শিক্ষালয় স্থাপনের ক্ষেত্রে সরকারের মুখাপেক্ষী   হয়ে থাকেন না। সে দেশের সাধারণ মানুষ এবং ধনী ব্যক্তিরা নিজেদের প্রচেষ্টায় সে দেশের বিদ্যালয় বা কলেজ স্থাপন করে থাকে। শুধু তাই নয়, সে দেশে পুরুষদের যেমন বিদ্যালয় আছে, ঠিক তেমনি বিভিন্ন জায়গায় বালিকাদের...

ভাষা(XII-3rd Sem) ভাষা বিজ্ঞান ও তার শাখা প্রশাখা।

ভাষাঃ ভাষাবিজ্ঞান ও তার শাখা প্রশাখা(পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, দ্বাদশ শ্রেণী, তৃতীয় সেমিস্টার)। ১ তুলনামূলক ভাষা বিজ্ঞানের সূত্রপাত কে করেন?  উত্তরঃ স্যার উইলিয়াম জোন্স্। ২) মানুষের মৌখিক ভাষা কত বছরের পুরনো? কয়েক লক্ষ বছরের।  ৩) লেখা শুরু হয়েছে কত বছর পূর্বে  উত্তরঃ পাঁচ থেকে সাত বছর পূর্বে  ৪) ভাষাবিজ্ঞানের আলোচনায় কোন ভাষার গুরুত্ব সর্বাধিক?  মৌখিক ভাষা  ৫) ভাষার গঠন, প্রকৃতি, পদ্ধতি সম্পর্কে ভাষাবিজ্ঞানের চর্চা কে কি বলা হয়? ভাষাবিজ্ঞান।  ৬) ভাষাবিজ্ঞানের বহুল প্রচলিত শাখা কয়টি?  উত্তরঃ তিনটি  ৭) স্যার উইলিয়াম জোন্স কত সাল আগে ভাষা বিজ্ঞানের সূত্রপাত করেছিলেন?  উত্তরঃ ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দের আগে  ৮) সংস্কৃত, গ্ৰিক, ল্যাটিন প্রভৃতি ভাষাগুলির উৎপত্তির মূলে প্রধান ভাষাটি কি?  উত্তরঃ ইন্দো ইউরোপীয়।  ৯) আধুনিক ভাষা বিজ্ঞানের চর্চা হয়েছিল কোন ভাষা বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে?  উত্তরঃ তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান।  ১০) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান কি আলোচনা করে? উত্তরঃ সমকালীন প্রচলিত ভাষার গঠন রীতি নিয়ে আলোচনা করে...

অসমীয়া কাব্যসাহিত্যে (6th.Sem-cbse) নলিনীবালা দেবীর অবদান আলোচনা করো।

অসমীয়া কাব্য সাহিত্যে নলিনীবালা দেবীর অবদান আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ষষ্ঠ সেমিস্টার,CBSE)           আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, নলিনীবালা দেবী অসমীয়া কাব্য সাহিত্যে একজন খ্যাতিমান কবি ও লেখিকা। তবে সেই কবি বা লেখিকার মধ্যে ছিল না কোন আনুষ্ঠানিক শিক্ষা। তবুও তিনি অসম্ভব সাহিত্য কৃতিত্বের পরিচয় দিয়ে সাহিত্য সভার প্রথম সভাপতি হিসেবে পরিগণিত হলেন । আসলে কোন আনুষ্ঠানিক শিক্ষা তাঁর মধ্যে না থাকলেও তিনি অসমীয়া সাহিত্যে অসাধারণ পাণ্ডিত্যের পরিচয় দিয়েছেন।বলা যায়, সেই কাব্য সাহিত্যে তিনি  অতিন্দ্রিয়বাদী,    বা  রহস্যবাদী।  কবি হিসেবে তিনি পরিচিত।আর সেখানে -      কবি সাহিত্যিক নলিনীবালা দেবীর জীবন মোটেই সুখকর ছিল না বলা যেতে পারে, তাঁর ব্যক্তিজীবন ছিল বেদনায় জর্জরিত। আর সেখানে আমরা দেখি বিবাহের বেশ কিছু কাল পরে স্বামীর অকাল মৃত্যু হয়। তবুও তিনি তাঁর সন্তানদের নিয়ে দুঃখ কষ্টের মধ্যে কোন রকমে দিন অতিবাহিত করতে থাকেন। কিন্তু বিধাতার অভিশাপে দুর্ভাগ্যবশতঃ তার স্বামীর মৃত্যুর পর দুই পুত্রের মৃত্যু...

ধ্বনি পরিবর্তনের কারণগুলি আলোচনা করো।

  ধ্বনি পরিবর্তনের কারণগুলি আলোচনা করো।                     •বাহ্যিক কারণ• ১) ভৌগোলিক পরিবেশ ও জলবায়ুর প্রভাবঃ          •  সমাজের প্রতিটি ব্যক্তির সভ্যতা সংস্কৃতির প্রকৃতি সেই জাতির ভৌগোলিক পরিবেশ ও জলবায়ুর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তবে যেখানকার ভূপ্রকৃতি রুক্ষ কঠোর সেখানকার ভাষার কর্কশতা ও কঠোরতা অধিক লক্ষণীয়। আবার সেখানকার ভাষার কোমলতা ও মাধুর্য বেশি সেখানকার ভূপ্রকৃতি বর্ষাস্নিগ্ধ ও কোমল। তবে এর ব্যতিক্রম ঘটতে পারে। ২) সামাজিক প্রভাবঃ        •দেশের সামাজিক অবস্থা ধ্বনির প্রকৃতি নির্ণয়ে প্রভাব ফেলে। দেশে শান্তি থাকলে উচ্চারণ বিকৃতি কমে, আবার দেশে অশান্তি বা যুদ্ধ-বিগ্রহের ফলে বিশেষ শব্দ বারবার ব্যবহারে ধ্বনি পরিবর্তনের পরিমাণ বেড়ে যায়।  ৩) ঐতিহাসিক প্রভাবঃ          • কালের গতির সঙ্গে তাল রেখে ইতিহাসের ধারা পরিবর্তনের মতোই ধনী পরিবর্তিত হয়। যেমন- সিন্ধু>হিন্দু। ৪) লিপি বিভ্রাটঃ           •অপর কোন ভাষার শব্দ লিখতে গিয়ে ...

দ্বিগ্বিজয়(XII,3rd. Sem) রূপকথা কবিতার মূল ভাববস্তু নিজের ভাষায় লেখো ও MCQ questions and answers

 ' দ্বিগবিজয় রূপকথা' কবিতার মূল ভাববস্তু নিজের ভাষায় লেখো(পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, বাংলা, তৃতীয় সেমিস্টার)             আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,'দ্বিগ্বিজয় রূপকথা' কবিতায় কবি নবনীতা দেবসেন  আত্মবিশ্বাস, ভালোবাসা, নারীশক্তি, জীবনের লড়াই, পৌরাণিক কাব্যকথা, রূপকথা ব্যবহারে কবিতাটি অনবদ্যভাবে কাব্যেকাশে তুলে ধরেছেন।আর সেখানে আমরা দেখি-  •  আত্মবিশ্বাস ও ভালোবাসার জয়গানঃ   দ্বিগ্বিজয় রূপকথা কবিতাটিতে কবি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন যে, জীবনে বিজয়ী হতে গেলে বাহ্যিক শক্তির থেকে আত্মবিশ্বাস ও ভালোবাসার শক্তি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।কারণ এই দুটি গুণ আত্মবিশ্বাস ও ভালোবাসা("বিশ্বাস" নামক আশীর্বাদী সরঞ্জাম ও "ভালোবাসা" রূপ মন্ত্রপূত তলোয়ার) যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমাদেরকে সাহায্য করে থাকে।  •  নারীশক্তি উদযাপনেঃ  আলোচ্য কবিতাটিতে নারীশক্তির এক বলিষ্ঠ চিত্রায়ণ ও জয়গান করা হয়েছে। কারণ নারীই একমাত্র তার ভেতরের অদম্য,তেজদীপ্ত শক্তি,আত্মবিশ্বাস ও ভালোব...

হিন্দি সাহিত্যের (6th. Semester) ইতিহাসে ভারতেন্দু হরিশ্চন্দ্রের অবদান আলোচনা করো।

হিন্দি সাহিত্যের ইতিহাসে ভারততেন্দু হরিশ্চন্দ্রের  অবদান আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ষষ্ঠ সেমিস্টার বাংলা অনার্স)।           আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, ভারত হিন্দু হরিশ্চন্দ্র হিন্দি সাহিত্যের ইতিহাসে ভগিরথ রূপে পরিগণিত। তার প্রধান অন্যতম কারণ হলো, তাঁর লেখনীর স্পর্শেই হিন্দি সাহিত্য নবজাগরণের যুগরূপে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। আসলে তিনি ইতিহাস প্রসিদ্ধ শেঠ আমিনচন্দের বংশজাত এবং হিন্দি সাহিত্যে আধুনিকতার প্রবর্তক। আর আধুনিকতার প্রবর্তক হিসেবে বাল্যকাল থেকেই তাঁর মধ্যে বহুমুখী প্রতিভার বিকাশ পরিলক্ষিত হয়। বলা যেতে পারে তাঁর সৃজনশীল কবি প্রতিভা এবং বহুমুখী রচনাশৈলী তাঁর জনপ্রিয় তাঁকে বহু বিস্তৃত করেছিল। আর সেখানে আমরা দেখি-            ভারতেন্দু প্রধানত কবি। তবে সাহিত্যের অন্যান্য শাখায় বিশেষ করে সম্পাদকরূপে, অনুবাদকরূপে, গদ্যকাররূপে,নাট্যকাররূপে,  বহুমুখী প্রতিভা লক্ষণীয়। তবে এখানে বলে রাখা ভালো যে,আধুনিক হিন্দি নাটক এবং প্রবন্ধ রচনা ভারতেন্দুর হাত ধরেই হিন্দি সাহিত্যে শুভ জয়যাত্রা শুরু হয়েছি...

সাধারণ সভার (XII,3rd.Sem) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সাধারণ সভার(United Nation General Assembly) সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দ্বাদশ শ্রেণী, তৃতীয় সেমিস্টার) ১)সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সাধারণ সভা কী?   উত্তরঃ  সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রধান অঙ্গগুলির মধ্যে একটি সংস্থা এবং একমাত্র সংস্থা, যেখানে সকল সদস্য রাষ্ট্রের সমান প্রতিনিধিত্ব যার ক্ষমতা রয়েছে। তবে এটিকে বিশ্ব পার্লামেন্টও বলা হয়ে থাকে। ২) সাধারণ সভার মূল কাজ কী? উত্তরঃ সাধারণ সভার  মূল কাজ হলো- আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা এবং সুপারিশ প্রদান করা। এর মধ্যে শান্তি ও নিরাপত্তা, মানবাধিকার, উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক আইন ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও এটি জাতিসংঘের বাজেট অনুমোদন করে এবং বিভিন্ন সংস্থায় সদস্য নির্বাচন করে। ৩) সাধারণ সভার সদস্য কারা ?  উত্তরঃ  সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সকল সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রই সাধারণ সভার সদস্য। বর্তমানে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সদস্য রাষ্ট্রসংখ্যা হল ১৯৩। ৪. সাধারণ সভায় প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের কত ভোট দেয়ার অধিকার আছে?  উত্তরঃ প্রতি টি সদস্...

আদরিণী গল্পের(XIi, 3rd.Sem) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়ের আদরিণী ছোটগল্পের গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (দ্বাদশ শ্রেণী তৃতীয় সেমিস্টার পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ)। ১. আদরিণী কে ছিল? উত্তরঃ আ দরিণী মুখোপাধ্যায় মশায়ের অত্যন্ত স্নেহের একটি হস্তিনী। ২. মুখপাধ্যয়ের মশায়ের পেশা কী?    উত্তরঃ  গল্পে মুখোপাধ্যায় মশায়ের পেশা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা নেই, তবে তিনি একজন বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ এবং অবস্থাপন্ন ব্যক্তি ছিলেন বলে মনে হয়। ৩. কল্যাণীর সাথে আদরিনী সম্পর্ক কেমন ছিল?  উত্তর: কল্যাণী আদরিণীকে খুব ভালোবাসত এবং আদরিণীও কল্যাণীর প্রতি স্নেহশীল ছিল। তাই তারা একে অপরের খুব বন্ধু হিসেবে পরিচিত। ৪. মুখোপাধ্যায় মহাশয় কেন আদরিণীকে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন ?   উত্তরঃ  মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের নাতনী কল্যাণীর বিয়ের জন্য অর্থের প্রয়োজনে তিনি বাধ্য হয়ে আদরিণীকে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ৫. আদরিনী প্রতি মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের অনুভূতি কেমন ছিল?   উত্তরঃ  মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের আদরিণীর প্রতি গভীর স্নেহ ও ভালোবাসা ছিল। সে শুধু একটি পশু নয়, বরং বলা যায় যে,তাঁর পরিবারের আদরিণী একজন সদস্যের মতো...

প্রাচীন ভারতের(RMV) ইতিহাসের উপাদান হিসাবে মুদ্রার গুরুত্ব আলোচনা করো।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসাবে মুদ্রার গুরুত্ব আলোচনা করো।                        আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপাদান মুদ্রার গুরুত্ব অপরিসীম।আর এখানে বহু দেশি ও বিদেশি ঐতিহাসিকরা নানান উপকরণ সংগ্রহ করে লিখিত ইতিহাস খাড়া করেছেন। তবে তার মধ্যে একটি নির্ভরযোগ্য উপাদান হলো মুদ্রা। সেখানে ইতিহাসের উপাদান হিসাবে মুদ্রার গুরুত্বে আমরা দেখতে পাই- ক) সাহিত্যে ও শিলালিপি থেকে যেসব তথ্য পাওয়া যায় সেগুলির সত্যতা বিচার বা যাচাই করতে মুদ্রা  যথেষ্ট সাহায্য করে থাকে। খ) মুদ্রাগুলিতে সাধারণ রাজার নাম,সন তারিখ, রাজার মূর্তি ও নানা দেবদেবীর মূর্তি খোদাই করা থাকে। তাই ইতিহাসের উপাদান হিসাবে এদের গুরুত্ব সর্বাধিক। গ) কেবলমাত্র রাজার নাম,সন তারিখ নয়- এই মুদ্রাগুলি থেকে তৎকালীন রাজার রাজ্যের শিল্পকলা, ধাতু শিল্প,লিপি এবং রাজ্যের অর্থনীতি সম্পর্কে সম্যক পরিচয় পাওয়া যায়। ঘ) ভারতে প্রচুর পরিমাণে রোমান মুদ্রার অস্তিত্ব রোমের সাথে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক, ভারতের অনুকূল বাণিজ্য, ভারতের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং...

প্রাচীন ভারতের (RMV)ইতিহাস রচনার লিপির গুরুত্ব( XII, 3 rd sem)আলোচনা করো।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় লিপির গুরুত্ব আলোচনা করো।    আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় লিপির গুরুত্ব সর্বাধিক। তাই প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের মধ্যে লিপিকে প্রথম স্থানে রাখা হয়। কারণ লিপি তথ্য সরবরাহে অমূল্য সম্পদ। উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি, অশোকের শিলালিপি, সমুদ্রগুপ্তের এলাহাবাদ প্রশস্তি, চালুক্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশীর আইহোল লিপি প্রভৃতি বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে। আর এই সকল লিপি থেকে যে সকল তথ্য আমরা পাই তা হলো- •রাজার রাজ্যসীমাঃ  কখনও লিপির প্রাপ্তিস্থান থেকে, আবার কখনও লিপিতে উৎকীর্ণ তথ্য থেকে সংশ্লিষ্ট রাজার রাজ্যসীমা সম্পর্কে একটা সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করা যায়। যেমন সমুদ্রগুপ্তের এলাহাবাদ প্রশস্তি থেকে রাজা সমুদ্রগুপ্তের রাজ্যসীমা সম্পর্কে আমরা তথ্য পাই।  • রাজাদের কার্যকলাপঃ লিপিতে উৎকীর্ণ তথ্যাদি থেকে রাজাদের যুদ্ধ জয়, ধর্মপ্রচার, আদেশ উপদেশ, সংস্কার প্রভৃতি জনকল্যাণ মূলক কার্যাবলী সম্পর্কে জানা যায়। উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি, অশোকের শিলালিপি থেকে সে যুগের ধর্মপ্রচার, কলিঙ্গ যুদ্ধ, প্রজা কল্যাণমূলক কার্যাদি ইত্যাদি সম্পর্কে জ...

বাংলা প্রশ্ন তৃতীয় সেমিস্টার ২০২৫

           West Bengal State University                   BA,Minor,3rd Semester.                                            Bengali Question 2025                                 একক ১ ১। ক) বাংলা শিশু সাহিত্যে অবনীন্দ্রনাথের সৃষ্টিসত্তার অনন্যতার দিকগুলি নির্দেশ করো। • বাংলা শিশু সাহিত্যের ধারায় সুকুমার রায়ের অভিনব ভূমিকার পরিচয় দাও।                            একক ২ গ) একদিকে সমাজচিত্রের উদ্ভাস, অন্যদিকে উপকথার আশ্চর্য জগত- দুয়ের সম্মিলনে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর 'টুনটুনির বই' অনন্য- আলোচনা কর। • 'বোকাজোলা আর শিয়ালের কথা'-রূপকথার মতই সুখী পরিসমাপ্তি নিয়ে আমাদের মনে এক ধরনের স্বস্তির জন্ম দেয়। মন্তব্যটির যথার্থতা নির্ণয় করো।      ...

ইংরেজি (6th.Sem) সাহিত্যিক চার্লস ডিকেন্সের ঔপন্যাসিক চেতনার পরিচয় দাও।

ইংরেজি সাহিত্যিক চার্লস ডিকেন্সের ঔপন্যাসিক চেতনার পরিচয় দাও(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ষষ্ঠ সেমিস্টার, বাংলা অনার্স)          আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, ইংরেজি উপন্যাস সাহিত্যের ইতিহাসে চার্লস ডিকেন্স এক অনন্য সাহিত্যিক। আসলে তিনি ইংরেজি উপন্যাস সাহিত্যের এক কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব। অষ্টাদশ শতকে ইংরেজি উপন্যাসে ক্রম পরিণতি ডিকেন্সের রচনায় সমৃদ্ধি ও জনপ্রিয়তার এক নব দিগন্ত উপনীত হয়েছিল।আর এই প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, তাঁর স্থান শেক্সপিয়ারের পাশেই। তাছাড়াও তাঁর গল্প বলার ভঙ্গি ছিল নুতন দিগন্তের দিশারী।আর সেখানে-                   •ডিকেন্সের রচনাসমূহ• তৎকালীন যুগের দারিদ্রতা, ব্যর্থ প্রেম, অমানুষিক পরিশ্রম ইত্যাদি অভিজ্ঞতার দ্বারা সমৃদ্ধ হয়ে ডিকেন্স চারিত্রিক দৃঢ়তা ও নিজস্ব দক্ষতার গুণে তিনি সংবাদদাতার কাজ শুরু করেন। আর তিনি যে পত্রিকায় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন সেটি হল 'The True Sun'। আসলে সাংবাদিক জীবনের নানান অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি শুরু করলেন ছোট ছোট নকশাধর্মী কিছু রচনা। এখানে তিনি নিজেকে তুলে ধরলে...

সম্মিলিত (XII-3rd.Sem) জাতিপুঞ্জের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ,দ্বাদশ শ্রেণী, তৃতীয় সেমিস্টার)। ১. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? উত্তরঃ  সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৫ সালে ২৪শে অক্টোবর। ২) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সদর দপ্তর কোথায়? উত্তরঃ মার্কিন  যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্ক। ৩) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রধান উদ্দেশ্য কী ? উত্তরঃ সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রধান উদ্দেশ্য হল-বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা, জাতিসমূহের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন, আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করা এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানানো। ৪. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রধান কয়টি শাখা আছে? উত্তরঃ সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের ছয়টি শাখা আছে।আর সেই শাখাগুলি হলো-সাধারণ সভা, নিরাপত্তা পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ, অছি পরিষদ, আন্তর্জাতিক বিচারালয় এবং সচিবালয়। ৫. নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা কত এবং সেগুলি কি কি? উত্তরঃ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা হল পাঁচটি।আর সেই সদস্য রাষ্ট্রগুলি হলো-চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ...

বাংলা কবিগানের (1st. Semester) আসরে ভোলা ময়রার কৃতিত্ব আলোচনা করো।

বাংলা কবিগানের ইতিহাসে ভোলা ময়রার কৃতিত্ব আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, প্রথম সেমিস্টার, বাংলা মাইনর) আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,বাংলা কবিগানের ইতিহাসে ভোলা ময়রা এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। যেখানে তিনি ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী কবিয়াল হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তাই বলা যেতে পারে তাঁর কৃতিত্ব বহুমুখী এবং বাংলা কবিগানকে এক নতুন দিশা তিনিই দিয়েছিলেন।  আর সেই কবি কৃতিত্বে আমরা দেখি- ১) তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তায়ঃ               ভোলা ময়রার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব ছিল আসরে বসেই তাৎক্ষণিকভাবে কবিতা রচনা করার অসাধারণ ক্ষমতা। তাঁর মুখ থেকে অনর্গল যেসকল কথা বেরিয়ে আসত তা শ্রোতাদের মুগ্ধ করত। আর এক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের যুক্তি খণ্ডন এবং নতুন আক্রমণ শানানোর ক্ষেত্রে তাঁর উপস্থিত বুদ্ধি ছিল অত্যন্ত প্রখর। ২) বাগ্মিতা ও ভাষা প্রয়োগেঃ             ভোলা ময়রার বাচনভঙ্গি ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয়, সুমধুর,যা শ্রোতাদের মনে ধরে রাখার মতো। তিনি লঘু ও গুরু উভয় প্রকার বিষয়...

বৌদ্ধ দর্শন ও (1st.Sem) সংস্কৃতি চর্চায় বৌদ্ধবিহার গুলির ভূমিকা আলোচনা করো।

বৌদ্ধ দর্শন ও সংস্কৃতি চর্চায় বৌদ্ধবিহার গুলির ভূমিকা আলোচনা করো ( পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, প্রথম সেমিস্টার, বাংলা মাইনর)।              আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,বৌদ্ধদর্শন ও সংস্কৃতি চর্চায় বৌদ্ধবিহার গুলির ভূমিকা অপরিসীম। আর সেই বৌদ্ধবিহার গুলির ভূমিকা আমারা নিম্ন সুত্রাকারে আলোচনা করতে প্রয়াসী হোলাম। যেখানে-- ১) শিক্ষা ও জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র হিসেবে বৌদ্ধবিহারঃ বৌদ্ধ বিহারগুলি শুধুমাত্র ভিক্ষুদের আবাসস্থল ছিল না, বরং বলা যেতে পারে এগুলি ছিল বৌদ্ধ দর্শন, সাহিত্য, শিল্পকলা এবং অন্যান্য জ্ঞানার্জনের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।যেখানে ভিক্ষুরা ধর্মীয় গ্রন্থ অধ্যয়ন করতেন, বিতর্ক ও আলোচনায় অংশগ্রহণ করতেন এবং নিজেদের জ্ঞান ও প্রজ্ঞা বৃদ্ধি করতেন। অনেক বিহারে গ্রন্থাগার ছিল, যেখানে মূল্যবান বৌদ্ধ পুঁথি ও শাস্ত্র সংরক্ষিত থাকত। নালন্দা, বিক্রমশীলা, তক্ষশীলার মতো বিখ্যাত বৌদ্ধবিহারগুলি প্রাচীনকালে জ্ঞানচর্চার আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল, যেখানে ভারত এবং অন্যান্য দেশ থেকেও শিক্ষার্থীরা জ্ঞানার্জনের জন্য আসতেন। ২) ধর্ম, দর্শন প্রচারে বৌ...

বাংলা সাহিত্যের (1st. Semester) ধারায় কবিগানের ভূমিকা

  বাংলা সাহিত্যের ধারায় কবি গানের ভূমিকা আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম সেমিস্টার বাংলা মাইনর)।            আলোচনার  শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,বাংলা সাহিত্যের ধারায় কবিগানের ভূমিকা আলোচনা করতে গেলে আমাদের এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, বিষয়বস্তু, আঙ্গিক এবং প্রভাব ইত্যাদি বিভিন্ন দিক আলোচনা ও বিবেচনা করা প্রয়োজন। আর সেই প্রয়োজনে আমরা নিম্ন সুত্রাকারে আলোচনা করলাম-                • ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও উদ্ভব•            •কবিগান বাংলা লোকসাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা। এর উদ্ভব ঠিক কবে হয়েছিল তা নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও, অষ্টাদশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে এর বিকাশ স্পষ্ট হতে দেখা যায়। বিশেষত ১৭৬০ থেকে ১৮৩০ সালের মধ্যবর্তী সময়কালকে কবিগানের স্বর্ণযুগ হিসেবে ধরা হয়। এই সময়ে রাঢ় অঞ্চল এবং কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় এই গানের জনপ্রিয়তা ব্যাপক আকার ধারণ করে।                   • বিষয়বস্তু ও আঙ্গিক•...

বাংলা সাহিত্যের (1st.Sem.) আদিপর্বে বৌদ্ধধর্ম ও সংস্কৃতিচর্চা কিভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল তার পরিচয় দাও।

বাংলা সাহিত্যের আদি পর্বে বৌদ্ধধর্ম ও সংস্কৃতি চর্চা কিভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল তার পরিচয় দাও। (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা মাইনর, প্রথম সেমিস্টার)।           আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, বাংলা সাহিত্যের আদি পর্বে বৌদ্ধধর্ম ও সংস্কৃতি চর্চার গভীর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। এই প্রভাব পরবর্তীতে সাহিত্য এবং সমাজের বিভিন্ন দিককে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছিল।প্রভাবিত সেই বিষয়গুলির নিম্ন সূত্রাকারে আলোচনা করা হলো- ক) চর্যাপদঃ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন হলো চর্যাপদ। এই পদগুলি মূলত বৌদ্ধ সহজিয়া সাধকদের ধর্মীয় গান। চর্যাপদের ভাষা, ভাব, এবং দার্শনিক চিন্তাভাবনা বৌদ্ধ ধর্ম ও সংস্কৃতির দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত।              •সহজিয়া বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিফলন•  চর্যাপদে সহজিয়া বৌদ্ধধর্মের দর্শন ও সাধন পদ্ধতির স্পষ্ট চিত্র দেখা যায়। কায়া-সাধন, শূন্যবাদ, এবং সহজ পথের অনুসারীদের জীবনযাত্রা ও আধ্যাত্মিক উপলব্ধি এই পদগুলোতে বর্ণিত হয়েছে।           •প্রতীক ও রূপকের ব্যবহার•  চর্যাপদের ভাষ...

ইলতুৎমিসের কৃতিত্ব (RMV,XI) আলোচনা করো।

ইলতুৎমিসের কৃতিত্ব আলোচনা করো। (পশ্চিমবঙ্গ রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় সংসদ, উচ্চমাধ্যমিক) ।          আমরা জানি যে, কুতুবউদ্দিন আইবকের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র আরাম শাহ উত্তরাধিকারের দাবি নিয়ে সিংহাসনে বসেন। তবে আরাম শাহ সিংহাসনে বসলেও মুসলিম অভিজাতরা ইলতুৎমিসকে সমর্থন করেন। তার প্রধান কারণ সিংহাসন বসার অধিকার,ক্ষমতা এবং জনসমর্থন ইলতুৎমিসের পক্ষেই ছিল। আর সেই জনসমর্থনকে সামনে রেখে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সমর্থনে আরাম শাহকে শেষপর্যন্ত হত্যা করে তিনি সিংহাসনে বসেন।  •সমস্যা ও জটিল পরিস্থিতিঃ সিংহাসনে বসার পরেই ইলতুৎমিস নানান জটিল সমস্যার সম্মুখীন হন। বলা যায় সেই সমস্যাগুলি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে বেশি সময় লাগেনি। ঠিক সেই সময়ে হিন্দু শাসনকর্তারা এবং মুসলিম প্রাদেশিক শাসকরা ক্ষমতার লোভে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। এছাড়াও রাজবংশের কোন কোন ব্যক্তির দিল্লির সিংহাসন দখল করার আশা ছিল। যে সময়ে মোঙ্গল জাতির আক্রমণের আশঙ্কা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে ওঠে।  •সাম্রাজ্য বিস্তারঃ ইলতুৎমিস ভয়াবহ বিপদের মধ্যে নিজেকে সামলে রেখে ধীরে চলার নীতি গ্রহণ করেন। আর এই সময়ে তিনি নাসিরউদ্দিন কু...

ভারতের ইতিহাসে ১৭০৭ সালের গুরুত্ব আলোচনা করো।

  ভারতের ইতিহাসে ১৭০৭ সালের গুরুত্ব আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয়, ইতিহাস মাইনর, তৃতীয় সেমিস্টার)।          আমরা জানি যে,ভারতের ইতিহাসে ১৭০৭ সাল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়।কারণ হল এই বছরে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যু হয়। আর আওরঙ্গজেবের মৃত্যু মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের সূচনা করে এবং ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন যুগের নতুন অধ্যায় শুরু হয়। আর সেখানে আমরা দেখি-                • মুঘল সাম্রাজ্যের দুর্বলতা •  আওরঙ্গজেবের দীর্ঘ শাসনকালে (১৬৫৮-১৭০৭) মুঘল সাম্রাজ্য তার সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছিল ঠিকই, কিন্তু একই সাথে অভ্যন্তরীণ দুর্বলতাও বাড়তে শুরু করেছিল। তার দীর্ঘকালীন যুদ্ধ, বিশেষ করে দাক্ষিণাত্যে মারাঠাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, সাম্রাজ্যের অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেয়। এছাড়াও, তার কঠোর ধর্মীয় নীতি অনেক আঞ্চলিক শক্তি এবং গোষ্ঠীর মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছিল।          • আওরঙ্গজেবের মৃত্যু ও উত্তরাধিকার দ্বন্দ্ব• আওরঙ্গজেবের মৃত্যু ও উত্তরাধিকারের দ্বন্দ্ব: আওরঙ্গজেবের ক...

বাংলা সাহিত্যের (1st . Sem.)আদিপর্বে বৌদ্ধধর্ম ও সংস্কৃতি চর্চা কিভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল তার পরিচয় দাও।

বাংলা সাহিত্যের আদিপর্বে বৌদ্ধধর্ম ও সংস্কৃতিচর্চা কিভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল তার পরিচয় দাও (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা মাইনর, প্রথম সেমিস্টার)।           আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, বাংলা সাহিত্যের আদি পর্বে বৌদ্ধ ধর্ম ও সংস্কৃতি চর্চার গভীর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। এই প্রভাব সাহিত্য এবং সমাজের বিভিন্ন দিককে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছিল।প্রভাবিত সেই বিষয়গুলির নিম্ন সূত্রাকারে আলোচনা করা হলো- ক) চর্যাপদঃ  বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন হলো চর্যাপদ। এই পদগুলো মূলত বৌদ্ধ সহজিয়া সাধকদের ধর্মীয় গান। চর্যাপদের ভাষা, ভাব, এবং দার্শনিক চিন্তাভাবনা বৌদ্ধ ধর্ম ও সংস্কৃতির দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত।            • সহজিয়া বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিফলন•   চর্যাপদে সহজিয়া বৌদ্ধধর্মের দর্শন ও সাধন পদ্ধতির স্পষ্ট চিত্র দেখা যায়। কায়া-সাধন, শূন্যবাদ, এবং সহজ পথের অনুসারীদের জীবনযাত্রা ও আধ্যাত্মিক উপলব্ধি এই পদগুলোতে বর্ণিত হয়েছে।              • প্রতীক ও রূপকের ব্যবহার•    চর্...

বৈষ্ণব সাহিত্যে(1st. Sem) বিদ্যাপতি ও চন্ডীদাসের তুলনামূলক আলোচনা করো।

বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যে কবি বিদ্যাপতি এবং চন্ডীদাসের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করো ((পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, প্রথম সেমিস্টার, বাংলা, মেজর এবং মাইনর) আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে বিদ্যাপতি ও চন্ডীদাস উভয়ই  চৈতন্য পূর্ববর্তী কবি। দুজনেই রাধা কৃষ্ণের লীলা অবলম্বনে পদ রচনা করেছিলেন।আর বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এ ধরনের পদ রচনায় জন্য তারা সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। কথিত আছে একবার নাকি উভয়ের সাক্ষাৎ ঘটেছিল গঙ্গাতীরে। এই উভয় কবির কাব্য বিচার করলে তাদের মধ্যে যেমন সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়, তেমনি লক্ষ্য করা যায় বৈসাদৃশ্য। আর সেগুলি হলো- •সাদৃশ্য• ১) চৈতন্য পূর্বযুগের কবি বলে বিদ্যাপতি ও চন্ডীদাসের কাব্যে বৈষ্ণবী ও ষড়দর্শনের অনুশাসন নেই। এই কাব্য বিষয় স্থির করতে গিয়ে উভয় কবিকে দ্বিধান্বিত হতে হয়নি। ২) বিদ্যাপতি ও চন্ডিদাস উভয়ই মানুষের জীবন যন্ত্রণাকে প্রকাশ করেছেন রাধাকৃষ্ণের জবানীতে। কেননা, তখন কানু ছাড়া গীত ছিল না। ৩) বিদ্যাপতি ও চন্উডিদাস ভয়ই জেনেছেন মানুষের জীবনে প্রাপ্তির মুহূর্তটি বড় সংক্ষিপ্ত। অপ্রাপ্তির ক্ষণটি বড় দীর্ঘায়িত। তাই কোনো বিশেষ ধর্মীয় বন্ধনের এক্তিয...

পাঁচালী কাকে (1st.Sem) বলে? চারজন পাঁচালিকারের নাম লেখো।শ্রেষ্ঠ পাঁচালীকারের পরিচয় দাও।

পাঁচালী কাকে বলে? চারজন পাঁচালী কারের নাম লেখো। শ্রেষ্ঠ পাঁচালীকারের পরিচয় দাও (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম সেমিস্টার বাংলা মাইনর )। পাঁচালী কীঃ  পাঁচালি হল বাংলা লোকসাহিত্যের একটি প্রাচীন ধারা।যেটি গান ও গল্পের মিশ্রণে গঠিত একটি আখ্যানমূলক পরিবেশনা।আসলে পাঁচালী গান বাংলার প্রাচীন লোকিক সংগীত গুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে এই গান প্রধানত সনাতন ধর্মীদের বিভিন্ন আখ্যান বিষয়ক বিষয়বস্তু সংবলিত ও তাদের তুষ্টির জন্য পরিবেশিত হয়।তবে মনে করা হয় যে,'পাঁচালী'শব্দটি সম্ভবত 'পুতুল' বা "পুতুলিকা" শব্দ থেকে এসেছে।কারণ পূর্বে এই পরিবেশনার সাথে পুতুলনাচও যুক্ত থাকত। আবার-                  অন্য মতে, এই শব্দটি পাঁচটি উপাদান - গান, বাদ্য, তাৎক্ষণিক কবিতা রচনা, কবিগান এবং নৃত্য - এর সমন্বয়কে বোঝায়।                      পাঁচালীর বৈশিষ্ট্যসমূহঃ • আখ্যানমূলকঃ   পাঁচালিতে একটি গল্প বা কাহিনি বর্ণনা করা হয়। যার কাহিনি সাধারণত ধর্মীয় বা পৌরাণিক বিষয়ভিত্তিক হয়ে থাকে, যেমন রামায়ণ, মহাভ...

ঔপন্যাসিক সূর্যকান্ত (6th. Semester) ত্রিপাঠী নিরালায় প্রতিভার পরিচয় দাও।

ঔপন্যাসিক রূপে সূর্যকান্ত ত্রিপাঠী নিরালার প্রতিভার পরিচয় দাও (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়,  ষষ্ঠ সেমিস্টার, বাংলা অনার্স)। আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, আধুনিক হিন্দি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক হলেন সূর্যকান্ত ত্রিপাঠী। মূলত তিনি কবি হয়েও ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। আসলে তিনি গল্প উপন্যাস প্রবন্ধ নকশা ধর্মী রচনায় ছিলেন একেবারেই সিদ্ধহস্ত। আসলে পশ্চিমবঙ্গের শস্য শ্যামলা কোমল মৃত্তিকাতেই নিরালার কৈশোর ও যৌবনের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত হওয়ার ফলে বাংলা সাহিত্যের প্রতি ছিল তাঁর প্রগাঢ় অনুরাগ। তবে - মহিষাদলের রাজপ্রাসাদে থাকাকালীন তিনি নিজের চোখে দেখেছেন সমাজের আর্থিক বৈষম্য এবং অনাচার। আর সেই বৈষম্য এবং অনাচার দেখে কিষান ও মজুরদের নিয়ে তিনি সংগঠন করেছেন। শুধু তাই নয়,অন্যায, অবিচার ও ঘুষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী আন্দোলন গড়ে তোলেন। যে আন্দোলন গড়ে তুলতে তিনি চাকরি থেকে ইস্তফাও দিয়েছেন। আর এখান থেকে তাঁর সাহিত্যের উপর পশ্চিমবঙ্গের এক বিশাল প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। যেখানে তিনি নিরালার কবিতা সূত্রপাত মুক্তবন্ধ ছন্দে রচনা করলেন। নিরালার প্রথম রচনা ' জুহী কি কলী'  ...