Skip to main content

Posts

Showing posts from May, 2025

জ্ঞানের উৎস (2nd.Sem) সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ ও অভিজ্ঞতাবাদের তুলনামূলক আলোচনা করো।

জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে বুদ্ধিবাদ ও অভিজ্ঞতাবাদের তুলনামূলক আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার দর্শন, মাইনর) বুদ্ধিবাদ অনুসারে আমরা জানি যে, বুদ্ধিই জ্ঞানের আদর্শ উৎস। আসলে বুদ্ধির সাহায্যে মন তার সহজাত ধারণাগুলি থেকে সক্রিয়ভাবে সর্বজনীন স্বীকৃত যথার্থ জ্ঞান লাভ করে। অর্থাৎ বুদ্ধিবাদ অনুসারে যথার্থ জ্ঞান অধিকাংশ ক্ষেত্রে অবরোহ পদ্ধতির মাধ্যমে অর্জন করা হয়। আর এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞান অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সম্ভাব্য। তাই অভিজ্ঞতা প্রসূত জ্ঞান কখনো সার্বিক জ্ঞান হতে পারে না। কিন্তু-     অভিজ্ঞতাবাদ অনুসারে ইন্দ্রিয়ানুভব হল জ্ঞানলাভের আদর্শ উৎস। তাদের মতে, আমাদের সব জ্ঞানই অভিজ্ঞতালব্ধ এবং সেই অভিজ্ঞতালব্ধের মূলে আছে ইন্দ্রিয় প্রত্যক্ষ। আর এই ইন্দ্রিয় প্রত্যক্ষের মাধ্যমে আমরা সাধারণ বা সার্বিক সত্যে উপনীত হই। আর এই কারণে বুদ্ধিবাদ ও অভিজ্ঞতাবাদীদের মধ্যে জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে যে পার্থক্যগুলি দেখা যায় তা হল- ১) বুদ্ধিবাদ অনুসারে বুদ্ধিই হল জ্ঞানলাভের একমাত্র উৎস। অর্থাৎ বুদ্ধি ছাড়া অন্য কোন উপায়ে জ্ঞান লাভ করা সম্ভব নয়।...

কান্টের নীতিতত্ত্বের(2nd.Sem) গুরুত্ব বা অবদান আলোচনা করো।

কান্টের নীতিতত্ত্বের গুরুত্ব বা অবদান আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় সেমিস্টার দর্শন মাইনর)। ১) কর্তব্যের প্রতি গুরুত্বঃ  কান্টের নীতিতত্ত্ব নৈতিক আলোচনায় কর্তব্যের ধারণাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।যেটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, কিছু কাজ কেবল নীতিগতভাবে সঠিক হওয়ার কারণেই সেই কাজগুলি করা উচিত কোন রূপ ফলাফলের প্রত্যাশা ছাড়াই। ২) মানবাধিকারের ভিত্তিঃ  'উদ্দেশ্য হিসেবে মানবতা' সূত্রটি মানবাধিকারের ধারণার একটি শক্তিশালী দার্শনিক ভিত্তি স্থাপন করে। এটি মানুষের মর্যাদা ও মূল্যবোধের উপর জোর দেয় এবং মানুষকে কেবল উপায় হিসেবে ব্যবহার করার ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করে। ৩) সার্বজনীন নৈতিকতাঃ  কান্টের সার্বিক নীতির ধারণা নৈতিকতাকে ব্যক্তিগত পছন্দ বা সাংস্কৃতিক রীতিনীতির ঊর্ধ্বে স্থাপন করে এবং একটি সার্বজনীন নৈতিক কাঠামোর প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করে। ৪) যুক্তিবোধের গুরুত্বঃ  কান্ট নৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যুক্তিবোধের গুরুত্বের উপর জোর দেন। তিনি মনে করতেন যে নৈতিক নীতিগুলি আবেগ বা অনুভূতির উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত নয়, বরং যু...

কান্টের নীতিতত্ত্ব(2nd.Sem) ব্যাখ্যা ও বিচার করো।

কান্টের নীতিতত্ব(Ethics)ব্যাখ্যা ও বিচার করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, দর্শন, মাইনর)                আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, কান্ট ছিলেন একজন প্রভাবশালী জার্মান দার্শনিক।তবে তাঁর নীতিতত্ত্ব দর্শনে কর্তব্যবাদ নামেও পরিচিত। আর সেই নীতিতত্ত্ব অনুসারে আমরা জানি যে,কোনো কাজের নৈতিক মূল্য তার ফলাফলের উপর নির্ভর করে না, বরং বলা যায় যে,কাজটি নীতিগতভাবে সঠিক কিনা তার উপর নির্ভর করে। তাই কান্ট মনে করেন যে, কিছু নৈতিক নিয়ম আছে যা সার্বজনীন এবং নিঃশর্তভাবে প্রযোজ্য।আর এই নীতির প্রেক্ষিতে-          •কান্টের নীতিতত্বের মূল ধারণা• ১) সদিচ্ছাঃ  কান্ট বিশ্বাস করতেন যে, একমাত্র সদিচ্ছাই ভালো। বুদ্ধি, প্রতিভা বা সুখ - এগুলো সবই খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে বা হয়।কিন্তু সদিচ্ছা সবসময়ই অন্তর্নিহিত ভাবে ভালো। আর সদিচ্ছা মানে কর্তব্যের খাতিরে কাজ করা, যে কাজ কোনো প্রকার ব্যক্তি স্বার্থ বা অনুভূতির বশে করা হয় না। ২) নীতি তত্ত্বঃ  কান্টের মতে, নৈতিক কাজ হল সেই কাজ যা কর্তব্যের খাতিরে ...

শিক্ষায় মূল্যায়ণের(2nd Sem )ভূমিকা বা গুরুত্ব আলোচনা করো।

  শিক্ষায় মূল্যায়নের ভূমিকা বা গুরুত্ব আলোচনা করো।       আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, মূল্যায়ন সম্পর্কে গতানুগতিক ধারণায় শিক্ষার ক্ষেত্রে এর ভূমিকা খুবই সীমাবদ্ধ। কারণ পাঠক্রম শেষে শিক্ষার্থীর অর্জিত অভিজ্ঞতা পরিমাপেই এটি ব্যবহৃত হয়। তবে মূল্যায়ন সম্পর্কিত আধুনিক ধারণায় এর ব্যবহারের পরিধি বেশ বিস্তার লাভ করেছে। যেখানে আধুনিক শিক্ষার প্রধান তিনটি অংশের মধ্যে মূল্যায়ন একটি অন্যতম। তাই শিক্ষার ক্ষেত্রে এই মূল্যায়নের ভূমিকা বা গুরুত্ব বেশ তাৎপর্যময়। আর সেখানে - ১) মূল্যায়ন ও শিক্ষার উদ্দেশ্যঃ আমরা জানি মূল্যায়ন শিক্ষার উদ্দেশ্যকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে সাহায্য করে। যেখানে নির্দিষ্ট এবং পরিমাপযোগ্য উদ্দেশ্য ব্যতীত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন ঘটেছে কিনা তা পরিমাপ করা যায় না তাই শিক্ষার উদ্দেশ্য নিরূপণ, শিক্ষার উদ্দেশ্য গুলি বাস্তবরূপ দেওয়া সম্ভব কিনা তা মূল্যায়নের কৌশলের দ্বারা নিরূপণ করা দরকার। আর সে কারণেই শিক্ষার উদ্দেশ্য স্পষ্টকরণে মূল্যায়ন সাহায্য করে থাকে। ২) মূল্যায়ন ও পাঠদান পদ্ধতিঃ আমাদের নির্ধারিত শিক্ষার উদ্দেশ্যগুলি সতর্কতার সা...

য়ুরোপ প্রবাসীর(4th Sem.Major)) পত্র গ্রন্থে পরিহাস প্রিয় রবীন্দ্রনাথের যে পরিচয় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে তোমার অভিমত আলোচনা করো।

  য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র গ্রন্থে পরিহাস প্রিয় রবীন্দ্রনাথের যে পরিচয় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে তোমার অভিমত আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়,ষষ্ঠ সেমিস্টার,বাংলা অনার্স CC-14)               আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,য়ুরোপ প্রবাসীর পত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যে পরিহাস প্রিয়তার পরিচয় পাওয়া যায়, তা তাঁর লেখনীর এক বিশেষ দিক বা মূল্যবান সম্পদ। আর এই গ্রন্থে তিনি তাঁর বিলেত যাত্রার অভিজ্ঞতা, সেখানকার জীবনযাত্রা, এবং ইংরেজ সমাজের নানা দিক অকপটে তুলে ধরেছেন।যার মধ্যে আছে যেমন গভীর পর্যবেক্ষণ, তেমনি আছে তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিমায় করা তীক্ষ্ণ ও সূক্ষ্ম পরিহাস।আর সেই পরিহাসে বিষয়ে আমারা দেখি- •রবীন্দ্রনাথের পরিহাস  কেবলমাত্র কৌতুক সৃষ্টির জন্য ছিল না, বরং বলা যায় তাঁর গভীরে ছিল তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এবং সমাজের প্রতি এক ধরনের পর্যবেক্ষণ।সেই পর্যবেক্ষণ পরিহাসের বেশ কয়েকটি দিক আমরা নিম্ন সূত্রাকারে তুলে ধরতে প্রয়াসী হোলাম। আর সেখানে আমরা দেখি-  •  রবীন্দ্রনাথের আত্মপরিহাসঃ রবীন্দ্রনাথ অনেক সময় নিজেকে নিয়েই রসিকতা করেছেন বা ...

যযাতি কবিতায়(4th.Sem Major) কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত ফ্যাসিবাদের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রবল ঘৃণা করে পুরাণ কাহিনী রচনায় প্রবৃত্ত হয়েছেন-আলোচনা করো(

' যযাতি' কবিতায় কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত ফ্যাসিবাদের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রবল ঘৃণা করে পুরাণ কাহিনী রচনায় প্রবৃত্ত হয়েছেন-আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, বাংলা মেজর)            আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্তের 'যযাতি' কবিতাটি নিছক একটি পৌরাণিক কাহিনি পুনর্নির্মাণ নয়, বরং এর গভীরে প্রোথিত আছে কবিমনের ফ্যাসিবাদী একনায়কতন্ত্রের প্রতি প্রবল ঘৃণা ও বিতৃষ্ণা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা এই কবিতাটিতে তিনি আধুনিক সভ্যতার সংকট, নৈতিক অবক্ষয় এবং ক্ষমতার অন্ধ লালসার বিরুদ্ধে এক জোরালো প্রতিবাদ তুলে ধরেছেন। আর সেখানে- •পৌরাণিক অনুষঙ্গের ব্যবহারে কবিঃ আমরা জানি যে, 'যযাতি'  মহাভারতের একটি সুপরিচিত আখ্যান।আর সেই আখ্যানে রাজা যযাতি বার্ধক্যের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে তার পুত্রের যৌবন হরণ করেন। আলোচ্য কবিতায় সুধীন্দ্রনাথ এই পৌরাণিক ঘটনাকে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করেছেন।আসলে কবির কাছে যযাতি কেবল এক পৌরাণিক রাজা নন, বরং তিনি ফ্যাসিবাদী একনায়কদের প্রতীক।যারা নিজেদের ক্ষমতার লোভে এবং ভোগবাদের জ...

সংগতি কবিতায়(4th.Sem Major) কবি অমিয় চক্রবর্তী জগত ও জীবনের সকল অসংগতির মধ্যে সংগতি স্থাপনে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন- আলোচনা করো।

সংগতি কবিতায় কবি অমিয় চক্রবর্তী জগত ও জীবনের সকল অসংগতির মধ্যে সংগতি স্থাপনে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন- আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা মেজর)‌।          আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, কবি অমিয় চক্রবর্তী'র 'সংগতি' কবিতাটি দুটি বৈপরীত্যের বিষয়ের  মধ্যে ঐক্য এবং আশাবাদের এক গভীর দার্শনিক প্রত্যয় তুলে ধরেছেন। যেখানে-জগত ও জীবনের সমস্ত অসংগতি, পরিস্থিতি, চাওয়া ও পাওয়ার মধ্যকার ব্যবধান দূর করে দেবেন পরমপুরুষ ভগবান। আসলে মানুষের জীবনকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত একটা দুঃখের তুফান উঠছে। আর মানুষ সেই দুঃখকে বাধা দিয়ে এক অসহায়ভাবে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে চলেছে সারাক্ষণ। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়ে মানুষের বুক ভাঙ্গা হাহাকার প্রকাশ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। কিন্তু কবির বিশ্বাস স্বয়ং ঈশ্বরই কেবল পারেন জগৎ ও জীবনের এই কঠিন দুঃখকে মোচন করতে। আর সেখানে আমরা দেখি-  কবির বৈপরীত্যের মধ্যে ঐক্য স্থাপনঃ কবিতার মূল সুর হলো বিভিন্ন পরস্পরবিরোধী বিষয়, যেমন – ঝড়ো হাওয়া এবং পোড়ো বাড়ি, প্রবল বন্যা এবং অনাবৃষ্টি, ভালো এবং মন...

তার সঙ্গে' কবিতার(XII,3rd.Sem) প্রেক্ষাপট আলোচনা করে এ কবিতায় কবির মনোভাবের পরিচয় দাও

'তার সঙ্গে' কবিতার প্রেক্ষাপট আলোচনা করে এ কবিতায় কবির মনোভাবের পরিচয় দাও(পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, দ্বাদশ শ্রেণী, বাংলা,তৃতীয় সেমিস্টার)        বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও প্রভাবশালী লেখক হলেন পাবলো নেরুদা  । আসলে এই পাবলো নেরুদা ছিলেন চিলির একজন উল্লেখযোগ্য কবি,রাজনীতিবিদ্ এবং সুবিচক্ষণ ব্যাক্তিত্ব।তবে নেরুদা এ কবির ছদ্মনাম, তাঁর প্রকৃত নাম হল নেফতালি রিকার্দো বেয়েস বাসোয়ালতো। আর  ' তার সঙ্গে 'কবিতাটি একটি স্প্যানিশ ভাষায় রচিত কবিতা। যে কবিতার প্রেক্ষাপট হিসেবে আমরা দেখি স্পেনের গৃহযুদ্ধ(১৯৩৬-১৯৩৯)সময়ে এ কবিকে বিষাদগ্ৰস্ত করে তোলে। শুধু তাই নয়, কবি পাবলো নেরুদা শাসক শ্রেণীর রক্তচক্ষুর বিরুদ্ধে তীব্র আঘাত করেন। তাই তাঁর কবিতায় আমরা দেখতে পাই একদিকে প্রেম, অন্যদিকে প্রতিবাদের ভাষা।যেখানে-         স্পেনের গৃহযুদ্ধের সময় সেখানে অন্যায়,অবিচার দেখা দেয়।আর ঠিক সেই সময়ে সেখানে উঠে আসে প্রতিবাদের ঝড়, সেই সাথে গর্জে ওঠে শত শত মানুষের তীব্র প্রতিবাদী কন্ঠস্বর। আর তার কারণে এ কবি হলেন সরকারের বিরাগভাজন। তবু তিনি কখনো তী...

ভাড়ুদত্ত চরিত্রটি চন্ডিমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খন্ডে একটি ধূর্ত, চতুর, ঘৃণ্য ও প্রতারক-আলোচনা করো।

ভাড়ুদত্ত চরিত্রটি চন্ডিমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খন্ডে একটি ধূর্ত, চতুর, ঘৃণ্য ও প্রতারক-আলোচনা করো।             আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খণ্ড বা ব্যাধ খণ্ড চণ্ডীদেবীর মহিমা প্রচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।যে খণ্ডে দেবী চণ্ডীর হাতে ভাড়ুদত্ত নামক এক দুষ্ট ও ধূর্ত চরিত্রের বিনাশ ঘটে।আর এই ভাড়ুদত্ত চরিত্রটি চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের একটি অত্যন্ত ঘৃণ্য অথচ স্মরণীয় চরিত্র।সেই চরিত্রটিতে আমরা দেখি যে-ভাড়ুদত্ত একজন ব্রাহ্মণ হলেও তার কর্ম ছিল অত্যন্ত নিন্দনীয়। আর সেই চরিত্রটির আখেটিক খন্ডে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য আমরা দেখতে পাই।আর সেই বৈশিষ্ট্যগুলি হলো -   ভাড়ুদত্ত প্রতারক ও ধূর্ত ব্যাক্তিঃ ভাড়ুদত্ত  নীচ এবং অসৎ চরিত্রের অধিকারী। শুধু তাই নয়,সে একজন চরম ধূর্ত ও চতুর ব্যক্তি।যে মিষ্ট কথায় মানুষকে ভুলিয়ে নিজের  স্বার্থসিদ্ধি করতে অসাধারণ পটু ছিলেন। এ ছাড়াও শিকারীদের কাছ থেকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তাদের ঠকাতো এবং তাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নিজের মনোবাঞ্ছা পরে নিতে।   ভাড়ুদত্ত মিথ্যাবাদী এবং কুচক্রীঃ  ভাড়ুদত্তের চরি...

শজারুর কাঁটা(4th Sem.Minor)উপন্যাসের দীপ নাথের ভূমিকা ও তার পরিণতি আলোচনা করো।

শজারুর কাঁটা উপন্যাসের দীপ নাথের ভূমিকা ও তার পরিণতি আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, বাংলা মাইনর)        আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম গোয়েন্দা উপন্যাস 'শজারুর কাঁটা'। আর সেই উপন্যাসের  দীপনাথ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং রহস্যময় চরিত্র হিসেবে আলোচিত।বলা যায় যে,উপন্যাসের মূল প্লট বা কাহিনী তার চরিত্রকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে। যেখানে আমরা দেখি এই উপন্যাসে দীপ নাথের ভূমিকা-      উপন্যাসটি আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে আমরা জানতে পারি যে, দীপনাথ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় রহস্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শুধু তাই নয়,সে একজন ধনী ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান।যাকে ঘিরে এই উপন্যাসে পর পর বেশ কয়েকটি অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটতে থাকে। আর সেখানে উপন্যাসের শুরুতেই দেখতে পাই যে,তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয় এবং সেই চেষ্টা ব্যর্থও হয়।তার জীবনে একটি গভীর রহস্যের জাল বোনা হয়।আর সেখানে-   হত্যাকাণ্ডের রহস্যের উৎসঃ উপন্যাসে দীপনাথকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের সূত্র ধরে ব্যোমকেশ ব...

সংবর্ধনা জ্ঞাপকপত্র

 স্থানান্তরের    সংবর্ধনা। পরমপ্রিয় শ্রদ্ধেয় ডঃ অভিষেক দাঁ মহাশয়ের স্থানান্তর উপলক্ষে সহকর্মীদের সংবর্ধনা জ্ঞাপকপত্র। পরমপ্রিয় শ্রদ্ধাভাজনেষু,                এই একটু আগে পর্যন্ত আপনার অক্লান্ত পরিশ্রম, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর কর্মনৈপুণ্যে আমাদের কর্মস্থানের প্রতিটি কর্মময় দিন এগিয়ে চলে বিনা বাঁধায়, বিনা দ্বিধায়। আপনার কর্তব্যনিষ্ঠা, নিয়মানুবর্তিতা,আদর্শবোধ,দায়িত্ববোধ আমাদেরকে আপ্লুত করে আমাদের দুর্গমকান্তি পারাপারে।আপনিই আমাদের শিখিয়েছিলেন কর্মক্ষেত্রে কিভাবে কাজকে নিজের সন্তানের মত শ্রদ্ধা জানাতে হয়, কর্মক্ষেত্রকে কিভাবে ভালোবাসতে হয়। হে গুণিজন,যেকোন মহান কর্মযজ্ঞে আপনি সর্বদা সম্মুখ পানে এগিয়ে যেতে শিখিয়েছেন হাসিমুখে।তাই এখানে আমরা সকলেই আপনার স্নেহের,আপনার ভালোবাসার, আপনার শ্রদ্ধার আমরা সকলেই অংশীদার। আপনার সদাহাস্য আচরণ আমাদেরকে প্রেরণা যোগায় নিত্য নতুন পথের কর্মযজ্ঞের সামিল হতে। তাইতো আমাদের মধ্যে আজ কোন বিভেদের ভাঁজ নেই, আছে অপরিমেয়, অপরিসীম, এক আকাশ দিগন্ত জোড়া শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সৌরভ।       ...
 কবি জীবনানন্দ দাশের আবার আসিব ফিরে কোন নির্দিষ্ট চিহ্নিত কবিতা নয়। এটি আসলে রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থের ষোল সংখ্যক সনেট। আর সেই সনেটটি প্রথম লাইন অনুসারে কবিতাটির নামকরণ করা হয়েছে আবার আসিব ফিরে। তবে এই কবিতাটি পরিপূর্ণভাবে প্রকৃতি চেতনার কবিতা নয়, বলা যায় তার আভাস বা অংশ মাত্র। আমরা জানি মানুষ প্রকৃতির কোলে গেলে শান্তি পায় মুক্তি পায় পায় এক অদ্ভুত অনাবিল আনন্দ। আসলে রূপসী বাংলার কবি ভালোবাসা ও বিষাদ, অবসাদ ও অলসতা সম্বন্ধে বড় বেশি সচেতন ছিলেন। তাই তার কবিতায় আমরা পাই-' মানুষের অন্তিম রিয়েলিটি।' যেখানে-       জীবনানন্দ দাসের 'কাব্য সমগ্র'এর ভূমিকায় ভ্রাতা অশোকানন্দ জানান যে-একটি বিশেষ ভাবাবেকে আক্রান্ত হয়ে কবিতাগুলি রচিত হয়েছে। সেই বিশেষ ভাওয়া ব্যক্তি কি সে বিষয়ে তিনি পরিষ্কারভাবে জানাননি। শুধু তাই নয়, এরা প্রত্যেকে আলাদা আলাদা স্বতন্ত্র সত্তার মতো নয় কেউ,এক শরীরী। যেখানে-        কবিতার শুরুতেই কবি আমাদেরকে পরিষ্কারভাবে জানান যে, তখন কোন কিছুকে আঁকড়ে ধরে নিজেকে সঞ্চালিত করতে পারেনা। আঁকড়ে ধরে মানুষ প্রকৃতিকে। কোভিদ সেই বিশাল প্রা...

মালতীবালা বালিকা (4th.Sem Major )বিদ্যালয়'কবিতাটি এক কিশোরী বালিকার প্রথম প্রেম এবং তার স্মৃতিচারণের আখ্যান-আলোচনা করো।

কবি জয় গোস্বামীর 'মালতীবালা বালিকা বিদ্যালয়' কবিতাটি এক কিশোরী বালিকার প্রথম প্রেম এবং তার স্মৃতিচারণের আখ্যান-আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা মেজর, DS-7, Unit- IV)।  আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, কবি জয় গোস্বামীর ' মালতীবালা বালিকা বিদ্যালয়'  কবিতাটি একটি গ্রাম্য পরিবেশে অবস্থিত বিদ্যালয় এবং সেখানকার এক ছাত্রীর জীবনের একটি ছবি ও জীবনকথা এই কবিতায় সাধারণ  আবেগ ও অনুভূতি দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।আসলে কবিতাটি প্রধানত এক কিশোরী মেয়ের প্রথম প্রেম, তার স্মৃতিচারণ এবং বর্তমানের রুঢ় বাস্তবতার সংঘাতের এক আবেগঘন চিত্র।তবে কবিতাটি 'বেণীমাধব' নামেই অধিক পরিচিত,যেটি এর কেন্দ্রীয় চরিত্রেরই নাম।আর সেখানে-   কৈশরের প্রথম প্রেম ও তার স্মৃতিঃ মালতীবালা বালিকা বিদ্যালয়   কবিতার একজন নারী, যে তার কৈশোরে বেণীমাধব নামের এক ছেলের প্রতি দুর্বলতার কথা স্মরণ করেছে। বেণীমাধব লেখাপড়ায় খুব ভালো ছিল এবং শহরে থাকত। মেয়েটি তখন নবম শ্রেণীতে পড়ত, যখন সবে সে শাড়ি পরতে শুরু করেছে। তাদের আলাপ হয়েছিল সুলেখাদের বাড়িতে। এই সময়টা ত...

জন্মভূমি(RMV-XII) কবিতার ব্যাখ্যামূলক, সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ও MCQ প্রশ্নোত্তর।

জন্মভূমি, যতীন্দ্রমোহন বাগচী কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫, পশ্চিমবঙ্গ রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় সংসদ, উচ্চমাধ্যমিক) ১) "এটি আমার গ্ৰাম, আমার স্বর্গপুরী/ ঐখানেতে হৃদয় আমার গেছে চুরি।"- উদ্ধৃতাংশটি অবলম্বনে কবির কাছে তার গ্রাম কেন স্বর্গপুরী আলোচনা করো। উত্তরঃ কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী রচিত জন্মভূমি কবিতা অনুসারে আমরা জানতে পারি যে, কবির জন্মভূমি অড়হর খেতের আড়ালে, সবুজ কেয়াঝাড় এর সমন্বয়ে। যেটি আম কাঁঠালের ঘেরা বাগান। যেখানে রাখাল বালকেরা আপন মনে খেলায় মেতে ওঠে। সেই জন্মভূমি কবির কাছে স্বর্গপুরী বলে মনে হয়। যে জন্মভূমির প্রতি প্রতিটি মানুষের একটা হৃদয়ের টান থাকে।তবে-        সেই জন্মভূমিতে আধুনিক জীবনযাত্রার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, ডাকঘর, রাজপ্রাসাদ বা ধনীর দেবালয় নেই। তবুও সেখানে প্রত্যেক পরিবার ও ও প্রতিবেশীদের মধ্যে যে মানসিক সুখ আছে, তাকেই কবি জন্মভূমিকে সর্গপুরী বলে মনে করেন। আসলে কবি এখানে মানসিক শান্তির পাশাপাশি স্বর্গসুখ অনুভব করে জন্মভূমি কে বলেছেন-            "ঐটি আমার গ্রাম, আমার স্বর্গপুরী।" ২) "তবু আম...

জ্ঞানের উৎস (2nd Semester ,Philosophy)সম্পর্কে কান্টের বিচারবাদ ব্যাখ্যা ও বিচার করো।

জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে কান্টের বিচারবাদ ব্যাখ্যা ও বিচার কর(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় সেমিস্টার দর্শন মাইনর)। আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে পাশ্চাত্য দর্শনে বেশ অনেকগুলি মতবাদ লক্ষ্য করা যায়। সেই সকল মতবাদগুলির মধ্যে অন্যতম মতবাদ হল কান্টের মতবাদ। তবে এখানে বলে রাখা ভালো যে, পাশ্চাত্য দর্শনে কান্ট একজন বিচারবাদী দার্শনিক  হিসেবে পরিগণিত। যিনি গতানুগতিক অভিজ্ঞতাবাদ এবং বুদ্ধিবাদের মধ্যে সমন্বয়ে সাধন করেছেন।। আর সেখানে- অভিজ্ঞতা ও বুদ্ধিবাদের মধ্যে সমন্বয়সাধনঃ বিচারবাদী দার্শনিক কান্ট বলেন যে, আমাদের সকল প্রকার জ্ঞান শুরু হয় অভিজ্ঞতা দিয়ে। এর পরক্ষণেই তিনি আবার বলেন যে, অভিজ্ঞতা দিয়ে আমাদের জ্ঞান শুরু হয়, শেষ নয়। কারণ জ্ঞানের উৎপত্তির ক্ষেত্রে বুদ্ধিরও যথেষ্ট ভূমিকা আছে। তাই তিনি মনে করেন, বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতা এই দুই এর মধ্যে কোন একটি দ্বারা কখনোই যথার্থ জ্ঞান লাভ করা যায় না। কিন্তু -      • অভিজ্ঞতাবাদী দার্শনিকরা বলেন যে, অভিজ্ঞতাই জ্ঞান লাভের একমাত্র পথ। আবার বুদ্ধিবাদীরা বলেন যে, বুদ্ধি হল জ্ঞান লাভের একমাত্র পথ। তবে এ...

মেঘনাদবধ (4th.Sem, Major)কাব্যের চতুর্থ সর্গের কাব্যেপযোগিতা আলোচনা করো।

মেঘনাদবধ কাব্যের চতুর্থ সর্গের কাব্যেপযোগিতা আছে কি? আলোচনা কর(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, বাংলা মেজর)    আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, কাব্যকার মধুসূদন দত্ত সর্বপ্রথম ইউরোপীয় কাব্যকলাকে মেঘনাদবধ কাব্যে সংযুক্তি করেছেন।আর সেখানে তিনি কাব্যটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গতিধারা অপরিবর্তিত দেখেছেন।আর এই প্রেক্ষিতে বলা যেতে পারে যে, এ কাব্যের কোন সর্গ অপ্রয়োজনীয় নয়। কিন্তু সমালোচনার জন্য বেশ কিছু সমালোচক অভিযোগ করেন যে, এই সর্গের সাথে মূল কাহিনীর কোন সংযোগ নেই। শুধু তাই নয়, কবি দীর্ঘ পথ চলতে চলতে সহসা পথ হারিয়েছে।আর সেই অভিযোগ নিতান্তই অসত্য অসত্য প্রমাণ করা যেতে পারে। আর সেখানে আমরা দেখি-             •কবি চতুর্থ সর্গে বাল্মিকীর চরণ বন্দনা করে নতুন এক শক্তি সংগ্রহের জন্য জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই শক্তির জন্য বিশেষ প্রস্তুতির প্রয়োজন  ছিল,কবি তা ভালোভাবেই উপলব্ধি করেন।তবে যারা মনে করেন চতুর্থ সর্গের উপজীব্য বিষয় সীতা চরিত্র অঙ্কন করা, তারা কবি কৃতিত্ব পর্যাপ্ত ব্যাখ্যা করতে পারেননি। তবে আমাদের মনে রাখা দরকার যে, ...

মেঘনাদবধ কাব্যে (4th. Sem.Major) নারী চরিত্র পরিকল্পনায় কবি মধুসূদন দত্তের ভূমিকা আলোচনা করো।

মেঘনাদবধ কাব্যে নারী চরিত্র পরিকল্পনায় কবি মধুসূদন দত্তের ভূমিকা আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, বাংলা মেজর, DS-7)           আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, বাংলাদেশের জনমানসে নারীর যে নব মূল্যায়ন হয়েছিল তা মধুসূদনের কাব্যেই প্রথম পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ হয়।যেখানে ঈশ্বর গুপ্তের কাব্যে নারী শিক্ষা ও নারীর প্রতি বিদ্রুপবাণ নিক্ষেপ হলেও রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় পদ্মিনী উপাখান কাব্যিক নারীর বীর্যবত্তার রুপ প্রকাশ পেয়েছিল। সেখানে নারীর বুদ্ধিমত্তা, মহিমা প্রভৃতি গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু বাঙালি কবি মানস কোন দিনই পরিপূর্ণভাবে নারীর সর্বাঙ্গীণ বহুমুখীণতা অন্তরের মনিকোঠায় মেনে নিতে পারিনি। সে কারণে উনবিংশ শতাব্দীতে নারীর পরিবারমুখী স্বরূপ লেখক ও কবির কাম্য বিষয় হয়ে উঠেছে। যেখানে-      মধুসূদনের কবি মানসে যে বিদ্রোহের বীজ নিহিত ছিল, তার সৃষ্ট নারী চরিত্রগুলি বিশ্লেষণ করলে আমাদের ধারণাটি অধিকতর পরিষ্কার হয়ে যাবে।আর এ যুক্তির প্রধান দৃষ্টান্ত হলো মেঘনাদবধ কাব্যের প্রমিলা চরিত্রটি। যে চরিত্রটি আমাদের দুর্বল মনকে দুমড়ে...

জ্ঞান উৎপত্তিতে(2nd Semester Phil.)অভিজ্ঞতাবাদীদের মতবাদ সবিচার আলোচনা করো।

জ্ঞান উৎপত্তিতে অভিজ্ঞতাবাদীদের মতবাদ সবিচার আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় সেমিস্টার মাইনর দর্শন)।  আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, জ্ঞান উৎপত্তিতে অভিজ্ঞতাবাদ হলো জ্ঞানের উৎস সম্পর্কিত একটি দর্শন, যে দর্শন মনে করে মানুষের জ্ঞান প্রধানত ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে গঠিত হয়। অর্থাৎ আমাদের সমস্ত জ্ঞানের উৎপত্তির উৎস হলো অভিজ্ঞতা। আর এই মতবাদ   জ্ঞান উৎপত্তির ক্ষেত্রে বুদ্ধিবাদী মতবাদের একটি শক্তিশালী বিকল্প মতবাদ। যেখানে -           • আসলে  অভিজ্ঞতাবাদীরা বিশ্বাস করেন যে, মানুষ জন্মের সময় কোনো সহজাত জ্ঞান নিয়ে আসে না, বরং জ্ঞান অর্জন করে ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার মাধ্যমে, যেমন - দেখা, শোনা, স্পর্শ, স্বাদ এবং গন্ধের মাধ্যমে।          • জ্ঞান উৎপত্তির ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাবাদ একটি গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক মতবাদ।আর সেই মতবাদ অনুযায়ী, মানুষের সমস্ত জ্ঞান ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অর্জিত হয়। সেখানে মানুষের মন জন্মকালে একটি অলিখিত সাদা কাগজের মতো থাকে। যেখানে অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জ্ঞান লিপিবদ্ধ হয়। ...
  সম্ভাব্যতাঃ  সম্ভাব্যতা (Probability) হলো গণিতের একটি শাখা, যা কোনো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বা কতটা ঘটতে পারে তা পরিমাপ করে।আসলে এটি একটি গাণিতিক হিসাব, যা ০ থেকে ১ এর মধ্যে একটি সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা হয়। আমরা আরও সহজ করে বলতে পারি যে-             • যখন কোনো ঘটনা ঘটা সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত নই, তখন সেই ঘটনাটি ঘটার সম্ভাবনা কতটুকু, তা পরিমাপ করাই হলো সম্ভাব্যতা। সম্ভাব্যতার মূল ধারণাঃ ১) দৈব পরীক্ষাঃ যে পরীক্ষার ফলাফল কী হবে তা আগে থেকে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না বা সম্ভব নয়। কিন্তু সেই পরীক্ষার সম্ভাব্য ফলাফল জানা থাকে, তাকে বলা হয় দৈব পরীক্ষা। উদাহরণ হিসাবে আমরা বলতে পারি-       উপরের দিকে একটি মুদ্রা নিক্ষেপ করলে সেই মুদ্রাটি ভূমির ওপর এসে হয় হেড পড়বে কিংবা টেল পরবে। আবার একটি লুডুর ছক্কা গুটি গড়িয়ে দিলে 123456 এর মধ্যে যেকোনো একটি সংখ্যা পড়বে। ২)নমুনা ক্ষেত্রঃ একটি দৈব পরীক্ষার সম্ভাব্য সব ফলাফলকে নমুনাক্ষেত্র বলে। এই নমুনা ক্ষেত্রকে সাধারণত 'S' দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এখানে আমরা উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি-একটি মুদ্রা ওপরে নিক্ষেপ ...

য়ুরোপ (6th.Sem,CBCS )প্রবাসীর পত্র গ্রন্থ অবলম্বনে রবীন্দ্রনাথের লন্ডন শহর সম্পর্কিত অভিজ্ঞতার পরিচয় দাও।

' য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র' গ্ৰন্থ অবলম্বনে রবীন্দ্রনাথের লন্ডন শহর সম্পর্কিত অভিজ্ঞতার পরিচয় দাও (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ষষ্ঠ সেমিস্টার বাংলা অনার্স CBCS,CC24)।        আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, নিতান্ত তরুণ বয়সে রবীন্দ্রনাথ ' য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র' লিখেছিলেন। আর সেখানে তিনি একপত্রে লিখলেন-                                                 " তোমাকে যে পত্র লিখেছি তা ভারতীতে আমার                   ইচ্ছামত প্রকাশ করা হয়েছে।"                              তবে য়ুরোপ প্রবাসী পত্র গ্রন্থের সব পত্রগুলি ভারতীর উদ্দেশ্যে লেখা হয়নি। আর এই গ্রন্থের প্রথম সংস্করণের ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ সে কথা ব্যক্ত করেছেন। আর সেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-        'য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র' গ্রন্থে লন্ডনে রবীন্দ্রনাথ ঠাক...

পরিমাপের স্কেল(4th. Sem) কাকে বলে? পরিমাপের বিভিন্ন স্কেল বা মাপনীগুলি আলোচনা করো।

পরিমাপের স্কেল বা মাপনী  কী? পরিমাপের বিভিন্ন স্কেল বা মাপনীগুলি আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, এডুকেশন-মাইনর, Unit-2) পরিমাপের স্কেলঃ আমরা প্রাত্যহিক জীবনে প্রায়শ কোন না কোন কিছু পরিমাপ করে থাকি। যেমন আমরা কোন কিছুর উচ্চতা, ওজন, দৈর্ঘ্য ইত্যাদি পরিমাপ করি। আসলে পরিমাপ হল কোন কিছুর পরিমাণ নির্ণয় করা। কিন্তু-            শিক্ষা ও মনোবিজ্ঞানে পরিমাপ কথাটি ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এখানে পরিমাপের অন্তর্গত বিষয়গুলি হলো বুদ্ধি, আগ্রহ, সৃজন, ক্ষমতা ইত্যাদি। আর উচ্চতা, ওজন, দৈর্ঘ্য যখন আমরা একটি নির্দিষ্ট নিয়মে শ্রেণীবদ্ধ করি, তখন সেই নিয়মগুলি হয়ে যায় পরিমাপের স্কেল। পরিমাপের শ্রেণীবিভাগঃ শিক্ষা ও মনোবিজ্ঞানে অভীক্ষার ফলের পরিমাণ কত প্রকাশই হলো পরিমাপ। তবে পরীক্ষার ফলকে সংখ্যায় প্রকাশ করার প্রক্রিয়াই হলো পরিমাপ। আর সেখানে যে একক পর্যায়ক্রম দিয়ে পরিমাপ করা হয় তাকে স্কেল বলে। এই পরিমাপের স্কেল প্রধানত চার প্রকার- ১) নামসূচক স্কেলঃ যখন কোন সংখ্যাকে এমনভাবে ব্যবহার করা হয় যে, তা শুধুমাত্র একটি পরিচয় জ্ঞ...

পোটরাজ(XII,2nd Sem )গল্পটির পটভূমির আড়ালে আছে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন কথা-আলোচনা করো।

শঙ্কর রাও খারাটের 'পোটরাজ' গল্পটির পটভূমির আড়ালে আছে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন কথা- আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, দ্বাদশ শ্রেণী, তৃতীয় সেমিস্টার)।           • আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে থাকি যে,শঙ্কর রাও খারাটের একটি অন্যতম ছোটগল্প 'পোটরাজ'।যে গল্পটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন সুনন্দন চক্রবর্তী।আর সেই গল্পটিতে লেখক শঙ্কর রাও খারাট তুলে ধরেছেন দলিত সমাজের এক বেদনাদায়ক বাস্তব চিত্র। যে চিত্রে আমরা দেখতে পাই-     দলিত সম্প্রদায়ের নির্মম বাস্তবতাঃ আলোচ্য   গল্পে পোটরাজ শ্রেণির মানুষের জীবনযাত্রার চরম দুর্দশা, দারিদ্র্য, বঞ্চনা এবং সমাজের মূল স্রোত থেকে বিচ্ছিন্নতার চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যারা সমাজে চিরকাল ব্রাত্য হয়ে থাকে।কিন্তু তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস বা আচার-অনুষ্ঠানের জন্য এই সমাজ তাদের ব্যবহার করে থাকে।আর সেখানে- বিশ্বাসের আড়ালে বৈষম্যঃ   পোটরাজরা নিজেদের দেবতার প্রতি উৎসর্গ করে, যা এক প্রকার আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত। কিন্তু এই ধর্মীয় বিশ্বাস তাদের সমাজে কোনো সম্মান বা মর্যাদা এনে দেয় না। বরং, তাদের এই অবস্থানক...

আমার ভারতবর্ষ (4th.Sem Major )কবিতায় অবহেলিত বঞ্চিত নিরন্ন মানুষের অবহেলার পাশাপাশি কবির মনে যে আশাবাদ জাগরিত হয়েছিল তা আলোচনা করো।

  'আমার ভারতবর্ষ' কবিতায় অবহেলিত বঞ্চিত,নিরন্ন মানুষের অবহেলার পাশাপাশি কবির মনে যে আশাবাদ জাগরিত হয়েছিল, তা আলোচনা করো( পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, বাংলা মেজর,DS-7,Unit-IV.)           •আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম খ্যাতনামা কবি বীরেন্দ্র  চট্টোপাধ্যায়।আর সেই কবির কবিতায় ভাষিত হয়েছে সমগ্র দুনিয়ার প্রতারিত মানুষের বেদনা, মানবতা-বিরোধী ঘটনার বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ তীব্র-প্রতিবাদ। আবার অন্যদিকে রোমান্টিকের মতো সমাজ জীবনের সুন্দর স্বপ্নকে শেষমুহূর্ত পর্যন্ত রক্ষা করে গেছেন। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তিনি প্রতিবাদ, প্রতিরোধের কন্ঠ নিয়ে রচনা করলেন-           •  ' আমার ভারতবর্ষ' কবিতাটি । যে কবিতাটিতে আমরা দেখতে পাই একটি প্রতিবাদী এবং মানবতাবাদী চেতনার বর্হিপ্রকাশ।আসলে এ কবির বেশিরভাগ কবিতার মধ্যে আছে প্রতিবাদের ও প্রতিরোধের ভাষা। যে ভাষা নিরন্ন,অবহেলিত, বঞ্চিত মানুষের মুখের ভাষা। আর এই প্রতিবাদের ভাষার জন্য তিনি কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি।তাই জীবনের চলার পথে...

ছেলেটা(RMV,XII) কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ছেলেটা' কবিতার অতি সংক্ষিপ্ত ও MCQ প্রশ্নোত্তর।(পশ্চিমবঙ্গ রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় সংসদ উচ্চমাধ্যমিক)। ১) 'ছেলেটা ' কবিতা কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত? উত্তরঃ পুনশ্চ কাব্যগ্রন্থ। ২) ছেলেটার ভির্মী  লাগার কারণ কি? উত্তরঃ বিষফল খাওয়ার জন্য। ৩) ছেলেটা কোথায় হারিয়ে যায়? উত্তরঃ রথের মেলায়। ৪) দাঁড়কাক কোথায় বসেছিল? উত্তরঃ বৈঁচিগাছের ডালে।  ৫) ডুবে ডুবে কে গুগলি তোলে? উত্তরঃ পাতিহাঁস। ৭) ছেলেটা জলের তলায় ডুবে গেলে কে তাকে উদ্ধার করে?  উত্তরঃ রাখাল। ৮) পাকড়াশীদে র মেজো ছেলে ছেলেটাকে কি দেখতে দিয়েছিল? উত্তরঃ কাঁচ পরানোর চোঙ। ৯) "তার দেহান্তর ঘটল।"-কার দেহান্তর ঘটলো? উত্তরঃ পোষ্য  বঙ্গজ কুকুরের। ১০) "চুরি করতে উৎসাহ হল না।" -কেন কার চুরি করতে উৎসাহ হল না?  উত্তরঃ পোষা কুকুরের মৃত্যুর কারণে ছেলেটার চুরি করতে উৎসাহ হল না। ১১) ছেলেটাকে ডেকে এনে কে দুধ খাওয়ায়? উত্তরঃ সিধু গয়লানী। ১২) "তার ছেলেটি মরে গেছে সাত বছর হল।"-এখানে কার ছেলের মরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে? উত্তরঃ সিধু গয়লানীর। ১৪) "এমন নিরেট বুদ্ধি!"-এখানে...

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের(RMV,XII) 'ছেলেটা' কবিতার নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ছেলেটা' কবিতার নামকরণের সার্থকতা বিচার করো(পশ্চিমবঙ্গ রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় সংসদ উচ্চমাধ্যমিক)।             আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, 'পুনশ্চ' কাব্যগ্রন্থের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি অন্যতম কবিতা 'ছেলেটা'। আসলে এই কবিতাটি একটি আখ্যানধর্মী গল্প কবিতা। আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই গল্প কবিতার কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম অনুসারে কবিতাটির নামকরণ করেছেন। বলা যায় এখানে তিনি বিষয়ের তুলনায় চরিত্রকে অধিক পরিমাণে গুরুত্বপূর্ণ আরোপ করেছেন। আর সেই কারণে কবি আলোচ্য কবিতার নামকরণের ক্ষেত্রে মুখ্য চরিত্র 'ছেলেটা' কে গ্রহণ করেছেন। যেখানে-              এই ছেলেটা আগাছার মত অতি অযত্নে আপন মনে বেড়ে ওঠে। আসলে ছেলেটা অনামী পিতৃমাতৃহীন। আর পিতৃমাতৃহীন হওয়ার কারণে ছেলেটা ছোটবেলা থেকে দুরন্ত ও ডানপিটে হয়ে ওঠে। সে এতটাই দুরন্ত যে, কুল পাড়তে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে তার হাড় ভেঙে যায়। শুধু তাই নয়-          একবার ছেলেটা বনের মধ্যে গিয়ে বিষফল খায়। আর বিষফল খাওয়াতে তার জীবন সংশয় দেখা দেয়। ছেলেটা এত...

কবি কঙ্কন(2nd.Sem Major) মুকুন্দরাম চক্রবর্তী এযুগে জন্মালে তিনি ঔপন্যাসিক হতে পারতেন

  কবি কঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী এযুগে জন্মালে তিনি ঔপন্যাসিক হতে পারতেন- আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় সেমিস্টার, বাংলা মেজর)        আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,কবি কঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী ষোড়শ শতাব্দীর একজন প্রখ্যাত কবি।আর সেই কবির অনন্য সৃষ্টি 'চণ্ডিমঙ্গল'কাব্য।যে কাব্যটি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ। তবে এই কবি এ যুগে জন্মগ্রহণ করলে ঔপন্যাসিক হতে পারতেন কিনা, তা আলোচনা করার আগে তাঁর কাব্যের বৈশিষ্ট্য এবং আধুনিক উপন্যাসের আঙ্গিক ও বিষয়বস্তুর দিকে আমাদের আলোকপাত করা ভীষণ প্রয়োজন। আর সেই প্রয়োজনে আমরা দেখি-   অপরিসীম বর্ণনাত্মক ক্ষমতাঃ   'চণ্ডিমঙ্গল'এর বিভিন্ন আখ্যান যেমন কালকেতুর মৃগয়া, ফুল্লরার বারোমাস্যা প্রতিটি ঘটনা কবি কঙ্কন অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে সহানুভূতির সাথে বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণনায় প্রকৃতি, সমাজ, মানুষের জীবনযাত্রা এবং আবেগ জীবন্ত হয়ে ওঠে।   চরিত্র চিত্রায়ণে মুকুন্দরামঃ  চন্ডিমঙ্গল কাব্যের চরিত্রগুলি বিশেষ করে কালকেতু, ফুল্লরা,ভাড়ুদত্ত অত্যন্ত বাস্তবসম্মত এবং তাদের মনস্তাত্...

সিঁড়ি(4th Sem- Bengali Minor)ভেঙে ভেঙে উপন্যাসে একদিকে মৃত্যুর রহস্য অপরদিকে দাম্পত্য জীবনের ভাঙন,এই দুই মিলে উপন্যাসের মূল কাহিনীটি এক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে- আলোচনা করো।

সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে উপন্যাসে একদিকে মৃত্যুর রহস্য অপরদিকে দাম্পত্য জীবনের ভাঙন,এই দুই মিলে উপন্যাসের মূল কাহিনীটি এক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে- আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ সেমিস্টার, বাংলা মাইনর)।          আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের একটি অন্যতম গোয়েন্দা প্রধান উপন্যাস ' সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে' । আর সেই গোয়েন্দা প্রধান উপন্যাসের মূল ভাব বস্তুর মধ্যে আমরা অহংকারের পতন এবং অনুশোচনা দহন মানুষকে কিভাবে বিনষ্ট করে তা আমরা দেখতে পাই। আর সেই বিষয়টি আমরা নিম্ন সূত্রাকারে তুলে ধরলাম।যেখানে-          সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র বাসুদেব সেনগুপ্ত।যিনি একজন প্রাক্তন তুখোড় খেলোয়াড়।তবে তিনি খেলোয়াড় হলেও যৌবনে নিজের খ্যাতি ও প্রতিপত্তির অহংকারে অন্যদের প্রবলভাবে অবহেলা করতেন। তবে সেই বাসুদেব সেনগুপ্তকে ডাক্তার  সিঁড়ি ভাঙতে নিষেধ করেন। তবুও তিনি ডাক্তারের নির্দেশকে অমান্য করে লিফট খারাপ থাকায় এবং নিজের শারীরিক সক্ষমতার অহংকারে আটতলার ফ্ল্যাটে সিঁড়ি ভেঙে উঠেন।সেই ৮ তলার সিঁড়ি ভ...

বাংলা (6th,Sem Hon.) CC13 সাজেশন ২০২৩

        West Bengal State University                                        BA Honour 6th semester                                                  S uggestion-2025.                                                                   CC 13                         •একক-১                                                                      (সংস্কৃত সাহি...