Skip to main content

Posts

Showing posts from February, 2025

তুলনামূলক (3rd.Sem) রাজনীতির উদ্দেশ্য আলোচনা করো।

তুলনামূলক রাজনীতির উদ্দেশ্য আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর)।          তুলনামূলক রাজনীতির উদ্দেশ্য আলোচনা করার পূর্বে আমাদের অবশ্যই আলোচনা করে নিতে হবে যে, তুলনামূলক রাজনীতি কী? আর এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যে, একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও তার ব্যবস্থার সঙ্গে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যপূর্ণ অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও তাদের উপব্যবস্থা সমূহের তুলনামূলক আলোচনা ও বিশ্লেষণ হলো তুলনামূলক রাজনীতি। আর এই তুলনামূলক রাজনীতির উদ্দেশ্য গুলি হলো- ১) বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার শ্রেণীবিভাগ করা। বিভিন্ন দেশের সংবিধানকে আমরা লিখিত অলিখিত, নমনীয় অনমনীয় এইভাবে ভাগ করি। আবার সংসদীয় শাসনব্যবস্থা ও রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থা, এককেন্দ্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় ভাগ করি। ২) বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানের পরিধিকে বাড়ানো হয়। ফলে কোন বিশেষ দেশের শাসনব্যবস্থা ও রাজনীতির মান নির্ধারণ করা যায়। ৩) একটি তাত্ত্বিক কাঠামো নির্মাণ করা এবং এর মাধ্যমে আলোচনা সূত্র নির্ণয় ও তত্ত্ব গঠনের চেষ্টা করা হয়। ৪) ...

ক্ষমতার(3rd.Sem) ভারসাম্যের নীতি আলোচনা করো।

ক্ষমতার ভারসাম্যের নীতি আলোচনা করো।       আমরা জানি যে,কর্তৃত্ব ও দায়িত্বের মধ্যে সমানুপাতিক হারে সামঞ্জস্য বিধান করে প্রয়োগ করাকে ক্ষমতার ভারসাম্যের নীতি বলে। যেখানে - ক্ষমতার ভারসাম্যের নীতি বলতে বোঝায় একজন কর্মকর্তাকে কোনো কাজের জন্য যে পরিমাণ দায়িত্ব প্রদান করা হয় তাকে সে পরিমাণ কর্তৃত্বও প্রদান করতে হবে। আর সেখানে-         কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব পরস্পরের সাথে সম্পর্কিত। সংগঠন কাঠামোর ভেতরে কর্তৃত্ব ও দায়িত্বের সমতা বজায় না থাকলে কোনো কর্মীর পক্ষে সঠিক ও সমানভাবে দায়িত্ব পালন করা অসম্ভব। এছাড়া-            প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মীরা নির্বাহীর কাছ থেকে ন্যায়বিচার, নিরপেক্ষতা এবং সমান আচরণ প্রত্যাশা করে। নির্বাহীর চোখে প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সকল কর্মী সমভাবে বিবেচিত হলে তিনি সবার সম্মানের অধিকারী হয়ে ওঠে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানে সাম্যতা গড়ে ওঠে। আসলে -              আন্তর্জাতিক সম্পর্কে, ক্ষমতার ভারসাম্য নীতি হলো, কোনও জাতি বা গোষ্ঠীর নিজেদের শক্তিকে অন্য পক্ষের শক্তির সাথে মিলিয়ে রাখার নীতি। এই ...

কালিদাসের (6th.Sem) নাট্য কৃতিত্ব আলোচনা করো।

কালিদাস রচিত নাটকগুলির নাম লেখো। উক্ত নাটকগুলির মধ্যে কোনটিকে তুমি শ্রেষ্ঠ বলে মনে করো, সে সম্পর্কে আলোচনা করো।         আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, সংস্কৃত সাহিত্যে কালিদাস অতুলনীয় কবি।শুধু মাত্র কবি নন, তিনি সংস্কৃত সাহিত্যের একজন অতি পরিচিত নাট্যকার। বলা যেতে পারে ভারতবর্ষের সাহিত্য বিশ্বে যে খ্যাতি লাভ করেছিল তা তাঁরই সাহিত্য রচনার মধ্যে দিয়ে, বিশেষ করে নাট্য রচনার মাধ্যমে।আর সেই নাট্যকারের অন্যতম বিশেষ, বিখ্যাত নাটক হলো 'অভিজ্ঞান শকুন্তলম্'। শুধুমাত্র অভিজ্ঞান শকুন্তলম নয়, তার অন্যান্য নাটকগুলি হলো-বিক্রমোর্বশী, মালবিকাগ্নিমিত্র।            •'অভিজ্ঞান শকুন্তলম্'নাট্যকার কালিদাসের শ্রেষ্ঠ রচনা। প্রেম ও সৌন্দর্যকে তিনি এই নাটকে এমনভাবে তুলে ধরেছেন যে প্রত্যেক পাঠকই এই নাটকটি পড়ে মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না। তবে প্রেম এখানে শ্রেয়োবোধের দ্বারা পরিশলিত হয়ে পবিত্ররূপ ধারণ করেছে। তাই প্রেম এখানে শুধু সম্ভোগের বস্তু বলে গণ্য হয়নি। তবে-      অভিজ্ঞান শকুন্তলম্ নাটকের কাহিনী নাট্যকার গ্রহণ করেছেন মহাভারতের আদিপর্ব এবং পদ...

গীতগোবিন্দ কাব্য(6th.Sem) অবলম্বনে কবি জয়দেবের কাব্য প্রতিভা আলোচনা করো।

গীতগোবিন্দ কাব্য অবলম্বনে কবি জয়দেবের কাব্য প্রতিভা আলোচনা করো।           আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,কবি জয়দেব বাঙালি কবি, 'গীতগোবিন্দ' র কাব্যের কবি।তবে তিনি বাঙালি কবি হয়েও তাঁর কবি খ্যাতি আসমুদ্র হিমাচল পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত।আর সেকারণেই কবি জয়দেব আজও প্রতি ঘরে ঘরে শ্রদ্ধার সাথে, ভক্তির সাথে পূজিত। কারণ তাঁর একখানি কাব্যই তাঁকে সাহিত্যের দরবারে অমরত্ব দান করেছে। তবে--          গীতগোবিন্দ সংস্কৃত কাব্য, যেখানে গীত রচনাই প্রাধান্য পেয়েছে। তবে বলে রাখা ভালো যে, কবি জয়দেবের পূর্বে সংস্কৃত সাহিত্যে আর কেউ এই সংগীতমূলক সংস্কৃত কাব্য রচনা করেননি। পাশাপাশি একথাও উল্লেখযোগ্য যে, জয়দেবের পরেও সংস্কৃত সাহিত্যে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য রচনা সাহিত্য দরবারে জায়গা করে নিতে পারেনি। আর এদিক থেকে বলা যেতে পারে- কবি জয়দেব সংস্কৃত সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য অন্যতম এবং শেষ কবি। যিনি লক্ষণ সেনের যে পাঁচটি রত্ন, তাঁর সভা আলোকিত করে থাকতেন। তাই -          কালের বিচারে কবি জয়দেব সংস্কৃত সাহিত্যের অবক্ষয় যুগের কবি। কিন্তু প্রত...

বুদ্ধদেব বসুর (3rd.Sem) কাব্য ও কবি কৃতিত্বের পরিচয় দাও।

রবীন্দ্রোত্তর আধুনিক কাব্য ও কবিতায় কবি বুদ্ধদেব বসুর কৃতিত্বের পরিচয় দাও(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার বাংলা মেজর)।          আলোচনা শুরুতেই আমরা বলতে পারি যে,আধুনিক বাংলা কাব্যের স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব হলেন বুদ্ধদেব বসু। কাব্যাঙ্গনে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের কৃতি ছাত্র হিসাবে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন। শুধু তাই নয়, ছাত্রাবস্থাতেই তিনি ঢাকা শহরে আধুনিক বাংলা কাব্যের আন্দোলন গড়ে তোলেন। আর সেই কাব্য আন্দোলনের পটভূমি ছিল তার 'Meet nurse for a poetic child'.তবে-          সেদিনকার তরুণ কবি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রুচি ও শালীনতার প্রশ্ন অভিযোগ ধূমায়িত হয়ে উঠেছিল। আর রক্ষণশীল সাহিত্য গোষ্ঠী তাঁদের বিরুদ্ধে লেখনী ধারণ করেছিলেন। তবে সেদিন সাহিত্যিক গোষ্ঠীর আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য আধুনিক গোষ্ঠী হলেও তাঁদের দলনেতা বুদ্ধদেব বসুই ছিলেন বিতর্কের মুখ্য লক্ষ্য স্থল। আর এরূপ অবস্থায়-           বুদ্ধদেব বসু ছিলেন ইংরেজি সাহিত্যের যশস্বী অধ্যাপক। যিনি জীবনের শেষ পর্বে ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্যের ...

পদের ব্যাপ্যতা(3rd.Sem) কাকে বলে? ব্যাপ্যতার নিয়মগুলি উদাহরণসহ আলোচনা করো।

পদের ব্যাপ্যতা বলতে কি বোঝায়? ব্যাপ্যতা নিয়মগুলি উদাহরণসহ আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার, দর্শন, মাইনর)। • পদের ব্যাপ্যতাঃ একটি সরল বচনে দুটি পদ থাকে- একটি উদ্দেশ্য পদ,অপরটি বিধেয় পদ। আর সেই বচনে প্রত্যেকটি পদই কোন জাতি বা শ্রেণীকে নির্দেশ করে। এর মধ্যে যে পদ তার নির্দিষ্ট শ্রেণীর সমগ্রকে অন্তর্ভুক্ত করে, তাকে ব্যাপ্য পদ বলে।আর-                                           যে পদ তার নির্দিষ্ট শ্রেণীর একটি অংশকে অন্তর্ভুক্ত করে তাকে অব্যাপ্য পদ বলে। কাজেই ব্যাপ্যতা বলতে কোন পদ নির্দিষ্ট বস্তু বা বিষয়ের অন্তর্ভুক্তির তারতম্যকে বোঝায়।                •ব্যাপ্য পদের উদাহরণ•           A- সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব।          উপরিউক্ত বচনটিতে মানুষ হলো উদ্দেশ্য পদ। এখানে মানুষ পদটিতে মানুষ জাতিকে সামগ্রিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ সকল মানুষকে মরণশীল বলা হয...

ব্রিটিশ ক্যাবিনেটের (3rd.Sem) গঠন ও কার্যাবলী আলোচনা করো।

ব্রিটিশ ক্যাবিনেটের গঠন ও কার্যাবলী আলোচনা করো(West Bengal State University ,Third Semester, Political Science, Minor)। ব্রিটেনে ক্যাবিনেট শাসনব্যবস্থা প্রচলিত। বস্তুতপক্ষে ব্রিটেনেই ক্যাবিনেট শাসনব্যবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিটেনের শাসনতান্ত্রিক ইতিহাসের ক্রমবিবর্তনের ধারায় ক্যাবিনেট শাসন ব্যবস্থার গঠন প্রণালী তৈরি হয়েছে। আর সেখানে ক্যাবিনেটের গঠন পুরোপুরি শাসনতান্ত্রিক প্রথা বা রীতি-নীতির উপর নির্ভরশীল। যেখানে-             •ব্রিটেনের ক্যাবিনেট শাসন ব্যবস্থার শীর্ষে আছেন রাজা বা রানী। কিন্তু তিনি নামমাত্র শাসক। শাসনকার্যের প্রকৃত দায়িত্ব ক্যাবিনেট এর উপর ন্যস্ত আছে। আর সেই ক্যাবিনেটের বৈঠকে রাজা-রানি উপস্থিত থাকেন না।তবে-             •ক্যাবিনেট পার্লামেন্টের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ক্যাবিনেটের সদস্যদের পার্লামেন্টের কোন না কোন কক্ষের সদস্য হতে হয়। নির্বাচনের পর যে দল কমন্স সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সেই দলই মন্ত্রী পরিষদ বা ক্যাবিনেট গঠন করে। সেই দলের নেতাকে রাজা বা রানী মন্ত্রিসভা গঠন করার জন্য আহ্বান জানান। যেখানে-   ...

কবি কিটসের (6th.Sem) কাব্য প্রতিভা আলোচনা করো।

কবি কিটসের কাব্য ও কবিতা আলোচনা করে তাঁর কাব্য প্রতিভা আলোচনা করো(ষষ্ঠ সেমিস্টার, বাংলা অনার্স CBSE)            আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, ইংরেজি সাহিত্যের একজন অন্যতম রোমান্টিক কবি হলেন জন কিটস। শুধু তাই নয়, তিনি অন্যতম একজন দ্বিতীয় প্রজন্মের রোমান্টিক কবিও ছিলেন। তবে তৎকালীন সমালোচকদের দৃষ্টিতে তার কবি খ্যাতি এবং তার কবিতা খুব বেশি মর্যাদা পায়নি। কিন্তু উনিশ শতকের শেষ দিকে তিনি অন্যতম জনপ্রিয় ইংরেজি কবি স্বীকৃতি পান।যা ইংরেজি সাহিত্যে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা বলা যেতে পারে। কারণ এই সাহিত্যিক পরবর্তী সময়ে অসংখ্য কবি সাহিত্যিকের উপর প্রভাব করেছিল। কিন্তু-        কিটস সময় প্রবাহের দুর্যোগ দুর্বিপাকের মধ্যেও নিয়ন্তর সন্ধান করেছেন চিরন্তনের, অমরত্বের। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের ধারাবাহিক বিপর্যয় তাঁর শারীরিক ও মানসিক ভারাক্রান্ত করেছিল বটে কিন্তু মৃত্যুর ছায়াপড়া জীবনের তরুণ কবি অনন্ত তথা সুন্দরের ভাবমূর্তি ফুটিয়ে তুলেছেন কবিতায়, শিল্পের মাধুর্যে। যেখানে তাঁর কাব্য সাহিত্যের কেন্দ্রীয় বিষয় হলো অপূর্ণতা ও অবিনশ্বর সৌন্দর্য। তব...

বাংলা কাব্য (3rd Sem )কবিতায় কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত।

বাংলা কাব্য কবিতায় কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্তে কবি প্রতিভার পরিচয় লেখো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার বাংলা মেজর)।             আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, রবীন্দ্রোত্তর আধুনিক কাব্য ধারার একজন বিশিষ্ট কবি হলেন সুরেন্দ্রনাথ দত্ত। তবে তিনি আধুনিক কাব্য ধরার বিশিষ্ট কবি হলেও কখনও তীব্র কণ্ঠে রবীন্দ্র বিরোধিতার বাণী কোনদিন উচ্চারণ করেননি। বরং বলা যেতে পারে রবীন্দ্রনাথকে অবলম্বন করেই রবীন্দ্রনাথ থেকে সরে আসতে পেরেছেন স্বকীয় জীবন অভিজ্ঞতার স্বাতন্ত্র্যে ও চৈতন্যের একান্ত আত্মনিষ্ঠায়। তাই সুধীন্দ্রনাথ দত্তকে তার আকাশ প্রদীপ কাব্যটি উৎসর্গ করে লিখেছেন-         "আমার রচনা তোমাদের কালকে স্পর্শ করবে                আশা ক'রে এই বই তোমার হাতের কাছে এগিয়ে            দিলুম। তুমি আধুনিক সাহিত্যের সাধনক্ষেত্রে একে           গ্রহণ করো।"          রবীন্দ্রনাথের এই উক্তি থেকে সুনিশ্চিতভাবে আমরা বলতে পারি যে,...

সুলতানি সাম্রাজ্যে(3rd.Sem) সংহতির জন্য গিয়াসউদ্দিন বলবন এর ভূমিকা আলোচনা করো।

ভারতবর্ষের মুসলমান শাসন প্রতিষ্ঠায় বা সুলতানি সাম্রাজ্যের সংহতির জন্য গিয়াসউদ্দিন বলবন এর ভূমিকা আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাস মাইনার)। ভূমিকাঃ আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, কগিয়াসউদ্দিন বলবন সিংহাসন আরোহন করার পর নানাবিধ জটিল সমস্যা সমস্যার সম্মুখীন হন। সেই সময়ে যুদ্ধবিগ্রহ ও অব্যবস্থার ফলে রাজকোষ প্রায় শূন্য হয়ে পড়েছিল। আর এরূপ অবস্থার মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে বিদ্রোহ, দস্যুদের উপদ্রব, অপরদিকে বৈদেশিক আক্রমণের সম্ভাবনা সমগ্র অবস্থাটাকে জটিল করে তুলেছিল। কিন্তু গিয়াসউদ্দিন বলবন অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে এবং নানা রকম উপায় অবলম্বন করে রাজশক্তিকে শক্তিশালী করেন এবং সেই সাথে সাম্রাজ্যের সংহতি রক্ষা করতে বিশেষভাবে উদ্যোগী হন। আর সেখানে আমরা দেখি-  ১) রাজ আদর্শে বলবনঃ দিল্লির সুলতানদের মধ্যে গিয়াস উদ্দিন বলবন প্রথম রাজতন্ত্রকে একটি শক্তিশালী ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে উপস্থাপিত করতে বিশেষভাবে প্রয়াসী হয়েছিলেন। আসলে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল নিজস্ব শক্তির ওপর আস্থা রেখে রাজতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করা। আসলে তিনি- ক) পারসিক রাজতন্ত্রের আদর্শ দ্বারা প্...

মার্কিন সিনেটের (3rd.Sem) সৌজন্যবোধ বা সৌজন্যবিধি আলোচনা করো।

 •• মার্কিন সিনেটের সৌজন্যবোধ বা সৌজন্যবিধি•• (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি পরিচালিত শাসন ব্যবস্থা থাকায় সে দেশের রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের ও শাসন বিভাগের প্রধান হিসেবে বিবেচিত। আর সেখানে মার্কিন রাষ্ট্রপতির উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষমতা আছে। তবে -      মার্কিন সংবিধানের ২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে, সিনেটের পরামর্শ ও সম্মতি নিয়েই রাষ্ট্রপতি তাঁর নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। যেটি সে দেশের সিনেটের সৌজন্যবিধি বা সৌজন্যবোধ নামে পরিচিত। আর সেখানে-        রাষ্ট্রপতি সিনেটের সৌজন্যবিধি অনুসারে নেতৃস্থানীয় ও প্রভাবশালী সিনেট সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ করে থাকেন। তবে রাষ্ট্রপতি যদি সিনেটের সম্মতি না নেন তাহলে সিনেট রাষ্ট্রপতির নিয়োগকে বাতিল করে দিতে পারেন। এরূপ ঘটনা সেদেশে বেশ কয়েকবার ঘটেছে। যেমন ১৯৪৯ সালে রাষ্ট্রপতি বুশ কর্তৃক টেলরের নিয়োগ সিনেট সম্মতি না পাওয়ায় সেই নিয়োগ বাতিল হয়ে গিয়েছিল। তবে -   ...

ব্রিটিশ(3rd.Sem) পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। ব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, পার্লামেন্ট প্রণীত আইন প্রভৃতির মাধ্যমে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্ট আইনানুগ সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব নয়। আর সেখানে আইনানুগ সার্বভৌমত্ব বলা হয়, কারণ-       যেকোনো বিষয়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণনয়নের অধিকারী। এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় পার্লামেন্টে কোন আইন প্রণয়নের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না। কমন্সসভা তথা নিম্নকক্ষের সার্বভৌমত্বকেই বলা হয় পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব।     ••ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে সার্বভৌমত্ব বলার কারণ- ১) পার্লামেন্টের ওপর আইনগত কোনরূপ বাধানিষেধ আরোপ করা যায় না। ২) পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের বৈধতার ব্যাপারে আদালত কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনা। ব্রিটেনের আদালত পার্লামেন্ট প্রণীত আইনের ওপর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার দ্বারা সীমিত করতে পারে না। ৩) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর শাসনবিভাগ অনুরূপ ন...

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের সৌজন্যবোধ

 মার্কিন সিনেটের সৌজন্যবোধ বা সৌজন্যবিধি(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি পরিচালিত শাসন ব্যবস্থা থাকায় সে দেশের রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের ও শাসন বিভাগের প্রধান হিসেবে বিবেচিত। আর সেখানে মার্কিন রাষ্ট্রপতির উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষমতা আছে। তবে -      মার্কিন সংবিধানের ২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে, সিনেটের পরামর্শ ও সম্মতি নিয়েই রাষ্ট্রপতি তাঁর নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। যেটি সে দেশের সিনেটের সৌজন্যবিধি বা সৌজন্যবোধ নামে পরিচিত। আর সেখানে-        রাষ্ট্রপতি সিনেটের সৌজন্যবিধি অনুসারে নেতৃস্থানীয় ও প্রভাবশালী সিনেট সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ করে থাকেন। তবে রাষ্ট্রপতি যদি সিনেটের সম্মতি না নেন তাহলে সিনেট রাষ্ট্রপতির নিয়োগকে বাতিল করে দিতে পারেন। এরূপ ঘটনা সেদেশে বেশ কয়েকবার ঘটেছে। যেমন ১৯৪৯ সালে রাষ্ট্রপতি বুশ কর্তৃক টেলরের নিয়োগ সিনেট সম্মতি না পাওয়ায় সেই নিয়োগ বাতিল হয়ে গিয়েছিল। তবে - ...

ছায়াবাদের(6th.Sem) কবি হিসেবে মহাদেবী বর্মার কৃতিত্ব আলোচনা করো।

ছায়াবাদের কবি হিসেবে মহাদেবী বর্মার কৃতিত্ব আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ষষ্ঠ সেমিস্টার বাংলা অনার্স) আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, বেদনাবিধুর বিষাদের গভীর প্রকাশ পরিলক্ষিত হয় ছায়াবাদী কবিদের রচনায়। আর সেই বেদনাবিধুর বিষাদের ছবি আমরা দেখতে পাই মহাদেবী বর্মার রচনায়। আসলে মহাদেবীর ব্যক্তিগত জীবনের বিষাদময় পরিণতির প্রকাশ তাঁর কাব্যের ছত্রে ছত্রে প্রকাশিত। আর সেখানে তিনি মূলত গীতিকবি ছিলেন। তাই তাঁর কাব্যের প্রধান ভাব হলো প্রেম। তবে এক শ্রেণীর সমালোচক আছেন- যারা মহাদেবীর প্রেমের কবিতায় আধ্যাত্মিকতার রং চড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর।তবে-          আমরা জানি ভারতীয় গীতিকাব্য গড়ে উঠেছে প্রধানত প্রেমকে আশ্রয় করে। আর সেই প্রেমের যে দুটি ধারা আছে, সেই ধারাগলি হল পার্থিব প্রেম এবং অপার্থিব প্রেম। আর সেখানে রক্ত মাংসে গড়া মানবমানবীর হাসি অশ্রুভরা প্রণয় কাহিনীকে অবলম্বন করে পার্থিব প্রেম রচিত হয়। পাশাপাশি মানবপ্রেম যখন উচ্চতর ভূমিতে উন্নীত হয় তখন ভোগের জায়গা দখল করে নেয় ত্যাগ। অতঃপর আত্মকামনার জায়গা দখল করে আত্ম বলিদান।যে বিষয়টি আমরা কাব্যের ভ...

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন(1st Sem .)কাব্যের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বা তাৎপর্য লেখো।

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বা তাৎপর্য লেখো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম সেমিস্টার বাংলা মেজর ও মাইনর সিলেবাস) •ভূমিকাঃ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন সম্পর্কে ভাষাতাত্ত্বিকেরা মন্তব্য করেছেন যে, এটি একটি মধ্যযুগের বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন। তবে এই কাব্য যখন রচিত হয়েছিল তখনই এই কাব্যের মধ্যে নিহিত হয়ে যায় ঐতিহাসিক তাৎপর্যের বীজ। আর তার কারণ -তুর্কি বিজয়ের পর প্রায় দুশো বছর ধরে বাংলা সাহিত্যে চলছিল বন্ধ্যা যুগ। সেই বন্ধ্যা যুগে বন্ধ্যাত্বকে সরিয়ে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের আবির্ভাব নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। সেই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার নিরিখে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের ঐতিহাসিক গুরুত্ব হলো- •প্রথমতঃ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি আদি-মধ্যযুগের প্রথম সাহিত্য নিদর্শন। আর প্রথম সাহিত্য নিদর্শন হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের ভাষাতাত্ত্বিক গুরুত্বকে কখনই অস্বীকার করা যায় না। এছাড়াও-        চর্যাপদের প্রায় ২০০ বছর পরে বাংলা ভাষার মৌলিক লক্ষণ, ব্যাকরণের মুখ্য বৈশিষ্ট্য এবং ভাষাগত রূপের একটি সার্থক দলিল শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য। •দ্বিতীয়তঃ বাংলা ভাষায় লেখা রাধা কৃষ্ণ প্রণয় বিষয়ক প...

ব্রিটেনের (তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর)আইনের অনুশাসন,ক্ষমতার ভারসাম্য নীতি, তুলনামূলক রাজনীতির উদ্দেশ্য।

ব্রিটেনের আইনের অনুশাসন( পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস)।          আমরা জানি ডাইসি আইনের অনুশাসন কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন।আর ব্রিটিশ শাসন ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো আইনের অনুশাসন। ব্রিটেনে আইনের অনুশাসন হল নাগরিকদের অধিকার ও স্বাধীনতার মূল ভিত্তি। আর ডাইসি-            অধ্যাপক ডাইনিং তাঁর 'Introduction of the law of the constitution' নামক গ্ৰন্থে আইনের অনুশাসনের তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন। আর সেই বৈশিষ্ট্য গুলি হলো -                                                    ক) আদালতের চোখে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত কোন ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়া যাবে না। আসলে সে দেশে সরকারের কোনো স্বৈরী ক্ষমতা নেই।                            খ) কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, আইনের চোখে সকলের সমান...

বাংলার ইলিয়াস শাহী বংশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবদান আলোচনা করো।

বাংলার ইতিহাস ইলিয়াস শাহী রাজবংশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব আলোচনা করো। •অথবা• বাংলার ইলিয়াস শাহী বংশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবদান আলোচনা করো  আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,লখনৌতির শাসক হাজী ইলিয়াস শাহ দিল্লীর সুলতানদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ১৩৪২ সালে সোনার গ্ৰাম বা সোনার গাঁ অধিকার করেন। তিনিই বাংলায় বিখ্যাত ইলিয়াস শাহ রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন।আর-                                                                                 বাংলার স্বাধীন শাসক হিসেবে ইলিয়াস শাহ্ কামরূপ, ওড়িশা, অযোধ্যা প্রভৃতি রাজ্য অধিকার করেন। ইলিয়াস শাহ এই সময়কালে তাঁর রাজধানী স্থানান্তরিত করেন। দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ বঙ্গদেশ আক্রমণ করলে তিনি একডালাষ দুর্গে আশ্রয় নেন। অবশেষে ইলিয়াস শাহের সাথে ফিরোজ শাহের তুঘলক সন্ধি স্থাপিত হয়। আর সন্ধি স্থাপনের পর ফিরোজ শাহ দিল্লিতে ফি...

হিন্দি ছোটগল্প নির্মাণে(6th.Sem) মুন্সি প্রেমচন্দের অবদান আলোচনা করো।

হিন্দি ছোটগল্প নির্মাণে মুন্সি প্রেমচন্দের অবদান আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ষষ্ঠ সেমিস্টার বাংলা অনার্স CBSE)                  আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, মুন্সী প্রেমচন্দ হিন্দি কথা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ রচয়িতা। শুধু তাই নয়, তিনি ছিলেন ভারতবর্ষের বিশিষ্টতম ঔপন্যাসিক এবং বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ছোটগল্প লেখকদের সমপর্যায় ভুক্ত। তার সাহিত্য পূর্ববর্তী যুগের সাহিত্য থেকে এক স্পর্ধিত ও দুর্বার ব্যতিক্রম। যেখানে-           প্রেমচন্দের পূর্ববর্তী যুগের এবং অব্যবহিত আগের যুগের সাহিত্যে সাধারণভাবে বাস্তবতার প্রকাশ থাকলেও সমাজের সমস্যা গুলির প্রখর রূপায়ণ সেখানে ছিল না বা জীবনের গভীর প্রত্যয় সেখানে রূপায়িত হয়নি। আসলে সেই সকল সাহিত্যগুলি ছিল রোমান্টিক। যার ফলে জীবনের সাথে সেই সকল সাহিত্যের সম্পর্ক খুব কম ছিল।আর সেখানে-            প্রেমচন্দর সাহিত্যে চলমান সমাজজীবনের শিল্পিত প্রতিচ্ছবি প্রকাশ হতে দেখা গেল। যেখানে তাঁর রচনা পূর্বযুগের সাহিত্য থেকে সরে এসে এক বিস্ময়কর সৃজনকর্...

পঁচিশে বৈশাখ (XI,2nd) প্রবন্ধের মাধ্যমে প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী রবীন্দ্রনাথের সম্পর্কে যে মূল্যায়ণ করেছেন তার নিজের ভাষায় লেখো।

পঁচিশে বৈশাখ প্রবন্ধের মাধ্যমে প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে যে মূল্যায়ন করেছেন,তা নিজের ভাষায় লেখো।             আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলীর ব্যক্তিগত সাহচর্যের কারণে এবং একান্ত ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে প্রাবন্ধিক রবীন্দ্রনাথের মূল্যায়ন করতে চেয়েছেন বা করতে পেরেছেন। সেই কারনে ঔপন্যাসিক, ছোটোগল্পকার, নাট্যকার কিংবা কবি হিসেবে রবীন্দ্রনাথের যে খ্যাতি ও দক্ষতা তা তিনি নিজে অকপটে স্বীকার করেছেন। তাই-             প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী রবীন্দ্রনাথের রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি কিংবা শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তাঁর যে বিকল্প শিক্ষাভাবনা তাঁর কৃতিত্বকেও তিনি শিরোধার্য করেছেন। কিন্তু তিনি মনে করেন যে, রবীন্দ্রনাথ অমর হয়ে আছেন তাঁর গানের জন্য। প্রসঙ্গত প্রাবন্ধিক বহু বিখ্যাত কবি এবং গীতিকারদের সৃষ্টির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে পরিচিত হয়েছিলেন।তবে             সেই পরিচয়ের মাধ্যমে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করেছিলেন। তবুও কোথাও যেন একটা অতৃপ...

নিরুপমার মৃত্যুর জন্য কেউ বা কারা দায়ী।

নিরুপমার মৃত্যুর জন্য কে বা কারা দায়ী? আলোচনা করো। আমরা জানি যে,দেনা ও পাওনা র সমন্বয় হলো দেনাপাওনা।আর দেনাপাওনা গল্পের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ এ সমাজের প্রতি তীব্র শ্লেষ বর্ষণ করেছেন। সেখানে আমরা দেখি রামসুন্দর মহাশয় পাঁচ ছেলের পর মেয়ে হওয়ায় তার নাম রাখলেন নিরুপমা।যে নামের মধ্যে আছে মমত্ববোধ, আদর,স্নেহ, ভালোবাসা। যেখানে-      নিরুপমা দেনাপাওনা গল্পের নায়িকা। যাকে কোন উপমা বা তুলনায় বাঁধা যায় না। সেই হলো নিরুপমা। রামসুন্দর মহাশয় অনেক দেখাশুনা করে পাত্র নির্বাচন করেছেন নিরুপমার জন্য। আর সেই পাত্র হলো রায় বাহাদুরের একমাত্র সন্তান। নিজের আর্থিক অবস্থার কথা না ভেবে তিনি পাত্রপক্ষের দাবি মত ১০ হাজার টাকা বরপন এবং অন্যান্য দামসামগ্রী দিতে রাজি হলেন। তবে তিনি যাবিতীয় সম্পত্তি বিক্রি করেও তিন চার হাজার টাকার বেশি জোগাড় করতে পারলেন না। অতিরিক্ত সুদে টাকা নেওয়ার কথা ভাবলেও বিয়ের দিন তা জোগাড় করতে পারলেন না। ফলে-       রায় বাহাদুর সমস্ত টাকা না বুঝে পুত্রকে বিবাহ সভায় নিয়ে যেতে অসম্মত হলেন। আর এই কথা শুনে অন্দরমহলে কান্নার রোল পড়ে গেল। এমন পরিস্থিতি...

যুক্তির (3rd.Sem) বৈধতা নির্ণয়

১) সে নিশ্চয়ই কাপুরুষ, কেননা সে অসৎ এবং সব কাপুরুষই অসৎ। •• যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত আকার-               A-সকল কাপুরুষ হয় অসৎ।                                        A-সে হয় অসৎ।                                              সুতরাং A-সে হয় কাপুরুষ। •• বিচার ও ব্যাখ্যাঃ আলোচ্য যুক্তিটি অবৈধ। যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের একটি অশুদ্ধ মূর্তি। কারণ নিরপেক্ষ ন্যায়ের দ্বিতীয় নিয়মে বলা হয় যে, দুটি আশ্রয় বাক্যে হেতুপদকে অন্ততপক্ষে একবার ব্যাপ্য হতে হবে। কিন্তু এখানে প্রধান ও অপ্রধান আশ্রয় বাক্য উভয়ই A বচন হওয়ায় এবং হেতুপদ বিধেয় স্থানে (অসৎ) থাকায় একবারও ব্যাপ্য হওয়ার সুযোগ পায়নি, তাই যুক্তিটি অব্যাপ্য হেতুদোষে দুষ্ট। ২) তুমি ডাক্তার নও, তাই তুমি এ পদের প্রার্থী হতে পারো না। •• যুক্তিটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত আকারঃ       ...

পঁচিশে বৈশাখ (XI,2nd.Sem) প্রবন্ধের মূলভাব

পঁচিশে বৈশাখ প্রবন্ধের মাধ্যমে প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে যে মূল্যায়ণ করেছেন, তার নিজের ভাষায় লেখো (পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, একাদশ, দ্বিতীয় বিভাগ সেমিস্টার)।                   আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলীর ব্যক্তিগত সাহচর্যের কারণে এবং একান্ত ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে প্রাবন্ধিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে  মূল্যায়ন চেয়েছেন বা করতে চান। সেই কারণকে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার,কবি হিসেবে  রবীন্দ্রনাথের যে পরিচিত তিনি নিজেই অকপটে স্বীকার করেছেন। আর সেখানে-             প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী রবীন্দ্রনাথের দূরদৃষ্টি শান্তিকেতনের মধ্যবর্তী তাঁর বিকল্প শিক্ষা তাঁর কৃতিত্বকে তিনি শিরোধার্য করেছেন। কিন্তু তিনি মনে করেন যে, রবীন্দ্রনাথ অমর হয়ে আছেন তাঁর গানের জন্য। প্রসঙ্গত প্রাবন্ধিক বহু কবি এবং গীতিকারদের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে পরিচিত হয়েছিলেন।             সেই আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি নিজে...

মনসামঙ্গল(1st.Sem.mejor) কাব্যের কাহিনী বা বিষয়বস্তু আলোচনা করো।

মনসামঙ্গল কাব্যের(1st Sem )কাহিনী বা বিষয়বস্তু আলোচনা করো।          আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, মনসামঙ্গল কাব্যের প্রধান নায়ক চরিত্র চাঁদ সদাগর। যিনি চম্পক নগরের বিত্তশালী বণিক ছিলেন। আর সেই নগরে মনসা চাঁদ সদাগরের মাধ্যমে পূজা করতে চেয়েছিলেন। আসলে চাঁদ শৈব পূজারী, তাই তিনি মনসা পূজা করবেন না। কিন্তু মনসাও নাছোড়বান্দা। তাই চাঁদ ও মনসার দ্বন্দ্ব এবং পরিণামে মনসার জয়-এই হলো মনসামঙ্গল কাব্যের মূল কাহিনীর গঠন। আর সেই কাব্যে-        বণিক চাঁদ সদাগরের ছয় পুত্র, পুত্রবধূ সহ সুন্দর সুখের সংসার। শিবভক্ত চন্দ্রধর শিবের আশিসে 'মহাজ্ঞান কবচ' এর অধিকারী। অন্যদিকে মনসা দেবকন্যা হয়েও দেব সমাজে প্রতিষ্ঠা পেল না। শৈশবে বিমাতা তার চন্ডীর খোঁচায় তাঁর চোখ কানা হয়। এমনকি স্বামী জরৎকারুও তাকে ত্যাগ করেছেন। তাই শিব তাঁকে সিজুয়া পর্বতে থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন। আর সেখানে-       সিজুয়া পর্বতে মনসার সহচরী নেতা তাঁর সেবিকা ও সখি। একদিন মনসা স্বর্গের উদ্যানে সর্পশজ্জায় সজ্জিতা ছিলেন। এমন সময় চাঁদ শিব পূজার জন্য ফুল তুলতে সেখানে এলেন। চাঁদ...

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের(3rd,Sem) নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্যের নীতি আলোচনা করো।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতি আলোচনা করো।                আমরা জানি যে,মার্কিন শাসন ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো- ‘নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতি’।আর সেখানে নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য বলতে বোঝায়, যেখানে সরকারের এক বিভাগ অন্য বিভাগের ক্ষমতাকে এমনভাবে সংযত করবে যাতে কোন বিভাগের স্বাধীনতা সংকটের মধ্যে না পড়ে। তবে-               মার্কিন আইনসভা আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী নয়। কারণ রাষ্ট্রপতি ও বিচার বিভাগ প্রণীত যেকোনো আইনকে বাতিল করে দিতে পারেন। আবার শাসন বিভাগ শাসনের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী নয়। এখানে শাসন বিভাগের প্রধান রাষ্ট্রপতি যেকোনো নির্দেশ, চুক্তি, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ বাতিল করে দিতে পারে। ঠিক একই রকমভাবে-               বিচার বিভাগ বিচারের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী নয়।সেখানেও আইনসভা আইন প্রণয়ন করে বিচার বিভাগের কোন সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিতে পারে। বিচারপতিরা সে দেশে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হয়ে থাকেন। তবে-...

খেলাভিত্তিক(1st.Sem) শিক্ষার বৈশিষ্ট্য গুলি কী কী? খেলাভিত্তিক শিক্ষার উপযোগিতা আলোচনা করো।

খেলাভিত্তিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য গুলি কী কী?খেলাভিত্তিক শিক্ষার উপযোগিতা আলোচনা করো। •অথবা• খেলাভিত্তিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। খেলার বৈশিষ্ট্যকে কিভাবে শিক্ষার সাথে সংযুক্ত করা যায়? আলোচনা করো। •খেলাভিত্তিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্যঃ কল্ডওয়েল কুক সর্বপ্রথম শিক্ষা জগতে 'খেলাভিত্তিক শিক্ষা' কথাটি ব্যবহার করেন। তিনি খেলার মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষাদান করতে পছন্দ করতেন।আর সেখানে অভিনয়,বিতর্ক,আলোচনা সভা ইত্যাদির মাধ্যমে শিশুরা কিভাবে বিভিন্ন বিষয়ের উপর জ্ঞান লাভ করতে পারে তা তিনি তাঁর বিদ্যালয়ে প্রয়োগ করে দেখিয়েছেন। তবে-                                                শিক্ষা জগতে কুক খেলাভিত্তিক শিক্ষা কথাটি ব্যবহার করলেও এই ধারণাটি একেবারেই নতুন নয়। আধুনিক কালে গঠিত কিন্ডারগার্ডেন শিক্ষণ পদ্ধতি মন্তেসরী শিক্ষণ পদ্ধতি, প্রজেক্ট পদ্ধতি, ডাল্টন প্ল্যান ইত্যাদি শিক্ষণ পদ্ধতিগুলির ভিত্তি হল শিক্ষায় ক্রীড়াচ্ছল। কারণ-              উপরিউক্ত পদ্ধ...

সামাজিক (3rd.Se.) পরিবর্তনের ধরণ বা শ্রেণীবিভাগ লেখো

সামাজিক পরিবর্তনের ধরন বা শ্রেণীবিভাগ লেখো।           আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, সামাজিক পরিবর্তন বলতে কিছু পরিবর্তিত ক্রিয়াকলাপকে বোঝায় যেগুলি সামগ্রিকভাবে সমাজের রূপ ও পরিকাঠামোর মধ্যে পরিবর্তন আনে। সামাজিক পরিবর্তনকে আমরা দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করতে পারি। আর সেই আলোচনা গুলি হল- ক) রৈখিক পরিবর্তনঃ কোন না কোনভাবে সমাজ, ইতিহাসের বহু গুরুত্বপূর্ণ পঞ্জীভূত পরিবর্তন সূচিত করে। উদাহরণ হিসেবে আমরা বলতে পারি যে-                জ্ঞানের প্রসার উৎপাদন শক্তির বিকাশ, সমাজের আয়তন ও জটিলতার ক্রমবর্ধমানশীলতা, সামাজিক ও রাজনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের বিস্তারিত ইত্যাদি। এর মাধ্যমে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে সমাজের পরিবর্তনের তাৎপর্যগুলি ধরা হয়েছে। খ) বৃত্তাকার আবর্তনমূলক পরিবর্তনঃ সরোকিন ও টয়নবি ইতিহাস তত্ত্বে সামাজিক পরিবর্তনের কথা আলোচনা প্রসঙ্গে আদর্শয়িত, বাস্তববাদী ও ইন্দ্রিয়কেন্দ্রিক সংস্কৃতির পার্থক্যের দ্বারা দেখেছেন যে-           এগুলি সমাজের ইতিহাসে চক্রাকারে আবর্তিত হয়।...

শিক্ষার (3rd. Sem) পরিবারের ভূমিকা বা কার্যাবলী আলোচনা করো।

শিক্ষায় পরিবারের ভূমিকা বা কার্যাবলী আলোচনা করো।                 প্রাচীনকাল থেকেই শিশু শিক্ষার পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। আর সেই শিশুশিক্ষায় পরিবারের ভূমিকাগুলি নিম্ন তথ্যাকারে আলোচনা করা হলো- ক) নিরাপদ আশ্রয়স্থলঃ শিশুর সুদীর্ঘ শৈশবকাল অতিবাহিত করার জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল ভীষণভাবে প্রয়োজন। পরিবার শৈশবকালে শিশুকে দৈহিক এবং মানসিক নিরাপত্তা দান করে থাকে। পরিবার শিশুর দীর্ঘ শৈশবকালীন অসহায়তা ও অজ্ঞতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।  খ) সামাজিকীকরণঃ পরিবারের একটি শিক্ষামূলক কাজ হলো শিশুর সামাজিকীকরণ। শৈশবের শিশু শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যদের সাথে পারস্পরিক ক্রিয়ার মাধ্যমে সমাজের রীতিনীতি,আচার-আচরণ মূল্যবোধ সম্পর্কে পরিচিত হয় এবং সেগুলি অনুসরণ করে। গ) অভ্যাস গঠনঃ পরিবারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষামূলক কাজ হল শিশুর সু অভ্যাস গঠন করা। আর সেখানে শিশু নির্দিষ্ট স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করা, সময়মতো ঘুম থেকে, ওঠা দাঁত মাজা, খাদ্য গ্রহণের আগে ও পরে ভালোভাবে হাত মুখ ধোয়া প্রভৃতি সুঅভ্যাসগুলি শিশু পরিবারের মধ্য থেকেই আয়ত্ব করে থাকে। ঘ) ...

দিল্লির সুলতানি বংশের পতনের কারণ আলোচনা করো।

দিল্লির সুলতানি বংশের পতনকে তুমি কিভাবে ব্যাখ্যা করবে? অথবা দিল্লি সুলতানি পতনের কারণগুলি কি ছিল ?সেগুলি লেখো (তৃতীয় সেমিস্টার, ইতিহাস মাইনার)           আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, পৃথিবীর ইতিহাসে কোন সাম্রাজ্যের চিরস্থায়ী অস্তিত্বের নজির নেই। সুলতানি রাজবংশও এই স্বাভাবিক নিয়মে কোন ব্যতিক্রম ছিল না। প্রকৃতপক্ষে ফিরোজ তুঘলকের মৃত্যুর অনেক আগেই সুলতানি রাজবংশের পতন শুরু হয়েছিল। আর সেই পতনের কারণগুলি হল- প্রথমতঃ ফিরোজের মৃত্যুর পরই তাঁর পুত্র মহম্মদ এবং উজিরের মধ্যে উত্তরাধিকার নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। তুঘলক বংশের সর্বশেষ সুলতান ছিলেন নাসির উদ্দিন মামুল।১৪১২ খ্রিস্টাব্দে তুঘলক বংশের অবসান ঘটেছিল। দ্বিতীয়তঃ প্রাদেশিক শাসকরা নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং এ ব্যাপারে গুজরাটের শাসক প্রথম স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। অতঃপর পাজগরের খোকরা, মালব ও খান্দেশের শাকরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। নাসিরুদ্দিন মামুদ উজির খোজা-ই-জাহান কনৌজ থেকে বিহার পর্যন্ত নিজের শাসনে নিয়ে আসেন। এইভাবে জৌনপুর রাজ্যের সৃষ্টি হয়েছিল। বহু প্রভাবশালী হিন্দু প্রধানরা সেদিন থেকে ভূমি রাজস্ব দেওয়া...

শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত(১ম,সেমি.) গ্রন্থের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও কাব্য বিচার করো।

শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও কাব্য বিচার করো( পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা মেজর, প্রথম সেমিস্টার) ঐতিহাসিক গুরুত্বঃ বৃন্দাবনদাসের মতোই কৃষ্ণদাস কবিরাজও মহাপ্রভুর জীবন কাহিনী অবলম্বনে বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারের ব্রত গ্রহণ করেই আলোচ্য গ্রন্থ রচনায় প্রবৃত্ত হয়েছিলেন। বৃন্দাবনদাস সম্ভবত কবিপ্রাণ ছিলেন বলেই তাঁর রচনায় কখনো কখনো গীতিপ্রবণতা বা আবেগ প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী ছিলেন একান্তই রসকষহীন বৈষ্ণব পন্ডিত। তাই তাঁর গ্রন্থ আকারে মহাকাব্যতুল্য হলেও এতে কবির কবিধর্মের কোনই পরিচয় পাওয়া যায় না। অধ্যাপক পরেশচন্দ্র ভট্টাচার্যের মতে-     "বাংলা ভাষায় বস্তুনিষ্ঠ মননশীল সাহিত্যের                    অপেক্ষাকৃত স্বল্পতা এই যুগেও বর্তমান। সমগ্র প্রাচীন      ও মধ্যযুগে এই ধরনের রচনা প্রায় দুর্লভ বললেও            অত্যুক্তি হয় না।"         আর এই দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে শুধু প্রাচীন ও মধ্যযুগের নয়, সমগ্র বঙ্গ সাহিত্যের ইতি...

মার্কিন (৩য় সেমি,)যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার উচ্চকক্ষ সিলেটের গঠন ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেটের গঠন,ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো( পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর সিলেবাস) • গঠনঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট, যার উচ্চকক্ষের নাম সিনেট এবং নিম্নকক্ষের নাম প্রতিনিধি সভা। যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতি অনুসারে অঙ্গরাজ্য গুলির সমপ্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে সিনেট গঠিত হয়। আর সেখানে আয়তন ও জনসংখ্যা নির্বিশেষে প্রত্যেক অঙ্গরাজ্য দুজন করে প্রতিনিধি সিনেটে প্রেরণ করে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যের সংখ্যা ৫০ সেই হিসেবে সিনেটের বর্তমান সদস্য সংখ্যা হল ১০০। আর সেখানে বলা হয়েছে-        মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের সদস্য হতে গেলে তাদের অবশ্যই ৯ বছর যাবৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে। সেই সাথে তাদের বয়স ৩০ বছর হতে হবে এবং যে অঙ্গরাজ্য থেকে তিনি নির্বাচিত প্রার্থী হবেন তাকে সেই অঙ্গরাজ্যের নাগরিক হতে হবে।আর-     সিনেট যেহেতু সে রাষ্ট্রের একটি স্থায়ী সভা সুতরাং তাকে একেবারে ভেঙে দেওয়া যায় না। সিনেটের সদস্যগণ ৬ বছরের জন্য নির্বাচিত হন কিন্তু প্রতি ...

মনস্তাত্ত্বিক(3rd.Sem) উপন্যাস নির্মাণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলোচনা করো

মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস নির্মাণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলোচনা করো।        আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যে এক উজ্জ্বলতর জ্যোতিষ্ক। আর সেই জ্যোতিষ্কের আলো বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি দুয়ারে পৌঁছে গেছে। এই দৃষ্টিতে আমরা বলতে পারি, ভারতীয় বাংলা সাহিত্য রবীন্দ্রনাথের অবদানে সমৃদ্ধময় হয়ে উঠেছে। কারণ বাংলা সাহিত্যের এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অবাধ বিচরণ করেননি।বলা যায় সকল ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ নিজ গুনের আপন মাধুরী নিয়ে স্বচ্ছন্দে বিচরণ করেছেন। তাই তিনি বাঙালির,ভারতীয় এবং গোটা বিশ্বের কাছে আজও উজ্জল জ্যোতিষ্ক। শুধুমাত্র জ্যেতিষ্ক নন, তিনি আমাদের কাছে গর্বের এক অমূল্য সম্পদ। আসলে-           রবীন্দ্রনাথের অবদান কেবলমাত্র একটি ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকেনি, তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হয়ে সকল ক্ষেত্রে নিজেকে পারিপার্শ্বিক কোনো অবলম্বন ছাড়াই নিজেকে নিজে তুলে ধরেছেন। শুধুমাত্র সাহিত্যক্ষেত্রে নয়, শিক্ষা, দর্শনে, সমাজ সংস্কার আন্দোলনে, স্বাধীনতা সংগ্রামের, মানবতাবাদ প্রকাশে, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সাহিত্য এবং ...