Skip to main content

Posts

Showing posts from June, 2025

শাক্ত পদাবলীতে উল্লেখিত (2nd.Sem) সমাজ চিত্রের বর্ণনা দাও।

শাক্ত পদাবলীতে উল্লেখিত সমাজ চিত্রের বর্ণনা দাও (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, বাংলা মেজর)।             •আমরা জানি যে, শাক্ত পদাবলীতে শুধুমাত্র তৎকালীন সময়ে শুধুমাত্র শক্তির সাধনা করা হয়নি, শক্তির ভজনা করা হয়নি। আর সেই হিসেবে শাক্ত পদাবলী কেবল ধর্মীয় ভক্তির প্রকাশ নয়, বরং এটি তৎকালীন বাঙালি সমাজের এক জীবন্ত দলিল।  আর সেই দলিলে অষ্টাদশ শতক এবং তার পরবর্তীকালের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত বাঙালির দৈনন্দিন জীবন, পারিবারিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক অবস্থা এবং মানসিকতার এক সুস্পষ্ট চিত্র শাক্ত পদাবলীতে প্রতিফলিত হয়েছে। প্রতিফলিত সেই সমাজচিত্রে আমরা দেখতে পাই-          •পারিবারিক জীবনের প্রতিচ্ছবি•          • বাৎসল্যরস ও মাতৃ হৃদয়ের আকুতিঃ  শাক্ত পদাবলীর একটি প্রধান অংশ হলো আগমনী ও বিজয়া গান।যে গানগুলি উমা-মেনকার সম্পর্ককে কেন্দ্র করে রচিত।এই পদগুলিতে মা মেনকার কন্যা উমার জন্য যে অসীম বাৎসল্য, স্নেহ, উদ্বেগ ও বিরহ ফুটে উঠেছে, তা বাংলার প্রতিটি মায়ের চিরন্তন মাতৃত্বের প্রতিচ্ছবি।উম...

প্রেমেন্দ্র মিত্রের মঙ্গল (4th. Sem.Minor) গ্ৰহে ঘনাদা গল্পটির পটভূমির আলোকে পর্যালোচনা করো।

প্রেমেন্দ্র মিত্রের মঙ্গল গ্রহে ঘনাদা গল্পটির পটভূমির ও বিষয়েবস্তুর আলোকে পর্যালোচনা কর(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা মাইনর)।      •আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, প্রখ্যাত সাহিত্যিক প্রেমেন্দ্র মিত্রের অমর সৃষ্টি মঙ্গল গ্রহে ঘনাদা। আসলে 'মঙ্গল গ্রহে ঘনাদা'  গল্পটি ঘনাদা সিরিজের অন্যতম জনপ্রিয় একটি গল্প। আর সেখানে এই গল্পের মূল পটভূমি বা ভাবনায় আমরা দেখি-           •বিজ্ঞান ও কল্পনার অসাধারণ মিশ্রণঃ  ঘনাদার গল্পগুলো আপাতদৃষ্টিতে অবিশ্বাস্য, কাল্পনিক হলেও, তার পেছনের বিজ্ঞানভিত্তিক আছে তথ্যের ভিত্তি। আর সেখানে মঙ্গল গ্রহের ঘনাদা গল্পটিও এর ব্যতিক্রম নয়।তবে এখানে তিনি মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব, সেখানকার পরিবেশ, প্রতিকূলতা এবং সেখানে টিকে থাকার জন্য সম্ভাব্য প্রযুক্তির কথা এমনভাবে তুলে ধরেন, যা কল্পনাকে বাস্তবতার কাছাকাছি নিয়ে আসে। গল্পের মাধ্যমে তিনি বিজ্ঞান সম্পর্কে পাঠকের কৌতূহল বাড়িয়ে তোলেন। যেখানে আছে-          •এক অসাধারণ চরিত্র হিসেবে ঘনাদাঃ আলোচ্য গল্পে এক অসাধারণ চরি...

দ্রব্য সম্পর্কে বুদ্ধিবাদী(2nd Sem) দার্শনিকদের মতামত আলোচনা করো।

দ্রব্য(Substance)সম্পর্কে বুদ্ধিবাদী দার্শনিকদের মতামত আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার মাইনর, দর্শন)।               • আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, পাশ্চাত্য দর্শনে দ্রব্য সম্পর্কে বুদ্ধিবাদী দার্শনিকদের মতামত বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবুও তাদের মতামতের মধ্যে বেশ কিছু ভিন্নতাও লক্ষ্য করা যায়। আর সেইসকল বুদ্ধিবাদী দার্শনিকরা হলেন- দেকার্ত,স্পিনোজা এবং লাইবনিজ। এই সকল দার্শনিকরা প্রত্যেকেই দ্রব্য সম্পর্কে নিজস্ব ধারণা পোষণ করছেন। বলা যায় যে, এই সকল ধারণা যা সামগ্রিক দার্শনিক ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করেছিল।আর সেখানে বুদ্ধিবাদী দার্শনিক ১) দেকার্তের মতে দ্রব্যঃ  দেকার্তকে  আধুনিক দর্শনের জনক  বলা হয়। আর তিনি 'দ্রব্য' বলতে এমন একটি সত্তা বোঝান, যার অস্তিত্বের জন্য অন্য কোনো কিছুর প্রয়োজন হয় না। আসলে তাঁর মতে-" কেবল ঈশ্বরই একমাত্র দ্রব্য" । তবে, তিনি এই ধারণাটি সৃষ্ট বস্তুর ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করেন।যাদের অস্তিত্বের জন্য কেবল ঈশ্বরের সাহায্য প্রয়োজন। এক্ষেত্রে  দেকার্ত  'দ্রব্য দ্বৈতবাদ' এর প্রবক্তা। তা...
আমরা জানি যে শিক্ষায় মূল্যায়ণের কৌশলগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাক্ষেত্রে মূল্যায়নের মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীর অগ্রগতি, দুর্বলতা এবং শিখনের কার্যকারিতা সঠিকভাবে নির্ণয় করা। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও বহুল প্রচলিত মূল্যায়ন কৌশল নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো।আর সেখানে আমরা দেখি-  শিক্ষা বিজ্ঞানে মূল্যায়ণকে  সাধারণত দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়-  ১) গঠনমূলক মূল্যায়ন ।                           ‌।                          ২)সমষ্টিগত মূল্যায়ন। আর এই দুই ধরনের মূল্যায়নের জন্য যে সকল কৌশল গুলি ব্যবহার করা হয় সেগুলি হলো-  গঠনমূলক মূল্যায়ন (Formative Evaluation) এবং সমষ্টিনির্ভর মূল্যায়ন (Summative Evaluation)। এই দুই ধরনের মূল্যায়নের জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করা হয়। ১)গঠনমূলক মূল্যায়ন (Formative Evaluation) এটি শিক্ষার প্রক্রিয়া চলাকালীন করা হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা, তাদের দুর্বলতাগুলো...

আগুন পাখি উপন্যাসের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।

'আগুন পাখি' উপন্যাসের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ষষ্ঠ সেমিস্টার বাংলা অনার্স)। আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,হাসান আজিজুল হকের 'আগুনপাখি' (২০০৬) একটি অসাধারণ উপন্যাস, যা দেশভাগের পটভূমিতে রাঢ় বাংলার গ্রামীণ জীবনের এক অসাধারণ চিত্র তুলে ধরে। এর নামকরণের পেছনে গভীর তাৎপর্য ও প্রতীকী অর্থ নিহিত রয়েছে।আর সেখানে আমরা দেখি-         • আগুন পাখি ফিনিক্স পাখির প্রতীকঃ গ্রিক পুরাণের ফিনিক্স পাখির (Phoenix) কথা আমরা জানি, যা নিজের ভস্ম থেকে নতুন করে জন্ম নেয়। উপন্যাসের মূল নারী চরিত্র, যাকে কথক হিসেবে দেখানো হয়েছে, সে-ও যেন এক আগুনপাখি। দেশভাগের তীব্র যন্ত্রণা, ভিটেমাটি হারানোর বেদনা, এবং পরিবারের ভাঙন তাকে এক আগুনে পোড়ায়। তার স্বামী, সন্তান ও পরিজনেরা দেশ ছেড়ে চলে যেতে চাইলেও, সে তার ভিটেমাটি আঁকড়ে ধরে থাকে।আসলে-             এই নারী চরিত্রটি যেন পোড়া মাটির মতোই দৃঢ়, যা সব প্রতিকূলতা সহ্য করেও নিজের অস্তিত্বের মাটিতেই থেকে যায়। তার এই মাটি আঁকড়ে থাকার জেদ, তার ভেতরকার দৃঢ়তা এবং আত্মশক্তিকে আগুন...

১৯৪৬ দাঙ্গা রাজনীতির(6thSem) ট্র্যাজেডি বাংলা ছোটগল্পের পরিসরে কিভাবে এসেছে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি রচনা অবলম্বনে তা আলোচনা করো।

১৯৪৬ দাঙ্গা রাজনীতির ট্র্যাজেডি বাংলা ছোটগল্পের পরিসরে কিভাবে এসেছে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি রচনা অবলম্বনে তা আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ষষ্ঠ সেমিস্টার বাংলা অনার্স)               আলোচনা  শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,১৯৪৬ সালের কলকাতা দাঙ্গা, যা 'প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস' বা 'গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং' নামে পরিচিত।আর সেটি বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই ভয়াবহ রাজনৈতিক ট্র্যাজেডি তৎকালীন সমাজ ও মানুষের মনে যে গভীর ক্ষত তৈরি করেছিল, তা ছোটগল্পের মাধ্যমে অত্যন্ত মর্মস্পর্শীভাবে ফুটে উঠেছে। আর সেই আলোচনা কয়েকটি ছোটগল্পের আলোকে আমরা নিম্নে তুলে ধরলাম। সেই আলোকে সেখানে আমরা দেখি-            ১৯৪৬  সালের দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে লেখা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গল্পগুলোর মধ্যে সমরেশ বসুর 'আদাব' অন্যতম। আসলে এটি তাঁর প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প এবং এর মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্য জগতে প্রবেশ করেন। গল্পে দাঙ্গার বিভীষিকা, অমানবিকতা এবং একই সাথে মানবপ্রেম ও সহানুভূতির এক অসাধারণ চিত্র ফুটে উঠেছে।আর সেখানে আমরা দেখি-  ...

সামাজিক নাটক(4th.Sem Major )কাকে বলে স্বাভাবিক নাটকের বৈশিষ্ট্য গুলি উল্লেখ করে একটি সার্থক সামাজিক নাটক আলোচনা করো।

সামাজিক নাটক কাকে বলে সামাজিক নাটকের বৈশিষ্ট্য গুলি উল্লেখ করে একটি সার্থক সামাজিক নাটক আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, বাংলা মেজর)।            •সামাজিক নাটকঃ আমরা জানি যে,সামাজিক নাটক বলতে এমন এক ধরনের নাটককে বোঝায় যা সমাজের বাস্তব সমস্যা, রীতিনীতি, কুসংস্কার, সংঘাত এবং বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জীবনযাপনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে। তবে এই ধরনের নাটকে সাধারণত সমসাময়িক সমাজের ত্রুটি-বিচ্যুতি, অন্যায়, বৈষম্য বা নৈতিক অধঃপতনকে তুলে ধরা হয়।আর সমাজের সেইসকল দিকগুলি তুলে ধরার মধ্য দিয়ে দর্শককে সচেতন করার চেষ্টা করা হয়। তাই -         •সামাজিক নাটক কেবলমাত্র বিনোদন নয়, বরং সমাজকে প্রশ্ন করতে ও পরিবর্তনের দিকে চালিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।আর এই প্রেক্ষিতে আমরা সামাজিক নাটকের যে সকল বৈশিষ্ট্যগুলি দেখি তা নিম্নে আলোচনা করা হলো,-        •বাস্তবিক বিষয়ঃ  সামাজিক নাটকের মূল ভিত্তি হলো সমাজের বাস্তব ঘটনাপ্রবাহ। এতে কল্পনার চেয়ে বাস্তবতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং সমকালীন সমাজে...

ঐতিহাসিক নাটক (4th Sem. Major )কাকে? বলে ঐতিহাসিক নাটকের বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো।

ঐতিহাসিক নাটক কাকে বলে? ঐতিহাসিক নাটকের বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো। ঐতিহাসিক নাটকঃ  ঐতিহাসিক নাটক বলতে এমন এক ধরনের নাটককে বোঝায়, যা অতীতের ঐতিহাসিক ঘটনা, চরিত্র এবং পরিবেশকে অবলম্বন করে রচিত হয়। এতে ইতিহাসের তথ্য ও সত্যকে কিছুটা কল্পনার মিশেল দিয়ে নাট্যরূপ দেওয়া হয়, যাতে দর্শক বা পাঠকের কাছে সেই সময়ের অনুভূতি ও প্রেক্ষাপট জীবন্ত হয়ে ওঠে। আর এই প্রেক্ষাপটে ঐতিহাসিক নাটকের যে সকল বৈশিষ্ট্য গুলি আমরা দেখতে পাই সেগুলি হল- ঐতিহাসিক উপাদানঃ  ঐতিহাসিক নাটকের মূল ভিত্তি হলো ইতিহাস। যেখানে নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক ঘটনা, ব্যক্তি, স্থান এবং সময়কালকে তুলে ধরা হয়। যেমন - কোনো রাজা, রানী, যুদ্ধের ঘটনা, বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবর্তন। এছাড়াও- কল্পনার মিশ্রণঃ  আমরা জানি ঐতিহাসিক নাটক ইতিহাসের ওপর ভিত্তি করে লেখা হয়, তবুও নাট্যকার সম্পূর্ণভাবে ইতিহাসের অন্ধ দাসত্ব করেন না। নাটকের প্রয়োজনে তিনি কিছু কাল্পনিক সংলাপ, চরিত্র বা ঘটনা যোগ করতে পারেন, তবে তা যেন মূল ঐতিহাসিক সত্যের সাথে সাংঘর্ষিক না হয়। অর্থাৎ, ইতিহাসের বস্তুসত্যকে গ্রহণ ও বর্জন করে কিছুটা রঞ্জিত করে একটি ভাবসত্...

ফেরারি ফৌজ নাটকের নীলমণি চরিত্রটি নির্মাণের নাট্যকার কতখানি সফল হয়েছেন- তার আলোচনা করো।

ফেরারি ফৌজ নাটকের নীলমণি চরিত্রটি নির্মাণে নাট্যকার কতখানি সার্থক হয়েছেন তা আলোচনা করো।                                  • আলোচনার  শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,উৎপল দত্তের বিখ্যাত নাটক 'ফেরারী ফৌজ'-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও চমকপ্রদ চরিত্র হলো নীলমণি। আসলে এই চরিত্রটি তার দ্বৈত সত্তা এবং নাটকীয় মোচড়ের কারণে দর্শকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে।আর সেখানে আমরা দেখি-          • নীলমণি ছদ্মবেশী দেশপ্রেমীঃ  নাটকের শুরু থেকে আমরা দেখতে পাই,নীলমণিকে ব্রিটিশ সরকারের একজন বিশ্বস্ত গুপ্তচর হিসেবে দেখানো হয়েছে। শুধু তাই নয়,তাকে বিপ্লবীরা 'মীরজাফর বাহাদুর'  বলে উপহাস করে। আসলে সে ছোটখাটো, ব্যস্তসমস্ত এবং কিছুটা ভীরু প্রকৃতির চরিত্র। তবে সে বিপ্লবীদের গতিবিধি সম্পর্কে পুলিশকে খবর দেয় বলে মনে হয়। আর এই দিকটি তার চরিত্রের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। তবে-         •বাস্তবতা ও কৌশলঃ  নীলমণির এই গুপ্তচরের পরিচয়টি আসলে তার একটি ছদ্মবেশ। বিপ্লবীদের নেতা শান্তি রায়-ই ছ...

ফেরারি ফৌজ নাটকটি কোন শ্রেণীর নাটক? আলোচনা করো।

        ফেরারি ফৌজ নাটকটি কোন শ্রেণীর নাটক? আলোচনা করো।            • আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,উৎপল দত্ত রচিত 'ফেরারী ফৌজ'  নাটকটি মূলত একটি রাজনৈতিক বা বিপ্লবী নাটক।  যে নাটকটি বাংলা থিয়েটারের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংযোজনবলা যেতে পারে।কারণ নাটকটিতে তৎকালীন সময়ে ঔপনিবেশিক ভারতের সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক খণ্ড অধ্যায়কে তুলে ধরা হয়েছে। আর এই প্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যে , ফেরারি ফৌজ নাটকটি শুধুমাত্র রাজনৈতিক বা বিপ্লবী নাটক নয়, এটি একটি জাতীয়তাবোধের নাটক।সেই আলোকে আমরা দেখি- রাজনৈতিক বা বিপ্লবী নাটক হিসেবে ফেরারি ফৌজঃ আমরা জানি 'ফেরারী ফৌজ' নাটকটি ১৯৩০-এর দশকের অবিভক্ত পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশ) বিপ্লবী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।এই সময়ে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিপ্লবীরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছিলেন। উৎপল দত্ত তাঁর মার্কসবাদী ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে এই বিপ্লবীদের আত্মত্যাগ, সংগ্রাম, এবং তাদের আদর্শের উত্থান-পতনকে নাটকের মূল বিষয়বস্তু করেছেন। আর সেখানে তিনি বলেন- 'ফেরারি ...

রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তীর ফুল্লকেতুর(6th Semester )পালার 'হাস্যরস' আলোচনা করো।

রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তীর ফুল্লকেতুর পালার 'হাস্যরস' আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা অনার্স ষষ্ঠ সেমিস্টার)।                         আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তীর ' ফুল্লকেতুর পালা'  মঙ্গলকাব্যের চণ্ডীমঙ্গল অংশের কালকেতু-ফুল্লরার আখ্যানকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছেন। আর সেখানেএই নাটকে যে হাস্যরস পরিবেশন করেছেন তা কেবল মনোরঞ্জনের জন্য নয়, বরং গভীর সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যঙ্গ তুলে ধরার একটি শক্তিশালী প্রয়াস বলতে হবে।আর সেখানে আমরা হাস্যরসের বেশ কিছু অংশ দেখতে পাই।ফুল্লকেতুর পালার সেই হাস্যরসের কিছু অংশ আমরা নিচে আলোচনা করলাম-   চরিত্র চিত্রনে ব্যঙ্গ ও বিদ্রুপঃ আলোচ্য নাটকে রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তী চরিত্রগুলির মাধ্যমে হাস্যরস ফুটিয়ে তুলেছেন। আর সেখানে আমরা দেখি- কালকেতু, ফুল্লরা এবং অন্যান্য চরিত্রগুলি তাদের সরলতা, লোভ, এবং কিছু ক্ষেত্রে মূর্খামির মাধ্যমে হাসির উদ্রেক করে। বিশেষত-          দেব-দেবীর মানবিকীকরণ এবং তাদের দৈনন্দিন জীবনের তুচ্ছ ব...

চৈতন্য ভাগবতের আদিখন্ড(2nd Sem Major )অবলম্বনে হরিদাসের চরিত্র ও মাহাত্ম্য আলোচনা করো।

চৈতন্য ভাগবতের আদিখণ্ড অবলম্বনে হরিদাসের চরিত্র ও মাহাত্ম্য আলোচনা কর (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় সেমিস্টার বাংলা মেজর এনএপি)। আলোচনা শুরুতেই আমরা বলতে পারি যে,চৈতন্য ভাগবতের আদিখণ্ডে হরিদাস ঠাকুর এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো উদ্ভাসিত হয়ে আছেন। তাঁর জীবন, ভক্তি এবং সহনশীলতা তাঁকে মহাপ্রভু চৈতন্যদেবের অন্যতম প্রিয় ও প্রধান পার্ষদ রূপে প্রতিষ্ঠিত করেছে। শুধুমাত্র তাই নয়,হরিদাসের চরিত্র ও মাহাত্ম্য কেবল তাঁর অলৌকিক ক্ষমতা বা ভক্তির গভীরতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং বলা যায় তা ছিল তাঁর দৃঢ়তা, উদারতা এবং ভাগবত ধর্মের প্রতি অবিচল নিষ্ঠার এক মূর্ত প্রতীক।আর এই সকল তথ্যের ভিত্তিতে হরিদাসের চরিত্রে যেসকল বৈশিষ্ট্য আমরা পাই তাহলো-         অবিচল ভক্তিনিষ্ঠাঃ   হরিদাসের চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল ভগবানের নাম জপের প্রতি তাঁর অপ্রতিরোধ্য অপরিমেয় আসক্তি।আর সেই আসক্তিতে তিনি দিনে তিন লক্ষ হরিনাম জপ করতেন। শুধু তাই নয় এই হরিনাম জপ করার নিয়ম তিনি কখনোই ভঙ্গ করেননি শত প্রতিকূলতার মধ্যেও। আসলে হরিদাসের এই নাম জপের প্রতি তাঁর ভক্তিনিষ্ঠা ছিল অতুলনীয়। ত...

প্রফেসর শঙ্কু ও রোবু(4th Sem .)গল্পের প্রশ্নাবলী।

প্রফেসর শঙ্কু ও রোবু গল্পের পরীক্ষার উপযোগী ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নাবলী (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা মাইনর)। ১)"প্রফেসর শঙ্কু ও রোবু" গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো। ২) গল্পে রোবু চরিত্রটির ক্রমবিকাশ আলোচনা করো। রোবুর বিভিন্ন আচরণ ও বৈশিষ্ট্য তুলে ধরো। ৩) প্রফেসর শঙ্কু চরিত্রটি কীভাবে একজন আদর্শ বিজ্ঞানী হিসেবে এই গল্পে উপস্থাপিত হয়েছে? ৪) "প্রফেসর শঙ্কু ও রোবু" গল্পের মূল বিষয়বস্তু বা ভাববস্তু বিশ্লেষণ করো। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং যন্ত্রমানবের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করো। ৫) সত্যজিৎ রায় কীভাবে এই গল্পের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নৈতিক দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন – তা আলোচনা করো।  ৬) গিরিডির পরিবেশ এবং শঙ্কুর গবেষণাগার - এই গল্পের পটভূমি হিসেবে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা ব্যাখ্যা করো।  ৭) রোবু কি নিছকই একটি যন্ত্র, নাকি তার মধ্যে প্রাণের স্পন্দন ছিল? তোমার যুক্তিসহ আলোচনা করো। ৮)গল্পে প্রফেসর পমারের চরিত্রটি কী ভূমিকা পালন করেছে? তার সাথে শঙ্কুর মতপার্থক্যগুলি উল্লেখ করো।

প্রফেসর শঙ্কু ও রোবু(4th.Sem) গল্পের প্রফেসর শঙ্কু চরিত্রটি কিভাবে একজন আদর্শ বিজ্ঞানী হিসেবে এই গল্পে উপস্থাপিত হয়েছে -তা আলোচনা করো।

প্রফেসর শঙ্কু ও রোবু গল্পের প্রফেসর শঙ্কু চরিত্রটি কিভাবে একজন আদর্শ বিজ্ঞানী হিসেবে এই গল্পে উপস্থাপিত হয়েছে- তা আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা মাইনর)                    •আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,সত্যজিৎ রায়ের 'প্রফেসর শঙ্কু ও রোবু' গল্পে প্রফেসর শঙ্কু একজন আদর্শ বিজ্ঞানী।আর গল্পকার তাকে আদর্শ বিজ্ঞানী হিসেবে অত্যন্ত সুচারুভাবে গল্পে উপস্থাপিত করেছেন। এই প্রেক্ষিতে আমারা তার এই চারিত্রিক গুনাবলীর বেশ কয়েকটি প্রধান কারণ নিচে উল্লেখ করতে পারি।আর সেখানে আমরা দেখি-          •শঙ্কুর জ্ঞানতৃষ্ণা ও অনুসন্ধিৎসাঃ  প্রফেসর শঙ্কু জীবনে কখনোই থেমে থাকতে পারেন না,তাই তিনি থেমে থাকেননি।আসলে তাঁর মধ্যে সব সময় নতুন কিছু জানার ও আবিষ্কার করার প্রবল আকাঙ্ক্ষা থাকে। 'রোবু' গল্পে তিনি রোবট তৈরির মতো একটি জটিল কাজে হাত দেন, যা তাঁর এই অদম্য অনুসন্ধিৎসারই ফসল বলা যায়। তবে তিনি কেবল বিজ্ঞানের একটি নির্দিষ্ট শাখায় সীমাবদ্ধ থাকেননি। আর সেকারণেই পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, প্রাণীবিজ্ঞ...

সত্যজিৎ রায়ের প্রফেসর(4th.Sem) শঙ্কু ও রোবু গল্পে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও যন্ত্রমানববের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরা হয়েছে তা আলোচনা করো।

সত্যজিৎ রায়ের প্রফেসর শঙ্কু ও রোবু গল্পে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও যন্ত্রমানবের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরা হয়েছে তা আলোচনা করো(চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা মাইনর, পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়)              আমরা জানি যে,সত্যজিৎ রায়ের প্রফেসর শঙ্কু ও রোবু গল্পের মূল ভাববস্তু বা বিষয়বস্তু হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও যন্ত্রমানবের সম্ভাবনা।  আর এখানে লেখক তার নৈতিক দিক নিয়ে নানা প্রশ্ন উত্থাপন করেন। শুধু তাই নয়,গল্পটিতে প্রফেসর শঙ্কু এমন একটি রোবর্ট (রোবু), তৈরি করেন যেটি  কেবলমাত্র বুদ্ধিমত্তাই নয়, সে অনুভূতিও প্রকাশ করতে পারে। তবে গল্পটি এই রোবটের আশ্চর্য ক্ষমতা, তার মানুষের মতো আচরণ এবং এর দ্বারা সৃষ্ট নানা পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। আর সেখানে আমরা দেখতে পাই-          •কৃত্রিম যন্ত্রমানবের ক্ষমতাঃ আলোচ্য গল্প হতে আমরা জানতে পারি যে,রোবু অত্যন্ত দ্রুত গণনা করতে পারে, বিভিন্ন ভাষা শিখতে পারে এবং এমনকি মানুষের মতো আবেগও প্রকাশ করে। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপার সম্ভাবনাকে তুলে ধরে।       ...

নবনীতা দেব সেনের ভ্রমণ সাহিত্য হিসেবে হে পূর্ণ তব চরণের কাছে গ্রন্থটির রচনারীতি বৈশিষ্ট্য নিজের ভাষায় আলোচনা করো।

নবনীতা দেব সেনের ভ্রমণ সাহিত্য হিসেবে 'হে পূর্ণ তব চরণের কাছে' গ্রন্থটি রচনা রচনারীতি, বৈশিষ্ট্য নিজের ভাষায় আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ষষ্ঠ সেমিস্টার বাংলা অনার্স)।            আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,নবনীতা দেবসেনের 'হে পূর্ণ তব চরণের কাছে' একটি অত্যন্ত বিশিষ্ট ভ্রমণ গ্রন্থ, যা তাঁর তীক্ষ্ণ রসবোধ, গভীর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং নিজস্ব রচনারীতির জন্য বাংলা ভ্রমণ সাহিত্যে এক স্বতন্ত্র স্থান দখল করে আছে।আর সেই স্বতন্ত্রতায় আমরা দেখি-        ভিন্ন দৃষ্টিতে তীর্থযাত্রাঃ' হে পূর্ণ তব চরণের কাছে'ভ্রমণ গ্ৰন্থে মূলত নবনীতা দেবসেনের চারধাম যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী, বদ্রীনাথ, কেদারনাথ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা। তবে এটি কোন প্রচলিত ধারার তীর্থযাত্রার বর্ণনামাত্র নয়। এখানে তিনি তীর্থযাত্রার প্রথাগত ধার্মিক আচারের বাইরে গিয়ে যাত্রার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ এবং তার সঙ্গে মিশে থাকা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে তুলে ধরেছেন। সেই জীবনযাত্রায় আছে-        সরস ও রসবোধের বিবরঃ  আমর...

নবনীতা দেব সেন(6th. Sem) হে পূর্ণ তব চরণের কাছে গ্রন্থটিতে কেদার বদ্রী ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বিবরণ দিয়েছেন তা নিজের ভাষায় আলোচনা করো।

  নবনীতা দেব সেনহে পূর্ণ তব চরণের কাছে গ্রন্থটিতে কেদার-বদ্রী ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বিবরণ দিয়েছেন তা আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ষষ্ঠ সেমিস্টার বাংলা অনার্স CC-14)।        আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, লেখিকা নবনীতা দেবসেনের একটি অন্যতম ভ্রমণ কাহিনি 'হে পূর্ণ তব চরণের কাছে'। যেটিতে আশির দশকে ( ১৮৮৫)  তাঁর উত্তরাখণ্ডের চার ধাম - কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ সহ   যমুনোত্রী ও গঙ্গোত্রী ভ্রমণের এক মনোমুগ্ধকর বিবরণ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।আর সেখানে লেখিকা তার মেয়ে এবং ভাইকে নিয়ে এই তীর্থযাত্রা করেছিলেন। সেই  প্রেক্ষিতে এটি কেবলমাত্র একটি তীর্থযাত্রার বর্ণনা নয়, বরং নবনীতা দেবসেনের স্বভাবসুলভ রসবোধ, গভীর পর্যবেক্ষণ এবং অন্তরঙ্গ অনুভূতির এক অনন্য মিশ্রণ বলা যেতে পারে।আর সেখানে আমরা দেখি-                     • কেদারনাথ ও বদ্রীভ্রমণ• হে পূর্ণ তব চরণের কাছে গ্রন্থটি মূলত তীর্থযাত্রাকে কেন্দ্র করে লেখা হলেও, লেখিকা তীর্থস্থানগুলোর সামগ্রিক অবস্থা, সেখানের ব্যবস্থাপনা ও অব্যবস্থাপনা...

দেশ বিদেশে গ্ৰন্থে(6th.Sem) পাঠানদের সমাজ ও সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যায় তা আলোচনা করো।

সৈয়দ মুজতবা আলীর দেশ বিদেশে গ্ৰন্থে পাঠানদের সমাজ ও সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যায় তা আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ষষ্ঠ সেমিস্টার, বাংলা অনার্স CBCS)             আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,সৈয়দ মুজতবা আলীর বিখ্যাত ভ্রমণ কাহিনী 'দেশে বিদেশে' গ্রন্থে তিনি আফগানিস্তানে কাটানো তাঁর সময়ের এক সরস ও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণমূলক চিত্র তুলে ধরেছেন।আর সেই চিত্রে বিশেষভাবে চিত্রণ হয়েছে পাঠানদের সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্ক। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর লেখায় পাঠানদের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য মূর্ত হয়ে পাঠকের হৃদয়কে গভীরভাবে স্পর্শ করেছে।আর সেখানে আমরা দেখি-                   • সমাজের ও জীবনযাত্রায়-         •আন্তরিকতা ও আতিথেয়তাঃ  পাঠানদের বাহ্যিক দিক থেকে শুষ্ক ও রসকষহীন মনে হয়। তবে একবার আলাপ হলেই তারা যে কাউকে আপন করে নেয় বা নিতে পারে। বলা যায় তাদের আতিথেয়তা অতুলনীয়। মেহমানদারি করতে তাদের কোনো কার্পণ্য নেই, টাকাপয়সা না থাকলেও ইচ্ছার কোনো অভাব হয় না। এমনকি, পথেঘাটেও তারা অপরি...

ধ্বনিতত্ত্ব থেকে পরীক্ষার উপযোগী গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর

ধ্বনিতত্ত্ব থেকে পরীক্ষার উপযোগী গুরুত্বপূর্ণ এমসিকিউ প্রশ্নোত্তর। পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ দ্বাদশ শ্রেণী তৃতীয় সেমিস্টার ( Here are some multiple-choice questions (MCQs) on Phonetics (ধ্বনিতত্ত্ব), along with their Below questions are very Important for Examination) ১) বাংলা বর্ণমালায় মোট কয়টি বর্ণ আছে? ক) ৪৯টি খ) ৫০টি গ) ৫১টি ঘ) ৫২টি উত্তর: খ) ৫০টি ২) স্পর্শবর্ণের সংখ্যা কয়টি? ক) ২৫টি খ) ২০টি গ) ১৫টি ঘ) ১০টি উত্তর: ক) ২৫টি ৩)  বাংলা স্বরবর্ণ কয়টি? ক) ৭টি খ) ৮টি গ) ৯টি ঘ) ১১টি উত্তর: ঘ) ১১টি ৪. নিচের কোনটি পরাশ্রয়ী বর্ণ? ক) ক খ) ং গ) চ ঘ) ট  উত্তর: খ) ং ৫) 'অ' ধ্বনির উচ্চারণ স্থান কোনটি? ক) ওষ্ঠ্য খ) কণ্ঠ্য গ) তালব্য ঘ) মূর্ধন্য উত্তর: খ) কণ্ঠ্য ৬) কোনটি ঘোষ বর্ণ? ক) ক খ) চ গ) গ ঘ) ট উত্তর: গ) গ ৭) কোনটি অঘোষ বর্ণ? ক) জ খ) ড গ) প ঘ) ভ উত্তর: গ) প ৮) কোনটি অল্পপ্রাণ বর্ণ? ক) খ খ) ঘ গ) চ ঘ) ঝ  উত্তর: গ) চ ৯) কোনটি মহাপ্রাণ বর্ণ? ক) ক খ) গ গ) ছ ঘ) জ উত্তর: গ) ছ ১০) বাংলা ভাষার মৌলিক স্বরধ্বনি কয়টি? ক) ৫টি খ) ৬টি গ) ৭টি ঘ) ৮টি উত্তর: গ) ৭টি ১১) ব...

সর্বাত্মক পরিচয়পত্রের (4th. Sem) উদ্দেশ্য গুলি আলোচনা করো

  সর্বাত্মক পরিচয়পত্র বা   কিউম্যুলেটিভ রেকর্ড কার্ড (Cumulative Record Card - CRC ) এর উদ্দেশ্য গুলি আলোচনা করো।          • শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীণ তথ্য সংরক্ষণ: CRC এর মূল উদ্দেশ্য হলো একজন শিক্ষার্থীর জন্ম থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সুসংগঠিতভাবে সংরক্ষণ করা। এর মধ্যে থাকে শিক্ষাগত পারদর্শিতা, পারিবারিক পরিচয়, আচার-আচরণ, অন্যের সাথে সম্পর্ক, স্বাস্থ্যগত তথ্য, সহ-পাঠক্রমিক কার্যকলাপের বিবরণ ইত্যাদি।    •শিক্ষার্থীর নির্দেশনা প্রদান: এই কার্ডে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে শিক্ষক, অভিভাবক এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শিক্ষার্থীর চাহিদা চিহ্নিত করতে পারেন। এর ফলে শিক্ষামূলক ও বৃত্তিমূলক নির্দেশনার ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হয়, যা শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।        •শিক্ষার্থীর অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ: CRC একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের ধারাবাহিক অগ্রগতি বুঝতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে তার পারফরম্যান্সের ধারা, পরিবর্তন এবং বিশেষ প্রয়োজনগুলো সহজেই চিহ্নিত ...

মূল্যায়ণর উপকরণ(4t.Sem)গুলি কি কি তার আলোচনা করো।

মূল্যায়নের উপকরণ গুলি কি কি আলোচনা করো  (Evaluation Tools) পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, এডুকেশন মাইনর। আমরা জানি যে,মূল্যায়নের উপকরণ  বলতে সেই সরঞ্জামগুলোকে বোঝায় যা মূল্যায়ণের কৌশলগুলো বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহৃত হয়।আর এই প্রেক্ষিতে মূল্যায়নের উপকরণ গুলি হলো-         •প্রশ্নপত্রঃ  (Questionnaires/Test Papers): আমরা জানি লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রশ্নপত্র হলো প্রধান উপকরণ। কারণ এই প্রশ্নপত্রে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন যেমন -সংক্ষিপ্ত,অতি সংক্ষিপ্ত এবং বর্ণনামূলক প্রশ্ন এখানে অন্তর্ভুক্ত থাকে।         •রেটিং স্কেলঃ   (Rating Scales): শ্রেণীকক্ষে বা বিদ্যালয়ের মধ্যে নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স বা আচরণের মাত্রা পরিমাপ করতে রেটিং স্কেল ব্যবহার করা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মূল্যায়নের উপকরণের ক্ষেত্রে  একটি মৌখিক উপস্থাপনার জন্য বিষয়বস্তুর স্পষ্টতা, কণ্ঠস্বর, আত্মবিশ্বাস ইত্যাদি মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে ১ থেকে ৫ পর্যন্ত রেটিং দেওয়া। •চেকলিস্টঃ  (Checklists): চেক...

সাক্ষাৎকার কাকে(4th Sem) বলে সাক্ষাৎকারের সুবিধা ও অসুবিধা গুলি লেখো

সাক্ষাৎকার কাকে বলে সাক্ষাৎকারের সুবিধা ও অসুবিধা গুলি লেখো সাক্ষাৎকারঃ  সাক্ষাৎকার হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে এক বা একাধিক ব্যক্তি, অন্য এক বা একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য, মতামত, অভিজ্ঞতা বা যোগ্যতা জানার জন্য এক বা একাধিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন এবং সেই জিজ্ঞাসা ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ ও মূল্যায়ন করাকে বলা হয় সাক্ষাৎকার। তবে এখানে জেনে রাখার দরকার যে, এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত কথোপকথনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।আর এই প্রেক্ষিতে আমারা বলতে পারি- •• সাক্ষাৎকারের সুবিধা- ১) উচ্চহারে উত্তর লাভঃ সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকার পর্ব পরিচালনা করার সময় উত্তর দাতা এবং গবেষকের মধ্যে এক আন্তঃসম্পর্ক গড়ে ওঠে।আর এখানে দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথনের বিষয়টি সহজ, সরল ও বোধগম্য হওয়ার কারণে উত্তরদাতা তুলনামূলকভাবে অধিক তথ্য সংগ্রহ করতে সমর্থ্য হন।আর সেখানে থাকে- আবেগ অনুভূতিঃ  সাক্ষাৎকার পর্ব চলাকালীন উত্তরদাতা সাক্ষাৎকারীর সাথে আলাপ-আলোচনায় কখনো কখনো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বা শংকিত হয়ে পড়েন। আবার কখনো কখনো দেখা যায়,কোন প্রশ্নের উত্তর দানে ইতস্তত বা কোন ঘটনার কা...

সৈয়দ মুজতবা আলী(6th Semester CC-14)রচিত 'দেশ বিদেশ'রচনাটি কোন প্রেক্ষিতে সরস,মেধাবী এবং বর্ণময় হয়ে উঠেছে তা আলোচনা ।

সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত 'দেশ বিদেশ'রচনাটি কোন প্রেক্ষিতে সরস,মেধাবী এবং বর্ণময় হয়ে উঠেছে তা আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ষষ্ঠ সেমিস্টার, বাংলা অনার্স)          • আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,সৈয়দ মুজতবা আলীর 'দেশ বিদেশ'  রচনাটি বাংলা সাহিত্যের এক অনবদ্য সৃষ্টি এবং সম্পদ।তবে এটি কেবলমাত্র একটি ভ্রমণকাহিনী নয়, বরং লেখক মুজতবা আলীর অসাধারণ পর্যবেক্ষণ শক্তি,  পাণ্ডিত্য, সূক্ষ্ম রসবোধ এবং বর্ণময় উপস্থাপনার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আর সেই প্রেক্ষিতে এই গ্ৰন্থটি ১৯২৭ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে অধ্যাপনা করার সময়কার তার অভিজ্ঞতা এবং সেই সময়ের আফগানিস্তানের সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে এই রচনার মূল উপজীব্য বিষয়।আর সেখানে আমরা দেখতে পাই - ১) সরসতাঃ' দেশে বিদেশে'রচনার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর সরসতা। মুজতবা আলী অত্যন্ত হালকা চালে, মজাদার ভঙ্গিতে তার অভিজ্ঞতাগুলো বর্ণনা করেছেন। আর সেই অভিজ্ঞতা তিনি হাস্যরসের উজ্জ্বলতায় সৃষ্টি করে তুলে ধরেছেন পাঠক দরবারে।আর সেখানে -         •চরিত্র চিত্রায়ণে...

চৈতন্যভাগবত(BNGA,2nd.Sem) গ্রন্থের আদি খন্ডের দশম অধ্যায় অবলম্বনে বিষ্ণুপ্রিয়ার পরিচয় বর্ণন অংশটির পরিচয় দাও।

চৈতন্যভাগবত গ্রন্থের আদি খন্ডের দশম অধ্যায় অবলম্বনে বিষ্ণুপ্রিয়ার পরিচয় বর্ণন অংশটির পরিচয় দাও (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, বাংলা মেজর)               আলোচনার শুরুতেই বলে রাখি যে,চৈতন্যভাগবত গ্রন্থের আদিখণ্ডের দশম অধ্যায়ে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বাল্যলীলা এবং তাঁর পার্ষদদের পরিচয় প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে। শুধু তাই নয়,এই অধ্যায়েই মহাপ্রভুর দ্বিতীয় পত্নী বিষ্ণুপ্রিয়ার পরিচয় বর্ণন অংশটির পরিচয় সংক্ষিপ্ত অথচ খুবই তাৎপর্যপূর্ণভাবে বর্ণিত হয়েছে।যদিও এই অধ্যায়ে তাঁর বিস্তারিত জীবনীর বদলে মূলত তাঁর বংশপরিচয় এবং মহাপ্রভুর সঙ্গে তাঁর বিবাহসূত্রের  বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।যেটি বৈষ্ণব সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত। আর সেখানে আমরা দেখি-           বিষ্ণুপ্রিয়ার বংশ পরিচয়ঃ আমরা চৈতন্যভাগবত গ্ৰন্থ অনুসারে জানি যে, বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী ছিলেন নবদ্বীপের সুবিখ্যাত পণ্ডিত সনাতন মিশ্রের কন্যা। এই সনাতন মিশ্র তাঁর পান্ডিত্য এবং সদাচরণের জন্য গোটা নবদ্বীপে অত্যন্ত সম্মানিত ছিলেন। তাঁর প...

অশনি সংকেত উপন্যাসের নামকরণের সার্থকতা কতখানি শিল্পসার্থক হয়ে উঠেছে তা আলোচনা করো।

'অশনি সংকেত' উপন্যাসের নামকরণের সার্থকতা কতখানি শিল্পসার্থক হয়ে উঠেছে তা আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ষষ্ঠ সেমিস্টার বাংলা অনার্স)               আলোচনার  শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, প্রখ্যাত সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম একটি উপন্যাস 'অশনি সংকেত'। আর এই দৃষ্টিতে আমরা বলতে পারি বিভূতিভূষণবন্দ্যোপাধ্যায়ের  'অশনিসংকেত'     উপন্যাসের নামকরণটি নিঃসন্দেহে শিল্পসার্থক এবং গভীর ব্যঞ্জনাময়। আর সেই শিল্প ও ব্যঞ্জনাময়ের মাধ্যমে এই উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু, আবহ এবং পরিণতিকে অত্যন্ত নিপুণভাবে তুলে ধরেছেন ঔপন্যাসিক। আর সেখানে দেখা যায় যে- 'অশনি সংকেত' শব্দবন্ধটির আক্ষরিক অর্থ হলো বজ্রপাতের পূর্বাভাস বা আসন্ন বিপদসঙ্কেত। আর উপন্যাসের এই প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে বিচার করলে দেখা যাবে যে, অশনি সংকেত এই নামকরণটি একাধিক স্তরে সার্থক হয়ে উঠেছে, তেমনিভাবে হয়ে উঠেছে গভীর ব্যঞ্জনাময়। আর সেই ব্যঞ্জনময় পরিবেশে উঠে এসেছে-      দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাসঃ  আমরা জানি উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য ১৯৪৩ সালের বাংল...