Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2025

ফ্রয়েবেলের শিক্ষাদর্শন, পাঠ্যক্রম এবং শিক্ষণ পদ্ধতি আলোচনা করো।

ফ্রয়েবেলের  শিক্ষাদর্শন, পাঠ্যক্রম এবং শিক্ষণ পদ্ধতি আলোচনা করো( পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, প্রথম সেমিস্টার,এডুকেশন মাইনর)। আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, কিন্ডারগার্টেন পদ্ধতির জনক ফ্রয়েবেলের চিন্তা ধারা আধুনিক শিক্ষা ক্ষেত্রেকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছে। তাঁর চিন্তার মধ্যে দার্শনিক আধ্যাত্মবাদ, বৈজ্ঞানিক অভিব্যক্তিবাদ এবং মনোবৈজ্ঞানিক কর্মবাদ একাকার হয়ে গেছে। আর সেখানে- • ফ্রয়েবেলের শিক্ষাদর্শনঃ ফ্রয়েবলের  শিক্ষাদর্শন তাঁর জীবন দর্শন দ্বারা সম্পূর্ণরূপে প্রভাবিত। আর তার শিক্ষা চিন্তার বৈশিষ্ট্য হলো এই যে-তিনি শিক্ষার সবকিছুকে একটি কথার দ্বারাই প্রকাশ করেছেন। সেটি হলো বিকাশ বা উন্মেষণ। আসলে তাঁর কাছে শিক্ষা প্রক্রিয়ার প্রকৃতি হল বিকাশ, শিক্ষার লক্ষ্য হলো বিকাশ। তবে-              ফ্রয়েবেল তাঁর শিক্ষা দর্শনের মধ্যে ব্যক্তিসত্ত্বার পরিপূর্ণ বিকাশে উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। শিক্ষা হলো এক ধরনের বিকাশ যার দ্বারা ব্যক্তি উপলব্ধি করতে শেখে যে,সে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ঐক্যের মধ্যে একক। শিক্ষা হলো সেই বিকাশের প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্য...

শিক্ষাক্ষেত্রে(3rd.Sem) মানব সমাজে প্রাথমিক গোষ্ঠীর গুরুত্ব আলোচনা করো।

শিক্ষাক্ষেত্রে মানব সমাজে প্রাথমিক গোষ্ঠীর গুরুত্ব আলোচনা করো। যে সামাজিক গোষ্ঠীর সদস্যদের পরস্পরের সাথে মুখোমুখি এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে তাকে প্রাথমিক বা মুখ্যগোষ্ঠী বলে। আর শিক্ষা ক্ষেত্রে ও মানব সমাজে সেই প্রাথমিক গোষ্ঠীর ভূমিকা নিম্ন সূত্রকারে আলোচনা করা হলো- প্রথমতঃ প্রাথমিক গোষ্ঠীগুলি সমাজের অপরিহার্য বুনিয়াদ। পরিবার বা প্রাথমিক গোষ্ঠীর মধ্যেই শিশু প্রথমে জন্মগ্রহণ করে। পরিবারের মধ্যেই শিশুর ব্যক্তিত্ব বিকশিত হতে শুরু করে। দ্বিতীয়তঃ প্রাথমিক গোষ্ঠীর মাধ্যমেই শিশুর অন্তঃস্থ প্রেম, প্রীতি,ভালোবাসা, মমতা প্রভৃতি আবেগময় ও কোমল বৃত্তিগুলি বিকশিত হয়ে ওঠে। ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে এই বৃত্তিগুলি অতি গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয়তঃ প্রাথমিক গোষ্ঠীগুলি সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। এগুলির মাধ্যমেই সংস্কৃতি সঞ্চারিত হয়। শিশু জন্মের পর সচেতনতার সাথে সাথে সমাজ স্বীকৃত আচার-আচরণ, আদব কায়দা, মূল্যবোধ, ন্যায়-অন্যায় ইত্যাদি সম্বন্ধে ধারণা আয়ত্ত করে থাকে। চতুর্থতঃ মানুষের মধ্যে সাধারণত যে স্বার্থপরতার মনোভাব থাকে প্রাথমিক গোষ্ঠীর গভীর আন্তরিক প্রীতিপূর্ণ পরিবেশ তা অনেকাংশে পরিবর্তিত হয়ে যায়। তবে মানুষের আম...

সামাজিক(৩, সেমিস্টার (গোষ্ঠীর গুরুত্ব

সামাজিক গোষ্ঠীর গুরুত্ব বা তাৎপর্য  সামাজিক জীব বলেই মানুষ গোষ্ঠীবদ্ধভাবে বসবাস করে। শুধু তাই নয়, সমাজের অন্যান্য মানুষদের সাথে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গোষ্ঠী তারা তৈরি করে থাকে। আর সেই সামাজিক গোষ্ঠীর গুরুত্ব আমরা নিম্ন সূত্রাকারে আলোচনা করতে পারি- •সামাজিকীকরণঃ সামাজিকীকরণ একটি জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া। যেখানে শিশুর জন্মের পর থেকে সমাজ-আকাঙ্ক্ষিত ধারায় বেড়ে ওঠার জন্য সামাজিক গোষ্ঠীর তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। •ব্যক্তিত্বের বিকাশঃ ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশ সাধনের ক্ষেত্রে গোষ্ঠীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সেখানে সমাজের অন্তর্ভুক্ত সকল মানুষের সামাজিক সত্তা গোষ্ঠীগুলি গঠন করে থাকে।  •নিরাপত্তা বিধানঃ সমাজের অসহায় বৃদ্ধ, পঙ্গু, মানসিক প্রতিবন্ধী প্রমুখদের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন গোষ্ঠীর সহযোগিতা। •সুপ্ত প্রতিভার বিকাশঃ প্রত্যেক মানুষেরই কিছু না কিছু সুপ্ত প্রতিভা আছে। তবে অভিযুক্ত পরিবেশে তারা এই সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারে। সামাজিক গোষ্ঠীর সংস্পর্শে এইসব সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ত্বরান্বিত হয়। •সহযোগিতায় মনোভাবঃ এককভাবে কোন ব্যক্তি পক্ষে সকল প্রকার কাজ করা সম্...

অলৌকিক১ম সেমি) সন্নিকর্ষ কয় প্রকার ও কি কি আলোচনা করো।

অলৌকিক প্রত্যক্ষের ক্ষেত্রে ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে বিষয়ের অলৌকিক তথা পরােক্ষ সন্নিকর্ষ সম্পন্ন হয় , যেমন — ঘট প্রত্যক্ষের ক্ষেত্রে চক্ষু নামক ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে ঘটত্ব জাতির প্রত্যক্ষ ।              অলৌকিক সন্নিকর্ষ হল তিন প্রকার—  ১) সামান্য লক্ষণ সন্নিকর্ষ  ২)  জ্ঞান লক্ষণ সন্নিকর্ষ                        ৩) যােগজ লক্ষণ সন্নিকর্ষ ।  ১)সামান্য লক্ষণ সন্নিকর্ষঃ যে প্রত্যক্ষের ক্ষেত্রে বিষয়ের সামান্য ধর্ম তথা জাতিধর্ম সন্নিকর্ষরূপে কাজ করে , তাকেই বলা হয় সামান্য লক্ষণ সন্নিকর্ষ । অর্থাৎ , সামান্য লক্ষণ প্রত্যক্ষের ক্ষেত্রে ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে সামান্য জাতি বা সাধারণ ধর্মের সন্নিকর্ষ হয় । এ ক্ষেত্রে সামান্য জাতি বা সাধারণ ধর্মকে কখনােই সরাসরিভাবে প্রত্যক্ষ করা যায় না । সেকারণেই এই ধরনের সন্নিকর্ষ কখনােই লৌকিক বা সরাসরিভাবে সম্পন্ন হতে পারে না । এই ধরনের সন্নিকর্ষ তাই অলৌকিক তথা পরােক্ষভাবেই সম্পন্ন হয় । সে কারণেই এই সামান্য লক্ষণ সন্নিকর্ষকে অলৌকিক সন্নিকর্ষ রুপেও অভিহিত করা হয়...

আজব(XI,2nd Semester)শহর কলকেতা'প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক জীবন অভিজ্ঞতা আলোচনা করো।

'আজব শহর কলকেতা' প্রবন্ধের ভাববস্তু নিজের ভাষায় লেখো বা প্রাবন্ধিকের অভিজ্ঞতা আলোচনা করো। (পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ একাদশ শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয়)।          আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, সৈয়দ মুজতবা আলী র অন্যতম প্রবন্ধ 'আজব শহর কলকেতা'। আর সেই প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক তাঁর জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। আর শুরুতেই সেখানে বলা হয়েছে যে, কলকেতা শহর- যে শহরকে অনেকেই আজব শহর বলে চিনতে বা জানতে অথবা বলতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন।আর এই অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে প্রাবন্ধিক দেখেন-              এক বৃষ্টিমুখর দিন। আর সেদিন প্রাবন্ধিকের হাতে ছাতা ছিল না,ছিল না তাঁর পকেটে খুব বেশি পয়সাও।কলকাতা শহর। আর সেই শহরে রাস্তার ধারে প্রাবন্ধিক দেখতে পেলেন একটি বইয়ের দোকান(ফ্রেন্স বুক সপ)। অবশ্যই সেটি একটি ফরাসি বইয়ের দোকান। দোকানটি দেখার পর প্রাবন্ধিকের মনে হয়েছিল যে, এই শহরে ফরাসি বই বিক্রি করে কেউ যে রোজগার করতে পারে এ অভিজ্ঞতা তাঁর ছিল না। কিন্তু অতি আগ্রহের সাথে সেই বইয়ের দোকানে তিনি ঢুকে দেখলেন যে, সেখানে শুধুমাত্র ফরাসি বইয়ের সম্...

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের(3rd Sem) সংবিধানের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান,মাইনর সিলেবাস)।              ১৭৮৭ সালে ফিলাডেলফিয়া সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান গৃহীত হয়।অতঃপর ১৭৮৯ সালে সে দেশের সংবিধানটি কার্যকরী হয়। আর সেই দেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য গুলি হলো- • প্রথমতঃ পৃথিবীর সংক্ষিপ্ততম সংবিধান গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লিখিত সংবিধান। মূল মার্কিন সংবিধানের মাত্র ৭টি অনুচ্ছেদ ছিল। পরবর্তীকালে ২৭টি সংশোধনী যুক্ত হয়। আর সেদেশে সংবিধান দ্বারা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার গুলির মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষমতা বন্টিত হয়েছে। এই সাথে আইন, শাসন ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির মাধ্যমে প্রত্যেকের ক্ষমতা প্রয়োগের পরিধি নির্দিষ্ট করা আছে। • দ্বিতীয়তঃ মার্কিন সংবিধান হলো দেশের সর্বোচ্চ আইন। আর সে দেশের কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্যসরকার বা তাদের কোন প্রতিষ্ঠান সংবিধানকে অগ্রাহ্য করে চলতে পারে না। আসলে সে দেশের সংবিধান হলো দেশের চরম, প্রধান ও মৌলিক আইন।  • তৃতীয়তঃ মার...

বাংলা (3rd.Sen Mejor )নাট্য সাহিত্যে তুলসী লাহিড়ীর অবদান আলোচনা করো।

বাংলার নাট্য সাহিত্যে তুলসী লাহিড়ীর অবদান আলোচনা করো।           আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,প্রখ্যাত নট, নাট্যকার,নাট্যপরিচালক,গীতিকার তুলসী লাহিড়ী ছিলেন যুগন্ধর শিল্পী। যুগের অস্থিরতা, সংশয়, জিজ্ঞাসা তাঁর সৃষ্ট শিল্পে বাগ্ময় রূপ পেয়েছে। আসলে তিনি ছিলেন জীবনবাদী নাট্যকার। তবে প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন আইনজীবী কিন্তু নেশায় অভিনেতা ও সংগীত শিল্পী। কিন্তু-                                                                        পরবর্তী সময়ে তুলসী লাহিড়ী আইন ব্যবসা ছেড়ে অভিনয়ের জগতে পুরোপুরি আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর নিজস্ব শিক্ষা-দীক্ষা, পারিবারিক সংস্কৃতি ও পরিবেশ, আইন ব্যবসার অভিজ্ঞতা, রংপুরের তদানীন্তন নাট্যসংস্কৃতি, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ ও পঞ্চাশের মন্বন্তরের প্রতিক্রিয়া এ নাট্যকারকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছিল।আর সেকারণেই তাঁর নাটকে বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষের জীবনযাত্রা, তাদে...

মার্কিন3rd.Sem)যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রীম কোর্টের গঠন ও কার্যাবলী আলোচনা করো।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্টের গঠন ও কার্যাবলী আলোচনা করো।(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর)            আলোচনার শুরুতে আমরা বলে রাখি যে,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত হল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সে দেশে সংবিধান চালু হবার সময় সুপ্রিম কোর্ট খুব একটা শক্তিশালী ও কর্তৃত্ব সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান ছিল না। ১৮০১ সালে মার্শাল প্রধান বিচারপতি হবার পর সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালত হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সেখানে- •গঠনঃসংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রপতি সিনেটের অনুমোদনক্রমে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগ করেন। বর্তমানে একজন প্রধান বিচারপতি ও ৮ জন সহকারি বিচারপতি নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট গঠিত। বিচারপতিরা যতদিন কাজ করতে সক্ষম ততদিন তিনি স্বপদে থাকতে পারেন। তবে সংবিধান বিরোধী কাজকর্ম প্রভৃতি কারণে ইমপিচমন্ট পদ্ধতিতে বিচারপতিদের পদচ্যুত করতে পারে।                 •ক্ষমতা ও কার্যাবলী• ক) মূল এলা...

সমাজ(৩য়/সেমিস্টার )বিদ্যা বা সমাজ তত্ত্বের প্রকৃতি

১) সমাজবিদ্যা বা সমাজতত্ত্বের প্রকৃতি• সমাজবিদ্যার প্রকৃতি বলতে আমরা বুঝি- সমাজতত্ত্বের মূল পরিচয় এবং তার বৈশিষ্ট্য। কারণ সমাজবিদ্যার পরিচয় ও তার বৈশিষ্ট্যের অন্য নামই সমাজবিদ্যার প্রকৃতি আর সেই সমাজবিদ্যার প্রকৃতি নিম্নে আলোচনা করা হলো-  • সমাজের সামগ্রিক পাঠঃ সমাজবিদ্যার মূল আলোচ্য বিষয় হলো সমাজ। সমাজের এমন কোন বিষয় নেই যা সমাজবিদ্যায় আলোচনা করা হয় না। সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখা সামাজিক নির্দিষ্ট কিছু ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে। যেমন রাষ্ট্রবিজ্ঞান,অর্থনীতি সহ বিভিন্ন বিজ্ঞান সমাজের একটি দিক সম্পর্কে গুরুত্ব আরোপ করে, আর সমাজবিদ্যা গোটা সমাজের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণের নিশ্চয়তা দেয়। •মূল্যবোধ নিরপেক্ষ বিজ্ঞানঃ সমাজবিদ্যা একটি মূল্যবোধ নিরপেক্ষ বিজ্ঞান। সমাজবিজ্ঞানীগণ যথাসম্ভব মূল্যবোধ বা মূল্যায়ন সম্পর্কিত প্রভাব কাটিয়ে আলোচ্য বিষয় সম্বন্ধে নৈর্ব্যক্তিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে চেষ্টা করেন।  •সমাজ কাঠামোর আলোচনাঃ সমাজবিজ্ঞান সমাজের গড়ন ও সমাজ কাঠামো নিয়ে আলোচনা করে। কিসের ভিত্তিতে ও কিভাবে সমাজ গড়ে ওঠে এবং কিভাবেই বা সমাজ একটা কাঠামোগত রূপ নেয় তা সমাজবিদ্যার আলোচ্য বিষয়।...

লালন (XI,প্রশ্নোত্তর) শাহ্ ফকিরের গান কবিতার বড় প্রশ্ন।

•প্রশ্নঃ লালন শাহ ফকিরের গান কবিতায় বাউল সাধনার মানবতত্ত্বের  যে পরিচয় পাওয়া যায় তা আলোচনা করো। উত্তরঃ বাংলা সাহিত্যের বাউল গানের শ্রেষ্ঠ রচয়িতা হলেন লালন শাহ্ ফকির। আর সেই কবিতায় যেভাবে বাউল সাধনার মানবতত্বের কথা তুলে ধরা হয়েছে তাহলো-    লালন শাহ ফকিরের গান কবিতায়  মানবতার জয়গান করা হয়েছে। আসলে বাউল সম্প্রদায়ের সাধকরা বিশ্বাস করতেন যে, এ মানবদেহের মধ্যে সব তত্ত্ব ও সত্য লুকিয়ে আছে। তাই কবি মানুষ ভজনার কথা এখানে বারেবারে বলেছেন। কারণ মানুষের মনের মধ্যে ঈশ্বরের সন্ধান পাওয়া যায়। তাই কবি সর্বমানবতার উপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেছেন। শুধু তাই নয়-      আলোচ্য কবিতাটিতে বেশ কয়েকবার সোনার মানুষের কথা বলেছেন। তিনি আরো বলেন যে মানতত্ত্ব সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান না থাকলে বা মানুষকে উপেক্ষা করলে মানবতার মূল হারাতে হবে। আর এই মানবসত্য গুরুর কৃপা পেলেই তা জানা সম্ভব। আসলে মানবজীবন 'সোনার মানুষ' ছাড়া অপরিপূর্ণ। আর এটাই আলোচ্য কবিতায় বাউল সাধনার মানবতত্ত্ব।  •প্রশ্নঃ"মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি", বক্তা কে? সোনার মানুষ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? বিষয়...

বিরোধানুমান(3rd.Sem) কাকে বলে? এর বৈশিষ্ট্য ও প্রকারভেদ লেখো।

বিরোধানুমান কাকে বলে?বিরোধানুমানের বৈশিষ্ট্য ও প্রকারভেদ লেখো। বিরোধানুমানঃ যে অমাধ্যম অনুমানে কোন বচনের সত্যতা বা মিথ্যাত্ব থেকে তার বিরোধী বা অনুরূপ অন্য আরেকটি বচনের সত্যতা বা মিথ্যাত্ব অনুমান করা হয়, তাকে বিরোধানুমান বলা হয়। উদাহরণ-                 A-সকল মানুষ হয় প্রাণী (সত্য)।                        সুতরাং E-কোন মানুষ নয় প্রাণী (মিথ্যা)             • উপরিউক্ত উদাহরণটি লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, A বচনের সত্যতা থেকে এর বিরোধী বচন E বচনের মিথ্যাত্ব অনুমান করা হয়েছে। তাই এটি একটি বিরোধানুমান। বিরোধানুমানের বৈশিষ্ট্যঃ  ১) বিরোধানুমান এক ধরনের অমাধ্যম অনুমান।এর কারণ হলো, এই অনুমানের দুটি বচন লক্ষ্য করা যায়। ২) বিরোধানুমানের অন্তর্গত দুটি বচন পরস্পর বিরোধী বচন হয়। অর্থাৎ এই বচন দুটির মধ্যে বিরোধিতার সম্বন্ধ থাকে। ৩) বিরোধানুমানের একটি বচনের সত্যতা বা মিথ্যাত্ব থেকে অন্য বচনটির সত্যতা বা মিথ্যাত্ব নিরূপণ করা হয়।           ...

অসম(3rd.Sem) বিরোধিতার সম্বন্ধকে কি প্রকৃত বিরোধিতার সম্বন্ধ বলা যায়?লেখো।

অসম বিরোধিতার সম্বন্ধকে কি প্রকৃত বিরোধিতার সম্বন্ধ বলা যায়? আলোচনা করো।(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার দর্শন মাইনর)             অসম বিরোধিতা সম্বন্ধ কে প্রকৃত বিরোধীতার সম্বন্ধ বলা যায় কিনা সেই বিষয়ে আলোকপাত করার পূর্বে আমাদের অবশ্যই চিহ্নিত করতে হবে অসম বিরোধিতা আসলে কি? আর সেখানে আমরা দেখি-     একই উদ্দেশ্য ও বিধেয় বিশিষ্ট দুটি নিরপেক্ষ বচনের মধ্যে যদি পরিমাণগত প্রভেদ থাকে, আর এই পরিমাণ পরিমাণগত প্রভেদ থাকার ফলে তাদের মধ্যে যে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাকে বলা হয় অসম বিরোধিতা। আর এই নিরিখে আমাদের আলোচনা করতে হবে অসম বিরোধিতার সম্বন্ধ প্রকৃত বিরোধিতার সম্বন্ধ কিনা। সেই সম্বন্ধে দেখা যায়-     অসম বিরোধিতা অনুসারে দুটি বচন একই সঙ্গে সত্য হতে পারে, আবার দুটি বচন একইসঙ্গে মিথ্যাও হতে পারে। অথচ বিরোধিতা থাকতে গেলে একটি সত্য হলে অপরটি মিথ্যা হবে অথবা একটি মিথ্যা হলে অপরটিকে সত্য হতে হবে। আবার-       সাধারণত বিরোধিতার ক্ষেত্রে বচন দুটির মধ্যে গুণের পার্থক্য থাকতে হয়, অর্থাৎ একটি সদর্থক হলে অপরটি...

চৈতন্যচরিতামৃত(1st.Sem)গ্ৰন্থটির গ্ৰন্থ-পরিচয় আলোচনা করো।

চৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থটির গ্রন্থ-পরিচয় আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, প্রথম সেমিস্টার, বাংলা মেজর সিলেবাস)।                   আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, চৈতন্যজীবনীর প্রথম কবি বৃন্দাবনদাসের চৈতন্যভাগবতে মহাপ্রভুর শেষ জীবনের কাহিনী বিশদভাবে বর্ণিত না হওয়াতে বৈষ্ণব ভক্তদের চাহিদা ও তাদের রস সাধনে চৈতন্যজীবন কাহিনী রচনায় প্রবৃত্ত হয়েছিলেন বলেই কৃষ্ণদাস উল্লেখ করেছেন। এখানে চৈতন্য চরিতামৃত গ্রন্থ তিন খন্ডে বিভক্ত। সেখানে আদিলীলায় ১৭ টি পরিচ্ছদ তার প্রথম ১২টি বস্তুত মুখবন্ধরূপেই রচিত হয়েছে। এতে বৈষ্ণবতত্ত্বের বিভিন্ন দিক আলোচিত হয়েছে।         পরবর্তী পাঁচটি পরিচ্ছদে চৈতন্যদেবের জন্ম থেকে নবদ্বীপ বাসকাল পর্যন্ত বর্ণিত হয়েছে। মধ্যলীলার ২৫ পরিচ্ছদে মহাপ্রভু চৈতন্যদেবের পরিব্রাজক জীবনের বিভিন্ন ঘটনা এবং তৎপ্রসঙ্গে বিভিন্ন বৈষ্ণবতত্ত্ব আলোচিত হয়েছে। আর অন্তলয় কুড়িটি পরিচ্ছেদ যেখানে নীলাচল পাশে চৈতন্য জীবনের ভাবোন্মাদ অবস্থার পরিচয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তবে -     মহাপ্রভুর শেষ জীবনের ...

ব্রিটিশ (3rd.Sem)পার্লামেন্টের বিরোধী পক্ষের ভূমিকা আলোচনা করো।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিরোধী পক্ষের ভূমিকা আলোচনা করো(West Bengal State University, 3rd Semester, Political Science, Minor Syllabus) ভূমিকাঃ আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আর ব্রিটেন সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তিত থাকায় সেখানে একাধিক রাজনৈতিক দলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তবে প্রতিটি দলই রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের জন্য নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়। নির্বাচনের যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে তাদের সরকারি দল এবং অন্যদের বিরোধী দল হিসেবে গণ্য করা হয়। ব্রিটেনে অনেকগুলি দলের অস্তিত্ব থাকলেও সাধারণত সেখানে দুটি প্রধান দলের মধ্যে নির্বাচন দ্বন্দ্ব সীমাবদ্ধ থাকে। আর সেই দুটি দল হল-Conservative Party এবং Labour Party। ব্রিটেনে শাসন ব্যবস্থায় বিরোধী দল যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আমরা সেগুলিকে নিম্নলিখিতভাবে আলোচনা করতে পারি- ১) সরকারকে সংযত থাকতে বাধ্য করেঃ ব্রিটিশ গণতন্ত্রের ইমারত জনসম্মতির উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে বলে অনেকে দাবি করেন। কিন্তু বাস্তবে ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থায় একবার সরকার গঠিত হলে পরবর্তী নির্বাচনের আগে পর্যন...

বাংলা(3rd.Sem) নাট্য সাহিত্যে রামনারায়ণ তর্করত্ন র অবদান আলোচনা করো।

বাংলা নাট্য সাহিত্যে রামনারায়ণ তর্করত্ন র অবদান আলোচনা করো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার, বাংলা মেজর)              আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, মধুসূদনের পূর্বে বাংলা নাটকের প্রস্তুতিপর্বে নাটক রচনায় যার খ্যাতি তিনি হলেন 'নাটুকে রামনারায়ণ'। রামনারায়ণ তর্করত্ন বাস্তব ও সরস নাটক রচনার জন্য 'নাটুকে রামনারায়ণ' নামে জনপ্রিয়তার লাভ করেছিলেন। রাম নারায়ণ মূলত সামাজিক সমস্যা মূলক নাটক রচনা করলেও পৌরাণিক ও প্রহসন রচনায় তাঁর খ্যাতি যথেষ্ট। তাঁর নাটকের প্রধান সম্পদ হলো হাস্যরসের উপস্থাপনা। আসলে-            রামনারায়ণ সমাজ সচেতন নাট্যকার ছিলেন। ঊনবিংশ শতাব্দীতে পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রভাবে আমাদের সমাজে যে সংস্কারবাদ বনাম প্রগতিবাদের সংকট দেখা দেয় সে বিষয়ে যাঁরা সক্রিয় ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রামনারায়ণ। তিনি প্রাচীনপন্থী ব্রাহ্মণ পণ্ডিত সমাজে জন্মগ্রহণ করলেও মানসিকতায় ছিলেন প্রগতিবাদী। কৌলিন্য প্রথা, বিধবা বিবাহ ও সতীদাহ প্রথা প্রভৃতি সম্পর্কে রামনারায়ণের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সমকালীন নবজাগ্রত জীব...

ফ্রয়েবেলের(1st.Sem) কিন্ডারগার্ডেন পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, প্রথম সেমিস্টার এডুকেশন, মাইনর)

ফ্রয়েবেলের কিন্ডারগার্ডেন পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, প্রথম সেমিস্টার এডুকেশন, মাইনর) ভূমিকাঃ আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, ফ্রয়েবেল তাঁর শিক্ষা দর্শনের ব্যবহারিক প্রয়োগ করে, তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয় কিন্ডারগার্ডেন এর মাধ্যমে। আর সেখানে কিন্ডারগার্টেন কথাটির অর্থ হল 'শিশুউদ্যান'। যেখানে শিশু স্বাধীনভাবে কাজ করবে এবং তার মধ্যে দিয়ে শিক্ষার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাবে। এটাই ছিল তার শিক্ষানীতির প্রধান উদ্দেশ্য। তাই তিনি-শিশুকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দানের উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। আর তার মতে-                          "আত্মসক্রিয়তাই শিক্ষণের একমাত্র                                 পদ্ধতি হওয়া উচিত।"            • আসলে কিন্ডারগার্টেন পদ্ধতিতে শিশুরা যেন একটি বাগানের ছোট ছোট চারাগাছ। আর সেখানে শিক্ষক হলো ওই বাগানের মালী। মালিক কেমন বাগানের চারাগাছ গুলির...

শিক্ষাক্ষেত্রে(3rd.Sem) ও মানব সমাজে প্রাথমিক গোষ্ঠী বা মুখ্য গোষ্ঠীর ভূমিকা বা গুরুত্ব আলোচনা করো।

শিক্ষাক্ষেত্রে ও মানব সমাজে প্রাথমিক গোষ্ঠী বা মুখ্য গোষ্ঠীর ভূমিকা বা গুরুত্ব আলোচনা করো(West Bengal State University Education Minor Third Semester) প্রথমতঃ প্রাথমিক গোষ্ঠীগুলি সমাজের অপরিহার্য  বুনিয়াদ। পরিবার বা প্রাথমিক গোষ্ঠীর মধ্যেই শিশু প্রথম জন্মগ্ৰহণ করে। পরিবারের মধ্যেই শিশুর ব্যক্তিত্ব বিকশিত হতে শুরু করে। দ্বিতীয়তঃ প্রাথমিক গোষ্ঠগুলির মাধ্যমেই শিশুর অন্তঃস্থ প্রেম,প্রীতি, ভালবাসা, মমতা প্রভৃতি আবেগময় ও কোমল বৃত্তিগুলি বিকশিত হয়ে ওঠে। ব্যক্তি ও সমাজজীবনে এই বৃত্তিগুলি অতি গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয়তঃ প্রাথমিক গোষ্ঠিগুলি সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। এগুলির মাধ্যমেই সংস্কৃতি সঞ্চারিত হয়। জন্মের পর সচেতনতার সঙ্গে সঙ্গে সমাজ স্বীকৃত আচার-আচরণ, আদব-কায়দা, মূল্যবোধ, ন্যায়-অন্যায় ইত্যাদি সম্বন্ধে ধারণা আয়ত্ত করে থাকে। চতুর্থতঃ মানুষের মধ্যে সাধারণত যে স্বার্থপরতার মনোভাব থাকে, প্রাথমিক গোষ্ঠীর গভীর আন্তরিক প্রীতিপূর্ণ পরিবেশ তার অনেকাংশে পরিবর্তিত হয়ে যায়। আর সেখানে মানুষের ‘আমি সর্বস্ব’চিন্তাভাবনা প্রাথমিক গোষ্ঠীর মাধ্যমে ‘আমরা’ এই মনোভাবের রূপান্তরিত হয়। পঞ্চমতঃ প্রাথমিক গোষ...

সামাজিক সমস্যা(3rd.Sem) সমাজ গঠনের উপাদান, সামাজিক সমস্যার কারণ, প্রভাব ও প্রতিকার।

সামাজিক সমস্যা কাকে বলে? সামাজ গঠনে উপাদানগুলি কি কি? সামাজিক সমস্যার কারণ, প্রভাব ও সমস্যার প্রতিকার গুলি লেখো (পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সেমিস্টার, শিক্ষাবিজ্ঞান মাইনর)  • সামাজিক সমস্যাঃ সামাজিক সমস্যা হলো এমন একটি নেতিবাচক ঘটনা যা সমাজে বসবাসকারী মানুষকে স্বাভাবিক জীবন যাপনে বাঁধা সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয়, এটি সামাজিক জীবনযাত্রায় বাঁধা প্রদান করে আবেগীয় ও অর্থনৈতিকভাবে সামাজিক উন্নয়ন ব্যাহত করে। তাই বিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী এল.কে.ফ্রাঙ্ক বলেন-।                                                                           "সামাজিক সমস্যা বলতে এমন একটি                            সামাজিক অসুবিধা অথবা অসংখ্য লোকের                  অসদাচরণকে বুঝায় যা সংশোধন করাদরকার।" ...

লালন শাহ (XI,2nd Semester )ফকিরের গান কবিতার পটভূমি আলোচনা করে কবিতার ভাব বস্তু নিজের ভাষায় লেখো।

লালন শাহ ফকিরের গান কবিতার পটভূমি আলোচনা করে কবিতার ভাববস্তু নিজের ভাষায় লেখো(পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমধ্যমিক শিক্ষা সংসদ,একাদশ শ্রেণি, বাংলা, দ্বিতীয় সেমিস্টার) ভূমিকাঃ আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, লালন শাহ ফকিরের গান কবিতার কবি লালন শাহ্ নিজেই।কবি নিজেই ছিলেন মানবতার,মানবাত্মার মূর্তপ্রতীক। শুধু তাই নয়, তিনি জাতি,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে মানুষকে শান্তি ও বিশ্বাসের উপর ভর করে পথ চলতে শেখাতে চেয়েছিলেন।তবে ধর্মীয় ও জাতিগত কারণে বাংলার জনসমাজ যখন বিভাজিত ঠিক সেই সময়ে এই দৃশ্য দেখে তাঁর অন্তরাত্মা ভীষণভাবে কেঁদে ওঠে। তাই-  কবি লালন শাহ্ মানুষের জন্য একটা সুষ্ঠ সবল সমাজ গঠন করতে চেয়েছিলেন। যে সমাজ গঠনে লড়াইটা করা কোন একজনের পক্ষে সম্ভব নয়,বলা যায় দুরুহ। তাই মানুষকে নিয়ে মানুষের মুক্তির জন্য আমাদের সাধনা করতে হবে। আসলে ক্ষয়িষ্ণু সমাজে মানুষের মনুষত্ব এবং বিশ্বাস মুছে যেতে চলেছে।আর সৃষ্টি হচ্ছে মানুষে মানুষের মধ্যে দ্বন্ধ, সংঘাত,বিভেদ।সেই বিভেদের মূলেই কবি কুঠারাঘাত করার অভিপ্রায়ে এই গীতি কবিতার অবতারণা করেছেন।আর সেই গানে আমরা দেখি-        লালন শাহ ফকিরের প্রধান...

চৈতন্য জীবনী(1st. Sem )গুলির মধ্যে কোনটি তুমি শ্রেষ্ঠ মনে করো? কারণ উল্লেখ করে গ্ৰন্থটির পরিচয় দাও।

চৈতন্য জীবনীগুলির মধ্যে কোনটিকে তুমি শ্রেষ্ঠ বিবেচনা করো? কারণ উল্লেখ করে গ্রন্থটির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও(West Bengal State University Bengali Mejor) ভূমিকাঃ বৃন্দাবনদাস রচিত চৈতন্যভাগবতই সম্ভবত বাংলা ভাষায় রচিত চৈতন্য চরিতগ্রন্থ সমূহের মধ্যে প্রাচীনতম গ্রন্থ। তবে চৈতন্য ভাগবতের প্রথম নামকরণ করা হয়েছিল চৈতন্যমঙ্গল। অতঃপর বৃন্দাবনের মহন্তাদের অনুরোধ অথবা মা নারায়ণীর নির্দেশে ব্যক্তির জীবনসম্মত কিছু জনশ্রুতি ছাড়া প্রামাণিক তথ্য বিশেষ কিছু পাওয়া যায় না। আর সেই তথ্য হতে আমরা জানতে পারি-     তার মাতার নাম নারায়নী এবং তিনি চৈতন্য-পার্ষদ শ্রীবাসের ভ্রাতুস্পুত্রী ছিলেন। তবে তাঁর পিতৃপরিচয় অজ্ঞাত, কিন্তু গুরু নিত্যানন্দ প্রভুর গুণকীর্তনে তিনি ছিলেন পঞ্চমুখ। চৈতন্য ভাগবতের উপাদান সংঘের মূল উৎস নিত্যানন্দ এবং চৈতন্যদেবের অপরাপর ভক্তগণ। আর এ তথ্য গ্রন্থকার প্রয়োজনীয় স্থলে সর্বত্র উল্লেখ করেছেন। আর সেই উল্লেখ থেকে জানা যায় যে- রচনাকালঃ বৃন্দাবন দাসের চমৎকার বিশ্বেই নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা সম্ভব নয় তবে তিনি সক্ষোপে স্বীকার করেছেন যে-     হইল পাপিষ্ঠ জন্ম নহিল তখনে।হইয়াও ...

চৈতন্যভাগবত(1st.Sem) গ্ৰন্থের ঐতিহাসিক গুরুত্ব আলোচনা করো।

চৈতন্যভাগবত গ্রন্থের ঐতিহাসিক গুরুত্ব আলোচনা করো। (West Bengal State University Bengali first semester Mejor)            •আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, বৃন্দাবন দাস ধর্মীয় প্রচারমূলক কাব্য রচনায় প্রবৃত্ত হয়ে সমকালীন নবদ্বীপের অবৈষ্ণব সমাজের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন।আর সেই কাব্য চিত্রে তাঁর ইতিহাস চেতনার সুন্দর পরিচয় পাওয়া যায়। চৈতন্যদেবের আবির্ভাবকালে সমগ্র দেশের রুচি কোন দিকে প্রবাহিত হয়েছিল, ধর্মকর্মের অবস্থা কেমন ছিল, তার একটি নির্ভরযোগ্য বিশ্বস্ত চিত্র আমরা চৈতন্যভাগবত গ্রন্থে পাই। সমসাময়িক নবদ্বীপের জনসংখ্যা, নবদ্বীপবাসীর সম্পদ সমৃদ্ধি এবং শিক্ষা দীক্ষার বিষয়ে তিনি লিখেছেন-               “নবদ্বীপ সম্পত্তি কে বর্ণিবারে পারে।                              এক গঙ্গাঘাটে লক্ষ লোক স্নান করে।।                            ত্রিবিধ বৈসে এক জাতি লক্ষ লক্ষ।      ...

মার্কিন (3rd.Sem)যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের দল ব্যবস্থার তুলনামূলক আলোচনা করো।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের দল ব্যবস্থার তুলনামূলক আলোচনা করো। (West Bengal State University,3rd Semester, Political Science, Minor)                •আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার রাজনৈতিক দল হল শাসন ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অঙ্গ। দল ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে, গণতান্ত্রিক নির্বাচন সম্ভব হয় এবং সরকার গঠিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের কার্যকালের দ্বিতীয় পর্যায়ে মার্কিন দলববস্থার উদ্ভব ঘটে।                                       আর ব্রিটেনে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের মত দলব্যবস্থাও ঐতিহাসিক বিবর্তনের ফল। তবে একদিনে ব্রিটেনে দল ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। আধুনিক অর্থে ব্রিটিশ দলব্যবস্থার উদ্ভব ঘটেছে উনবিংশ শতকে। তবে যেভাবেই উক্ত দেশ দুটিতে দল ব্যবস্থার গড়ে উঠুক না কেন তাদের মধ্যে বিস্তর বৈসাদৃশ্য আছে। আর সেই বৈসাদৃশ্য গুলি হল- •প্রথমতঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দলগুলির মধ...

শিশু শিক্ষায় (3rd.Sem) আধুনিক পরিবারের সীমাবদ্ধতার ফল আলোচনা করো।

শিশু শিক্ষায় আধুনিক পরিবারের সীমাবদ্ধতার ফল আলোচনা করো। শিশু শিক্ষায় আধুনিক পরিবারের ভূমিকা বা শিক্ষায় সীমাবদ্ধগুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো- •১) পিতা মাতার সম্পর্কঃ বর্তমানে পরিবর্তিত সামাজিক পরিবেশে বহু ক্ষেত্রে পিতা মাতার সম্পর্কের মধ্যে ফাটল দেখা যায়। আর পিতামাতার মধ্যে সুসম্পর্কের এই অবতী শিশুর জীবনে প্রভাব বিস্তার করে।যার ফলে শিশুর ব্যক্তিসত্তার বিকাশ বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। •২) পারস্পরিক ক্রিয়ার অভাবঃ বর্তমানে পরিবারের বিভিন্ন চাহিদা মেটাতে বাবা-মা উভয়কে চাকরি করতে হয় বা হচ্ছে। দিনের শেষে যখন পিতা-মাতা ক্লান্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসেন তখন তারা আর শিশুর সঙ্গে প্রয়োজনীয় পারস্পরিক ক্রিয়া চালানোর মতো অবস্থায় থাকেন না। যার ফলে শিশুর নৈতিক ও সামাজিক বিকাশ ব্যাহত হয়। • ৩) চাহিদার অতৃপ্তিঃ শিশু বাইরের পরিবেশে যা দেখছে তা তাদের মধ্যে বিভিন্ন চাহিদা সৃষ্টি করে। পরিবারের পক্ষে অনেক সময় সেই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না।যার ফলে চাহিদার অতৃপ্তি শিশুর মধ্যে হীনমন্যতা বোধের জন্ম দেয়  •৪)অস্বাস্থ্যকর পরিবেশঃ বর্তমানে আমাদের দেশে বেশিরভাগ গৃহে বাইরের আলো, বাতাস প্রবেশ করার পথ থা...

শিশু শিক্ষায়(3rd.Sem) পরিবারের ভূমিকা ও গুরুত্ব আলোচনা করো।

শিশু শিক্ষায় পরিবারের ভূমিকা ও গুরুত্ব আলোচনা করো।•(West Bengal State University Education Minor Third Semester) ভূমিকাঃ আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে পরিবার হলো একটি গোষ্ঠী যা যৌন সম্পর্কের ভিত্তিতে গঠিত হয়। এখানে শিশু জন্মলাভ করে এবং প্রতিপালিত হয়। তবে প্রাচীনকাল থেকেই শিশুশিক্ষায় পরিবার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। আর সেই শিশু শিক্ষায় পরিবারের ভূমিকা হলো- • নিরাপদ আশ্রয়স্থলঃ শিশুর সুদীর্ঘ শৈশবকাল অতিবাহিত করার জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল ভীষণ প্রয়োজন। পরিবার শৈশবকালে শিশুকে দৈহিক এবং মানসিক নিরাপত্তা দান করে থাকে। আসলে পরিবার শিশুর দীর্ঘ শৈশবকালীন অসহায়তা ও অজ্ঞতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।  • সামাজিকীকরণঃ পরিবারের একটি শিক্ষামূলক কাজ হল শিশুর সামাজিকীকরণ। শৈশবে শিশু শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পারস্পরিক ক্রিয়ার মাধ্যমে সমাজের রীতিনীতি, আচার-আচরণ, মূল্যবোধ সম্পর্কে পরিচিত হয় এবং সেগুলি অনুসরণ করে। • অভ্যাস গঠনঃ পরিবারের আরেকটি শিক্ষামূলক কাজ হল শিশুর সু অভ্যাস গঠন করা। নির্দিষ্ট স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করা, সময়মতো ঘুম থেকে ওঠা, দাঁত মাজা, খাদ্য গ্রহণে...

খেলা(1st.Sem) ও কাজের মধ্যে মূলগত পার্থক্যগুলো লেখো।

খেলা ও কাজের মধ্যে মূলগত পার্থক্যগুলো লেখো(West Bengal State University, Education, Minor,First Sem) ভূমিকাঃ আলোচনার শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,প্রাচীন শিক্ষাবিদদের কাছে খেলা ও কাজ সম্পূর্ণ বিপরীত ধর্মী। তাঁদের মতে অপদার্থ ও অকেজো লোকেরাই খেলাধুলার চর্চা করে সময়ের অপব্যবহার করে থাকে। খেলাধূকে তারা জীবনের ক্ষেত্রে একটি অপ্রয়োজনীয় নষ্টামী বলে মনে করতেন। তাই ছাত্রজীবনে খেলাধুলার গুরুত্বকে তারা আদৌ স্বীকার করতেন না। কিন্তু-                                                                   আধুনিক কালের মনোবিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করলেন যে বালক থেকে বৃদ্ধ সকলেই খেলাধুলার প্রতি নানাভাবে আকৃষ্ট হয়ে থাকেন। তার কারণ অনুসন্কধান করতে গিয়ে তাঁরা আবিষ্কার করলেন বিভিন্ন তথ্য। আর সেই তথ্যের ভিত্তিতে খেলা ও কাজের মধ্যে প্রধান পার্থক্য গুলি হল-      প্রথমতঃ কাজের মধ্যে প্রয়োজনের দাসত্ব আছে, আর আছে বাধ্যবাধকতার এক অবাঞ্চিত নিয...

গণপ্রজাতন্ত্র(3rd Sem) চিনের সংবিধানের মৌলিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।

গণপ্রজাতন্ত্র চিনের১৯৮২ সংবিধানের মৌলিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো(পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীযবিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাইনর) ভূমিকাঃ আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে, প্রত্যেক দেশের সংবিধান সেই দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে গড়ে ওঠে।আর সেই কারণে প্রত্যেক দেশের সংবিধানের কতকগুলি বিশেষ ধরনের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকে। যে বৈশিষ্ট্যগুলি, সেই দেশের সংবিধানের মূল প্রকৃতিটি প্রতিপন্ন করে। তবে চিনের বর্তমান সংবিধানের কিছু অভিনব বৈশিষ্ট্য ও আছে। সেই বৈশিষ্ট্যগুলি হলো- ১) লিখিত সংবিধানঃ               গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের সংবিধান ১৯৮২ সালে লিখিত আকারে সেদেশে গৃহীত হয়।আর এই সংবিধানে প্রস্তাবনায় ৪টি অধ্যায়ে ১৩৮টি ধারা লিপিবদ্ধ আছে। যেখানে রাষ্ট্রৈর সাধারন নীতি, রাষ্ট্রব্যবস্থার কাঠামো, নাগরিকদের অধিকার ও কর্তব্য লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।। ২) সংবিধানের প্রাধান্যঃ                 সংবিধানের প্রাধান্যের স্বীকৃতি চীনের বর্তমান সংবিধানের আরোও একটি বড়ো বৈশিষ্ট্য। সেখানে সংবিধানের মৌলিক আইন হ...

আড্ডা (XI,2nd.Sem) প্রবন্ধের মূলবক্তব্য বা মূল ভাববস্তু বা বিষয়বস্তু লেখো।

সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত 'আড্ডা' প্রবন্ধের মূল বক্তব্য বা মূল ভাববস্তু বা বিষয়বস্তু লেখো।( পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, একাদশ শ্রেণি, দ্বিতীয় সেমিস্টার, বাংলা)            •আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে সৈয়দ মুজতবা আলী পঞ্চতন্ত্র গল্প গুচ্ছের অন্যতম প্রবন্ধ আড্ডা। আর সেই প্রবন্ধে আমরা শুরুতেই দেখি যে, বাঙালি ভীষণ আড্ডাপ্রিয়। শুধু তাই নয়,গোটা পৃথিবীতে এই আড্ডার বিস্তৃতি দেখা যায়। আর সেখানে উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে- এই যেমন ইলিশ মাছ, এই মাছটির নাম পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত। ঠিক তেমনি আড্ডার চরিত্র বা ধরণ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম ভাবে দেখা যায়।আর সেখানে -        •এই যেমন কায়রো শহরের মানুষেরা ভীষণভাবে আড্ডাপ্রিয়। তবে সে শহরের মানুষগুলো কেউ কখনো অন্যের বাড়িতে এই আড্ডার আসর বসায় না। কারণ এক্ষেত্রে তারা বাড়ির কর্ত্রীর পছন্দ এবং অপছন্দের বিষয়টি সব সময় মনে গেঁথে রাখেন। তাই তারা কোন কাফে(ক্যাফে দ্যা নীল) খাবার নিয়ে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দিতে পছন্দ করেন। বলা যেতে পারে, এই সকল মানুষগুলি কাফে জীবনের অর্ধেক সময়...

ব্রিটেন (3rd.Sem)ও ফ্রান্সের ক্যাবিনেট এর তুলনামূলক আলোচনা কর

ব্রিটেন ও ফ্রান্সের ক্যাবিনেটের তুলনামূলক আলোচনা করো। (West Bengal State University, 3rd Semester, Political Science, Minor) আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে,ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থা হল সংসদীয় আর ফ্রান্সের শাসন ব্যবস্থা হল সংসদীয় ও রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থার মিশ্রণ। উভয় দেশেই ক্যাবিনেটের অস্তিত্ব আছে এবং উভয় দেশের ক্যাবিনেট এর মধ্যে কিছু মিলও আছে। তবে সাদৃশ্য অপেক্ষা বৈসাদৃশ্য প্রখরতর। আর সেই বৈসাদৃশ্যগুলি হলো - •প্রথমতঃ ব্রিটেনে কমন্সসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দল থেকে ক্যাবিনেট সদস্যরা নিযুক্ত হন। অর্থাৎ ক্যাবিনেট সদস্যরা সবাই কমন্সসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের সদস্য। নিয়োগের সময় সদস্য না হলে মন্ত্রীকে ছমাসের মধ্যে কমন্সসভার সদস্য হতে হয়। কিন্তু-                ফ্রান্সের পার্লামেন্টের সদস্যদের মধ্যে যারা মন্ত্রী হন, তারা নিয়োগের পর পার্লামেন্টের সদস্যপদ ত্যাগ করেন। অধিকাংশ মন্ত্রীরা পার্লামেন্টের সদস্যদের থেকে আসেন না। •দ্বিতীয়তঃ ক্যাবিনেট সদস্যদের নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্রিটেনের রাজা বা রানীর নিজস্ব ইচ্ছার কোন মূল্য থাকে না। তিনি কমন্সসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা মো...

গণতন্ত্র(XI,2nd) বিলুপ্তির কারণ আলোচনা করো।

গণতন্ত্র বিলুপ্তির কারণ আলোচনা করো।                   আলোচনা শুরুতেই আমরা বলে রাখি যে আধুনিককালে প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিলুপ্তির পেছনে কয়েকটি কারণ আছে। প্রাচীনকালে গ্রীস ও রুমের নগর রাষ্ট্রগুলি ছিল ক্ষুদ্র আয়তন বিশিষ্ট। ওই সকল নবরাষ্ট্রের জনসংখ্যা ছিল অত্যন্ত অল্প। সেখানে জনগণের অধিকাংশ যেমন দাস স্ত্রীলোক এবং শ্রমিকদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হতো না। ফলে-           সেইসকল রাষ্ট্রে স্বল্প সংখ্যক নাগরিক অতি সহজেই একটি নির্দিষ্ট সময় সমবেত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারত। তদানীন্তন যুগের সমস্যাবলিও ছিল সংখ্যায় অল্প এবং প্রকৃতিগতভাবে সহজ ও সরল। তাই সাধারণ নাগরিকরা অতি সহজেই সেসব সমস্যার সমাধান করতে পারত। কিন্তু- প্রথমতঃ বর্তমানে রাষ্ট্রের আকৃতিগত পরিবর্তনের সাথে সাথে জনসংখ্যার বিপুল বিস্তার প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের প্রবর্তন অসম্ভব করে তুলেছে।  দ্বিতীয়তঃ সমকালীন সমস্যাবলিও সংখ্যায় এত বেশি এবং প্রকৃতিগতভাবে এত জটিল যে, সাধারণ মানুষের পক্ষে ঐ সকল সমস্যার সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় সিদ...

গণতন্ত্র (XI,2nd)সাফল্যের শর্তাবলী গুলি আলোচনা করো।

গণতন্ত্র সাফল্যের শর্তাবলী গুলি আলোচনা করো। •১. জনগণের ইচ্ছাঃ গণতন্ত্রকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য প্রয়োজন গণতন্ত্রের প্রতি জনগণের আগ্রহ এবং একে প্রতিপালন করার সামর্থ্য।গণতান্ত্রিক চেতনা ও দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন নাগরিকগণই গণতান্ত্রিক নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হন। আর সেখানে তারা জনসাধারণের স্বার্থরক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। •২. ব্যাপক শিক্ষাঃ গণতন্ত্রের সফলতার জন্য প্রয়োজন ব্যাপক শিক্ষার প্রসার। আর সেই শিক্ষা হবে অবশ্যই সুশিক্ষা।কারণ শিক্ষা মানুষকে যেমন আত্মসচেতন, আত্মমর্যাদাবান, অন্যের প্রতি কর্তব্যনিষ্ঠ ও অধিকার সচেতন করে তোলে, তেমনি সরকারের ভুল-ত্রুটি অনুধাবন করার সক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করে।  •৩) লিখিত সংবিধানঃরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের সফলতার জন্য লিখিত সংবিধান অপরিহার্য। কারণ সংবিধান লিখিত হলে সাধারণ জনগণ নিজেদের অধিকার ও কর্তব্য এবং সরকারের ক্ষমতা সম্পর্কে সম্যকভাবে অবহিত থাকে। ফলে সরকার সহজে স্বৈরাচার হতে পারে না। •৪) আইনের অনুশাসন : গণতন্ত্রের সফলতার অন্যতম পূর্বশর্ত হলো রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। অর্থাৎ, “সকলেই আইনের দৃষ্টিতে সমান” (All are equal before law) এ নীতির বাস্তবায়ন...

পরোক্ষ বা(XI,2nd ) প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র কাকে বলে? পরোক্ষ গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র কাকে বলে? পরোক্ষ গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো। •পরোক্ষ গণতন্ত্রঃ পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র বলতে এমন একটি শাসনব্যবস্থাকে বোঝায়, যেখানে জনসাধারণ বা তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ নিজেদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে শাসন ক্ষমতা ব্যবহার করে থাকে। সুতরাং বলা যায় যে পরোক্ষ গণতন্ত্রের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে পরোক্ষভাবে শাসন কার্য পরিচালনা করেন। আর সেই পরোক্ষ বা প্রতিযোগিতা মূলক গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি হল- •১) পরোক্ষ গণতন্ত্রে জনগণ প্রত্যক্ষভাবে শাসনকার্য পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে না। তারা তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে সরকারি কার্য পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে থাকেন।  •২) পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র রাষ্ট্রপতি শাসিত কিংবা মন্ত্রীপরিষদ পরিচালিত অর্থাৎ সংসদীয় শাসনব্যবস্থা হতে পারে। •৩) পরোক্ষ গণতন্ত্রে আইনসভা এবং শাসন বিভাগের রাজনৈতিক অংশ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাচিত হয়। অবশ্য নানা কারণে নির্দিষ্ট কার্যকালের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বে তাদের পদচ্যুতও করা যায়। •৪) পরোক্ষ গণতন্ত্রে সার্বিক প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের ভিত...